সাপ ,সাপের খেলা ও সাপুড়ে বা বেদে সম্প্রদায় পর্ব------ তিন

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:১৫:৩২ বিকাল

সাপ ,সাপের খেলা ও সাপুড়ে বা বেদে সম্প্রদায় পর্ব – দুই(২)



আমাদের গ্রাম সমাজে একটি প্রবাদ প্রচলিত---- সাপুড়েদের মরণ এই সাপের দংশনে।

তার পরেও চলে সাপ ধরা ও তা দিয়ে সাপের খেলা দেখানো। পাশাপাশি চলে ওষুধ বিক্রিও।সাপ খেলা এসেছে এ কথা শুনলেই গ্রামের ছেলে বুড়ো সবাই খুশিতে ভরে উঠতো।

কোথায়, কোনদিকে, কোনগ্রামে, আমাদের পাড়ায় আসবে না?

এই জাতীয় কথার উত্তর খবরদাতার কাছ থেকে জেনে নিয়ে আরো দশজনকে সৌৎসাহে খবরটি দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়তো মানুষ। বাড়ি থেকে পিঁড়ে আর মুষ্টির চাল নিয়ে ছুটতো সাপের খেলা দেখার জন্য। ক্ষণিকের জন্য কাজ কাম বাদ দিয়ে সাপুড়ের পিছে ছুটাতেই অনেকে ধন্য মনে করতো। এটি যেন ছিল তাদের কাছে পরম এক বিনোদনের উৎস। পাড়ার দশজন লোক একসাথে গোল করে বসে সাপের খেলা দেখার মজমা যেন সারা দিনের সব ক্লান্তিকে মুহূর্তে মুছে দিত। অলস বিনোদনহীন গ্রাম্য মানুষের কাছে সাপের খেলা মানেই তো সময় কাটানোর বড় একটা মওকা। তাই তারা এক জায়গায় বসে সাপের খেলা দেখে স্বস্তি পেত না।

এইতো ছিল সাপের খেলার জনপ্রিয়তা। আর সে সময় সাপুড়েদের ব্যবসায় ছিল পোয়াবারো। সাধারণ মানুষের কাছে একজন সাপুড়ের কদর ছিল অনেক বেশী। অনেকে তাদেরকে মনে করতো সুপারম্যান। যে সাপকে দেখে মানুষের আজরাঈলের মতো ভয় পেতো। সে সাপকে বশ মানিয়ে নানা রকম খেলা দেখানোর ক্ষমতা! গলায় জড়িয়ে কিংবা হাতের ইশারায় বিষধর সাপকে নাচানো এ কি সহজ্য সাধ্য ব্যাপার! অলৌকক ক্ষমতা না থাকলে কেউ কি তা পারে! এই ছিল সাপুরে সম্পর্কে সাধারণের বিশ্বাস ও ধারণা। আবার ওঝা হিসেবে সাপুড়েদের কদর ছিল ক্ষেত্র বিশেষে এফআরসিপি পাস করা ডাক্তারদের চেয়েও অনেক বেশী। মৃত্যুপথ যাত্রী মানুষের মুহূর্তে জীবন বাঁচানোর কারিশমা একমাত্র ঐ ওঝাদেরও আছে বলে কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস।

এভাবে বেদে সম্প্রদায়ের তুচ্ছ একজন সাপুড়ের সাথে রাজকন্যার বিয়ে হবার কেচ্ছা কাহিনী ও বাস্তব ফিল্মি ঘটনা কার অজানা? অভিমানি ওঝাদের মন রক্ষার্থে সাত রাজার ধনের অর্ধেক দিয়ে দেবার ওয়াদার কাহিনী খুব পুরনো নয়। বাড়ির



কর্তা সাপুড়েকে খুশি করাতে না পারলে মহিলারা গোপনে আচল ভরে চাল অথবা সামগ্রী সাপুড়ের হাতে তুলে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেবার ঘটনা নিম্নজাত সাপুড়েদের মর্যাদার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সাপুড়ের কাছ থেকে মন্ত্র ফুকে নিয়ে পরিবারের কল্যাণ করার ব্যর্থ চেষ্টার প্রতিযোগিতা গৃহকর্তির কে না জানে? কিন্তু সেদিন ফুরিয়েছে। এখন আর সাপুড়ে ওঝাদের সেই সুদিন নেই। সাপের খেলা দেখতে মানুষ আর সাপুড়েদের পিছু পিছু ছুটে না। ওঝাদের কদরও কমে গেছে। শিক্ষা আর জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি সাধনের কারণে মানুষের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস। তাই সাপে কাটলে এখন বেশীর ভাগ মানুষ ইনজেকশন নিতে দৌড়ায় মেডিক্যালে। টিভি, সিনেমা, গান বাজনার হরেক রকম সামগ্রী মানুষকে বিনোদনে মাতিয়ে রাখছে। তাই তাদের কানে পৌঁছায় না সাপুড়েদের ডুগডুগির শব্দ। আর কোথায় শুনলেও সময় নষ্ট করে সাপুড়ের চটকদার মজমা দেখার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে গেছে আধুনিক ছেলে মেয়েদের। কম্পিউটার, ফেসবুক ইন্টারনেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করা সভ্য মানুষ ভুলে গেছে সাপের খেলা দেখার মজা।

>>শিক্ষত মানুষ জেনে গেছে বিলাসী গল্পের লেখকের কথা। ‘সাপের বিষ যে বাঙ্গালীর বিষ নহে তা আমিও বুঝিলাম'।



আসলে সাপের খেলা দেখানোতে যে কোন তন্ত্র মন্ত্রের প্রয়োজন নেই মানুষ তা জেনে গেছে। সাপে কাটা থেকে বাঁচাতে ওঝার কোন ভূমিকা নেই তাও অনেকে বুঝে গেছে। ফলে শিক্ষিত মানুষ দিন দিন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাপুড়ে কিংবা ওঝাদের কাছ থেকে। তাইতো বেদে পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দিন। অনেকে পেশার পরিবর্তন করে অন্য জীবনে এসেছে। বলতে গেলে সাপের খেলা এখন হারিয়ে যাবার পথে। আবার অনেকের বিরুদ্ধে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালিয়ে যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেউবা নামকাওয়াস্তে সাপের খেলা দেখিয়ে মুখে চটকদার কথা বলে ওষধ বিক্রির পথ বেছে নিয়েছে। সব মিলিয়ে সাপের খেলা বর্তমানে তার জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি গ্রামীণ ঐতিহ্য।

>>ইতিহাসঃ

সাপ নাচানো অর্থাৎ সাপের খেলা এক সময় বাঙালী জন জীবনে অন্যতম বিনোদন ছিলো।আর এই বিনোদন নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাপের খেলা দেখিয়ে বা ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ বিক্রি, চোঙ্গা লাগানো ইত্যাদি কাজে করে এরা জীবিকা নির্বাহ করত এক সম্প্রদায় যাদের বেদে বলে আমরা জানি। এই সাপুড়েদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তারা এক জায়গায় বেশিদিন অবস্থান করতেন না। জীবন ও জীবিকার অন্বেষণে তারা চষে বেড়াতেন এক অঞ্চল হতে আর এক অঞ্চলে বা এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। বাস করত তাঁবু টানানো খুপরি ঘরে। যাযাবরের জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন তারা।এদের উৎপত্তি কোন সম্প্রদায় বা আমাদের উপমহাদেশের কোন এলাকায় তা সম্পর্কে খুব ভাল জানা না গেলেও কিছু মিথ প্রচলিত আছে বেদে সম্প্রদায় সম্পর্কে। জানা যায়, বেদেদের মধ্যে সাপুড়ে, সওদাগর ও মিস্সিগান্নি বা লোকচিকিৎসক নামে তিন ধরনের পেশাজীবী রয়েছেন। যার মধ্যে প্রধানতম পেশাজীবী হচ্ছেন সাপুড়ে- যাদের কেউ কেউ শুধু সাপ ধরে সাপ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।



বেদের আদি নিবাসঃ

জিপসি পৃথিবীব্যাপী রহস্যময় একদল মানুষ। আমাদের অঞ্চলের জিপসিরা বেদে নামেই পরিচিত, বেদে মানেও ভ্রমণশীল বা ভবঘুরে। এরা যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ায় এখানে-ওখানে। আজ এক জায়গায় তো কিছুদিন পর এদের দেখা যাবে অন্য জায়গায়। দেশে দেশে বা অঞ্চলভেদে তাদের একেক নাম, আর বেঁচে থাকার জন্য বিচিত্রসব পেশা।১৪২৭ সালের দিকে প্যারিস নগরীতে হঠাত্ হাজির হয় একদল মানুষ। নর-নারী, শিশু—অদ্ভুত তাদের চেহারা, অদ্ভুত তাদের কথাবার্তা, উত্কণ্ঠিত প্যারিসকে তারা আশ্বস্ত করে এসেছে লিটল ইজিপ্ট থেকে। পরে ইউরোপের নানা শহরে এদের দেখা যায়। পরিচয় দেয় লিটল ইজিপ্টের মানুষ হিসেবে। ইউরোপ তখন একবাক্যে মেনে নেয় এরা ইজিপ্টের মানুষ। পণ্ডিতরা মাথা নেড়ে বললেন—হ্যাঁ, ওদের পোশাক, ওদের ভাষা, ওদের চালচলন সব ইজিপশিয়ানদের মতোই বটে। এই ইজিপশিয়ান থেকে ক্রমেই এদের নাম হয়ে গেল জিপসি। এরা এর পড়ে ছড়িয়ে পড়ে এশিয়াতে।

ভারতীয় উপমহাদেশের অঞ্চলভেদে তারা বাদিয়া, বেদিয়া, বাইদিয়া, বেদে, বেদেনী, বাইদ্যা, বাইদ্যানী, সাপুড়ে, সাপুড়িয়া ইত্যাদি নামে পরিচিত। বেদেদের আদি নাম মনতং। জানা যায় যে, ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে আরাকানরাজ বল্লার রাজার সাথে তারা প্রথম ঢাকায় আসে। প্রথমে তারা বিক্রমপুরে বসবাস শুরু করে। তারপর সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও আসামেও ছড়িয়ে পড়ে।

তবে অন্য মতে ১৯০৫ সাল থেকে ঢাকা পূর্ববঙ্গের রাজধানী হওয়ার পর বাড়তি সুইপার দরকার হলে ভারতের কানপুর, নাগপুর, তেলেগু ও মাদ্রাজ থেকে ‘ভালো’ কাজের কথা বলে এই অঞ্চলে নিয়ে আসা হয় এই সব দলিত জনগোষ্ঠীর মানুষদের। এরায় মূলত পরে অঞ্চলভেদে বাদিয়া, বেদিয়া, বাইদিয়া, বেদে, বেদেনী, বাইদ্যা, বাইদ্যানী, সাপুড়ে, সাপুড়িয়া ইত্যাদি নামে পরিচিত।

>>সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসাবে এদের সংখ্যা প্রায় ৬৩টি লাখ; যার মধ্যে দলিত ৪০ লাখ, বেদে ৮ লাখ এবং হরিজন ১৫ লাখ।



নানা পেশার বেদে :

বেদে নামটির অবজ্ঞাসূচক 'বাইদ্যা' (হাতুড়ে ডাক্তার), 'বৈদ্য' (চিকিত্স ক) থেকে উদ্ভূত বলে গবেষকরা মনে করেন। অধিকাংশ বেদেই চিকিত্সাবর সাথে জড়িত বলে মনতংরা কালক্রমে বেদে নামে পরিচিত হয়। আগে বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা সাপে কাটা রোগীর চিকিত্সাত করত। বর্তমানেও কিছু কিছু অঞ্চলে তারা এ চিকিত্সাম করে। অঞ্চলভেদে এদেরকে 'ওঝা' বা 'বিষবৈদ্য'ও বলা হয়ে থাকে। তবে বেদেরা যে শুধু সাপ ধরে বা সাপের খেলা দেখায় তা নয়, তাদের পেশাতেও রয়েছে বহু বৈচিত্র্য! যেমন মালবৈদ্য। এরা দাঁতের পোকা বের করে এবং সাপের খেলা দেখায়। সাপের বাক্স আর তুবড়ি বাঁশি নিয়ে এরা প্রতিদিন চলে যায় দূর-দূরান্তে। আরেকদল আছে বাজিকর। এদেরকে 'মাল'ও বলা হয়ে থাকে। তাবিজ-কবজ দেয়া ও নানারকম ভেল্কি দেখিয়ে রোজগার করে তারা। বাঁদরের খেলা, সাপ-নেউলের খেলা শহরে-বন্দরে প্রায়ই চোখে পড়ে। যারা এসব খেলা দেখায় তারাই বাজিকর হিসেবে পরিচিত। বেদেদের



মধ্যে রয়েছে কুড়িন্দা। এরা হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বলে দেয়। কুড়িন্দাদের মধ্যে অনেকে হারিয়ে যাওয়া সোনা-রূপার গয়না কুড়িয়ে দেয় পুকুর থেকে। যেসব কুড়িন্দা হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বলে দেয়, তারাও বিভিন্ন তাবিজ-কবজ দিয়ে থাকে। সাপের জন্য তারা তাবিজ দেয় সাদা লজ্জাবতীর। তাদের বিশ্বাস, এ তাবিজ সঙ্গে রাখলে সাপ-খোপ ধারেকাছে আসে না! এছাড়া তাদের কাছে থাকে বিভিন্ন ধরনের পুস্তিকা। যেমন 'জয় জয় জাগ্রত মনসা', 'লতাপাতার গুণ', 'কামিক্ষে তন্ত্রসার', 'মন্ত্র বিদ্যা শক্তি' ইত্যাদি। বেদেদের আরেকটি পেশা গাইন। যারা ঝিনুক কুড়িয়ে মুক্তা খুঁজত তাদের গাইন বলা হতো। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ঝিনুকের সংখ্যা এখন একেবারেই নগন্য। তাই গাইন পেশায় কেউ নেই এখন। তবে আছে চাপালি ও লইয়া। চাপালিরা গ্রামে গ্রামে ঝাঁকায় করে প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করে এবং লইয়ারা খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে। বেদেদের একটি উপগোষ্ঠী বা গোত্র হচ্ছে সান্দার। সান্দার নারীরা ধামা ও ঝাঁকায় করে গ্রামে গ্রামে চুড়ি, কাচ ও মেলামাইনের তৈজসপত্র বিক্রি করে থাকে। পুরুষদের কেউ কেউ নদীতে মাছ ধরে, কেউবা নকল তালা-চাবির তৈরির কাজ করে। বেদে নারীদের বিভিন্ন শহরে দলবদ্ধভাবে ঘুরতে দেখা যায়। সাথে থাকে সাপের ঝাঁপি ও ওষুধের ঝুলি। কেউ কেউ সাপের ছোট বাক্স হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। হঠাত্‍ করে সাপ বের করে পথচারীদের সামনে ধরে রাখে। তাতে ভয় পেয়ে অনেকেই টাকা দেন। বেদেনীদের অনেকে শরীরে উল্কি এঁকে আয় করে। আবার অনেকে আছে যারা দেহ বিকিয়ে আয় করে।



ধর্ম ও সংস্কৃতি : বেদেরা সাধারণত ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তবে ধর্মের ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোনো গোঁড়ামি দেখা যায় না।

>> তবে মুসলমানরা তাদের অবজ্ঞার চোখে দেখে। কারণ জাতি হিসেবে তারা তথাকথিত নিম্নবর্গ।

বেদেদের পিতৃপ্রধান সমাজ হলেও মেয়েরা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বেদে পুরুষরা কিছুটা অলস প্রকৃতির। সব রকমের কঠোর পরিশ্রম নারীরা করে থাকে। বেদেদের রয়েছে বিভিন্ন গোত্র। আগে তাদের বৈবাহিক রীতি ছিল গোত্রে গোত্রে। কোনো কোনো জায়গায় এখনো এই ঐতিহ্য বজায় থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিথিল হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তির এই চরম উত্কএর্ষের সময়ে ক্রমশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে বন-বাদাড়। সাপ, ঝিনুক, বানর, নেউল এখন আর সহজে পাওয়া যায় না। তাই শত চেষ্টা করেও বেদেরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশায় টিকে থাকতে পারছে না। বদলাতে বাধ্য হচ্ছে জীবিকার মাধ্যম। ক্রমে ক্রমে বিলুপ্ত হতে চলেছে বেদে সম্প্রদায়।



নদীনির্ভর বাংলাদেশে বেদেদের বাহন তাই হয়ে ওঠে নৌকা। নৌকায় সংসার আবার নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো দেশ-দেশান্তরে।ঢাকার সাভার, মুন্সীগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, গাজীপুরের জয়দেবপুর, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, মিরসরাই, তিনটুরী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনা, এনায়েতগঞ্জ, ফেনীর সোনাগাজী, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এসব বেদের আবাস।সুনামগঞ্জের সোনাপুরে বাস করে বেদে সমাজের বৃহত্তর একটি অংশের। যাযাবর বলেই এদের জীবন বৈচিত্র্যময়। ধারণা হয়, নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় নদীতেই এদের বসবাস। সেজন্য তাদের জীবনে বৈচিত্র্য এসেছে নানাভাবে।বেদে সম্প্রদায়ের নারীরা যথেষ্ট শ্রম দেয়। বেদে নারীরা যথেষ্ট স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। উপার্জন, বিয়ে ও সন্তান প্রতিপালনে তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বেদে পুরুষরা অলস হয়। কায়িক পরিশ্রমকে তারা ঘৃণা করে।অঞ্চলভেদে বাংলাদেশে তারা বাদিয়া, বেদিয়া, বাইদিয়া, বেদে, বেদেনী, বাইদ্যা, বাইদ্যানী, সাপুড়ে, সাপুড়িয়া ইত্যাদি নামে পরিচিত।

বিষয়: বিবিধ

৩৪৭১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

268251
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
কাজী লোকমান হোসেন লিখেছেন : ভাই এটা মনে হয় ব্লগ পোস্ট না করে উইকিপিডিয়ায় সংরক্ষণ করলে ভালো হবে , Rose অনেক ভালো লাগলো Rose , এই রকম লেখা আরও চাই , ধন্যবাদ Thumbs Up Thumbs Up
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪১
212195
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ
268264
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪১
212196
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ
268267
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
মামুন লিখেছেন : খুব সুন্দর তথ্যবহুল মানের দিক থেকে অনেক উন্নত এবং সমৃদ্ধ লিখনির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও কিছুটা প্রতারণা রয়েছে, তবুও সাপুড়ে তথা বেদেদের জীবনে নেমে আসছে অমানিশা। এই সম্প্রদায়টি এভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেলে অন্যতম একটি বাঙালি সংষ্কৃতির অবলোপন হয়ে যাবে। নৃতাত্তিক বিচারে এটি একটি অপুরনীয় ক্ষতি তাতে সন্দেহ নেই।
ভালো লাগল আপনার লিখাটি।
শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪২
212197
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ আ্পনার মন্তব্যের জন্য
268272
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : অনেক ভাল লেখা। যথেষ্ট তত্ত্ব ও তথ্য সমৃদ্ধ। লেখকের জন্য রইল আন্তরিক সালাম ও মোবারকবাদ।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪২
212198
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ
268277
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৫
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : সুন্দর লেখা। যথেষ্ট তত্ত্ব ও তথ্য সমৃদ্ধ। লেখকের জন্য রইল আন্তরিক সালাম ও মোবারকবাদ। সেই সাথে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪২
212199
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File