বই:তসলিমার মামা বলছি।
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৫ মার্চ, ২০১৫, ১১:৫৯:৫৫ সকাল
>>বই:তসলিমার মামা বলছি।
>>লেখক:ফেরদৌস আলম
লেখক নাসরিন এর মামা। মামাদের একান্নবর্তী পরিবারের বেড়ে উঠে ঘর জামাই রজব আলির সন্তানেরা। তসলিমার শৈশব ও কৈশোরকালের অনেক চমকপ্রদ ঘটনা লেখক অবলোকন করেছেন। মেয়েরা প্রথম যৌবনে নিকট আত্মীয়'র কাছ হতে শিকার হয় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। তসললিমা সেই সুত্র ব্যবহার করে তার ক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের কুশীলব তৈরি করেছেন তার চাচা, মামা, ও নিকট আত্মীয় দের অনেকে(আমার মেয়ে বেলা) শরাফ মামা সেই মামাদের একজন। কে এই শরাফ মামা? তসলিমার ৭ মামার মধ্যে কার মাঝে লুকিয়ে ছিল কামতুর দৈত্য। অথচ শরাফ মামা নামে তসলিমার কোন মামা নেই।(“শরাফ মামা তার শরীর কে হাসতে হাসতে আমার ওপরে ধপাশ করে ফেলে আবার টেনে নামান আমার হাফ প্যান্ট। আর নিজের হাফ প্যান্ট খুলে তার নুনু ঠেশে ধরেন আমার গায়ে। বুকে চাপ লেগে আমার শ্বাস আটকে থাকে। ঠেলে তাকে সরাতে চেষ্টা করি আর চেঁচিয়ে বলি- এইটা কি কর, সর শরাফ মামা সর। গায়ের সব শক্তি দিয়ে ঠেলে তাকে এক চুল সরাতে পারি না। )
** তসলিমা নাসরিনকে তার নানির প্রশ্ন -- তুই এই সব কি লেহস? মানুষে খারাপ কই? তর সাজেদা খালার কথা কি নাহি হাজিবিজি লেখছস? তাই সাজেদার জামাই তারে ছাইড়া দিছে। এইডা তুই কি করছিস? নানি কে আহ্লাদী হয়ে জড়িয়ে ধরে উত্তর --- নানু এই তো গল্প লিখি। এই গুলি হুইনা জামাই যদি ছাইড়া দেয়, দেগ গা, জামায় ছাড়াই ভাল।
**কোলাহলের কলাবতী তসলিমা এখন(তখন২০০৪ সালের আগে) যৌবনদেবীর প্রতীক এক রহস্যে ভ্রা নারী। যিনি নিজে নিজেই আপন ইচ্ছেই আপন দেহ মধুচক্র রচনা করে অনিবার্য বান্ধবদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এখন তাদেরকে চরিত্রহীন বলে অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে( ‘ দ্বিখন্ডিত লেখার জন্য সৈয়দ শামসুল হক বাংলাদেশে আমার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন। তাঁর রাগ, তাঁর শালির সঙ্গে তাঁর গোপন সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : আপনি পরিকল্পিতভাবে নিজেকে আলোচিত করে তোলেন। আজ বাংলা সাহিত্যে বা বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে আপনি তো চরমভাবে অবহেলিত।
তাসলিমা : আমি একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছি। সত্য কথা সাহিত্যে অনেকের জন্য কষ্টদায়ক হয়। আমি আমার বহু স্বামী ও ভোগ্য পুরুষদের নামধাম প্রকাশ করে দেয়ায় অনেক বন্ধু আমাকে এড়িয়ে চলেন।
বাংলা সাহিত্যের অনেক দামি দামি পুরুষও চান না যে আমি দেশে ফিরি। এক সময় আমার বিপক্ষে ছিল কট্টর মৌলবাদীরা। এখন প্রগতিশীল অনেক সাহিত্যিকও বিপক্ষে। কারণ এদের নষ্ট মুখোশ আমি খুলে দিয়েছি।
)।
**নারী স্বাধীনতার নামে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে ও রিরংসাপূর্ণ যৌন সুড়সুড়ি দিয়ে তিনি বইয়ের কাটতি বাড়িয়েছেন।
**দাম্পত্য বন্ধনকে অস্বীকার ও জরায়ুর স্বাধীনতার নামে পারিবারিক জীবনকে করে তুলেছেন প্রশ্নবিদ্ধ।
**বেদ বিশেষঙ্গ সুকুমার ভট্টাচার্যের—প্রচিন ভারত ও বৈদেশিক সমাজ--- হতে লিখা চুরি , ফেরা—দিব্যেন্দু পালিত এর – আলমের নিজের বাড়ি—এর নকল।
এ ছাড়া-- তসলিমার আরও নতুন কিছু অন্ধকার উঠে এসেছে এই বই এ।
বিষয়: বিবিধ
৪০১৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন