আম খান আম
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৫০:২২ রাত
আম
কদিন ধরে খুব Mango মানে আম খাচ্ছি। যা ভাবছেন তা না, পাকা না কাচা আম খাচ্ছি। সরাসরি কাচা না --সেই কাচা আম জুস বানিয়ে মজা করে খাচ্ছি।
যদিও আমি রান্নাবিদ না তবুও আমের বানানো আমের জুসের প্রশংসা পেয়েছি আমার পাশের ফ্লাটের ভাবিদের কাছে। তাই বাতাসে উড়ছি। আর সেই প্রশংসার দরুন মনে হল আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি বেপারটা।
এই জন্য প্রথমে বাজার হতে প্রয়োজন মত আম কিনুন। যদিও প্রথম অবস্থায় আম ১২০ টাকা কেজি ছিল, এর পর ৮০,৬০,৪০,৩০ এখন ঝড়ের পর ২০ টাকা কেজি।
পরিবারের ৩-৪ জনের জন্য আধা কিলো আমই জথেষ্ঠ। সেই সবুজ আমের খোসা ছড়িয়ে নিন। পরে আধা আধি কেটে ভিতরের বিচি ফেলে দিন। এবার ভাল করে ধুয়ে ছোট ছোট পিচ করে কেটে ফেলুন।
উপকরণঃ
>আমের কাটা পিচ
>কাচা মরিচ ২টি, ক্যাপ্সিকাম ২টি
>ধনিয়া গুড়া ১চা চামচ
>জিরা গুড়া ১ চা চামচ
>চিনি পরিমাণ মত
>লবণ পরিমাণ মত
>শুকনা মরিচ বাটা সামান্য
এবার সব একসাথে ব্লিন্ডারে জাগে দিন। এবার অল্প/আধা গ্লাস ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি যোগ করুন। ব্লিন্ডারে মেশিনের ছুইচ টিপে দিন। ৩-৫ মিনিট পর নামিয়ে নিন।তৈরি আপনার জুস। বরফ কুচি দিয়ে গ্লাসে পরিবেষণ করুন।
কেন কাচা আমখাবেন তার জন্য নিচে কাচা আমের গুনাগুন দেখে নিন একপলক----
কাঁচা আমের উপকারিতা
* ভিটামিন সমৃদ্ধ ও মিনারেলে ভরপুর।
* ক্যারোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভাল রাখার জন্য দরকার। বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন-২ ভাল পরিমাণে রয়েছে।
* ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে।
* পরিশ্রমী বা নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যেস থাকলে কাঁচা আম খেতে পারেন। পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে।
* পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকায় অ্যাসিডিটি বা অম্বল, পেশি সংকোচন, মানসিক চাপের ফলে তৈরি শারীরিক সমস্যায় উপকারী।
* কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা সমস্যায় বেশ উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ
* ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া কোলন বা মলাশয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* কলেরা, রক্তাল্পতা ও যক্ষা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ও গরমের সময় সর্দিগর্মি থেকে রক্ষা করে।
* আমের বীজ শুকিয়ে চূর্ণ করে ডায়রিয়া সারাতে ব্যবহার করা হয়।
* আমের পাতা ব্যবহার করে বহুমূত্ররোগের প্রকোপ কমানো যায়।
* নিফ্রাইটিস বা বৃক্ক প্রদাহ এবং কিডনির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
* নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করে।
অন্যান্য উপকারিতা
* যথেষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
* অ্যালকালাইন জাতীয় খাবার হওয়ায় অ্যাসিডিটি উপশমে ভাল কাজ করে।
* অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় অ্যান্টি-ভাইরাস ও অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে।
* ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমের পাল্প বা আঁশ সাহায্য করে।
* আম পাতলা করে কেটে ত্বকের ওপর কিছুক্ষণ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে যাবে।
* কাঁচা আম শুকিয়ে তৈরি করা আমচূর গুঁড়া স্কার্ভি সারানোয় কার্যকর। যথেষ্ট পরিমাণে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল না খাওয়ার ফলে সৃষ্ট রক্তঘটিত রোগই হচ্ছে স্কার্ভি।
* কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এমনকি পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে।
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর উদ্যোগ আমার নিজেরও খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।
খুবই তৃপ্তিদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর নিঃসন্দেহে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন