কলকাতা ও প্রতিষ্ঠার পটভূমিকা
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০১:০৭:৩৭ দুপুর
কলকাতা ও প্রতিষ্ঠার পটভূমিকা
কলকাতা শহরের প্রতিষ্ঠা ও সেই শহরকে কেন্দ্র করে পরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পত্তন, এই দুই ঘটনার মূলে ছিল দুই যুদ্ধ। এই দুই যুদ্ধের মধ্যে, পলাশীর যুদ্ধ সুপরিচিত। অপর যুদ্ধ হচ্ছে হিজলির যুদ্ধ। যাঁরা কলকাতা শহরের প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে লেখাপড়া করেন বা টুকিটাকি লেখেন, তাঁরা কোনদিনই হিজলির যুদ্ধের গুরুত্ব সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করেন নি। অথচ হিজলির যুদ্ধে ইংরেজরা যদি পরাজিত হত, তাহলে ইংরেজদের পক্ষে কলকাতা শহর প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হত না বা তার ৬৭ বছর পরে পলাশীর যুদ্ধও ঘটত না। ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপন করা তো দূরের কথা।
কি ঘটনাচক্রে হিজলির যুদ্ধ হয়েছিল, তা এখানে বলা দরকার। বাণিজ্য করবার উদ্দেশ্যে ইংরেজরা প্রথম বাঙলা দেশে আসে ১৬৪০ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ। দিল্লীর বাদশাহকে উপঢৌকন, আর বাঙলার নববকে ইনাম দিয়ে ইংরেজরা নিজেদের বাণিজ্যের অনেক সুযোগ সুবিধা সংগ্রহ করে। কিন্তু ইনাম পেয়ে পেয়ে বাঙলার নবাবের লোভ ক্রমশ বেড়ে যায়। তার ফলে নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ ঘটে। ইংরেজরা পাটনার কুঠি থেকে জোব চার্ণককে কাশিমবাজারের কুঠিতে ডেকে পাঠায়। ১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ চার্ণকের বিরুদ্ধে দেশীয় ব্যবসাদাররা এক মামলা দায়ের করে। হুগলির কাজি ইংরেজদের বিরুদ্ধে ৪৩,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার রায় দেয়। চাণক এই টাকা দিতে অস্বীকার করে। নবাবের সৈন্য তখন কাশিমবাজার অবরোধ করে। চার্ণক কৌশল অবলম্বন করে, কাশিমবাজার থেকে পালিয়ে একেবারে হুগলিতে এসে হাজির হয়। চার্ণক দেখে, যে ইংরেজদের যদি বাঙলায় কায়েমী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থাপন করতে হয়, তাহলে তাদের মাত্র ব্যবসায়ীর তুলাদণ্ড হাতে নিয়ে থাকলে চলবে না। তাদের অসি ধারণ করতে হবে। চার্ণক বুঝে নেয় যে ক্রমাগত উৎকোচ প্রদান ও তোষামোদ দ্বারা মোগলকে বাধ্য রাখা অসম্ভব। মোগলদের সঙ্গে যুদ্ধ করা ছাড়া আর গত্যন্তর নেই। এই সময় গভর্ণর হেজেসও বিলাতের ডিরেকটরদের কাছে লিখে পাঠান যে মোগলদের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণাই সমীচীন এবং আত্মরক্ষার জন্য স্থানে স্থানে দুর্গ নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন।
শীঘ্রই ইংরেজদের সঙ্গে নবাবের যুদ্ধ লাগে। দুপক্ষেরই সৈন্যসামন্ত ও নৌবহর হুগলিতে এসে হাজির হয়। ইংরেজরা নবাবপক্ষকে পরাজিত করে হুগলি তছনছ করে দেয়। হগলির শাসক আবদুল গনি ছদ্মবেশে জলপথে হুগলি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর ওলন্দাজদের মধ্যস্থতায় গনি ইংরেজদের কাছে এক সন্ধির প্রস্তাব করে পাঠায়। চার্ণকও তাই চাইছিলেন। কেননা, তিনি বুঝে নিয়েছিলেন যে এরকমভাবে ঝগড়া করে, হুগলিতে ইংরেজদের পক্ষে আর বেশীদিন ব্যবসা করা সম্ভবপর হবে না। তিনি ইংরেজদের ব্যবসার সুবিধার জন্য অন্যত্র একটি শক্তিকেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর তারিখে চার্লক বেরিয়ে পড়েন, ইংরেজদের জন্য এক
শক্তিকেন্দ্র স্থাপনের জায়গা খুঁজতে। ভাগীরথী ধরে নেমে এসে তিনি সুতানটি গ্রামে পৌছান। এটাকেই তিনি ইংরেজদের শক্তিকেন্দ্র স্থাপনের উপযুক্ত স্থান বলে মনে করেন। ১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসেই চার্ণক তাঁর প্রতিভু ওয়াটস্ ও বরামলকে (বনমালীকে?) ঢাকায় পাঠিয়ে দেন, নবাব শায়েস্তা খানের কাছে এক আরজি-পত্র পেশ করার জন্য। ওই আরজি-পত্রে বারো দফা প্রার্থনা ছিল। তার মধ্যে দু-দফা ছিল কলকাতায় এক দুর্গ ও একটা টাকশাল নির্মাণ। ১৬৮৭ খ্রীষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারী তারিখে শায়েস্তা খান চার্ণককে জানান যে তিনি তার আরজি অনুমোদন করেছেন ও ওটা বাদশাহের কাছে সই-সাবুদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আসলে শায়েস্তা খান কিছুই করেন নি। তিনি যুদ্ধ করে ইংরেজদের বাঙলা থেকে তাড়িয়ে দেবার মতলব ভাজছিলেন মাত্র। চাণকও বুঝে নিয়েছিলেন যে যুদ্ধ ছাড়া আর কোন দ্বিতীয় পন্থা নেই। ১৬৮৭ খ্রীষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে ইংরেজদের সঙ্গে মোগলদের যুদ্ধ বাধে। যুদ্ধটা প্রথম লাগে বালেশ্বরে এবং পরে হিজলিতে। চাণক বাদশাহী নিমক মহল পুড়িয়ে দেয়, মোগলদের থানা দুর্গ অধিকার করে, এবং হিজলির যুদ্ধ পরিচালনা করবার জন্য সেখানে যায়।
ইতিমধ্যে বালেশ্বর ধ্বংস করে, ইংরেজরা হিজলি দখল করে নিয়েছিল। বাদশাহ ঔরঙ্গজেব তখন হায়দারাবাদের যুদ্ধে লিপ্ত। তাঁর কাছে যখন এসব দুঃসংবাদ গিয়ে পৌছায় তখন তিনি বুঝতেই পারলেন না, হুগলি, বালেশ্বর, হিজলি প্রভৃতি জায়গা কোথায়! একখানা মানচিত্র এনে তাকে জায়গাগুলো দেখানো হল। সেনাপতি মালিক কাসিমকে তিনি আদেশ দিলেন, সৈন্যসামন্ত নিয়ে গিয়ে বেয়াদব বিদেশীদের ভারত থেকে তাড়িয়ে দেবার। এদিকে বাঙলার নবাব শায়েস্তা খানও সেনাপতি আবদাস সামাদের অধীনে হিজলিতে সৈন্যসামন্ত পাঠিয়ে দিলেন। চাণক শীঘ্রই এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলেন। হিজলীর প্রাকৃতিক পরিবেশটা ছিল খুবই খারাপ। কাউকালি নদী, কুঞ্জপুরের খাল ও রসুলপুরের নদী দ্বারা বেষ্টিত হয়ে ভাগীরথীর পশ্চিমতীরস্থ এই জায়গাটা একটা দ্বীপবিশেষ ছিল। দ্বীপটি জলাভূমিতে পরিপূর্ণ ও অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। তারপর সামনেই এসে গেল গ্রীষ্ম। চার্ণকের সঙ্গে যে সাড়ে চারশত সৈন্য ছিল, তারা ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে একে একে মারা যেতে লাগল। সৈন্যসংখ্যা একশতেরও নিচে গিয়ে দাঁড়াল। সঙ্গে ‘বোফক্ট’ ও ‘রচেষ্টার’ নামে যে দুখানা জাহাজ ছিল, তার মধ্যে বোফক্ট এর তলদেশে ছিদ্র দেখা দিল। তার সঙ্গের লোকজন মরতে মরতে এমনভাবে হ্রাস পেল যে জাহাজ চালাবারই লোক রইল না। ঠিক এই বিপর্যয়ের মধ্যেই আবদাস সামাদ বারো হাজার সৈন্য, বহু পরিমাণ গোলা-বারুদ ও কামানসহ রসুলপুর নদীর অপর পারে এসে হাজির হল।
চার্ণক হিজলি দ্বীপের যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল, সেটা পাকাবাড়ি বটে, কিন্তু অত্যন্ত নড়বড়ে। বাড়িটা ছিল একটা আমবাগানের মধ্যে। তার চতুর্দিকে ছিল কাঁচাবাড়ি। সেদিন যদি ভাগ্যদেবী ইংরেজদের প্রতি সুপ্রসন্ন না হতেন, তা হলে আবদাস সামাদের কামানের এক গােলাতেই বাড়িটা ভূমিসাৎ হয়ে যেত, এবং সঙ্গে সঙ্গে ধুলিসাৎ হত ইংরেজদের কলকাতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নবিলাস।
আগে আমি বলে নিতে চাই যে শহর কলকাতার চেয়ে গ্রাম কলকাতা অনেক পুরানো। ষোড়শ শতাব্দীতে গ্রাম কলকাতার উল্লেখ আমরা পাই আকবরের রাজস্বসচিব রাজা তোদরমল কর্তৃক ১৫৮২ খ্রীষ্টাব্দে প্রণীত ‘ওয়াশিল-ই-জমাতুর’ নামক রাজস্ব সংক্রান্ত সমীক্ষায়। আবার ওই ষোড়শ শতাব্দীতে রচিত বাংলা মঙ্গলকাব্যসমূহেও আমরা কলকাতা গ্রামের উল্লেখ পাই।।
১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর তারিখে জোব চার্ণক যখন তাঁর এদেশীয় স্ত্রী ও তার গর্ভজাত তিনকন্যা সমেত সুতানটিতে এসে অবতরণ করেন, তখন সুতানটির সীমারেখা ছিল উত্তরে বাগবাজারের খাল, পূর্বে লবণ হ্রদ, পশ্চিমে ভাগীরথী ও দক্ষিণে পুরানাে টাকশাল বাড়ি পর্যন্ত। আর তার দক্ষিণে ছিল পর পর দু’খানা গ্রাম-কলকাতা ও গোবিন্দপুর। সুতানটিই চার্ণকের কাছে ইংরেজদের আদর্শ বাণিজ্যকেন্দ্র হবার পক্ষে উপযুক্ত স্থান বলে বিবেচিত হয়েছিল। এখানেই চার্ণক বসতি স্থাপন করেছিলেন, এবং কয়েকদিন পরে সপরিবারে বড়দিনের উৎসব পালন করেছিলেন।
সুতানটিই ছিল পরবর্তীকালের কলকাতা শহরের কেন্দ্রবিন্দু। কেননা পরবর্তী দশ বৎসর ইংরেজরা কলকাতা থেকে বিলাতের কর্তৃপক্ষগণের কাছে যত চিঠি-পত্তর লিখত, সেগুলির মাথায় তারা সুতানটিরই ঠিকানা দিত। সুতরাং সুতানটিতে প্রথম অবতরণ ও আগমনের তারিখটাকেই শহর কলকাতার প্রতিষ্ঠা দিবস বলে গণ্য করবার যথেষ্ট যুক্তি আছে। সুতানটিতে প্রথম আগমন (২০ ডিসেম্বর ১৬৮৬) ও সুতানটিতে তৃতীয়বার আগমন (২৪ আগস্ট, ১৬৯০)—এই সময়কালের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাবলীও তা সমর্থন করে।
চার্ণক ইংরেজদের বাণিজ্যকেন্দ্র হিসাবে সুতানটিকে যে সুরক্ষিত (fortified) করবার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং সে সম্বন্ধে বিলাতের কর্তৃপক্ষকে লিখেছিলেন, সেটা আমরা জানতে পারি ১৬৮৮ খ্রীষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে ক্যাপটেন হীথ বিলাতের কর্তৃপক্ষের লিখিত যে চিঠিখানা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন, তা থেকে।
'If the place Mr. Charnock may have already settled and fortified upon will in any measure answer our known purpose, in such case, since we can't help it.
তিন সপ্তাহ পরে বিলাতের কর্তৃপক্ষ কলকাতাতেই ইংরেজদের অবস্থান করবার সপক্ষে আর একখানা চিঠি লেখেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্যাপটেন হীথের গোঁয়ারতুমির জন্য ১৬৮৮ খ্রীষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর থেকে ১৬৯০ খ্রীষ্টাব্দের ২৪ আগস্ট তারিখে সুতানটিতে তৃতীয়বারের মত ফিরে আসার সময়কালের মধ্যে চার্ণককে হীথের গোঁয়ারতুমির জন্য এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল। তবে ১৬৯০ খ্রীষ্টাব্দের ২৪ আগস্ট তারিখের পর চার্ণককে আর সুতানটি ত্যাগ করতে হয়নি বলেই আমরা ২৪ আগস্ট ১৬৯০ তারিখটাকেই কলকাতার জন্মদিন বলে ধরি।।
১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর তারিখে ইংরেজরা সুতানটিতে আসবার পর এখানে যে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল, সেটা আমরা স্থাপটেন হীথ বিলাতের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যে চিঠিখানা এনেছিলেন মাত্র তা থেকেই যে জানতে পারি, তা নয়। ১৬৯০ খ্রীষ্টাব্দের ২৪ আগস্ট তারিখে চর্ণক তৃতীয়বারের জন্য সুতানটিতে আসবার পর, সুতানটি কাউন্সিলের যে প্রথম অধিবেশন হয়, সেখানে গৃহীত প্রস্তাব থেকেও জানতে পারি। ওই প্রস্তাবের পাঠআমি এখানে উদ্ধৃত করছি। যথা—আগে যে সমস্ত ঘরবাড়ি ছিল, সেগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুনরায় কতকগুলি গৃহনির্মাণ প্রয়োজন। একটি মালগুদাম, একটি রান্না ও খাবার ঘর, কোম্পানির কর্মচারীদের থাকবার স্থান, পাহারাদারদের বাসস্থান ও এলিস সাহেবের আবাসগৃহ নির্মাণ করা শীঘ্রই প্রয়োজন। এজেন্ট ও মিস্টার জেরেমিয়া পিটির আবাসস্থানের কতকটা এখনও আছে—সেগুলো মেরামত করে নিলেই চলবে। এই প্রস্তাব থেকেই বুঝতে পারা যাচ্ছে যে ১৬৮৮ খ্রীষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর তারিখে ইংরেজরা স। ক্যাপটেন হীথের সঙ্গে অন্য কেন্দ্রের সন্ধানে বেরিয়েছিল, তখনই ইংরেজ উপনিবেশে তিতপক্ষে অনুরূপ ঘরবাড়ি ছিল। সুতানটি কাউন্সিলের যে অধিবেশনে ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, সেখানেই মন্তব্য করা হয়েছিল যে আগে যে সব ঘরবাড়ি ছিল, সেগুলি হয় লুণ্ঠিত, আর তা নয়তো অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।
যখন ১৬৯০ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বেই ইংরেজদের এখানে উপনিবেশ ও ঘরবাড়ি ছিল, সেক্ষেত্রে ১৬৯০ খ্রীষ্টাব্দের ২৪ আগস্ট তারিখটাকে কলকাতার জন্মদিন হিসাবে গণ্য করবার পিছনে কোন যুক্তি নেই। | এখানে আরও উল্লেখনীয় যে ১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসেই চার্ণক সুতানটি থেকে তাঁর প্রতিভূ ওয়াটস্ ও বরামলকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন নবাব শায়েস্তা খানের কাছে এক আরজি-পত্র পেশ করবার জন্য। ওই আরজি-পত্রে বারো দফা প্রার্থনা ছিল। তার মধ্যে দু দফা ছিল-কলকাতায় একটা দুর্গ ও একটা টাকশাল নির্মাণ। ১৬৮৭ খ্রীষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারী তারিখে শায়েস্তা খান চার্ণককে জানান যে তিনি তার আরজি অনুমােদন করেছেন ও ওটা সহিসাবুদের জন্য দিল্লির বাদশাহের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ তথ্য থেকেও বুঝতে পারা যায় যে ১৬৯০ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বেই ইংরেজরা কলকাতায় উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।
---------৩০০ বছরের কলকাতা: পটভূমি ও ইতিকথা----ডঃ অতল সুর ।
বিষয়: বিবিধ
৭০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন