প্রিয় চরিত্র ২৮ টিনটিন

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:৩২:০৩ বিকাল

প্রিয় সব চরিত্র -পাচ(৫)

*********************

২৮।টিনটিন

------------

*প্রিয় চরিত্র: টিনটিন

*স্রষ্টা : জর্জ প্রসপার রেমি( হার্জে)

উতস:টিনটিন কমিক্স

বিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে আলোচিত কমিক চরিত্রের নাম মনেহয় “টিনটিন”। যে চরিত্রটি আমার কিশোরবেলার অনেকটাই আপ্লুত করে রেখেছিলেন তার দুঃসাহসিক এডভেঞ্চার দিয়ে। আমার কিশোরবেলার কল্পনার অনেক জায়গাই আমি ঘুরেছি টিনটিনকে সাথে নিয়ে।

ছোটখটো গড়নের আর অদ্ভুত চুলের ছাঁটের এ তরুণ সাংবাদিকটি তার ছোট্ট কুকুর স্নোয়িকে নিয়ে দুনিয়ার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়ায়, এমনকি চাঁদেও অভিযান চালায়।

টিনটিন তার সব অভিযানে নিয়ে গেছে তার পোষা কুকুর, ‘স্নোয়ি’কে। স্নোয়ি একদম তার নাম এরই মত। একদলা তুষারের টুকরো। সে তার মনিবের মতই বুদ্ধিমান, লড়াকু, loyal। কিন্তু মাঝে মাঝে একটু তরল পানীয় পেলে স্নোয়ি লোভ সামলাতে পারে না। কলকাতার আনন্দ প্রকাশনী টিনটিন এর official বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে। জানি না কেন তারা অনুবাদ করার সময় স্নোয়ি এর নাম পাল্টে রাখে কুট্টুস! কি জানি হয়তো original ভাষাতে ‘স্নোয়ি’ এর নাম ‘স্নোয়ি’ না। যাক! টিনটিন এর আরেক বন্ধু, সুযোগ পেলেই মাতাল হয়ে যাওয়া সমুদ্র পাগল captain Haddock। এই চরিত্রটি আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বদরাগী। সে খুব অল্পতেই রেগে যায়, আর রেগে গেলে পুরাদ্দমে অসম্ভব মজাদার সব creative গালি শুরু করে। টিনটিন কিন্তু কখনোই অতি সহজে রাগে না, কিন্তু তার হরহামেশা দেখা হয় সমাজের সবচেয়ে নীচু মানের মানুষের সাথে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সাথে। অনেক সময় মনে হয় টিনটিন এর মনের ক্ষোভ প্রকাশিত হয় তার সহ সঙ্গীদের মাধ্যমে; কুট্টুস/স্নোয়ি, হ্যাডক আর অসম্ভব প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ক্যালকুলাসমাধ্যমে।

আমরা বেশীর ভাগ পাঠক ১৯৩৪ পরবর্তী তরুন টিনটিন এর সাথে পরিচিত, যার পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা, সে একজন সৎ, মার্জিত এবং কর্মঠ টগবগে তরুণ যার রক্তে আছে অজানাকে জয় করার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু, ১৯৩৪ এর আগের টিনটিন লেখা হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে। বালক টিনটিন চরিত্রটি ছিল একটি হাতিয়ার মাত্র, যা ব্যবহার করা হয়েছিল বেলজিয়ান শিশুদের কমিকস্‌ এর নামে ডানপন্থি সোস্যাল ক্যাথলিক রাজনীতির সাথে পরিচয় করাতে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর হার্জ এর চিন্তাধারা তুমুলভাবে পরিবর্তিত হয় এবং এর প্রভাব পড়ে তরুণ টিনটিনের পরবর্তী সবকটি ভ্রমন কাহিনীতে। টিনটিন শক্তের শক্ত, নরমের নরম। টিনটিন কোন কিছুর পরোয়া না করে দুর্বলের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।আমাদের নিজেদের সমাজেই আমরা প্রতিনিয়ত এরকম অনাচার দেখি। টিনটিন আমাকে শিখিয়েছে কখনো দুর্বলের উপর অন্যায় করতে নেই।

টিনটিন কমিকস সিরিজ যে অনবদ্য বৈশিষ্ট্যের কারণে পাঠকমহলে জনপ্রিয় তার মধ্য উল্লেখযোগ্য হল--

*গল্পের ঘটনার চমকপ্রদতা

*অদ্ভুত রসবোধ

*অসম্ভব ডিটেইলস ড্রয়িং

*সমসাময়িক ঘটনার নিঁখুত বর্ণনা

*সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটের গল্প ইত্যাদি।

এই সিরিজের প্লটকে একাধিক বর্গের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যেমন: ফ্যান্টাসির উপাদানসহ ডাকাবুকো অ্যাডভেঞ্চার গল্প, রহস্য, রাজনৈতিক থ্রিলার, কল্পবিজ্ঞান, ইত্যাদি।

বিংশ শতকের অনেক সমসাময়িক ঘটনাই উঠে এসেছে টিনিটিনের বিভিন্ন সিরিজে। যেমন “নীল কমল” (The Blue Lotus) বইটির ঘটনাপ্রবাহ তৈরী হয়েছিল ১৯৩৪ সালে সংঘঠিত চীন-জাপান যুদ্ধকে উপজীব্য করে। আবার “ওটোকারের রাজদন্ড” (King Ottokar's Sceptre) গল্পটির প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছে রুমানিয়ার রাজা Carol II এর সাথে তদকালীন সমাজতন্ত্র-বিরোধী রাজনৈতিক দল “Iron Guard” এর সংঘাতের প্রতিচ্ছবি দিয়ে। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় “ক্যালকুলাসের কান্ড” (The Calculus Affair) কমিকসটির পটভূমি এসেছে তদকালীন “স্নায়ুযুদ্ধ”-কে কেন্দ্র করে।

আবার কাহিনীতে বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষের অভিযোগে বর্তমানে জন্মভূমি বেলজিয়ামেই বিপাকে পড়েছে কমিক চরিত্র টিনটিন। অভিযোগটি বেলজিয়ামের এক আদালতে করেন কঙ্গোর নাগরিক বিয়েঁভেনু মবুতু মোনডোনডো। তাঁর অভিযোগ “কঙ্গোয় টিনটিন” (Tintin in the Congo) বইটিতে আফ্রিকান কালোদের নীচু শ্রেণীর মানুষ এবং শ্বেতাংগদের শ্রেষ্ঠ হিসাবে দেখানো হয়েছে। অবশ্য টিনটিনের স্রষ্টা রেমি এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অনেক আগেই এবং ঘটনাটিকে তাঁর তরুণ বয়সের অসাবধানতা হিসাবে অভিহিত করেন। তিনি একথাও স্বীকার করে নেন যে, উক্ত বইটিতে তিনি কেবল তৎকালীন প্রচলিত ধারণারই প্রতিফলন করেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, তৎকালীন (১৯০৮-১৯৬০) সময়ে বেলজিয়ামের উপনিবেশ ছিল কঙ্গো এবং উক্ত সময়ে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের হত্যার জন্য ওই ঔপনিবেশিক শক্তিকে দায়ী করা হয়ে থাকে।

জর্জ রেমি নাৎসিদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, এমন অভিযোগও শোনা যায়। টিনটিন সিরিজের অনেকগুলো লেখা তৎকালীন নাৎসিদের নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা লো সোয়াখ-এ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লরেন্স গ্রোভ বলেন, “রেমি একজন সুবিধাবাদী মানুষ। তাঁর জনপ্রিয়তার একটি কারণ হলো তিনি সময়ের ধারাকে সঠিকভাবে অনুসরণ করেছেন। যখন নাৎসি হওয়া সুবিধাজনক ছিল, তখন তিনি নাৎসি ছিলেন, যখন ঔপনিবেশিক হওয়া দরকার ছিল তখন তিনি তাই ছিলেন”।

**স্রষ্টা:

টিনটিনের স্রষ্টার আসল নাম জর্জ প্রসপার রেমি । তবে তিনি হার্জে নামেই সবার কাছে পরিচিত। হার্জে জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৭ সালের ২২ মে, বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে।

ছেলেবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিলো হার্জের। তিনি যখন দুষ্টুমি করতেন, তার বাবা-মা তখন তাকে ছবি আঁকতে বসিয়ে দিতেন। ব্যস, দুষ্টুমি করার কথা তখন মনেই থাকতো না তার। মনোযোগ দিয়ে একের পর এক ছবি এঁকে যেতেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই আঁকিয়ে হিসেবে নামডাক ছিলো হার্জের। তিনি যখন স্কুলে পড়তেন, সে সময় স্কুলের স্কাউট পত্রিকায় ছবি আঁকতে হতো তাকে।

টিনটিনের জন্ম আজ থেকে ৭৮ বছর আগে ১৯২৯ সালে। ১৯২৫ সালে হারজে ‘লা ভিনতিয়েমে সিয়েকল’ নামে একটি পত্রিকায় যোগ দেন। সেখানেই প্রথম হলুদ চুলের ঝুটিওয়ালা নাক উঁচু তুখোড় কিশোর টিনটিনের জন্ম।

১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি ল্য ভাঁতিয়েম সিয়েক্‌ল (Le Vingtième Siècle) একটি বেলজিয়ান সংবাদপত্রের ল্য প্যতি ভাঁতিয়েম(Le Petit Vingtième) নামক শিশুদের ক্রোড়পত্রে ফরাসি ভাষায় সর্বপ্রথম এই সিরিজের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ধারাবাহিকভাবে মোট চব্বিশটি অ্যালবামে প্রকাশিত এই সিরিজটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পরে সেগুলো সংকলিত হয়ে বই আকারে প্রকাশ হতে থাকে। বর্তমানে পঞ্চাশটির বেশি ভাষায় টিনটিন কমিকস প্রকাশিত হচ্ছে। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যে দেশের ছেলেমেয়েরা টিনটিনের সঙ্গে পরিচিত নয়।

আমরা বেশীর ভাগ পাঠক ১৯৩৪ পরবর্তী তরুন টিনটিন এর সাথে পরিচিত, যার পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা, সে একজন সৎ, মার্জিত এবং কর্মঠ টগবগে তরুণ যার রক্তে আছে অজানাকে জয় করার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু, ১৯৩৪ এর আগের টিনটিন লেখা হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে। বালক টিনটিন চরিত্রটি ছিল একটি হাতিয়ার মাত্র, যা ব্যবহার করা হয়েছিল বেলজিয়ান শিশুদের কমিকস্‌ এর নামে ডানপন্থি সোস্যাল ক্যাথলিক রাজনীতির সাথে পরিচয় করাতে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর হার্জ এর চিন্তাধারা তুমুলভাবে পরিবর্তিত হয় এবং এর প্রভাব পড়ে তরুণ টিনটিনের পরবর্তী সবকটি ভ্রমন কাহিনীতে।

প্রথম দিককার কার্টুনগুলোয় কিন্তু টিনটিনের চেহারা এমন ছিলো না। চেহারাটা ছিলো অন্য রকম। তাহলে টিনটিনের চেহারা বদলে গেলো কেমন করে? এর পেছনে অবদান রয়েছে চ্যাং চোং চেন নামের এক চিনা ছাত্রের। ১৯৩৪ সালে তিনি স্কলারশিপ নিয়ে বেলজিয়ামে পড়তে এসেছিলেন। চমতকার ছবি আঁকতে পারতেন। খুব মিশুক প্রকৃতির ছিলেন তিনি। এই চ্যাং চোং চেনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে হার্জের। তার আঁকা টিনটিনের ছবি দেখে চ্যাং চোং চেন কিছু কিছু জায়গায় নিজের আকা একটা মডেল তৈরি করে দেন। সেই মডেলটি হার্জের কাছে এতটাই ভালো লেগে যায় যে, নিজের আঁকা টিনটিনকে বদলে ফেলেন তিনি। নতুন টিনটিন আঁকা হতে থাকে চ্যাং চোং চেনের আঁকা টিনটিনের আদলে। এই চাইনিজ বন্ধুটি আরো একটি পরামর্শ দেন, টিনটিন যে দেশে কোনো অভিযানে যাবে সে দেশ সম্পর্কে হার্জেকে খুব নির্ভুলভাবে জেনে নিতে হবে। মানুষজনের আচার ব্যবহার, ধর্ম, উতসব পার্বণ— এসব আর কি। এই পরামর্শটিই মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন হার্জে। আর তার সুফলও পেয়েছেন। দেখতে দেখতে সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে টিনটিন।

টিনটিনের জনপ্রিয়তার কারণে একের পর এক নতুন সিরিজ বের করতে হয়েছে হার্জেকে।

এ কারণে তিনি ‘স্টুডিও হার্জে’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বহু শিল্পী যোগ দেন তার স্টুডিওতে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৫০ সালে। পরে এই প্রতিষ্ঠানটি রূপান্তরিত হয় ‘হার্জে ফাউন্ডেশন’ নামে। শুধু টিনটিনই নয়, কুট্টুস, ক্যালকুলাস, জোজো, কুইক ফ্লুপকে আর ক্যাপটেন হ্যাডকের মতো জনপ্রিয় চরিত্রও সৃষ্টি করেছেন হার্জে।

**আর কিছু তথ্য:

টিনটিন সিরিজের বইগুলো বাংলাসহ ৫০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ধারণা করা হয়, টিনটিন সিরিজের বই এ যাবত বিক্রি হয়েছে ২০ কোটি কপিরও বেশি।টিনটিনের বইগুলো নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকগুলো চলচিত্র নির্মিত হয়েছে। এর মধ্য এডভেঞ্চার-একশ্যান মুভি যেমন আছে, তেমনি আছে এনিমেটেড মুভি। তালিকাটা নিম্নরূপঃ

*The Crab with the Golden Claws (1947) - এনিমেশন মুভি।

*Tintin and the Golden Fleece (1961) - একশ্যান মুভি, মূল গল্পের ছায়া অবলম্বনে।

*Tintin and the Blue Oranges (1964) - একশ্যান মুভি, মূল গল্পের ছায়া অবলম্বনে।

*Tintin and the Temple of the Sun (1969) - এনিমেটেড মুভি।

*Tintin et la SGM (1970) - এনিমেটেড শর্টফিল্ম।

*Tintin and the Lake of Sharks (1972) - কমিকস এবং Greg নামক এক স্ক্রিপ্ট রাইটারের গল্প অবলম্বনে।

* ২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছে স্টিফেন স্পিলবার্গ পরিচালিত The Adventures of Tintin: Secret of the Unicorn। ছবিটির গল্প তৈরী করা হয়েছে “বোম্বেটে জাহাজ” (The Secret of the Unicorn) আর “লাল বোম্বেটের গুপ্তধন” (Red Rackham's Treasure) নামক দুটি বইয়ের সমন্বয়ে।

**টিনটিন সমগ্র পিডিএফ:

১.http://www.grontho.com/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0/

২.http://bkadda.blogspot.com/p/blog-page_2853.html?m=1

৩.http://m.tunerpage.com/archives/37883

৪.http://banglapdf.net/threads/bhingroher-agantuk-tintin-by-sudip-deb-hq.1273/

৫.টিনটিন কমিক্সের হাই কুয়ালিটি (সাইজঃ ১.৬২ গিগাবাইট)

http://banglapdf.net/threads/tintin-comics-all-tintin-comics-in-hq.469/

৪. টিনটিন ৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি

http://newpage24.com/2015/10/07/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A7%AF-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95/

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347733
২৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৪৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সেই ছোটকাল থেকেই পড়ে আসছি টিনটিন!! হ্যাডক ছিল অতি প্রিয় চরিত্র। টিনটিন এর সব বই কিনেছি চাকরিতে প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর!! প্রথম পড়েছিলাম "লোহিত সাগরের হাঙ্গর"। টিনটিন এর প্রথম বই "সোভিয়েট দেশে টিনটিন" আমার পড়া শেষ টিনটিন!!! হার্জ এর অসমাপ্ত "টিনটিন এন্ড আলফা আর্ট" ও আগে পড়েছি এটার।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File