১৮ ঘণ্টার রামাদান ; কার ভয়ে ?
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ১১ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৩১:৫১ রাত
ওয়াহিদুজ্জামান :
খাদ্য সামগ্রীর কমতি নেই কিন্তু খাচ্ছি না ! পিপাসায় মুখের থুথু বন্ধ হয়ে কণ্ঠস্বরে অস্বাভাবিকতা চলে আসছে কিন্তু পানি পান করছিনা, এমনকি গড়গড়া করে কুলি পর্যন্ত করছিনা ! কেন এবং কার ভয়ে ? সেই ভোর ৪ টা ১ মিনিট থেকে রাত ৯ টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত । এ সময়ের ১ সেকেন্ডের ভগ্নাংশের আগেও নয় বরং আরও ২ কিংবা ৩ মিনিট অপেক্ষা করতেও ক্লান্তি নেই ! অথচ এ কাজ যথাযথভাবে শেষ করতে আমার পেছনে কোনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা গোয়েন্দা নিয়োগ করা হয়নি । নিজ থেকেই তা পালন করে যাচ্ছি ।
গতকাল বুধবার অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্স এ অতিবাহিত হয়ে গেল প্রায় ১৮ ঘণ্টার প্রথম রামাদান । সাহরির শেষ সময় ছিল ৪ টা ১ এবং ইফতার ছিল রাত ৯ টা ৫৩ মিনিটে । জীবন থেকে আরেকটি রহমতপূর্ণ দিন শেষ হয়ে গেল । বয়স বাড়ছেনা ; ক্রমেই চূড়ান্ত মঞ্জিলের পথে অর্থাৎ শেষ সীমায় বা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছছে । প্রত্যেক রামাদান পালনকারীই ক্ষুধা,তৃষ্ণাসহ বেঁচে থাকার জন্য নানাবিধ প্রয়োজন অনুভব করি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এবং শেষ বিচারকের ভয়ে তা হতে বিরত থাকি। এই প্রায় ১৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা সত্ত্বেও এমন কোন ও জায়গা কি খোঁজে পাইনি ; যেখানে প্রভু আমার কৃতকর্ম দেখবেনা ? না, তেমনটি পাইনি বলেই তা পালন করেছি । কিন্তু সেই আমিই আবার এ অবস্থায় থেকেও বিভিন্ন প্রকার অসৎ কর্ম করে যাচ্ছি । তাহলে কি এ ক্ষেত্রে আমার সেই একই প্রভু কাজ করছেনা ? তিনি কি দেখছেন না ? নিশ্চয়ই তিনি দেখছেন । আমার রামাদান পালনের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণ করছি । অথচ চিন্তা করছিনা !
অতএব, সকল কৃতকর্মের দান- প্রতিদান,বিচার -ফয়সালা,হার -জিত, স্বর্গ -নরক , জান্নাত -জাহান্নাম অবশ্যই আছে । তাই সাবধান হয়ে যাই , বিবেকের বিরুদ্ধে এবং জ্ঞাতসারে আমাদের দ্বারা যেন কোন প্রকার খারাপ কাজ না হয় । শয়তানের ধোঁকায় না পড়ে রামাদানের ন্যায় এ অবস্থা যেন আমাদের সবসময় এবং জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে । সৃষ্টিকর্তা আমাদের সে ক্ষমতা ও তৌফিক দান করুক । আমীন ।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন