বাণী চিরন্তনী ; অথচ !!!!!!!!!!!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:১৩:৫২ সকাল

ওয়াহিদুজ্জামান :

আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে ভারতীয় সভ্যতার আধ্যাত্নিক উৎকর্ষ সাধনে ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন দৈবকিনন্দন নরোত্তম শ্রীকৃষ্ণ । রাক্ষসপতির অভিসম্পাত ও শ্যেন দৃষ্টি থেকে বাঁচাতে এবং মহাপ্রলয়ংল্কারী জলোচ্ছ্বাস থেকে অনন্তনাগের ছায়া বেষ্টনে মা জসধার ক্রোড়ে আশ্রয় মিলেছিল এ প্রাণ পুরুষের । অত:পর বিশ্ব স্রষ্টার অমোঘনীতিতে গোয়ালিনীর গৃহে নরোত্তমের প্রতিপালনের ইতিহাস আলোচ্য নয় । মুখ্য বার্তা নিচয় হচ্ছে মা জসধার আত্মত্যাগ নিষ্ঠা ও প্রতিপালনে কৈশরের ননীচোর শ্রীকৃষ্ণ একদিন পরিপূর্ণ মানবে রূপলাভ করেন । বলা আবশ্যক, মা দৈবকীর গর্ভ থেকে তদিয়মাতার ৮ম সন্তান হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের আগমন তারিখটি মহাজন্মাষ্টমী হিসেবে প্রতিপালিত হয়ে আসছে ।

মহাজন্মাষ্টমীর ভাবগাম্ভীর্যতা ও মূলশিক্ষা নিয়ে গোটা ভারতবর্ষের বিভিন্ন মন্দিরে এবং সনাতনী উপাসনালয়ে আলোচিত মহারাজদের উক্তিতে ধর্মপ্রাণ ভক্তবৃন্দ সেই অমিয় সুধা আস্বাদনে নিজেদের তৃষিত আত্মা জলপল্লবে পল্লবিত করছে । অথচ শ্রী কৃষ্ণের অমোঘবাণী " সর্ব ধর্মমং পরিত্যাজ্যং ,মা মেকং স্বরেনং ব্রজ" !

অতএব, নরোত্তম শ্রীকৃষ্ণের এই অমিয় আহবান কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে ? মহারাজদের অমিয় বাণী নরোত্তমের সেই অমোঘ বাণীকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে কি ভূমিকা রাখছে ? অথবা আদৌ সেই অমিয় আহবান চিরন্তন আহবানে রূপায়িত হচ্ছে কিনা এক্ষণে তাও বড় বিবেচ্য ! প্রেক্ষাপট এবং কলেবর দীর্ঘ সূত্রিতা অবতারণার কোনই অভিলাষ আমার নেই । নরোত্তম শ্রীকৃষ্ণের চারিত্রিক নেতিবাচক দিকসমূহ অনুররণ পর্যালোচনা এবং সংকীর্তন , নৌকাবিলাস, বস্ত্রহরণসহ নানাবিধ রসালো উপস্থাপন ব্যত্যিরেকে চিরন্তন আহবানের উপাখ্যানটি কেন জানি অজ্ঞাত কারণেই পরিত্যজ্যই রয়ে গেল ! সে বানী চিরন্তনীর বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক শিক্ষাসমূহ থেকে আজ সমাজবাসীরা যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছেন । অথচ প্রায় ৩ হাজার বছর আগে ঐশী গ্রন্থ বেদ ( অপৌরশীয় ) ভারতবর্ষে ধর্ম গ্রন্থ হিসেবে কার্যকরী ছিল । কিন্তু পর্যায়ক্রমে বৈদিক সে অগ্নিগর্ভ শিক্ষা থেকে সুকৌশলে প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাদী সমাজ ব্যবস্থা কবে কখন যে সাধারণ ধর্ম বিশ্বাসীদের অনেক অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে তা সত্যিই বিবেচ্য । পরন্ত মনুসংহিতাসহ বিভিন্ন উপনিষদের মাধ্যমে সাধারণের মাঝে বৈদিক শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে । সে ক্ষেত্রে অযাচিত এই নীতি নিন্ম বর্ণ কর্তৃক অতিক্রান্ত হলে মহাশাস্তির নানাবিধ বিধি বিধান প্রচ্ছন্ন এক অঙ্গুলি হেলনে রচিত হয়েছে । সুধীজনরা এর সদুত্তর প্রণয়নে আজ ও অপারগ । উল্লেখ করা আবশ্যক, হযরত মুহাম্মাদ (সাHappy এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ১৪ শ বছর পূর্বে । অথচ শ্রী কৃষ্ণের অমিয়বাণীর মাধ্যমে জগতবাসীকে তার ও প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে অবগত করে গেছেন , নরোত্তম শ্রীকৃষ্ণ যে কাজ এবং কর্ম পদ্বতি বাস্তবায়নে এ ধরাধমে আবির্ভূত হয়েছিলেন সেই একই উদ্দেশ্য নিয়ে নরোত্তম শিরোমণি আবির্ভূত হবেন মরুস্থলে যার নামের আদ্যাক্ষর "ম" এবং অন্তে "দ" ও বৃসনাং ভক্ষায়িত সদা ।

পরম স্রষ্টা নরোত্তমের ধরাধমে আবির্ভাব ও নরোত্তম শিরোমণি আবির্ভাবের বিষয়টাকে পরিষ্কার করতে ভবিষতে আগমনী বার্তা অথর্ব বেদে সন্নিবেসিত হয়েছে । সংিক্ষপ্তাকারে অথর্ব বেদের অংশবিশেষ

" লা ইলাহা হরতি পাপং (গুনাহ মোচন করেন যিনি),

ইল্ল ইলাহা পরম পুদম (সেজদা পাওয়ার যোগ্য তিনিই একমাত্র ),

জন্ম বৈকুণ্ঠে অপইনতি ( পরজন্মে স্বর্গে যাওয়ার যদি স্বাদ জাগে),

ত: জপি নাম মুহাম্মাদম ( মুহাম্মাদের পথই দিশারী )

[ অথর্ব বেদ ]

প্রিয় সুধী পাঠকবৃন্দ , নরোত্তম এবং নরোত্তম শিরোমণির আহবানের মাঝে কোন রেখাপাত কিংবা প্রভেদ খোঁজে পাওয়া আসলেই দুস্কর । অতএব সময় এসেছে শ্বাসত বাণী চিরন্তনীর সেই অমিয়ও আহবানে সাড়া দিয়ে স্বর্গীয় অমৃত সুধা পানে আমরা প্রবৃত্ত হই । পরম স্রষ্টা আমাদের সকলের প্রতি দয়ার্দ্র হোন ।

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File