বইঃ পুরানো লখনঊ

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:২১:০২ বিকাল

*বইঃ পুরানো লখনঊ

*লেখকঃ আবদুল হলীম ‘শরর

*প্রকাশকঃ ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ইন্ডিয়া/১৯৭৪

*অনুবাদঃমুনিরা খাতুন/গুরুদাস ভট্টাচার্য

>>লেখকঃ

ব্যক্তিত্ব আবদুল হলীম ‘শরর ১৮৬০ খ্ৰীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন । র্তার পিতা হকীম তফজুল হুসেন আরবী ও ফারসীতে পণ্ডিত এবং প্রসিদ্ধ বৈদ্য ছিলেন । ন বছর বয়সে শরর যান কলকাতা-মেটিয়াবুরুজে, যেখানে সিংহাসনচু্যতির পর ওয়াজিদ আলী শাহকে রাখা হয়েছিল। শাহী খানদানের ( বংশের ) সঙ্গে যোগাযোগের ফলে ‘শরর’-এর খানদানও ওইভাবে গড়ে উঠেছিল । আরবী, ফারসী এবং তর্কশাস্ত্র ছাড়া কিছু ইংরেজী তিনি পড়েছিলেন, এবং লখনউয়ের বিখ্যাত ‘অওধ অখবার’-এর সংবাদদাতারূপে খবর পাঠাতেন । উনিশ বছর বয়সে তিনি লখনউ ফিরে আসেন, এবং এখানকার পত্রিক ‘অওধ কে পঞ্চ'-এর প্রসিদ্ধ লেখক এহমদ আলী কসমণ্ডভীর সান্নিধ্য লাভ করেন । এর কাছ থেকেই তিনি গদ্য-রচনার প্রেরণা লাভ করেন । ১৮৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে মুনশী নওলকিশোর র্তাকে ‘অওধ অখবার’এর সম্পাদক-মণ্ডলীতে গ্রহণ করেন । কিছুদিন পরে বন্ধু আবদুল ওয়াসিতের নামে তিনি প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক পত্র ‘মহশর’ । এর সুন্দর গদ্য-শৈলী খুব প্রসিদ্ধ হয় । ‘আওধ অখবার’-এর বিশেষ সংবাদদাতারূপে ‘শরর' কয়েক মাস হায়দরাবাদে ছিলেন । শেষে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আলাদা হয়ে যান। সেই সময়ে তিনি প্রথম উপন্যাস ‘দিলচসৃপ: লেখেন, যেটি দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এর ছবছর পরে শরর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’র প্রথম অনুবাদ করে উদুভাষীদের সঙ্গে তার পরিচয় সাধন করেন । ১৮৮৭ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি নিজ পত্রিকা ‘দিলগুদায’ প্রকাশ করেন । এই শ্রেণীর পত্রিকার মধ্যে এটিই প্রথম । এতে সরল, প্রবাহময় এবং সুন্দর গদ্যের চনাদি প্রকাশিত হত এই। পত্রিকায় তিনি নিজের লেখা উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে থাকেন । র্তার প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস "মলিকুল আজীজ ভজিনা’, ‘হাসান-এঞ্জিলনা’, ‘মনসুর-মোহনা ইত্যাদি এই পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়েছিল । ১৮৯০ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি প্রকাশ করেন ‘মুহয,যব’ পত্রিকা । এতে, ইসলাম ধর্মের বিদ্বান ব্যক্তিদের জীবনী প্রকাশিত হত । ১৮৯১ খ্ৰীষ্টাব্দে ‘শরর দ্বিতীয়বার হায়দরাবাদ গমন করেন । ওখানেই চাকুরি গ্রহণ করেন, এবং জনৈক নবাবজাদার গৃহশিক্ষক হয়ে ১৮৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংল্যাণ্ডে যান। সেখানে ছিলেন চৌদ-পনেরো মাস। সেই সময়ে তিনি ফরাসী গবেষক মশিয়ে কোরবার কাছ থেকে ফরাসী ভাষা শিক্ষা করেন । ফিরে এসে, ১৮৯৮ এ হায়দরাবাদ থেকে দ্বিতীয়বার ‘দিলগুদায’ প্রকাশ করেন । কিন্তু পত্রিকাটি অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। ১৯০০ খ্ৰীষ্টাব্দে লখনউ ফিরে এসে পত্রিকাটি তিনি তৃতীয়বার প্রকাশ করেন । ‘শরর সাংবাদিক, উপন্যাস-লেখক ও গদ্যকার, সমাজ-সংস্কারক এবং সত্যনিষ্ঠ লেখক । প্রচলিত পক্ষপাত এবং বিশ্বাসের পরোয় না করে তিনি ঐতিহাসিক তথ্য-সংগ্রহে যত্নশীল ছিলেন । এই কারণেই তিনি যখন ইমাম হোসেনের কন্যা সাকীনার জীবনী প্রকাশ করেন, তার বিরুদ্ধপক্ষায়রা অত্যন্ত মুখর হয়ে উঠেছিল। মুসলমান রমণীদের মধ্যে থেকে পর্দা-প্রথা বিলোপের সপক্ষে তিনি “ই স্মত? নামে একটি পত্রিকা বার করেন । এটি ছিল তার সমাজ-সেবার অঙ্গ। এর জন্যে র্ত্যকে প্রচণ্ড বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ; কিন্তু তিনি ছিলেন আজীবন সংগ্রামী । ১৯০৪-এ হিন্দু-মুসলিম একতা সাধনের উদ্দেশ্যে তিনি পাক্ষিক পত্র ‘ইজিহাদ’ প্রকাশ করতে থাকেন। গদ্যলেখক, সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক হিসেবে ‘শরর’-এর ব্যক্তিত্ব যুগান্তকারী । rসাংবাদিকরূপে তার প্রতিষ্ঠা এতো অসীম ছিল, ১৯১২-য় খিলাফত আন্দোলনের প্রখ্যাত নেতা মৌলানা মুহম্মদ আলী তার উদূ দৈনিক ‘হমদর্দ’-এর সম্পাদক-রূপে প্রথমে শরর"-কেই নির্বাচন করেন । ১৯২৬ খ্ৰীষ্টাব্দে র্তার মৃত্যু হয়। র্তার রচনার সংখ্যা একশো দুই-এরও বেশি । তার মধ্যে বেশির ভাগই অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল, এবং তাদের একাধিক সংস্করণও হয়েছিল । উপন্যাস ছাড়া ‘শরর’-এর অপর গুরুত্বপূর্ণ ও বিরাট উপলব্ধির ফসল মিশরিক তমদন কা আখির নমুন৷ ইয়া গুযিশ তা লখনউ'— যার অনুবাদ আপনারা দেখতে পাবেন পরবর্তী পৃষ্ঠাগুলিতে । মূল রচনায় অতিশয় মূল্যবান এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জ্ঞানের ( যা এই পুস্তকে একত্রিত করে দেওয়া হয়েছে ) অতিরিক্ত আছে ‘শরর’-এর সরল ও আকর্ষণীয় গদ্যের নিদর্শন, যাতে গদ্যের পক্ষে আবশ্যকীয় প্রবহমানত, শৃংখলা এবং অমোঘতার গুণ স্বতঃ-বিদ্যমান ।

>শররকালীন লখনউ

যে-কালকে আবদুল হলীম শরর দেখেছিলেন, সে ছিল আমোদপ্রমোদ, রঙ্গ-তামাসার অন্তিমকাল । দেশ তখন ইংরেজের অধিকারে। নিজেদের রাজনৈতিক আধিপত্যকে স্থায়িত্ব দেবার জন্যে দেশের ভেতরে ও বাইরে তারা তখন প্রচার করছে যে ইংরেজরা আসবার আগে হিন্দুস্তানের অধিবাসীরা খুবই অসভ্য আর জংলী ছিল, এবং ইংরেজরা তাদের সভ্য ও সুসংস্কৃত করে তোলার চেষ্টা করছে । পাশ্চাত্ত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক-অালমারী বইয়ের সঙ্গে হিন্দুস্তান ও প্রাচ্য সাহিত্য-শিল্পাদির ভাণ্ডারের তুলনা করাটাও একটা হেয় কাজ বলে লর্ড মেকলে মনে করতেন । এবং লর্ড ড্যালহৌসীর সময়ে আওধ অধিকারের জন্যে যে উপলক্ষ খোজা হচ্ছিল, তাতে নবাবী আওধকে কেবলমাত্র বিলাসিতার কেন্দ্র বলে দেখানো হয়েছিল এবং লখনউ-সভ্যতার একটি মিথ্যা ও ভ্রমপুর্ণ চিত্র আঁকা হয়েছিল ।

‘শরর’ ছিলেন সেই দলের লোক, যারা ভারতীয় সভ্যতার গর্বে গর্বিত, এবং দেশবাসীর মধ্যে আত্মগৌরব জাগাতে সচেষ্ট ছিলেন। যাতে তাদের আত্মবিশ্বাস জন্মে এবং তারা আপন অতীতকে স্বরূপে দেখতে পায়, এই উদ্দেশ্যে একদিকে তিনি লিখলেন ঐতিহাসিক উপন্যাস—যেখানে প্রাচীন ঘটনার সূত্রে এই ধরণের আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করার চেষ্টা বিদ্যমান । অন্যদিকে তিনি লিখলেন এই গ্রন্থ, যেটি এখন আপনাদের সামনে উপস্থিত । এর নাম ‘গুযিশ তা লখনউ বা ‘মশরিকী তমদন কা আখির নমুনা । এই পুস্তকে শরর লখনউ-সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় ও দিকের বর্ণনা করেছেন, যে কারণে এটি শুধু হিন্দুস্তানে নয়, সমগ্র প্রাচ্যেই সমাদর ও শ্রদ্ধা লাভ করেছে ।

যেসব লোক লখনউ-সভ্যতাকে কেবল ‘তকলুফ’ বা ‘পহলে আপ’-এর মতো অগভীর বাক্যের সমষ্টি বলেই জানে, তাদের দৃষ্টি পড়ে ন এর সৌন্দর্য মৃকুমারত শিষ্টতার দিকে । কোন সভ্যতাকে নিয়ে পরিহাস করা সহজ ; কিন্তু সেই সভ্যতাকে পরতে-পরতে চেনা, তার আত্মাকে স্পর্শ করা অতো সহজ নয়। নিরাপত্তা, অভিবাদন, অকুষ্ঠান, রেওয়াজ শিষ্টাচারের নাম সভ্যতা নয় ; বেশভূষা, খানাপীনা, মনোরঞ্জনের উপায়, মেলা, এরাও সভ্যতা নয়। এগুলি সভ্যতার বাহ লক্ষণ মাত্র, যাদের মাধ্যমে কোন যুগের সভ্যতার কেন্দ্রে পৌছনোর চেষ্টা করতে হয় । লখনউয়ে এসে পৌছেছিল যে-সভ্যতা, তা ভারতের শত-শত শতকের প্রয়াস-ফল । তাতে ছিল আর্যদের সৌন্দর্য, এবং স্থানীয় বৈশিষ্ট্যও । পরে আরব, ইরানী ও তুর্কীরা যখন এখানে এল, সঙ্গে করে নিয়ে এল তাদের নিজস্ব-সংস্কৃতির উত্তরাধিকার । এর মধ্যে ইরানী সভ্যতার লয়ই ছিল বেশি জোরাল ; দাক্ষিণাত্য ও দিল্লী এই স্তানদ্বয় ভারতীয় সভ্যতাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, শিখেছেও তার কাছ থেকে অনেক । এই যুগেই অতঃপর ভারতীয় সভ্যতার স্বরসংগতিতে আরবী লয়ও এসে মিলেছে । এ-কারণে, সভ্যতা বা সংস্কৃতির যে কোন অঙ্গই হোক বা ললিতকলার যে কোন শাখাই হোক, এই সাংস্কৃতিক মিশ্রণ সর্বত্র একটি বিশিষ্ট সৌন্দর্যে অভিব্যক্ত হয়ে উঠেছে।

এমনিভাবে আলো জালিয়েছে লখনউয়ের সভ্যতা । এখানকার বেশ, এখানকার খাদ্য, পানীয়, প্রথা, অনুষ্ঠান, জীবনযাপন পদ্ধতি, সভ্যতার এমন কোন বিষয় আছে, যাতে দেশী-বিদেশী উপাদান-উপকরণ মিলে-মিশে এক আশ্চর্য রূপ সৃষ্ট হয়ে ওঠে নি! বলা হয়, ধর্ম মানুষের মধ্যে বিভেদ নিয়ে আসে। কিন্তু এখানে সংস্কৃতি ও প্রতীক—যে কোন ধর্মেরই হোক না কেন—গোটা সভ্যতার অঙ্গ হয়ে গেছে এবং ধর্মের বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করেছে। যেমন, ‘মাতমদারী” ( মহররম ) ও ‘তাজিয়া’র ব্যাপারে সারা লখনউ এক মংয়ে রাঙ্গিয়ে ওঠে। ঠিক এইভাবে "বসন্ত-উৎসব’ পালনের প্রশ্নই হোক অথবা হিন্দু পৌরাণিক কথামালার রাজা ইন্দ্রের বর্ণনাই হোক, কোনরকম ধামিক বা সাম্প্রদায়িক ভেদভাবের প্রশ্রয় না দিয়ে, লখনউয়ের সমস্ত লোক মেতে ওঠে। উদূর প্রথম পর্বের নাটকের মধ্যে ‘ইন্দর সভা’ গণনীয় । এর বিভিন্ন রূপ আছে । কিন্তু প্রত্যেক ‘ইন্দর সভায়’ রাজা ইন্দ্রের যে ছবি উপস্থিত করা হয়েছে, তা আমাদের সমন্বয়ী ভারতীয় সভ্যতার যথার্থ প্রতিনিধি । নাম ইন্দ্র, সিংহাসন পুরনো রীতির, কিন্তু পোষাক আওধ-নবাবের মতে । তার দরবারে পরীরা গায় ব্রজের ঠুমরী। সবাই কথা বলে সুন্দর ও সাবলীল উর্দুতে। আমাদের মিশ্র-সভ্যতার এ এক যথার্থ রূপ । এই মিলন সুন্দর হয়েছে এই জন্যে যে, মিলনমুখী এই সভ্যতাগুলি &ন্মসূত্রেই পরস্পরের খুব কাছাকাছি । ইরানী সভ্যতাও আর্য সভ্যতা ছিল । তাই ইরানী সভ্যতার প্রভাব যখন ভারতের ওপর পড়ল, এবং এখানকার আর্য সভ্যতার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হল, তখন সে মিলন জুই অপরিচিতের মিলন ছিল না, ছিল দীর্ঘদিন আদর্শনের পর দুই আত্মীয়ের মিলন--এমন আত্মীয়, যারা প্রজন্মের দিক থেকে ছিল অভিন্ন এবং যার স্ব-স্ব ঐতিহাসিক বিবর্তন-পথে অনেক মূল্যবান ঐশ্বর্য সংগ্রহ করেছিল । এই যোগাযোগে, ভারতে প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে মধ্য-এশীয় সভ্যতার সুন্দর উপকরণগুলি সমাবিষ্ট হয়ে গেল । তুয়ে মিলে তখন এক রূপ ।

Twilight of Mughals 373 ostolz; fossa fost-ICE: Co., শেষ মুগল সম্রাট য়োরোপের যেকোন ছোট রাজ্যের বৈধানিক শাসক হবার পক্ষে উপযুক্ততম ব্যক্তি ছিলেন : “Akbar Shah II would have been a very worthy country gentleman relying chivalrously on ladies' advice. Bahadur shah II would have been an excellent constitutional King. Delhi, then, was Indian Weimer with Ghalib as its Goethe. Zafar would have been a dignified ruler of a minor German state with his love of poetry and philosophy, with his excursions to Jamuna...his monsoon visits to Mehrauli, his patronage of Salona and Pankha festival and fondness for doves and love of mysticism.” একথা অওধ প্রসঙ্গে অধিকতর প্রযোজ্য । ইতিহাস অওধকে দিয়েছিল স্বায়ত্ত রাজ্যের দায়িত্ব । আর্থিক তুর্বলতা এবং জংধরা তলোয়ারের শক্তির ওপর ভর করে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আক্রমণের মুখোমুখী হওয়া উনবিংশ শতকের পরিস্থিতিতে সম্ভব ছিলনা। এই রাজনৈতিক অক্ষমতার কথা যদি ছেড়ে দেওয়া যায়, তাহলে বলতেই হবে, অওধে যে সাংস্কৃতিক উপলব্ধি স্বতঃ উৎসারিত হয়েছিল, তার জন্যে যেকোন জাতির সভ্যতা অহংকার করতে পারে ।

এটি এমন এক গ্রন্থ যা ইতিহাসের উত্তপ্ত ও কলামুখরিত রক্তপ্রবাহের মতোই বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ পর্যন্ত জীবন ও আসন্দের সংবাদ বয়ে নিয়ে চলেছে ; অতীত সংস্কৃতিকে দান করেছে নবরূপ এবং ভবিষ্যৎকে নতুন দিব্যদৃষ্টি । এই দিক থেকে এই গ্রন্থের ওপর অধিকার শুধু উদূ ভাষীদের নয়, সমস্ত ভারতের । প্রত্যেক ভারতবাসী এর মধ্যে দেখতে পাবেন আপনার সুন্দর অতীতের ছবি, এবং এর অঙ্গে অঙ্গে পাবেন জীবননিষ্ঠ সুখ ও আনন্দের দীপ্তি ।

অতএব, ‘শরর'-এর এই গ্রন্থটি মুদ্রিত শব্দের সংগ্রহ মাত্র নয়, এটি একটি তাজা জীবন্ত অনুভব, যা মানুষকে দেয় নতুন দৃষ্টি, তাকে সমৃদ্ধতর-সুন্দরতর করে তোলে ।

বিষয়: বিবিধ

১২৮৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343285
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ। আবদুল হালিম শারার উর্দু ভাষায় প্রথম আধূনিক উপন্যাসিক। ্

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File