নাম নম!
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৫৮:৪০ সকাল
নাম নম!
--------
বিশেষনে সবি শেষ কহিবারে পারি
জানো স্বামির নাম নাহি ধরে নারি।
-- তো এই কবিতার মাঝে বাঙ্গালী নারীকুলের একটি বিষেশ চরিত্র চিত্রিত হয়েছে। তারা আগে মনে করিত স্বামির নাম মুখে আনা পাপ। তাই তারা স্বামিকে ডাকত এই যে শুনছেন, রহিমার আব্বা, ---- ইত্যাদি নিত্য সব সম্মানীয় বোলে।
আর এখন তারা সেই অবলা নারী নেই। তারা এখন নিজেদের প্রভুত্বকারী নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা এখন স্বামিকে নাম ধরে ডাকে। তাদে মুখে রহিমার আব্বা সুনছ ---- মিষ্টি ডাকা শোনা বিরল প্রজাতিতে পরিনত হয়েছে। তারা এখন নিজ স্বামী - -- মদন কুমারকে আদর করে মদনা বলে ডাকে।
তা যাই হোক যুগ পাল্টিয়েছে, যামানা উন্নত হয়েছে, স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্ক এখন প্রভুত্বমমূলক হতে সহযোগীর ভুমিকায়, অধ্যাঙ্গির সঙ্গায় নেমে এসেছে।
তা যাই হোক --- যা বলার জন্য এত ভনিতা তা এবার বলে ফেলি--- একদা এক স্বামী ভক্ত নারি তার ভক্তি এমোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যে তিনি নামাজের মত প্রার্থনাতেও উনি নিজ স্বামীর নাম মুখে আন্তেন না, কারন স্বামীর নাম মুখে আনাকে তিনি পাপ মনে করতেন প। তা বেপারটা খোলসা করেই বলি, না বল্লে আপনারা তো আটি ভেঙ্গে শাষ টা খেতে পারবেন না ও বুঝবেন না কেম্নে কি?
---তো মহিলার স্বামীর নাম রহমতুল্লা। আর তাদের বড় মেয়ের নাম ছিল রহিমা।
তো তিনি নামাজের শেষ বৈঠকে সালাম ফিরাবার সময় আসসালামুওয়ালাইকুম ওয়ারহমতুল্লাহ এর জায়গায় স্বামীর নাম মুখে আনা পাপ দেখে তিনি বলতেন --- আসসালামুওয়ালাইকুম ওয়া রহিমার বাপ।
**তো এই সব কু-সংস্কার আমাদের সমাজে আজো বিদ্যমান। নাম মুখে আনা পাপ দেখে প্রতিনিয়ত নামাজ নষ্ট করার মত কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করে চলেছি। তাই আসুন সচেতন হই।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নঁম নঁম হে দাদা-জয়তু মহারাজ
শত প্রনাম তব চরন তলে,
কৃতজ্ঞতার জল নামিছে গলে
আদেশ কর হে-দাদা দেবতা,
হে আমার নব জন্মদাতা-
আদেশ কর মোরে,
তব মন তুষ্টির বন্ধনায়-অবিরত আমি
অদেশ কর হে করুনাময়
আমি ইসলামীত্ব বিসর্জন দিয়েছি
বাঙ্গালী ধর্মের লাগী-হে নঁম নঁম
মুসলমানের মনে মহাতংক আমি
জিহাদের মর্ম বাণীকে-করিয়াছি জঙ্গীবাদ
আমি জিন্দাবাদ তোমারই ক্ষমতায়-হে প্রভু,
আমি বিকৃতির মহা প্রলয়
ইসলামী কিতাব করেছি নিষিদ্ধ-
কোরআনকে করেছি কোনঠাসা,
মুসলিমে দিয়েছি মুশরিকি লেবাস
তব মন তুষ্টির লাগি হে প্রভু,
তুমি দানিয়াছ মোরে-ক্ষমতার সিংহাসন
তোমারই তরে করি তাই জয় বন্ধনা-হে অন্ন দাতা
লুটিয়া পুটিয়া খাই-খাওয়াই তোমারে হে দাতা
রক্তের বন্ধন ভুলিব কেমন করে
যেথা রহিয়াছে-বস্ম পিতামহের,
তব তুষ্টির তরে করিতেছি বঁলি
দিবালোকে-রাজপথে-বীরদর্পে-হে মহারাজ
তুমি দানীয়াছ মোরে ক্ষমতার মানচিত্র
তাই ছিরে ছিরে খাই-তোমাতেই করি বিলিন
তব মনতুষ্টির গান গাই দিবালোকে
জাতে বিজাতে খাওয়াই-এক ঘাটে পানি
মান অপমান যতায় তথায় দানী,
পাপিরে করি মহামহিয়ান-
নেকিরে করি অপমানের মাল্য দান,
ফন্দি ফিকির সব তোমারই দান-হে প্রভু
আরো কিছুকাল কর কৃপা মোরে-
মহাকালে করিব বিলিন-এই মানচিত্রটারে,
সর্বনাশিয়া আসিবো ফিরিয়া-তব চরন তলে
হে প্রভু-ক্ষমতার মহারাজ।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ পিলাচ পিলাচ পিলাচ
মন্তব্য করতে লগইন করুন