স্মৃতিচারণ নয় ; নিষ্ঠুর বাস্তবতা !

লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ০৪ জুলাই, ২০১৩, ০৫:২০:৫০ সকাল

স্মৃতিচারণ নয় ; নিষ্ঠুর বাস্তবতা !

ওয়াহিদুজ্জামানঃ

বাস্তবতা যে কত নির্মম , মৃত ব্যক্তি যদি দেখতে পেতেন এবং তা কয়েক মিনিটের জন্য প্রকাশের সুযোগ পেতেন, তাহলে দুনিয়াবাসীকে সে কি যে বলতেন তা আন্দাজ করে নিতে হবে বর্তমান বাস্তবতা দেখে । দুনিয়ায় রেখে যাওয়া তার অর্জিত সমস্ত সম্পত্তি যা কিনা কয়েক প্রজন্ম পরিমিত জীবন ধারণে কেটে যাবে । অথচ সেই ব্যক্তি অর্থাৎ মৃতের জন্য তার পরিবার দাফন-কাফন বা শেষকৃেত্যর জন্য হিসাব করে খরচ করছে ! কারণ দাফন - কাফন বা শেষকৃেত্যর ও বিভিন্ন স্তর রয়েছে। কবরের জায়গার জন্য রয়েছে দামি - কমদামী , কমমেয়াদী - দীর্ঘ মেয়াদী সর্বোপরি সব কিছুতেই সর্বোচ্চ এবং সর্বনিন্ম ! মৃত ব্যক্তি কিন্তু আর কোনোদিন তাদের মাঝে ফিরে আসবেনা। তাদের কাছে কোন দাবি বা চাহিদার কথা বলবেনা । সকলের ক্ষেত্রেই এ রকম এবং প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যু বরণ করতে হবে । কিন্তু তা আমরা সবাই ভুলে আছি । এতো মৃত্যু আমাদের সামনে ঘটে যাচ্ছে তারপর ও মনে দাগ কাটেনা ! কিন্তু যখন ঘনিষ্ঠ কেউ ইন্তেকাল করেন তখন ক্ষণিকের জন্য থমকে দাঁড়াই ! কিন্তু আমার দুনিয়াদারীর ব্যাঘাত ঘটিয়ে নয় ! সব কিছুই অব্যাহত থাকে ! এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে আপনজন, পরিবার, বন্ধু- বান্ধব , ব্যবসায়ী সহযোগীসহ সকলেই ! এমনকি, দেখেছি মায়ের মৃত্যুর জন্য ছেলে তার পরীক্ষা দেয়া বন্ধ করেনি,লাশকে সামনে রেখে বিদেশ যাত্রা বাদ দেয়নি, চাকরির সাক্ষাৎকারে ব্যত্যয় ঘটায়নি ! নিজের জাগতিক সবই অব্যাহত ছিল ! এমনকি মৃত্যু ব্যক্তির গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করলেও তারপূর্বে বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গাতে ভুল করেনি দুনিয়ার ব্যবসায়িক স্বার্থে ! অথচ এদের জন্য সে কি না করেছে !?

আমাদের দেশের প্রেক্ষিত একটু ভিন্ন । এ বর্ণনাটা ফ্রান্সে বাংলাদেশীদের কাছে সবচেয়ে সহজ সরল, সদা হাস্যজ্জল, অমায়িক, নিরহঙ্কার অতি সাধারণ জীবন যাপনকারী অথচ ফ্রান্সে বাংলাদেশীদের প্রথম দিকের এবং বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠান মুদি দোকান 'যমুনা ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি'সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী । অন্য দিকে ধর্মকে নিয়ে যার নিরন্তর প্রচেষ্টা। যার ফলে বাংলাদেশীদের গড়া ফ্রান্সে সবচেয়ে বড় মাসজিদ প্রতিষ্ঠিত এবং তিনি ছিলেন ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ ফ্রান্স'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি হলেন শফিউল্লাহ মোহাম্মাদ। যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমার এ লেখা । সে আমার কোন আত্মীয় নন। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু নিজের অজান্তেই এতো গভীরের আত্মার আত্মীয় হয়ে উঠেছিলেন; আজ তা যেনো শতভাগ অনুভব করছি । দেখা হলেই সে বুকে জড়িয়ে ধরতেন,কপালে চুমু খেতেন ! আমি ভাবতাম এটা শুধু আমাকেই করে কিন্তু তা মিথ্যা প্রমাণিত হল ! তার জানাজায় উপস্থিতির জনস্রোত ও অনেকের স্মৃতিচারণ শোনে ।

জীবদ্দশায় তিনি যা দেখে যেতে পারেননি; কত মানুষের হৃদ মাজারে তার অবস্থিতি ছিল। অথচ বাস্তবতা হল দুই যুগ ঊর্ধ্ব এই শহরে তিনি পদার্পণ করেছিলেন একাকী, চিনতেন না, জানতেন না কাউকে। এ ক্ষণিক সময়ে একক প্রচেষ্টায় এবং উদ্দীপনায় পৌঁছেছেন অসংখ্য মানুষের হৃদ মাজারে। তার জানাজায় বিশাল উপস্থিতিদের মধ্যে এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল যার মাথায় তার পরশ লাগেনি ! প্রবাসে স্বদেশীদের নিয়ে নানাবিধ কল্যাণমূলক চিন্তার সেবাদাস ছিলেন তিনি । তাঁরই অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং তাঁর ভক্তবৃন্দের উদ্দীপনায় স্বার্থক করে গেছেন দেশীয় কমিউনীটির অনেক চাওয়া পাওয়া । কিন্তু কখনো নেতৃত্ব দানের বা থাকার ইচ্ছা পোষণ করেননি । জীবিত অবস্থায় তিনি পরিচিত ছিলেন সত্য কিন্তু তার অবর্তমানে উপস্থিত জানাজায় প্রবাসীদের জনস্রোত প্রমাণ করে দিয়েছে আসলেই তিনি ছিলেন আমাদের জানার চাইতে অনেক অনেক বেশী জনপ্রিয় । চিরদিন এভাবে থাকবেন সকলের মণি কোঠরে । একেই বলে প্রাপ্তি । কবিদের অনেক উক্তি আছে, তন্মধ্যে যেটা উল্লেখ না করলেই নয় তা হল :

"এমন জীবন তুমি কর হে গঠন

মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন ।"

আমার মনে হয় আসলেই তিনি তা পেরেছেন ।

হাসপাতালে তার মুখায়ব দেখে আমার বিশ্বাস হয়নি এ দেহে প্রাণ নেই ! মনে হয়েছে প্রশান্ত চিত্তে শুয়ে সুখের কোন স্বপ্ন দেখে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়তে চাচ্ছেন কিন্তু তার বিস্ফোরণ হচ্ছে না! অথচ মনে হয়েছে তা যেনো এখনই উদ্ভাসিত হয়ে ছড়িয়ে পড়বে ! আলোকিত করবে তার আঙ্গিনা ! তার সঙ্গী- সাথী, ব্যবসায়ী সহযোগী, ফোরামের ব্যক্তিবর্গদের। তাকে নিয়ে বাংলাদেশীদের স্মৃতিচারণ বলে শেষ করা যাবেনা । দীর্ঘদিন তার কাছে থাকা ও ফোরামের এক দায়িত্বশীল খান জামানের কথাই বলছি। তিনি বলেন, 'ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ, ফ্রান্স'র প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি কিন্তু তাকে ফোরামের জন্য একজন সাধারণ সমর্থক হয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। দ্বিধাহীন চিত্তে এবং প্রফুল্ল মনে তা ই করেছে । এরপর পর্যায়ক্রমে আবার তাকে বিভিন্ন পদে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু সকল অবস্থাতেই তিনি দ্বীনের স্বার্থে নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন । কখনো মন খারাপ করেননি । তার কাছে গেলে যেন সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যেত । মনে প্রশান্তি ফিরে আসতো । তার দেশের বাড়ী ছিল চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার কাকরতলা গ্রামে।তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে স্বপরিবারে ফ্রান্সে বসবাস করে আসছিলেন । গত শুক্রবার ২৮ জুন ২০১৩ হার্ট এ্যাটাকের শিকার হয়ে প্যারিসের কোশা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃতুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী,দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। মরহুমের জানাযায় দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ অংশ গ্রহণ করেন । এটা ছিল ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কোন বাংলাদেশীর স্মরনকালের বৃহত্তম জানাযা । এরমাঝেও অপরদিকে আবার দুনিয়ার স্বার্থে এ জানাজায় আরো অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অংশ গ্রহণ করতে পারেননি । এমনকি তার অনেক প্রিয়ভাজন সেদিন কর্মস্থল থেকে ছুটি নিতে পারেননি বা নেননি এবং শেষ দেখা ও দেখতে পারেননি । আবার অনেকে বিভিন্ন প্রোটোকল মেইনটেইন করে মান অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য এসেছেন । ব্যবসায়ী তার বিকল্প রেখে এসেছেন , চাকরিজীবী ভিন্ন ব্যবস্থা করেছেন, অনেকে আবার পরিপাটি ভেশভূষায় এসেছেন । এ সুযোগে বহুদিন পর অনেকের সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে । আমার খুব কাছের অনেকের ক্ষেত্রে ও তাই ঘটেছে ! স্বাভাবিকভাবেই তারা বলেছে কেমন আছো বা আছেন? নানা কুশল বিনিময় ! সে এক অবিশ্বাস্য অদ্ভুদ কাণ্ড !

এরপর মৃতের কবরস্থ করতে তার নিকটতমদের জন্য কয়েকটি মাইক্রোবাস ছাড়াও দুটি বড় বাস ভাড়া করা হয়। শেষ যাত্রীর সঙ্গী হিসেবে সেখানেও দেখেছি গল্প গুজবের বাহার ! ও আমার সৃষ্টিকর্তা !!! এ দেখে আমি এসএমএস করে গাড়ীতে থাকা এক বড় ভাইকে তা বন্ধ করতে অনুরুধ করলাম । কিন্তু সে এসএমএসটি লক্ষ্য করেনি । এরপর এ দু'দিনের মধ্যে এই প্রথম আমি আমার মোবাইল থেকে নিজে কল করে তাকে বললাম, এটা পিকনিকের উদ্দেশ্যে যাওয়া কোন বাস নয় ! একটু আল্লাহ্‌ বিল্লাহ করতে; না হয় অন্তত চুপ করে থাকুন দয়া করে । সে তা করেছে এবং কিছুটা ফল দিয়েছে । আবার বাসে করে ফেরার পথে একই চিত্র ! এ সময় মৃত্যুর কারণ নিয়ে ভাল মন্দ আলোচনা ও করেছে অনেকে ! এমনকি এটাও দেখেছি এ কয়েক ঘণ্টার জন্য ধূমপানের নেশাটাও অনেকে বর্জন করতে পারেননি ! সর্বশেষ সেন্টারে ফিরে খাওয়া নিয়ে দেখেছি তুলকালাম কাণ্ড ! এরপর কেটে যাওয়া দু' একদিনের কথা না ই বললাম ।

বাস্তবতাকে আগে এভাবে দেখিনি । তার একান্ত প্রিয়জনরাও আরো কয়েকদিন পরে ভুলে যাবে হয়তো ! ব্যস্ত হয়ে পড়বে দুনিয়া নিয়ে । কি বিচিত্র এই প্রাণী !!!

একই সময়ে আমাদের পাশে ভিনদেশী আরেকজন মুসলমানকে কবরস্থ করতে দেখেছি । তার জন্য এসেছে কয়েকজন মহিলা সদস্য । উল্লেখ্য, ফ্রান্সে কবরস্থানের দায়িত্ব প্রাপ্তরাই মূল কাজ সম্পন্ন করেন । কিন্তু তার কি আর কোন বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন কেউ ছিলনা !

আমি ফরাসীদের শেষকৃত্য ও দেখেছি । কয়েকজন সদস্য আসেন সেজেগুজে এবং কয়েক মিনিটের মায়া কান্নার অভিনয় করে তা শেষ করেন ।

একবার ভাবুন, দুনিয়ার কি প্রভাব ! কি ক্ষমতা ! আপনার বেলায় ও এর বিপরীত ঘটবেনা ! অতএব সাবধান, যার যার জবাবদিহিতা তাকেই দিতে হবে। কোরানের ভাষায় : “আপন কর্মের রেকর্ড পড়, আজ তোমার নিজের হিসাব করার জন্য তুমিই যথেষ্ট “ (সূরা বনী ইসরাইল ১৪ )। সেদিন পৃথিবীর সবচেয়ে আপন, গর্ভধারিণী প্রিয় মা ও ইয়া নাফসি, অর্থাৎ নিজের চিন্তায় অস্থির থাকবেন । দুনিয়ায়ই এ যেন কিয়ামতের কিছু খণ্ড চিত্র !

এ অবস্থা দেখে মৃত ব্যক্তির যদি ফিরে আসার সুযোগ থাকত, তাহলে হয়তো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পোস্ট মাস্টারের সেই উক্তিটিই করতেন, “ফিরে গিয়ে কি লাভ, পৃথিবীতে কে কার ?

দয়া করে আপনারা আমাকে এবং মৃতদের মাফ করে দিবেন, আমার সকল অপরাধের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ।

আমি কোন ধর্ম বিশেষজ্ঞ নই । কিন্তু আপনারাও একটু চিন্তা করুন । আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হন । আমার প্রশ্ন, চূড়ান্ত বা শেষ এবং সঠিক বিচার তাহলে কোথায় হবে ? আপনার যে অপরাধের বিচার হয়নি বা করেনি অথবা কেউ জানেনা কিংবা হয়েছে কিন্তু সুবিচার হয়নি এর কি হবে ? তাহলে এ শক্তি প্রদর্শনের প্রায়শচিত্ত কই ? যদি না হয় তাহলে আমরা যারা নির্যাতিত তারা কি কোন সুবিচার পাবনা ? অত্যাচারীদের কি কোন বিচার হবেনা ? আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে অবশ্যই হবে । না হলে এতো ধৈর্য সহ্যের উপমা আসে কেন ? সেই হওয়ার উপর নির্ভর করে মানুষের জীবন যাপন । কোরআনের ভাষায় : "আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব,তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে " (সূরা ইয়াসিন ৬৫)

আর শেষ বিচারের ভয় ছাড়া দুনিয়ার মানুষকে ভালপথে আনার দ্বিতীয় কোন রাস্তা নেই ।

অতএব নিজেকে নিয়ে চিন্তা করুন। যার যার পরীক্ষা তাকেই দিতে হবে। পারলে নীরবে শেষ রাতে চূড়ান্ত বিচারকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। দুনিয়ার নাটক , সামাজিক, বৈষিয়ক, ব্যক্তিগত ভাবাবেগের অভিনয় ছেড়ে দিন । আর আমার জানা মতে,বান্দার সঙ্গে কৃত অপরাধের ক্ষমার ইখতিয়ার শেষ বিচারক রাখেননি । এ ক্ষমা ঐ ব্যক্তির কাছ থেকেই নিতে হবে।

আর ইন্তেকালে মৃত ব্যক্তির জন্য শিক্ষা নয়; জীবিতদের জন্য মহা শিক্ষা। যদি চিন্তা এবং অনুভব করেন।

সুতরাং বিদ্বানের সনদ বর্তমান অথচ মোহের মধ্যে ডুবে আছি । আমরা যে উদ্দেশ্য এবং দায়িত্ব নিয়ে দুনিয়ায় এসেছিলাম তার কতটুকু পূর্ণ করেছি ? তাই সর্বোপরি মনে রাখতে হবে, মৃত্যু গুছিয়ে আসেনা ।পৃথিবীর যেখানেই আছি সেখানেই আমাদের মৃত্যুর জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে এবং সর্বাবস্থায় ।আর মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে তার কবরস্থানে যেতে হবেনা । কবরস্থানে যাওয়ার একটি বিশেষ উপকার হল নিজের মৃত্যুকে আরো বেশী স্মরণে আনা । তাই যে কোথাও থেকে সর্বাবস্থায় মৃত ব্যক্তিদের এবং নিজের মাগফিরতের জন্য দোয়া করুন ।

বি :দ্র : এ লেখাটা মৃত ব্যক্তির ৬ দিন পর লেখা । তাই প্রথম দিনের সে ভাব, আবেগ,চিত্র আমার থেকেও অনেকটা বিচ্যুতি ঘটেছে ।



বিষয়: বিবিধ

২৫১২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380877
২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:২৬
তরবারী লিখেছেন : মৃত্যু !!! শুধু আনুষ্ঠানিকতার বস্তু হয়ে গেছে --- সেতুটির দিকে তাকানোর ফুঁসরৎ নেই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File