কনফুসিয়াস ও তার স্মরণীয় উক্তি
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:১৪:২৫ সকাল
কনফুসিয়াস ও তার স্মরণীয় উক্তিঃ
কথা বলতে গেলে চীনের ইতিহাসের একজন বিখ্যাত
ব্যক্তির কথা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে , তিনি হলেন কনফুসিয়াস । গত শতাব্দীর সওর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন পন্ডিত মানব জাতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব-বিস্তারকারী এক শ’ জন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করার সময় চীনের কনফুসিয়াসকে পঞ্চম স্থান দিয়েছেন । তার তৈরি পৃথিবীর এক শ’জন বিখ্যাত ব্যক্তির নামের তালিকায় কনফুসিয়াসের আগে শুধু যিশু ও শাকমুনি প্রমুখ বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিরা রয়েছেন। এ কথা বলা যায় ,প্রত্যেক চীনার গায়ে কনফুসিয়াসের কম-বেশি প্রভাব আছে ।
কনফুসিয়াস হলেন চীনের কনফুসিয়ান তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা । দু হাজার বছর ধরে চীনে কনফুসিয়ান তত্বের প্রভাব শুধু রাজনীতি ও সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে নয় , চীনাদের চিন্তাধারা ও আচার-আচরণেও আছে । কোনো কোনো বিদেশী পন্ডিত কনফুসিয়ান তত্ত্বকে চীনের ধর্মীয় চিন্তাধারা মনে করেন। আসলে কনফুসিয়ান তত্ত্ব প্রাচীন চীনের মতবাদগুলোর অন্যতম মাত্র। এই তত্ব ধর্ম নয় , এক ধরনের দার্শনিক চিন্তাধারা । চীনে দু হাজার স্থায়ী সামন্ততান্ত্রিক সমাজে কনফুসিয়াসের চিন্তাধারাকে যথেষ্ঠ মর্যাদা দেয়া হয়। কনফুসিয়াসের চিন্তাধারা শুধু চীনে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে নি , তার প্রভাব কিছু এশিয় দেশে বিস্তৃত হয়েছে । পৃথিবীর প্রায় সব দেশে প্রবাসী চীনা আছে। কাজেই কনফুসিয়াসের চিন্তাধারা চীন ও এশিয়ার সীমা ছাড়িয়েছে ।
খৃষ্টপূর্ব ৫৫১ সালে কনফুসিয়াসের জন্ম । খৃষ্টপূর্ব ৪৭৯ সালে তার মৃত্যু হয় । তার জন্ম গ্রীসের বিখ্যাত পন্ডিত আরিষ্টোটলের চেয়ে শতাধিক বছর আগে। কনফুসিয়াসের বয়স যখন তিন বছর , তার বাবা মারা যান । তিনি মার সঙ্গে এখানকার পূর্ব চীনের সাংতুং প্রদেশে থাকতেন । কনফুসিয়াসের আসল নাম খুন ছিউ , কনফুসিয়াস হলো তার প্রতি সবার সম্মানসূচক ডাক । প্রাচীন চীনে একজনকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য লোকেরা তার পারিবারিক উপাধির পিছনে চি যোগ করতেন । কনফুসিয়াসের পারিবারিক উপাধি খুন , তাই সবাই তাকে খোন চি ডাকেন ।
কনফুসিয়ান চীনের ইতিহাসের বসন্ত-শরত যুগের লোক । এই সময়পর্বে আগের একীভূত রাজ্য ভেঙ্গে অনেক ছোট ছোট রাজ্যে পরিণত হয় । কনফুসিয়াস তখনকার লু রাজ্যের লোক । সেই আমলে লু রাজ্যের সংস্কৃতি সবচেয়ে সমৃদ্ধ ।
কনফুসিয়াস একজন বিদ্বান ব্যক্তি । তিনি সারা জীবনে কোনো বড় সরকারী অফিসার হন নি । প্রাচীন চীনে পড়াশুনার সুযোগ পাওয়া শুধু অভিজাত পরিবারের সন্তানের অধিকার ছিল । কিন্তু কনফুসিয়াস এই ধরণের অধিকার ভেঙ্গে দেন । তিনি ছাত্রদের সংগ্রহ করে তাদের শিক্ষা দেন । যে কোনো লোক শিক্ষার ফি হিসেবে অল্প কিছু খাবার বা অন্য জিনিস জমা দিলেই কনফুসিয়াসের ছাত্র হতে পারতেন । কনফুসিয়াস নিজের ছাত্রদের তার রাজনৈতিক মতবাদ ও নৈতিক চিন্তাধারা প্রচার করেন । জানা গেছে , কনফুসিয়াসের প্রায় তিন হাজার ছাত্রের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরে বড় পন্ডিত হয়েছিলেন । তারা কনফুসিয়াসের চিন্তাধারার উওরাধিকার সূত্রে গ্রহণ করেছেন এবং তার বিকাশ করেছেন ।
চীনের সামন্ততান্ত্রিক সমাজে শাসক শ্রেণী কনফুসিয়াসের চিন্তাধারাকে সমর্থন করেন। তার কারণ জটিল হলেও সংক্ষেপে বলতে গেলে কনফুসিয়াসের কড়া শ্রেণীবিভাগ চিন্তা আর রাজনৈতিক সংস্কারের চিন্তা শাসক শ্রেণীর স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ । তার এইসব চিন্তাধারা রাজ্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আর সমাজের বিকাশের অনুকুল । কনফুসিয়াস মনে করেন নিচু স্তরের কর্মকর্তা-- উপর ওয়ালার নির্দেশ লংঘন করা আর ছেলে বাবার কথা অনুসারে কাজ না করা গুরুতর অপরাধ । তার মতে , রাজাকে ভালো করে দেশশাসন করতে হবে এবং সাধারণ অধিবাসীকে রাজাকে মান্য করতে হয় । একজন লোক একই সময় মন্ত্রী ,বাবা ও ছেলে হতে পারেন । তাকে বিভিন্ন অবস্থায় শ্রেণীবিভাগ ও পারিবারিক অবস্থান অনুসারে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে । এইভাবে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে ।
কনফুসিয়াসের মতবাদ সৃষ্টির প্রথম দিকে শাসক শ্রেণী তা’ গ্রহণ করেনি। কিন্তু খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর সময় চীন একটি একীভূত শক্তিশালী দেশে পরিণত হয় । শাসক শ্রেণী মনে করে কনফুসিয়াসের মতবাদ সামন্ততান্ত্রিক সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষার পক্ষে অনুকুল , তাই তার চিন্তাধারাকে রাষ্ট্রীয় মতবাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
‘ লুন ইয়ু ’ নামক একটি বইয়ে কনফুসিয়াসের চিন্তাধারা ও আচার- আচরণ বর্ণনা করা হয়েছে । এই বইয়ে কনফুসিয়াসের বক্তব্য আর তিনি ও তার শিষ্যদের কথাবার্তাও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে । প্রাচীন চীনে এই বই পাশ্চাত্য দেশের বাইবেলের মতো পবিত্র ছিল । এই বই সবার পক্ষে প্রয়োজন। একজন সাধারণ অধিবাসীকে এই বইয়ে লেখা আচার আচরণ অনুসারে জীবনযাপন করতে হয় । একজন সরকারী অফিসারের পক্ষে এই বই পড়া আরো প্রয়োজনীয় । এই বই ভালো করে পড়েই শুধু যোগ্য সরকারী কর্মকর্তা হতে পারেন । চীনের ইতিহাসে একটি কথা আছে , কনফুসিয়াসের মতবাদ সম্বলিত ‘ লুন ইয়ু’ নামক বইয়ের অর্ধেক তত্বই দেশশাসনে যথেষ্ঠ ।
আসলে ‘ লুন ইয়ু ’একটি একঘেয়ে তাত্ত্বিক বই নয় । তার আলোচ্য বিষয় সমৃদ্ধ, ভাষা প্রানবন্ত । পাঠকরা এই থেকে কনফুসিয়াসের বুদ্ধি স্পষ্টভাবে অনুভব করতে পারেন । এই বইয়ে বই পড়া , সংগীত , পর্যটন ও বন্ধুর সঙ্গে মেলামেশাসহ নানা বিষয়ে কনফুসিয়াসের মন্তব্য আছে । ‘ লুন ইয়ু ’ তে কনফুসিয়াসের চি কোন নামক এক ছাত্র তাকে জিজ্ঞেস করেন , সৈন্যবাহিনী , খাদ্যশস্য ও জনগন –এই তিনটের মধ্যে যদি একটি বাদ দিতে হয় , তাহলে আপনি কোনটি বেছে নেবেন ? কনফুসিয়াস কোনো দ্বিধা না করে উত্তর দিলেন , সৈন্যবাহিনীকে বাদ দেবো ।
কনফুসিয়াসের মতবাদ প্রাচীনকালের মতবাদ হলেও অনেক বিষয় আজ পর্যন্ত কাজে লাগে । ‘ লুন ইয়ুতে ’ কনফুসিয়াসের অনেক উক্তি চীনারা এখনও ব্যবহার করছেন , যেমন কনফুসিয়াস বলেছিলেনঃ তিনজনের মধ্যে অবশ্যই আমার শিক্ষক আছেন । কনফুসিয়ানের এই কথার অর্থ হলো প্রত্যেকজনের গুন আছে , কাজেই পরস্পরকে শিখতে হবে । ------সূত্রঃ চিনা এ বি সি রেডিও
>>কনফুসিয়াসের স্মরণীয় উক্তিঃ
>ভুল করায় লজ্জিত হয়ে তাকে অপরাধে রূপান্তরিত কোরো না।
>প্ৰতিশোধের পথে যাওয়ার আগে দুটি কবর খুঁড়ে রেখে - একটি নিজের জন্য, অপরটি শত্রুর জন্য।
>সবকিছুরই সৌন্দৰ্য আছে, কিন্তু সব মানুষ তা দেখতে পায় না।
>কেউ আঘাত করলে ভুলে যেও, কিন্তু দয়া দেখালে নয়।
>আমি শুনি এবং ভুলে যাই, আমি দেখি এবং স্মরণ করি, আমি করি এবং বুঝি। >অজ্ঞতা হলো মনের রাত্রি, কিন্তু সেটা চন্দ্র ও নক্ষত্ৰহীন রাত ।
>তুমি কত ধীর গতিতে অগ্রসর হচ্ছে সেটা কোনো ব্যাপার নয় যতক্ষণ না তুমি থেমে না যাও ।
>মানুষের প্রকৃতি একই রকম; তাদের অভ্যাসই কেবল তাদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে ।
>নিজেকে শ্রদ্ধা কর, তাহলে অন্যেরাও তোমাকে শ্রদ্ধা করবে।
>ভবিষ্যৎকে সংজ্ঞায়িত করতে হলে অতীত নিয়ে অধ্যয়ন কর।
>নিরাপদ অবস্থায় বিশ্রামের সময়ও একজন উত্তম মানব বিপদের কথা ভুলে যায় না। নিরাপদ অবস্থায়ও সে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মনে রাখে। যখন সবকিছু শৃঙ্খলবদ্ধ, তখনও সে বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনার কথা ভুলে যায় না। ফলে ব্যক্তি হিসেবে সে বিপদে পড়ে না, এবং তার রাজ্য ও বংশের সদস্যরা নিরাপদ থাকে।
>যে কোনো পরিস্থিতিতে পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের চর্চা করলে নিখুঁত সদগুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এগুলো হলো: গাম্ভীর্য, আত্মার উদারতা, আন্তরিকতা, ঐকান্তিকতা ও দয়া।
>যা সঠিক তা দেখেও কিছু না করা হলো সাহস বা নীতির অভাব।
>উত্তম মানব খোঁজে নিজের মধ্যে, অধম মানব খোঁজে অন্যের মধ্যে।
>রাগান্বিত হলে এর পরিণামের কথাও বিবেচনা করা উচিত ।
>আমরা যখন বিপরীত চরিত্রের কাউকে দেখি তখন আমাদের নিজেদের ভেতরটা পর্যবেক্ষণ করা উচিত ।
>যেখানেই তুমি যাও, হৃদয়ের পূর্ণতা নিয়ে যাও। যারা সুখ ও প্রজ্ঞায় স্থির থাকে তারা প্রায়শই বদলে যায়।
>সুন্দর কথা আর কুশলী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে প্রকৃত সদগুণের অল্পই যোগাযোগ আছে।
>তোমার সমকক্ষ নয় এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব কোরো না।
>যে তার সদগুণ প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করে তাকে ধ্রুবতারার সাথে তুলনা করা যায়, যে তার নিজের অবস্থানে স্থির থাকে, আর অন্যান্য নক্ষত্র তার দিকে চেয়ে থাকে।
>যে ভদ্রতা ত্যাগ করে কথা বলে সে নিজের কথা বাস্তবায়ন করতে সমস্যায় পড়ে।
>সে ব্যক্তি সত্যিই বুদ্ধিমান যার মনের ভেতরটা বদনাম রটিয়ে ভেজানো যায় না, অথবা কোনো কথা যার মাংসে জ্বালা ধরাতে পারে .না।
>বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতাকে প্রথম নীতি হিসেবে গ্ৰহণ করা।
>আমি এমন ব্যক্তি নই যে জ্ঞান নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে; আমি তেমন ব্যক্তি যে প্রাচীনতাকে পছন্দ করে এবং সেখানেই জ্ঞান খুঁজে পেতে চায়।
>একজন মানুষ যদি দূরের কথা চিন্তা না করে, তাহলে সে কাছেই দুঃখের সম্মুখীন হবে। >সদগুণ কি দূরবতী কোনাে বস্তু? আমি যখনই সদগুণের অধিকারী হতে চাই, তখনই সদগুণ আমার কাঁধে ভর করে।
> আঘাতকে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে প্রতিদান দাও, আর দয়ার প্রতিদান দাও দয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে ।
>সাবধানিরা কদাচিৎ ভুল করে।
>দৃঢ়চেতা বিদ্বান ও গুণী মানুষেরা নিজেদের সদগুণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বাঁচতে চায় না। তারা তাদের ভালো গুণ সমুন্নত রাখার জন্য এমনকি জীবন বিসর্জন দিতেও প্ৰস্তুত।
>দৃঢ়তা, স্থায়িত্ব, সারল্য ও ভদ্রতার অবস্থান সদগুণের সন্নিকটে।
>গুণী মানুষের প্রথম অগ্ৰাধিকার হলো বাধা আসলে তা অতিক্রম করা; সাফল্যের বিবেচনা পরে ।
>তিনিই একজন পরিপূর্ণ মানুষ যিনি লাভের ক্ষেত্রে ন্যায্যতার কথা বিবেচনা করেন, বিপদে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে প্ৰস্তুত থাকেন এবং যতো পুরোনোই হোক অতীত সমঝোতার কথা ভুলে যান না।
>যে বিদ্বান ব্যক্তি আরাম-আয়েশকে ভালোবাসে সে বিদ্বান হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য নয় ।
>উত্তম মানবকে ক্ষুদ্র বিষয় দিয়ে বিচার করা যাবে না, কিন্তু বড় বিষয্যের দায়িত্ব দিয়ে তার উপর নির্ভর করা যাবে। ক্ষুদ্র মানবকে বড় বিষয়ের দায়িত্ব দিয়ে বিশ্বাস করা যাবে না, কিন্তু ক্ষুদ্র বিষয়ের মাধ্যমে তাকে চেনা যাবে।
>উত্তম মানব তার বাক্যে ভদ্রতা বজায় রাখে, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সে সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। উত্তম মানব সন্তুষ্ট ও শান্ত থাকে; অধম মানব সবসময় বেদনাগ্ৰস্ত থাকে।
>উত্তম মানব নিজের মনকে কোনো কিছুর পক্ষে বা বিপক্ষে স্থাপন করে না; যা সঠিক সেটাকেই সে অনুসরণ করে।
>তিনটি জিনিসের ব্যাপারে উত্তম মানব সতর্ক প্রহরায় থাকে। যৌবনে ... লালসা; যখন সে শক্তিশালী তখন ... কলহপ্ৰিবণতা"; আর যখন সে বৃদ্ধ তখন... লোলুপতা।
>যা কিছু সমাধা হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই; যা কিছু অতীত তা নিয়ে দোষারোপ করা অনাবশ্যক ।
>সীমা অতিক্রম করা লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগে থেমে যাওয়ার মতোই অযৌক্তিক ।
>সদগুণ মানুষের কাছে জল বা আগুনের চেয়েও বেশি কিছু। জলে বা আগুনে পড়ে আমি মানুষকে মরতে দেখেছি, কিন্ত সৎ পথে চলায় কোনো মানুষকে আমি মরতে দেখিনি।
>সদগুণ একা দাঁড়িয়ে থাকে না। যে এর চর্চা করে তার প্রতিবেশী থাকে ।
>>যেটা তুমি নিজের ক্ষেত্রে ঘটতে দেখতে চাও না, সেটা অন্যের ক্ষেত্রেও ঘটিও না । >যখন একজন মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করে। কিন্তু সেটা ধরে রাখার মতো সদগুণ তার থাকে না, তখন সে যা অর্জন করে তা হারিয়ে ফেলে।
>তোমার যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তা ত্যাগ করতে ভয় পেয়ো না।
>খাওয়ার জন্য মোটা চাল, পান করার জন্য জল, আর বালিশ হিসেবে আমার ভাঁজ করা হাত – এর মধ্যেও আমি আনন্দ খুঁজে পাই । অনৈতিক আচরণের মাধ্যমে অর্জিত ধন ও সম্মান আমার কাছে কেবল ভাসমান মেঘের মতো ।
>নীতিবানের সঙ্গ ছাড়া চরিত্র গঠন সম্ভব নয়।
>উত্তম মানব কথা বলার পূর্বে কাজ করে, আর পরবতীতে কাজের ভিত্তিতে কথা বলে ।
>তুমি যদি মানুষের সেবা করতে না পার , তবে মৃত মানুষের আত্মার সেবা করবে কীভাবে? তুমি যদি জীবন সম্পর্কে না জানি, তাহলে মৃত্যু সম্পর্কে কীভাবে জানবো?
সূত্রঃ প্রাচীন চিনা দর্শন লওস ও কনফুসিয়াস---হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
বিষয়: বিবিধ
২৪৬১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন