খলিল জিব্রান ও তার দি প্রফ্রেট
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:০২:১৮ দুপুর
খলিল জিব্রান ও তার দি প্রফ্রেট
উনবিংশ শতকের শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত যে আরব কবি আধুনিক আরব দুনিয়াতে প্রথম মুক্তচেতনার বার্তা পৌছেদিয়েছিলেন তিনি খলিল জিব্রান। পুরো নাম আরবি উচ্চারণে ‘ খলিল জুবরান’।তিনি একাধারে কবি , দার্শনিক ও চিত্রকর।
>১৯২৬ সালে ‘দ্য প্রফেট প্রথম প্রকাশিত হয়।
>বাংলা অনুবাদটি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ ও কলকাতা থেকে! ভারতে এর অনুবাদ করেছেন অজিত মিশ্র আর বাংলাদেশে এর অনুবাদ করেছেন সালাদিন।আমি পড়ছি বাংলাদেশের টাই।
*বইঃ ‘দ্য প্রফেট
*লেখকঃ খলিল জিব্রান
*অনুবাদঃ সালাদিন
*প্রকাশকঃ অনিবার্য প্রকাশনী, কলাবাগান, ঢাকা
*মুল্যঃ ৭০টাকা নিয়েছি ২০ টাকা দিয়ে
**খলিল জিব্রান:
খলিল জিব্রান ১৮৮৩ সালের ৬ইডিসেম্বার/৬ই জানুয়ারি লেবাননের বেকখারিতে মেরোনাইট খ্রিষ্টান প্রিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। খুব অল্প বয়সে তার মা আর এক বড় বোন ছাড়া পরিবারের সব্বাই মারা যান। সামান্য শিক্ষা লাভের পর পরিবারের অন্যদের সাথে আমেরিকায় পাড়ি জমান। বোষ্টন শহরে ছোট খাট কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করার সাথে সাথে লেখা পড়া আর ছবি আকার কাজ করতেন। ১৫ বছর বয়সে আবার দেশে ফিরে এসে আরবি ভাষা ও উচ্চ শিক্ষা জন্য পড়াশুনা শুরু করেন। ১৯০০ সালের দিকে আবার বোষ্টনে ফিরে আসেন এবং সেখানেই তার প্রথম লিখা প্রকাশ পায় আরব রিফুজিদের পত্রিকা – আল মুজাহিদ এ।
এ সময় চিত্র শিল্পের জন্য শিক্ষা লাভের আসায় প্যারিস গমন করেন। তেমন সফল হতে না পেরে তিনি বোস্টনে ফিরে আসেন। তার আঁকা ২০ টি ছবি নিয়ে তিনি একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেন এবং সাড়া জাগাতে ব্যর্থ হন। আর এখানেই তার সাথে পরিচয় ঘটে মেরি হাসকেলের সাথে। আর তার অনুপ্রেরনায় খলিল জিব্রান ইংরেজিতে লিখতে শুরু করেন।
১৯১০ সালে তার --- দি প্রসেশান, ১৯১৮-১৯ সালে – দি ম্যাড ম্যান ও দি ফোররানার প্রকাশিত হয়। আর ১৯২৬ সালে ‘দ্য প্রফেট প্রকাশিত হয়।আর এই দিয়েই তিনি সাহিত্য জগতে মাত করে দেন। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান তেমনি বিড়ম্বনাও পোহাতে হয় তাকে।
>>‘দ্য প্রফেট প্রকাশের পর নিজ দেশের নিজ ধর্মের খ্রিষ্টান মৌলবাদী ধর্মযাজকরা তার বই এ আগুন দিয়ে প্রতিবাদ করে এবং তাকে ধর্মচ্যুত হিসেবে ঘোষণা করে। এতে তিনি কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে লিখে যান নিয়মিত।
তার অন্যন্য উল্লেখযৌগ্য গ্রন্থ--- জেসাস সান অব ম্যান, দি গার্ডেন অব দি প্রোফেট, দি ব্রোকেন উইংস।
জীবনের শেষ ২০ বছর তিনি নিউইয়র্কে কাটান। মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৩১ সালের ১০ই এপ্রিল এই মহান কবি , দার্শনিক ও চিত্রকর মৃত্যু বরণ করেন।
** ‘দ্য প্রফেটঃ
‘দ্য প্রফেট ২০ টির বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ‘দ্য প্রফেট গদ্য ও কবিতা শৈলীর এক অনন্য উধাহরন। সেমেটিক ধর্মগ্রন্থগুলির বাক্য সমূহে যে জাতীয় গদ্য-ছন্দ ব্যবহার করা হয়েছে খলিল জিব্রান তার ‘দ্য প্রফেট
সে জাতীয় গদ্য-ছন্দ ব্যবহার করার প্রচেষ্ঠা করেছেন। তার তুলনা ,উপমা, রুপক ও সম্বোধনে সে ধারা লক্ষ করা যায়।
>> মূল বইয়ে প্রফেট এর নাম আল-মুস্তফা---- আরবিতে এর অর্থ দাঁড়ায় পছন্দ ভাজন ও মনোনীত ব্যক্তি। বাংলায় তাকে করা হয়েছে আল- জামাল। এটি করা হয়েছে বাংলাদেশের ধর্মীয় মৌল্লাদের ধর্মীয় অনুভুতি থেকে বাঁচতে। যেন তারা আবার আল-মুস্তফা কে আমাদের নবি হজরত মুহাম্মদ ( সঃ ) বলে ভুল না করে।
>> ‘দ্য প্রফেট এ মূলত যুগ যুগ ধরে স্রষ্ঠার কাছ হতে মানুষের কাছে পথ প্রদর্শক হিসেবে যে সব মনোনীত ব্যক্তি যে সব বানী নিয়ে এসেছেন তারি সাবলীল বর্ণনা। যা একান্ত **খলিল জিব্রান: এর জীবন দর্শন। তিনি এখানে কোন ধর্ম, তত্ব ও মতাদর্শের প্রতিবাদ বা প্রতিফলনের চেষ্টা করেন নি। এটি নেহাত তার কাল্পনিক--- প্রফেট, যার মাধ্যমে তিনি তার অসমাপ্ত কাজ গুলি সম্পাদনের জন্য আবার তিনি অন্য রমণীর কোলে জন্ম নেবারও বাসনা করেছেন।
>> ‘দ্য প্রফেট জিব্রান এর গভির বিশ্বাস ও অবিশ্বাস এর যুক্তি তর্ক হিন সুন্দর গল্প।
‘দ্য প্রফেট যেন এক নাস্তিক ও এক আস্তিক এর নিজ নিজ পক্ষে যুক্তি তর্কের এক বিশাল চিন্তার খোরাক।
>> ‘দ্য প্রফেট এর শুরুটা একটু দেখে নেই
আল-মুস্তফা মনোনীত মহাপুরুষ সর্বজন প্রিয়
স্বীয় কালে ঊষাসম হয়ে আবির্ভূত,
সুদীর্ঘ বারোটি বছর রহে প্রতীক্ষায় অরফলিস নগরে
আপনার জলযানের তরে, যে অর্ণবপোত
যাবে নিয়ে তাকে স্বীয় জন্মভূমে।
****Kahlil Gibran
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Khalil_Gibran
***The Prophet (book)
https://en.m.wikipedia.org/wiki/The_Prophet_(book)
বিষয়: সাহিত্য
১০৯২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দ্য প্রফেট প্রকাশের পর নিজ দেশের নিজ ধর্মের খ্রিষ্টান মৌলবাদী ধর্মযাজকরা তার বই এ আগুন দিয়ে প্রতিবাদ করে এবং তাকে ধর্মচ্যুত হিসেবে ঘোষণা করে। এতে তিনি কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে লিখে যান নিয়মিত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন