পাশবিক - মাসুদ রানা
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ০৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:০৭:০৬ সকাল
বইঃ পাশবিক
রানাঃ ৪৪২+৪৩
লেখকঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
[রানা সিরিজের ৪৪২/৪৩ নাম্বার বই পাশবিক। কেন যেন পড়তেই ইচ্ছে করছিলনা, যা আগে কক্ষনো হয়নি। এর কারণ সহযোগী লেখক হিসেবে কাজী সাহেবের পুত্রের নাম দেখে কি না জানি না। দুই খণ্ড কিনেও কিছুদিন পড়েছিল মাথার বালিশের কাছে। পড়া হয়নি এক খণ্ডও। তার পর প্রথম খণ্ড শুরু করে কয়েক পাতা পড়ে হাফ ধরে গেছিল। আবার পড়েছিল কয়েকদিন। রানা শুরু করেছি আর তা এক রাতে শেষ করা হ্য়নি(১০-৩ টা, কম বেশি এই সময়ে পড়া হয়) এমন রেকড ভেঙ্গেছি এই দুই বই এর ক্ষেত্রে। তবে একটু গভিরে যেতেই মজা পেয়েছি। পড়া শেষে লিখছি রিভিউ। ]
>প্রথম খণ্ড
অসুস্থ রানা ভাবতেও পারেনি, আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাবে এই জটিল ষড়যন্ত্রের জালে ।সিআইএ এর বিশেষ অনুরুধে এক সার্স এন্ড ডেস্ট্রয়েট মিশন এ ট্রাকার কাম নেতা হিসেবে একদল বিশ্ববিখ্যাত মারসেনারির নেতৃত্ব দিতে রাজি হল রানা। আলাস্কায় আমেরিকার রিসার্স সেন্টার গুলি কে ধ্বংস করছে খুজেতে গিয়ে চরম বিপদে পড়ে গেল রানা ও তার দল। ভয়ঙ্কর বেপরোয়া ওই নৃশংস জানোয়ারের পিছু নিল রানা, সঙ্গে দক্ষ ক'জন সশস্ত্র যোদ্ধা ।আর সাথে যোগ দিল বিখ্যাত বিঙ্গানি আহম্মদ সিরাজউদ্দীন বাঙ্গালি।
যে হারিয়ে গেছে দশ হাজার বছর আগে, নতুন করে আবারও কি ফিরল সেই দানব? নির্মমভাবে খুন করছে সৈনিক, বিজ্ঞানী ও তাদের সহকারীদের । কিন্তু হাড়ে হাড়ে বুঝল ওরা, বৃথা ওসব আধুনিক অস্ত্র! অনায়াসেই আলাস্কার তুষারাচ্ছন্ন অরণ্য-পর্বতে ওদেরকে হত্যা করছে ওটা! ধাওয়া খেয়ে পালাতে লাগল ওরা। তারপর আঁধার গিরিখাদে আহত রানার মুখোমুখি হলো ওই নিষ্ঠুর পশু! তার মুখে মানুষের মত রানার নাম শুনে চমকে গেল রানা। অন্তরের গভীরে রানা বুঝে নিল, আর কোনও উপায় নেই!
তবে কি শেষ হল রানার গল্প? জানতে হলে পড়তে হবে পাশবিক প্রথম খন্ড।
>দ্বিতীয় খণ্ড
গিরিখাতের ভয়ঙ্কর হামলায় কোন মতে বেঁচে ফিরেছে রানা ও তার দলের কিছু সদস্যা। রানা জেনে ফেলেছে আসলে দানব কে? জানা বাকি কারা তৈরি করেছে তাকে? আর তাই আলাস্কার ধ্বংসের হাত হতে বেঁচে যাওয়া এক মাত্র রিসার্স সেন্টারে উপস্থিত হয়ে রানা জানতে চাইছে, সিআইএ-র কর্মকর্তা ডক্টর ডেভিড গ্রেবারের রহস্যময় ওই ল্যাবে কী আছে । ওদিকে ওরা জানে, ভয়ঙ্কর হিংস্র, রক্ত-পিশাচ ওই দানব আসছে ধেয়ে । গলা শুকিয়ে গেছে সবার । কেউ জানে না, একশ জনেরও বেশি সশস্ত্র সৈনিক ওটাকে ঠেকাতে পারবে কি না । ...প্রাণ বাচাতে চলল ওদের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি! আবারও কি রাতের আঁধারে শুরু হবে নিষ্ঠুর গণহত্যা, ভিজে যাবে মাটি অসংখ্য মানুষের তাজা রক্তে? ওই রাক্ষস-বধ করতে এবং সিআইএ-র কুটিল পরিকল্পনা ঠেকাতে গিয়ে শেষে মস্ত ঝুঁকি নিল রানা— দানবের মুখোমুখি হবে বলে চলে গেল আদিম যুগের বিশাল এক উত্তপ্ত মৃত্যু-গুহায়!
কি হল শেষে? বাঁচবে তো রানা?
বিষয়: বিবিধ
১২৮৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন