‘হিটলার ইন ব্রাজিল’
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:১৯:৫৯ রাত
‘হিটলার ইন ব্রাজিল’
হিটলার কে নিয়ে অনেক বই লিখা হয়েছে। অনেকে অনেক বই তথ্য পড়েছেন(মাইন ক্যাম্প, থার্ড রাইখ আমার পড়া দুটি বই)। কিন্তু এবার ব্রাজিলীয় লেখক তাকে নিয়ে চমৎকার একটা বই লিখেছেন। আর তা পড়ে চমকে যাবেন অনেকে।১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষে জার্মানিতে একটি বাংকারে আত্মহত্যা করেছিলেন হিটলার, এমনটাই এত দিনের প্রচলিত ধারণা। কিন্তু ‘হিটলার ইন ব্রাজিল’ নামে নতুন এক বই এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বিশ্বযুদ্ধ শেষে আত্মহত্যা নয়, ব্রাজিলে পালিয়ে যান হিটলার! ‘হিটলার ইন ব্রাজিল’ বই এ এমনই দাবি করা হয়। আর এই জন্য সিমোনি রেনি গুয়েরেইরো ডায়াস প্রমান হিসেবে দুটি ছবি প্রকাশ করেছেন এবং সিমোনি তার বক্তব্যের স্বপক্ষে ডিএনএ টেস্ট করার পরিকল্পনা করেছেন।
বিস্তারিতঃ
বিশ্বযুদ্ধ শেষে আত্মহত্যা নয়, ব্রাজিলে পালিয়ে যান হিটলার!। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ
শেষে জার্মানিতে একটি বাংকারে আত্মহত্যা করেছিলেন হিটলার, এমনটাই এতোদিনের প্রচলিত ধারণা। কিন্তু ‘হিটলার ইন ব্রাজিল’ নামে নতুন এক বই এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।বইটির লেখক দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে হিটলার সম্ভবত আর্জেন্টিনায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর প্যারাগুয়ে এবং সবশেষে ব্রাজিলে যান তিনি। ব্রাজিলের ম্যাটো গ্রোসো রাজ্যে তার জন্য ভ্যাটিকান মিত্রপক্ষের লুকিয়ে রাখা সম্পদের সন্ধান করেন তিনি।পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্রী সিমোনি রেনি গুয়েরেইরো ডায়াস তার ‘হিটলার ইন ব্রাজিল’ বইতে হিটলারের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন। এতে উঠে এসেছে হিটলারের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনা। সম্পূর্ণ বিষয়টাই লেখকের থিসিসের অংশ। যার কাজ এখনো চলছে।বইয়ে হিটলার গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন, এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বলা হয়েছে হিটলার অ্যাডল্ফ লেইপজিগ নামে ব্রাজিলের একটি ছোট শহরে বসবাস করেন। ‘নোসা সেনহোরা ডু লিভ্রামেন্টো’ নামের সেই শহরটি ‘ম্যাটো গ্রোসো’ রাজ্যের
রাজধানী কুইয়াবা থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে অবস্থিত। কুইয়াবা শহরে বসবাসকারি এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, অ্যাডলফ লেইপজিগ স্থানীয়ভাবে ‘বুড়ো জার্মান’ নামে পরিচিত ছিলেন। বইয়ের লেখক তার বক্তব্যের স্বপক্ষে একটি ছবিও উপস্থাপন করেছেন। ছবিটি কথিত হিটলারের মৃত্যুর দুই বছর আগে তোলা। ছবিটিতে হিটলারের সঙ্গে তার কৃষ্ণাঙ্গ গার্লফ্রেন্ডও ছিল। লেখকের বক্তব্য কৃষ্ণাঙ্গ গার্লফ্রেন্ডও তার লুকিয়ে থাকার কৌশলের অংশ। স্থানীয় পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে সিমোনি তার বক্তব্যের স্বপক্ষে ডিএনএ টেস্ট করার পরিকল্পনা করেছেন। এজন্য ইসরাইলে বসবাসকারী হিটলারের এক আত্মিয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কত জঘন্য মানুষই হোক না কেন তার দু'একটা ভাল কর্ম থাকেই, 'ইয়াহুদী নিদন' হিটলারের তেমনই একটি মহৎ কর্ম!
মন্তব্য করতে লগইন করুন