হারিয়ে যাওয়া সাহিত্যিকঃঅধ্যাপক ডক্টর শেখ গোলাম মকসূদ হিলালী
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:০০:৫২ সকাল
হারিয়ে যাওয়া সাহিত্যিকঃ
অধ্যাপক ডক্টর শেখ গোলাম মকসূদ হিলালী
[ এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে একজন করে হারিয়ে যাওয়া সাহিত্যিক এর উপর লিখা পোষ্ট করব। আশা করি সবার ভাল লাগবে এই সব মহান সাহিত্যিকদের জেনে]
সাহিত্য সংস্কৃতি দর্শন চিরদিনই এক শ্রেণির মানুষকে প্রলুব্ধ ক’রে এসেছে । সব দেশেই এবং সব কালেই এই শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা নিতান্তই স্বল্প । তারা মহা পুরুষ, অমৃতের অন্বেষায়, সত্যকে
আবিষ্কারের নেশায় তাদের আত্মপ্রাণ নিবেদিত । জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুশীলনে উচ্চতর গবেষণায় এবং অজানাকে জানার অতন্দ্র সাধনায় তার। নিরন্তর কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকেন যার ফলে সংসারের নানা ধরণের পাপাচ র, হীন মদ্যতা এবং নৃশংসতা সত্ত্বেও পৃখিবী আজো বাসের অযোগ্য হয়ে ওঠেনি । তবু মনে হয়, আমাদের একালের মানুষের জীবনে সজীব আনন্দের অভাব ঘটেছে । বাঙালি জাতির এক বিশেষ পরিচয় আছে সমগ্র বিশ্বে । এই যে পরিচয়—এই পরিচয় উপস্থাপন করতে বাঙালিকে, সুদীর্ঘকাল সাহিত্য সংস্কুতিতে অবদান রাখতে হয়েছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের কাজে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে । আর এই অবদান রাখার জন্ত তাদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কাটিয়ে দিতে হয়েছে । মানব কল্যানের এই মহৎ কাজে অনেককে জীবন দান করতেও দেখা গেছে । তবু পৃথিবীর অগ্রগতি থেমে থাকেনি । সমাজের প্রগতি রুদ্ধ হয়ে যায়নি কখনো । বেশ কিছুকাল থেকে পুরাতাত্ত্বিকেরা ও ইতিহাসবিদেরা স্বীকার ক’রে আসছেন যে, বিশ্বের সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অগ্রগামিতায় যে সব force প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে তার মধ্যে ইসলামি ভাবনা-চিন্তা ও দর্শনের কথাও অন্তভুক্তি ও তার শক্তি অসাধারণ । বিশেষজ্ঞদের মতে, পাক-ভারত-বাংলাদেশ উপমহাদেশে সাহিত্য-সংস্কৃতি দর্শন-বিজ্ঞানের সমুন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য যে-সব সুদুর প্রসারী ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ইসলামী সভ্যতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অনুশীলন ও চর্চা একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা । এই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার অনুষঙ্গ হিসেবে এই উপমহাদেশে বিগত সাত/আট শ’ বছরে বিরাট পরিবর্তন ঘটে গেছে। পরিবর্তন ঘটেছে ভাষায়, পরিবর্তন ঘটেছে সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে, পরিবর্তন ঘটেছে সভ্যতায় ।
ইসলাম যে এই উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন ঘটিয়েছে, তার পেছনে ছিলেন এ-অঞ্চলের উচ্চবিত্ত ব্যক্তিবর্গ। রাজা-বাদশাহ গণ পরিবর্তন এনেছেন, পীর-দরবেশগণ পরিবর্তন এনেছেন এবং এদেশের সর্বসাধারণের কাছে উপস্থিত করেছেন এদেশের পণ্ডিত, গবেষক ও বিদ্বজ্জনেরা । প্রাচ্য বিদ্যা বিশারদ হিসেবে বা Oriental lore য়ের জ্ঞানৰুদ্ধ পণ্ডিত হিসেবে অনেকের কথাই স্মরণ করতে হয় । সাম্প্রতিকঅতীতকালে এদের মধ্যে জ্ঞানতাপস ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পাশে আমরা যার নাম এক কথায় উচ্চারণ করতে পারি তিনি ডক্টর শেখ গোলাম মকসূদ হিলালী । জন্মসূত্রে বঙ্গদেশের অধিবাসী ( বৃহত্তর পাবনা জেলার ) ডঃ হিলালী ছিলেন মহাপণ্ডিত, ছিলেন অসাধারণ মনীষাসম্পন্ন পুরুষ ।
বিশ্বের প্রথিতযশা প্রাচ্যতত্ত্ববিদ সেকালের আবু রায়হান আল বেরূণীর মতো (৯৭৩ খীস্টাব্দের ৪ সেপ্টেম্বর ) তারাও প্রাচ্য ভাষা সমূহ বিশেষত আরবী, ফারসী, হিব্রু, উদ্বু", হিনী, সংস্কৃত, পাহলবী ভাষা অধিগত করেছিলেন । হিলালী সাহেব সেই সঙ্গে কতিপয় ইউরোপীয় ভাষা সমূহ আজীবনের সাধনায় অধিগত করেছিলেন। প্রাচ্য ভাষা সমূহের তো কথাই নেই, বিদেশী ভাষা— ইংরেজি ও ফরাসী ভাষায় তিনি অনর্গল বক্তৃতা দিতে পারতেন ।
মূলত ডঃ হিলালী ছিলেন গ্রন্থকীট (Book-w orm ) । তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ( প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ) ১৫ ; তন্মধ্যে বেশির ভাগ বই-ই ইংরেজিতে রচিত। যথা :
>Islamic Attitude Towards non-Muslims,
>Iran and Islam : Their Reciprocal Influence [ Ph. D. Thesis, Calcutta University ]
>A Manual of Persian Grammar,
>Perso-Arabic Elements in Be gali,
>Hindi-Urdu Elements in Bengali,
>Iranian Philology,
>Ancedotes from Islamic History,
> Gleanings from the Holy Quran,
>Manners in Islam ইত্যাদি ।
মানুষ যখন তার স্বাৰ্থ চিন্তায় মশগুল হয়ে থাকত তখন হিলালী সাহেব দেশী বিদেশী নানান ভাষা থেকে উপাদান ও তথ্যাদি আবিস্কারে মগ্নচৈতন্য থাকতেন । তাই বলে নিজের মাতৃভাষা বাংলার সেবা করার কথাও তিনি কখনো ভুলে থাকতে পারেননি। হজরতের জীবন নীতি, আলবেরূণী, হালিদা হামুম প্রভৃতি বই লিখে, নিজের জ্ঞানের প্রদীপ প্রজালিত করেন এবং পাঠক সমাজকে এ-সব বিষয়ে কৌতুহলী ক’রে তোলার প্রেরণা বোধ করেন । লক্ষ্যকরার বিষয় যে, বাংলা ভাষায় রচিত হলেও শব্দাবলীর সুমিত ব্যবহার ও প্রয়োগের সাবলীলতায় রচনাগুলোর বিষয় বস্তুকে পাঠক বর্গের বোধগম্যতায় এনেছিলেন ।
বই প্রকাশের চেয়ে লেখা ও গবেষণার দিকে অত্যধিক মনোযোগী হওয়ার কারণে তিনি তার জীবৎকালে ৩/৪ খানার বেশি বই প্রকাশ ক’রে যেতে পারেননি। বাকি বইগুলো তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হ’তে থাকে ।
যৌবনের কোন কোন মহুর্ত তিনি ধরে রেখেছেন খণ্ড খন্ড কবিতার :
* আসা যাওয়া নিত্য কর্ম বিধির বিধান,
মানব জনম লভে, করিতে প্রয়াণ ।
কবরেতে পচে কেহ, কেহ হয় ছাই,
এ জগতে কাজ ছাড়া আর কিছু নাই ।
মানুষ মরিয়া যায়, রহে তার কাজ,
কাজ ধরি বহুকাল রবে স্মৃতি-তাজ ।”
“Islamic Attitude Towards non Muslims.' ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের কারণে হানা-হানি, বংশপরম্পরায় লালিত মায়ামমতার স্মৃতি বিজড়িত আবাসস্থল ত্যাগী, বাস্তুহারা, সহায় সম্বল হীন মানুষের নানা দুঃখ-হ্রদশি প্রত্যক্ষ করে এগুলো নিরসনের ইচ্ছায় আমার আব্বা অধ্যাপক হিলালী মুসলিম অধুষিত বা শাসিত রাষ্ট্রে অমুসলিমদের যে অধিকার, স্বাধিকার ও মর্যাদা রয়েছে, ইসলামের সেই মহান বিশ্ব জনীন ভ্রাতৃত্বের নীতিমালা, সহনশীলতা ; কোরান-হাদিসের নিদেশাবলী, ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর দলিল-দস্তাবেজ প্রভৃতি এ পুস্তিকায় তুলে ধরেছিলেন । পুস্তিকাটি প্রকাশের কারণে ঐ সময় তাকে জবাবদিহি করতে হয়েছিল বলে মনে আছে ।
>>সহকর্মী বন্ধু প্রিন্সিপ্যাল ঈ ব্রাহীম খ" লিখেছিলেন, ‘ডক্টর হিলালী পরম উদার চিত্ত মানুষ ছিলেন । তেমন উদার বিষয়টিই তিনি লেখার জন্য বেছে নিয়েছেন । তার আলোচিত ইসলামের নিরপেক্ষতার কণা পড়ে মুসলিম অমুসলিম সকলেই নিঃসন্দেহে উপকৃত হবেন।
ছাত্র জীবন থেকে কৰ্ম জীবন পর্যন্ত ডঃ তিলালীর লিখিত সম্পূর্ণ ও অসম্পূর্ণ প্রবন্ধ এবং গবেষণা কর্মের লেখা-জোখার খাতা-পত্র রয়েছে। ইসলাম, খ্রীস্টীয়, ইহুদী, জরথুষ্ট্ৰীয়; বৌদ্ধ, হিন্দু প্রভূতি ধর্ম গ্রন্থাদি থেকে স্রষ্টা, স্মৃষ্টি, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান প্রভৃতি বিষয়ে অসংখ্য উদ্ধৃতিসহ তিনি বিচার বিশ্লেষণ করেছেন । প্রায় ধর্মেই কতগুলো বিশ্বজনীন সত্যের সন্ধান করেছেন । আবার কালের গতিতে ভাষা-কুষ্টি-কলার মত এক ধর্ম, অপর ধর্মের উপর যে প্রভাব বিস্তার করেছে, সে সম্পর্কে ও তিনি আলোকপাত করেছেন ।
>>কাজী মোতাহার হোসেন, অধ্যাপক হিলালী সম্বন্ধে লিখেছেন : "ধর্মের দিক দিয়ে উগ্রপন্থী মোল্লাকে যেমন সমর্থন করেন না, তেমনি সাহিত্য সমাজের কোন কোন উগ্রধর্মী বুদ্ধির মুক্তিবাদী মতেরও সমর্থক নন। তিনি নিজের চিত্তের উপর ধর্মের যে সার্বভৌম রূপের অনুভব লাভ করেছিলেন তাতেই
বিশ্বাসী ছিলেন, আর সেটা জ্ঞান-বৃদ্ধি ও বিচারসম্মতও বটে । কুরআন শরীফ ঠিকমত বুঝতে পারলে বর্তমান যুগেও তদনুযায়ী চলা সহজ ও স্বাভাবিক এই ভাবটা ও লক্ষ্য করা যায় । তার মতামতের সঙ্গে আমার নিজের মতাদর্শের নিকট সাদৃশ্যের পরিচয় পেয়ে একদিকে যেমন আনন্দ বোধ করছি, অঙ্গটিকে তেমনি তিনি বেঁচে থাকতে কেন তার সঙ্গে তার ও গভীরভাবে মিশবার সুযোগ সন্ধান করিনি সেজন্য মনস্তাপ হচ্ছে ।
অধ্যাপক হিল: লীর লেখা-জোখার মধ্যে দেখা যায়, আরবদের উন্নতির যুগে ইউরোপীয়, স্পেনীয় প্রভৃতি ভাষায় আরবী শব্দ সমূহের প্রবেশ, ভরতীয় ভাষায় আরবী-পারশী ও তুর্কী শব্দের প্রবেশ, ইসলামের আগে ও পরে আরবী-পারসী ভাষায় ভারতীয় শব্দের আদান প্রদান, রোমব দের শাসনাধীন ইংরেজীতে ল্যাটিন শব্দ, নর্মাণ বিজয়ের ফলে ইংরেজীতে ফরাসী শব্দ, মুসলমান কতৃক পারশ্য বিজয়ের পূর্বে ও পরে আরবী ও পারসী উভয় ভাষার শব্দের আদান প্রদান, কিভাবে সস্তাবিত হয়েছে তার বিশ্লেষণ রয়েছে । এইভাবে শুধু ভাষার শব্দই নয়, বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, শ্ৰষ্টা, স্বষ্টি, চিন্ত চেতনার দর্শণ প্রভৃতির আদান-প্রদান পারস্পরিক প্রভাব, এবং শাব্দিক উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্ত মূলগ্রন্থ পাঠ করতে গিয়ে তাকে অনেক ভাষা শিক্ষতে হয়েছে । র্তার লেখার মধ্যে দেখা যায় যে তিনি Dr. Draper, Prof. Brown, Hitti, H. G. Weils, Nicholson, D. A. Jeffery, Dr. Haug, Samul
Joli son, E. D. Ross, Huart, H. G. Rawlinson, Bartold, De Boer, A. V. Smith, Keith, W. Muir, Arnold, W. Carey, William Jackson, A. C. Mowle, C Salemann, F. Steingass, J. G. Hava, S. W. Fallan, H. H. Wilson, Dunean, Forless, V. S. Apte, J.R. ichardson, Claud Field, Goldziher, Wellhausen, J. B. Bury, Dr. Sachau, Charles Seignobos, Pammar, G. F. Moor, Dhalla, এরিস্টটল, দেকার্ত, প্লেটো, সক্রেটিস, সেক্সপীয়র, শেলী, কিটস,ওয়ার্ডস ওয়ার্থ, পোর-দাউদ, শিবলী নুমানী, মীর্জা সাহেব, সবিস্তারী, এস খুদাবখশ, ইবনে খাল্লিকান, ইবনুল নাদীম, ইবনে-সিনা, ইবনে খালদুন, ইবনে-হিসাম, সুলায়মান নদভী, আল্লামা ইউসুফ আলী, তাধারী, আবদুল ফিদা, নজির, হালী, হাফিজ, সাদী, গাজ্জালী, রুমী, খাইয়াম, ইকবাল, সৈয়দ আমীর আলী, আল্লামা মাশরিকি, ড. দা উদপোতা, গয়াস উদ্দীন রামপুরী, কাজী ইমদাদুল হক, (মৗলবী আবদুল হক, নজরুল, গোলাম মোস্তাফা, শঙ্করাচার্য, মাধবাচার্য, রামানুজ, নানক, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, রাম প্রসাদ, রামতরণ মুখাজী, রাম মোহন রায়, রাধাকৃষ্ণন, রামকৃষ্ণ, শীতলচন্দ্র চক্রবর্তী, সুরেন্দ্রনাথ মুখপাধ্যায়, সজীব কান্ত দাস, চণ্ডী চরণ মিত্র; ড: তারা চাদ,অচিন্ত কুমার সেন গুপ্ত, অধর চন্দ্র মুখাজী, দিনেশ চন্দ্র সেন, জ্ঞানেন্দ্র মোহন দাস, শিবরত্ব মিত্র, রাম বাবু সাকসেনা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কমিনী নায়, অম্বিকা প্রসাদ বাজপায়ী, শরৎচন্দ্র, প্যারিচাঁদ মিত্র প্রভৃতি অসংখ্য পণ্ডিত, দার্শনিক, ঐতিহাসিক, কখি সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ব বিদদের গ্রন্থাবলী হতে নির্বাচিত উদ্ধতিসহ আলোচনা ও বিশ্লেষণ করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় । ভাষাতত্ত্ব সম্বন্ধে স্থনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, আই. জে. এস. তারাপোর ওয়ালা, ডক্টর ইউ. এম. দাউদ পোতা ও বোম্বের দীন মহাম্মদের সঙ্গে হিলালীর ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল ।
বিশেষ করে গজলে শামছে তাবরিজী, গজলে আজহারে দেহলবীর ‘নগমায়ে মোছলেম, মুছলমান কিয়াথে, ফরী কুদ্দীন আত্তার এর 'মুনাজাত' গজলে নেজামী, গজলে খুছরাও, শেখ ছাদীর মুনাজাত। ইকবালের গজল, জাতীয় সঙ্গীত, ভারত সঙ্গীত, ভারতীয় ছেলেদের স্বদেশ সঙ্গীত ইত্যদি তিনি চয়ন করেছেন । নজরুলের কিছু গজলের ইংরেজী অনুবাদ ও করেছেন । হাফিজ, সাদী, নজরুল ও গোলাম মোস্তাফার কবিতা, কবীর ও নানকের দোহার, মৈথলী কবি বিদ্যাপতির বৈষ্ণব পদাবী, চণ্ডীদাস, রামপ্রসাদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কমিনী রায় এদের রচনা ও কবিতা হতে নির্বাচিত তাংশ তিনি যেমন চয়ন করেছিলেন, তেমনই সেগুলোর বেশ কিছু কণ্ঠস্থ ও করেছিলেন । ইকবালের মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তের কবিতা, রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা হতে তার খাতা-পত্রে অদ্যান্য প্রবন্ধ ও গবেষণা কর্মের মাঝে উদ্দৃত রয়েছে । একাজে তার পত্নী সাধ্যমত তাকে সাহায্য করেছেন ।
আশা করি সাহিত্য প্রেমীরা এই মহান সাহিত্যিক গবেষক এর সাহিত্য গবেষণা অধ্যায়ন করবে এবং তার সাহিত্য মূল্যায়ন হবে।
সূত্রঃ হীলালী রচনাবলী ২য় খন্ড
বিষয়: বিবিধ
১২৯৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন