ভদ্রমহিলা

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৯:৪৭:৩৯ সকাল

ভদ্রমহিলা 

‘ভদ্রমহিলা’ শব্দটির উদ্ভব উনিশ শতকে। যখন প্রতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার সুযোগ পেয়ে শিক্ষিতা হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গের নারীরা। এই শিক্ষা নারীকে অপেক্ষাকৃত জানাশোনা, বহির্মুখী, সুচারু, তীক্ষ্ণতর, সচেতন, সবমিলিয়ে আলোকিত নারীতে পরিণত হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছিল। যদিও তা নারীকে মুক্ত বা স্বাধীন করার ক্ষেত্রে রাখেনি মৌলিক কোনো ভূমিকা। নারী-শিক্ষাব্রতী পুরুষরাও চাননি তেমন। তারা চেয়েছিলেন মেয়েরা লেখাপড়া শিখে, পাশ করে আরও উন্নত নারী হয়ে উঠবে, পরিশীলিত হয়ে উঠবে নারীর চিরায়ত ভূমিকার ঘেরে আবদ্ধ থেকেই। তারা হবে রুচিবতী প্রাত্যহিক জীবনযাপনে, শিখবে সন্তান লালনপালনের আধুনিক প্রক্রিয়া, সপ্রতিভ হবে প্রমোদে, মার্জিত হবে বেশ ও ভাষে, প্রয়োজনে চাকরিও করবে। কিন্তু লিঙ্গপার্থক্য ভুলে স্বাধীনতা-স্বায়ত্তশাসন ভোগ করার কথা বলবে না। এই প্রেক্ষাপটে উনিশ শতকীয় শিক্ষা নারীকে অভিনব, আধুনিক নারীতে পরিণত করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তা অস্বীকার করার হেতু নেই। 

কোলকাতায় ১৮৪৯ সালে বেথুন স্কুল স্থাপন, তারপর ভিক্টোরিয়া গার্লস স্কুল, পরে বালিকা বিদ্যালয় নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে পালন করে অগ্রণী ভূমিকা। প্রথম দিকে শিক্ষিত মহিলা বলতে যাদের বুঝায় তারা সকলেই ছিলেন এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী। শতকের শেষার্ধে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে বিয়ে করার জন্য শিক্ষিতা মেয়ের চাহিদা বেড়ে যায়। কেননা, যাপিতজীবনে তারা পূর্বতন নারীদের অপেক্ষা ছিলেন সবদিক থেকে অগ্রসর।

*এ প্রসঙ্গে ১৮৭৫ সালে জ্ঞানাঙ্কুর পত্রিকা লিখেছিল, ‘এক্ষণকার যুবকেরা শিক্ষিত স্ত্রী চাহেন। কেনই বা না চাহিবেন? যুবকদের লেখাপড়া শিখাইলে স্ত্রীদিগকে অবশ্যই লেখাপড়া শিখাইতে হইবে। পড়াশোনা জানা নারীদের চেনা যেতো সহজেই। তাদের আচার-আচরণ-বেশ-বাসে স্বভাবতই ধরা পড়তে স্বাতন্ত্র। এই স্বাতন্ত্রকে চিহ্নিত করতে একটি লাগসই শব্দ আবিষ্কৃত হয়েছিল সেকালেই ‘ভদ্রমহিলা।

**ড. হুমায়ুন আজাদের ভাষায় : 

উনিশ শতকে উৎপন্ন হয় এক নতুন জাতের নারী, যার সঙ্গে মিল নেই তার পূর্বপ্রজাতির। সে প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় তারা,তার নাম শিক্ষা। শিক্ষার ফলে উৎপন্ন অভিনব নারীদের বোঝানোর জন্য দরকার পড়ে অভিনব শব্দ। তাদের জন্য ইংরেজির অনুসরণে তৈরি করা হয় এক অভিনব শব্দ : ভদ্রমহিলা।...দ্রমহিলারা সমগ্র বাঙালি নারীসমাজের একটি ছোটো সুবিধাভোগী অংশ, তারাও ছিল তেমনই। সমাজে তারা দেখা দিয়েছিল নতুন প্রপঞ্চরূপে, সমাজ তাদের চেয়েছে এবং চায় নি। এ-ভদ্রমহিলারা হয়ে আছে বাঙালি নারী সমাজের এক বিচ্ছিন্ন অংশ, পুরুষতন্ত্রের স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন। ওই নারীরা ছিল শিক্ষা নামের অভিনব প্রক্রিয়ায় অভিনব উৎপাদন।( নারী, হুমায়ুন আজাদ, নদী, প্রথম সংস্করণ ঢাকা, ১৯৯৬, পৃ: ২৬২) 

ভদ্রমহিলা আর শ্রমিক ও সাধারণ নারীতে একটি দৃশ্যগোচর পার্থক্য সূচিত হয়েছিল উনিশ শতকেই। যার ধারাবাহিকতা বিবর্তিত রূপে বজায় ছিল গোটা বিশ শতকব্যাপী। উনিশ শতকে এবং বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত শিক্ষিতা তথা ভদ্রমহিলারা কয়েকটি বিষয় প্রায় স্থির করে ফেলেছিলেন। যেমন, ভদ্রমহিলার নিজগুণে ভালো বর বা ভদ্রলোক বর লাভ করবে; তারা কিছু নারীসুলভ পেশায় অর্জন করবে বুৎপত্তি যা সাধারণ নারীরা পারে না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষকতা ও চিকিৎসাবিদ্যা বা ধাত্রীবিদ্যা। তবে শিক্ষিতা তথা ভদ্রমহিলা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মুসলমান সমাজ পিছিয়েছিল বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্তও। উগ্র পিতৃতান্ত্রিকতার প্ররোচনায় তারা মেয়েদের আধুনিক শিক্ষা বা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ছিল চরম দ্বিধাগ্রস্ত। বলা দরকার,উচ্চবিত্ত,ভূস্বামী, সামন্ত রাজা-জমিদার এবং কুলীনসমাজের মেয়েরা এমনিতেই ছিলেন ভদ্রমহিলা। শিক্ষা তাদের বাস্তবিক অর্থেই পরিণত করেছিল প্রায় সমাজ-বিচ্ছিন্ন নারীসম্প্রদায়ে। অন্যদিকে ভদ্রমহিলা সৃজনের জন্য বেশি তৎপর ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণী। যাদের উদ্ভব ঘটেছিল উনিশ শতকেই, নারীশিক্ষার গোড়া থেকেই বলা যায়।

১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা, রাজনীতিতে মেয়েদের সক্রিয়তা ইত্যাদিও মধ্যবিত্তকে শ্রেণী হিসেবে দিয়েছিল একটি চাক্ষুস ছাঁচ।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান মধ্যবিত্তকে বিকশিত বলয়ে পৌছে দেয় উভয় বাংলায়, পশ্চিম বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানে। 

ক্রমশ সাধারণ মানুষ বিশেষত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়, যারা ছিলেন সমাজের প্রত্যক্ষ চালক তারা দ্রমহিলা বলতে শিক্ষিতা, পরিচ্ছন্ন, বেশ ও ভাষায় মার্জিত, পদস্থ চাকরিজীবী, রাজনীতিক, বিভিন্ন পেশাজীবী, অবস্থাপন্ন, নগরজীবনের সংস্কৃতিতে অভ্যস্থ ইত্যাদি শ্রেণীর মহিলাদের ভদ্রমহিলা হিসেবে জ্ঞান করতেন। সেভাবেই মর্যাদা দেওয়া হতো তাদের। শতকের শেষার্ধে শিল্পী, মডেল, অভিনেত্রী, ক্রীড়াবিদ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, পাশ্চাত্য পোশাকে সাবলীল,ইংরেজিতে কথা বলায় পারদর্শী মহিলাদের পরিচয় দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভদ্রমহিলা শব্দটি ব্যবহার করতেন। ফলে ভেতরে ভেতরে বিশেষত মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে শ্রমিক-গেরস্থ নারী এবং ভদ্রমহিলা বহন করতেন আলাদা তাৎপর্য, মর্যাদাও। বিশ শতক জুড়ে এই প্রবণতা বজায় ছিল মূল্যবোধের বহুমুখী ভাঙনের ভেতর দিয়েও ।

মধ্যবিত্ত শ্রেণী যারা ভদ্রমহিলা শব্দটির প্রতি দুর্বল তাদের মধ্যে তারা গুণগত দিক থেকে প্রধানত দুভাবে আত্মপ্রকাশ করে শতকের সত্তর দশক থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত। এক শ্রেণী অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর, বাড়তি খরচ করায় সমর্থ এবং পারিবারিকভাবে প্রতিপত্তিশালী তথাকথিত অভিজাত পরিবারের কম ও উচ্চশিক্ষিত মহিলা। এরা নিজস্ব গাড়িতে চড়েন, বাসায় ভিনদেশী কুকুর ও দুয়ারে দারোয়ান রাখেন, কদাচিৎ সুইমিংপুলে সাঁতার কাটেন, প্রসাধনী কিনেন বিদেশ থেকে, মাঝেসাঝে বিদেশেও যান। যারা এতটা সুবিধা ভোগ করেন না তারা বরাবরই নিজেদের অভাব আড়াল করতে চান রাজনীতি-শিল্পসংস্কৃতি ইত্যাদির সুদৃশ্য মোড়কে। লাভের সম্ভাবনায় এরা এগোয়, ঝাপিয়ে পড়ে ক্ষেত্রবিশেষে। জীবনের ব্যাপ্তির মতোই তাদের উচ্চাকাঙ্খ বিপুল। অর্থনৈতিকভাবে শ্রেণীবদলের জন্য প্রায়শই তারা ক্লান্ত। ধারণা তাদের, স্থির বিশ্বাস নিয়ে পড়ে থাকা মানে পচে মরা । এই শ্রেণীতে আত্মপ্রতারণা, আত্মপ্রচারণা দুইই তীব্র। এরা সাধারণত কায়িক শ্রমকে অবহেলা করে অনেকটা পুজি বুর্জোয়া কায়দায়। এদের টান কম সমাজবদ্ধ জীবনের প্রতি আকর্ষণ কম দায়গ্রহণ এবং সঠিক মানবিক মূল্যায়নের ব্যাপারেও অধীনস্ত, অনুগৃহীত, বাড়ির কাজের লোক এবং শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে যাবতীয় আদান প্রদানে এরা প্রায়শই রক্ষা করে চলতেন নিজেদের শ্ৰেণীমর্যাদা। বহু ক্ষেত্রে স্বামী বা পিতার কিংবা পুত্র-কন্যাদের বংশকৌলীন্য, প্রাচুর্য এবং সামাজিক অবস্থান প্ররোচিত করতো তাদের। সাধারণ মানুষ এদের পরিচয় দিতেন ভদ্রমহিলা বলে। 

এই শ্রেণীর দ্রমহিলাদের ‘হাইসোসাইটি” শব্দটি ছিল জনপ্রিয়, সেখানে পাশ্চাত্যবোধের সংস্কৃতির চলতো অন্ধ অনুকরণ এবং আভিজাত্যের অন্ধ অন্বেষণে দেখা যেতো হৃদয়-মন প্রায় অনুপস্থিত। ইমেজ'-এর মোহ ছিল আরেক বাতিক, এটি আয়ত্ত করতে অনেকের লালসা বেড়ে যেতো জিরাফের গ্রীবার মতো। নাগরিক মধ্যবিত্তের মধ্যে স্ট্যাটাস সিম্বল হস্তগত করা ছিল আরেক নেশা। স্ট্যাটাস বাড়ানোর উপরিকাঠামোগত অনুশীলন হিসেবে তাদের মধ্যে বেড়ে গিয়েছিল প্রদর্শনবাতিকতা এবং না বুঝে নারীস্বাধীনতার সপক্ষে বিশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করা। অন্তঃসারশূন্যতায় এরা বিচলিত হতেন না। বিচলিত হতেন বহিরাঙ্গের পরিপাট্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হলে। 

মধ্যবিত্তের শহুরে শিক্ষিতাদের অন্য একটি অংশ ছিল সত্যিকার অর্থেই আত্মসচেতন। এদের উত্থান ঘটেছিল সম্ভবত রাজনৈতিক স্বাধীকার আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে। এই শ্রেণী বুদ্ধিবৃত্তিতে সৃজনশীল, স্পর্শকাতরও বটে। বিশ শতকের শেষ দশকগুলিতে উভয় বাংলায় এই শ্রেণী একটি ক্রমবর্ধমান সামাজিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরা স্বভাবতই ছিলেন নারীঅধিকার সম্পর্কে কমবেশি সচেতন ও সক্রিয় এবং সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক বা কর্মী। উদ্ভাবন, আবিষ্কার এবং চর্চায় এরা এসেছিলেন অন্যান্য নারীদের অপেক্ষায় বহুগুণ বেশি। রাজনীতি সচেতন এই ভদ্রমহিলা’ বলে পরিচিত অংশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতেন আন্দোলন-মিছিলে । এরা নিজেরা কষ্টকর শ্রমের প্রতি বিমুখ থাকলেও শ্রমিক ও শ্রমজীবনের প্রতি ছিলেন আস্থাশীল। স্বভাবতই বেশভূষায় মার্জিত, উগ্রতাশূন্য নির্মল পারিপাট্য, উচ্চারণ সম্বোধনে সংযত। সর্বোপরি গণতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের অবস্থান সম্পর্কেও তারা আন্দোলিত হতেন। সাধারণ্যে এই শ্রেণীও পরিচিত ছিলেন ‘ভদ্রমহিলা' নামে। 

শতকের শেষ দিকের বাঙালি ভদ্রমহিলা সমাজের সকল শ্রেণীর কাছ থেকে বাড়তি মর্যাদা তথা সুবিধা ভােগ করতেন বৈকি। আশি-নব্বই দশকে যখন শ্রমিক নারীরা বিভিন্ন যানবাহনে ঠাসাঠাসি করে পুরুষের অশালীন স্পর্শ সহ্য করে যাতায়াত করতেন তখন ভদ্রমহিলাদের জন্য পুরুষযাত্রীরা মহিলাদের নির্ধারিত আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য ব্যস্ততা দেখাতেন। পুলিশ থেকে শুরু করে তাবৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও এদের তুলনামূলকভাবে সমীহ করতেন। এদের স্বাধীন চলাফেরা এবং নতুন মাত্রার সংস্কৃতিচর্চার বিরুদ্ধে ধর্মান্ধ মৌলবাদীরাও ততোটা সোচ্চার হতে সাহসী হতেন না, যতোটা হতেন শ্রমিক নারী ও গ্রামীণ শ্রমজীবী নারীদের ক্ষেত্রে। 

শতকের শেষ দুদশকে ‘ভদ্রমহিলাদের মধ্যে আর্ট-কালচার একটি দ্রষ্টব্য বিষয় হয়ে দেখা দেয়। এক অংশ বাঙালি সংস্কৃতির শীলিত উত্থান, অন্য শ্রেণী পশ্চিমা সংস্কৃতির জগাখিচুরি অনুশীলনে প্রায় মরিয়া হয়ে ওঠে। এর প্রধান একটি দিক হচ্ছে, কনজিউমারিজম বা পণ্যসমতা, কেনাকাটা সংস্কৃতি বা শপিং-কালচার। ভদ্রমহিলাদের একটি ছোট অংশ ক্রমপশ্চাদপসরণ শুরু করেছিল ধর্ম-সংস্কৃতির নামে।

আপাদমস্তক বোরখাবৃত, চোখে কালো চশমা; ভদ্রমহিলা হিসেবে তাদের চিহ্নিত করতে আপামর জনশ্রেণীর চোখে ।

হিন্দুদের মধ্যে শিক্ষিতা আশ্রমবাসিনী, পুজো-অর্চনায় নিবেদিতপ্রাণ মহিলারাও ছিলেন এই গোত্রভুক্ত। আপামর বাঙালি নারীর অগ্রসরমানতায় ভদ্রমহিলাদের অবদান তথা ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু নারীর প্রকৃত মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ম্ভরতা এবং সমানাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ধাবিত হওয়ার প্রেরণালাভ ইত্যাদি মৌলিক পদক্ষেপ রচনায় প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় ছিল বস্তুত শ্রমিক নারীসমাজ। যদিও তাদের অধিকাংশই নিজেদের ভূমিকা সম্পর্কে ছিলেন অসচেতন। যাই হােক, বিশ শতকের সমাপ্তিকাল পর্যন্ত এই বিশাল বাঙালি নারীশ্রমিক-বাহিনী ভদ্রমহিলা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। তারা জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে ‘ভদ্রমহিলাদের দ্বারাই হতেন পরিচালিত-নিয়ন্ত্রিত। 

বিষয়: বিবিধ

১০০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File