দি টল হান্টার
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:৫৬:০০ বিকাল
বইঃ দি টল হান্টার( কিশোর উপন্যাস HQ পিডিএফ )
লেখকঃ হাওয়ার্ড ফাস্ট
অনুবাদঃ অজানা
প্রকাশকঃ মদন সরকার/১৯৮৭
মূল্যঃ ১০টাকা( কিনেছি ১৫ টাকায়)
>আমার করা ৩৫ তম পিডিএফ
লিংকঃ http://www.pdf-archive.com/2015/10/12/tall-hanter/
>>হাওয়ার্ড ফাস্টঃ
হাওয়ার্ড ফাস্ট আধুনিক পৃথিবীর এক অন্যতম খ্যাতনামা সাহিত্যিক।তাঁর জন্ম ১৯১৪ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়ক শহরের একটি শ্রমিক পরিবারে । তাঁর শৈশব কাটে চরম দারিদ্রের মধ্যে। মাত্র এগারো বছর বয়সে পরিবারের দারিদ্র দরে করার জন্য কাজে যোগ দেন—খবরের কাগজ বিক্রি থেকে শর, করে যে কোন ধরনের কাজ তাকে করতে হয়েছে বাল্যজীবনে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে তখন চলছে শিলেপ মন্দ।--তাই মাত্র সতেরে৷ বছর বয়সে তিনি কাজের আশায় পাড়ি দেন বিদেশে। এ সময় আমেরিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার বহ, দেশ ঘুরে বেড়াবার সুযোগ হয়। বিভিন্ন দেশের মানুষের বিচিত্র জীবনযাত্র, সমাজব্যবস্থার সাথে ঘনিষ্ঠ পরিচিতি ঘটে তরি। এ অভিজ্ঞতালব্ধ দুটিভঙ্গী তিনি প্রকাশ করেন তাঁর বিভিন্ন রচনায়।
তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দুই উপত্যক।’ যখন প্রকাশিত হয় তখন বয়স মাত্র উনিশ বছর। বিদেশে কাজের ব্যাপারে তেমন সুবিধে করতে না পারায় ১৯৩৩ সালে আবার নিউ ইয়কে ফিরে আসেন। এ সময়েই তিনি আমেরিকার কমিউনিস্ট পাটিতে যোগ দেন। এর জন্য তাঁকে অনেক নিযfতন সহ্য করতে হয়েছে, কারাবরণ করতে হয়েছে অনেকবার । মানুষের সাবিক মুক্তির জন্য তিনি লড়েছেন—মানুষের
মুক্তির কথা তাঁর সাহিত্যে বলেছেন। তাঁর রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘আজাদী সড়ক’, ‘শেষ সীমান্ত’, ‘সটাটাকাস’, ‘সাক্কো ভ্যানজেত্তি’, ‘লোলা গ্রেগ’ বিশেষ উল্লেখ যোগ্য। তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলেছেন—তাদের জীবন সংগ্রামের কথা বলেছেন--সাধারণ মানুষও তাঁর বই কিনে পড়েছে শুধ, হাজার নয়, লক্ষ লক্ষ ।তাঁর সাহিত্য নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, মুলত জীবনের শেষ দিকে এসে তিনি তাঁর সৃষ্টির পূর্ব ধারা থেকে অনেক সরে গিয়েছিলেন—তিনি বাস্তববাদী দটিভঙ্গী অক্ষুন্ন রাখতে পারেননি । তব, সব মিলিয়ে তিনি শুধু, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্ৰই নয়, তাবৎ দুনিয়ার ব্যাপক জনগণের সামগ্রিক মুক্তির পক্ষেই কথা বলেছেন। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবি, নাট্যকার ও সাহিত্য সমালোচক।
>>দি টল হান্টার
দি টল হান্টার - হাওয়াড ফাসেটর কিশোর উপন্যাস । তখনকার ঔপনিবেশিক আমেরিকার জীবনযাত্রা তুলে ধরেছেন এ বইয়ে । দেশটি তখন বৃটিশের দখলে, দেশের মানুষ তাই সবাধীনতার সংগ্রাম করছেন। এ উপন্যাসের নায়ক রিচাড হ্যামন্ড মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মতো একজন ভালো মানুষ। তাঁর এ উপন্যাসে তখনকার আমেরিকার সামন্ত সমাজের চিত্র চিত্রিত হয়েছে। তাঁর মতে পথিবীর তাবৎ মানুষের মৌলিক কোন পাথক্য নেই। কিন্তু মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃটি করে রাখা হচ্ছে—আর এ বিভেদের কারণেই মানুষের এতো দুর্ভোগ। এ বিভেদ সৃষ্টিতে কুচক্রীরা ধমকেও ব্যবহার করে । তাই হাওয়ার্ড ফাস্ট কিশোরদের সতক করার জন্য উপন্যাসের চরিত্রের মুখ দিয়ে বলিয়েছেন, “অনেক চিন্তা চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগল। এমন একটা দেশের কথা মনে হলো সেখানে সব জাতের মানুষ পাশাপাশি বাস করবে। থাকবে না হিংস। দ্বেষ। এ দেশ গড়ে উঠবে ঈশ্বরের দ্বারাতে নয়, গড়ে উঠবে মানুষের হাতে। গড়ে উঠবে সুখী শান্তিময় জীবন।” হাওয়ার্ড ফাস্টএ ধরনের সখী শান্তিময় জীবন গড়ে তোলার জন্যই সারাজীবন কাজ করেছেন ।
>>বাহিরের কথাঃ
বাংলাদেশের কিশোর-যুবারা হাওয়ার্ড ফাস্ট এর এই লেখা পড়ে এ দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখবে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
বিষয়: বিবিধ
১০৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন