কয়েকটি সংবাদ ও কৃষি জমির কমার একটি পরিসংখ্যান

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৫ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৩৭:১৯ দুপুর

কয়েকটি সংবাদ ও কৃষি জমির কমার একটি পরিসংখ্যান



মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য গোপনেই সারা হল জমি হস্তান্তর

--------------------------------------------------------------------------

কক্সবাজারেরমাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্পে কোল পাওয়ার এনার্জি লিমিটেড কে ১ হাজার ৪১৪ একর জমির দলিল হস্তান্তর করেছে সরকার।( খবর টিভি)

কক্সবাজারের মাতাবারিতে বাংলাদেশের প্রথম কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হতে যাচ্ছে। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির সমন্বয়ে ১২০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর যৌথ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি সরকারের কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (CPGCBL) এর আওতাধীনে নির্মিত হতে যাচ্ছে। মাতারবাড়ি প্রকল্পের অধীনে মহেশখালির মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ৬০০ মেগাওয়াট করে ১২০০ মেগাওয়াটের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।২০২৩ সালের জুনের মধ্যে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।এই বিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি তিন লাখ টাকা ঋণ দেবে।এছাড়া সরকারি খাত থেকে চার হাজার ৯২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং বাকি দুই হাজার ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে।প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ৭০০ কেজি স্ট্যান্ডার্ডের প্রয়োজনীয় পরিমাণ কয়লা আমদানি করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে প্রতি টন কয়লার দাম ১০ হাজার ২৫৫ টাকা ৫০ পয়সা ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে আমদানিকৃত কয়লার উপর নির্ভরশীল।

>>কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, সাগরে জ্বালানি তেলের ভাসমান ডিপো ও পাইপলাইন (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) স্থাপন করা হবে সেখানে। কক্সবাজার থেকে সমুদ্রপথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এবং স্থলপথে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হবে এসব স্থাপনা।এ জন্য প্রায় ৬ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

>> বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবনের পাশে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ কোল পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেখানে ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহন করে সেখানে বালু ভরাট করা হচ্ছে।এই সম্পর্কে সকলেই ভাল ভাবে অবগত আছেন।প্রথম থেকেই স্থানীয় কৃষি জমিরক্ষা কমিটি, সেভ দ্যা সুন্দরবন, তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ও পরিবেশবাদীরা সুন্দরবনের কাছে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুকেন্দ্র নির্মাণে বিরোধিতা করে আসছে।

@@বাংলাদেশের কৃষি সম্পদ:

--------------------------------




০১. বাংলাদেশের মোট জমির পরিমাণ কত?

=> ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার একর/ ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার একর।

০২. বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমান কত?

=> ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর(৮০ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর--বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে)

০৩. বাংলাদেশে চাষের অযোগ্য জমির পরিমান কত?

=> ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার একর।

০৪. বন্যা প্লাবিত জমির পরিমাণ কত?

=> ১ কোটি একর।

০৫. সেচ ব্যবস্থাধীন এলাকার জমির পরিমাণ কত?

=> ৯২ লাখ একর।

০৬. মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ কত?

=> ০.২৮ একর বা ০.৮ হেক্টর।

০৭.বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কত ডেসিমেল?

=>বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ১৪ ডেসিমেল।

০৮. বাংলাদেশে কৃষক প্রতি আবাদি জমির পরিমাণ কত?

=> ১.৫০ একর।

৯। প্রতিবছর গড়ে কত কমছে কৃষি জমি?

=> দেশের কৃষি জমি কমছে বছরে ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর। (পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি বিভাগের হিসাবমতে, প্রতি বছরই এক শ ভাগের এক ভাগ কৃষি জমি কমে যাচ্ছে।)

১০। বাংলাদেশে কৃষক পরিবারের সংখ্যা কত?

=>বাংলাদেশে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৮০৪টি কৃষক পরিবার রয়েছে। তাদের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগই প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক।

প্রশ্ন গুলি এ জন্য আপনাদের সামনে উপস্থাপিত হল এই জন্য যে আপনারা জেন বুঝতে পারেন কৃষি প্রধান দেশে কি ভাবে দিন দিন কৃষি জমির অপচয় করা হচ্ছে সরকারি ভাবে সবার চোখের সামনে । এ ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন নতুন আবাসন বা বসত বাড়ি নির্মাণ তো চলছেই। চলছে শহরায়নের থাবায় কৃষি জমির অপচয়।

>>আর একটি মজার তথ্য দেই-- বিদেশি রেমিটেন্সের প্রায় ৫০ ভাগ খরচ হচ্ছে গ্রামে বা শহরে বাড়ি তৈরিতে।

@@আইন কি আছে?

---------------------




সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো কৃষিজমি যে কেউ যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারে। এটা রোধ করার কোন আইনী ব্যবস্থা নেই। এজন্য আইনের বড় পরিবর্তন করে উর্বর ও কৃষি উপযোগী জমি ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করার কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু কোন কঠিন আইন এই পর্যন্ত নেই বাংলাদেশে।

>>> জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি ২০১০’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন ২০১০’ অনুসারে কৃষিজমি কৃষিকাজ ব্যতীত অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো কৃষিজমি ভরাট করে বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা, ইটভাটা বা অন্যকোন অকৃষি স্থাপনা কোনোভাবেই নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ করে একটি নামে মাত্র আইন আছে।<<<

‘জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি ২০১০’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন ২০১০” থাকলেও প্রতিনিয়তই কৃষিজমি ব্যবহারিত হচ্ছে অকৃষি কাজে। প্রতিদিন দেশে গড়ে ২২০ হেক্টর কৃষিজমি ব্যবহারিত হচ্ছে শিল্পকারখানা স্থাপন, নগরায়ণ, বসতবাড়ি তৈরি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজে। এর ফলে সামগ্রিক পরিবেশের ওপর যেমন হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি দ্রুত সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে দেশের কৃষিখাত।

@@ যে আইন আসছেঃ

--------------------------


তবে আশার কথা বর্তমানে কৃষি জমি সুরক্ষার জন্য ন্যাশনাল ল্যান্ড জোনিং প্রকল্পের (ফেজ-২) মাধ্যমে ভূমির শ্রেণি অনুসারে জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রথম পর্বে উপকূলীয় ১৯টি জেলাসহ ২১টি জেলায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পার্বত্য জেলা ছাড়া অবশিষ্ট ৪০টি জেলায় জোনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাকি ৪০ জেলায় জোনিং কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরই কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আইনের এ খসড়াটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

>> খসড়ায় যা বলা হয়েছেঃ

প্রস্তাবিত কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কৃষিজমিতে আবাসন, শিল্প কারখানা, ইটভাটা বা অন্য কোনো রকম অকৃষি স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। জমি যে ধরনেরই হোক না কেন, তা কৃষিজমি হিসেবেই ব্যবহার করতে হবে। দেশের যে কোনো স্থানের কৃষিজমি এই আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত হবে এবং কোনোভাবেই তা ব্যবহারে পরিবর্তন আনা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই উর্বর জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। যেকোনো ধরনের জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। আইনে বিচার ও দণ্ড হিসেবে বলা হয়েছে, আইন লঙ্ঘনকারী বা সহায়তাকারীর অনূর্ধ্ব দুই বছর কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এই আইনের অধীনে অপরাধ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আপোসযোগ্য হবে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা কিংবা বন ও মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মামলা করতে পারবেন।





@@কেন কমছে কৃষি জমিঃ

কৃষি জমি কমার কিছু কারন আছে। কি কি কারনে বাংলাদেশে কমে আসছে কৃষি জমি আসেন তা এবার দেখা নিই এক পলকে।

১।বসত বাড়ি নির্মাণ

-------------------------




কৃষিজমি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে মূল বলে মনে করেন অনেকেই। বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ঘরবাড়ি তৈরির জন্য ব্যবহƒত হচ্ছে ভূমি।

>২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বসতবাড়ির সংখ্যা ছিল দুই কোটি সাড়ে ৪৮ লাখ।

>২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বসতবাড়ির সংখ্যা তিন কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩০।

>১৯৯৬-২০০৮ সময়ে তিন লাখ ৫২ হাজার একর থেকে বেড়ে ছয় লাখ ৭৭ হাজার একরে দাঁড়িয়েছে।

>বিশ্বব্যাংকের ‘বিশ্ব উন্নয়নসূচক ২০০৯’ থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালে দেশের ২০ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করত।

>২০০৭ সালে তা বেড়ে হয় ২৭ শতাংশ। বৃদ্ধির এ হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।



২।সড়ক ও রাস্তা নির্মাণঃ

-----------------------------


উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা নিয়ে নতুন শহর হচ্ছে। বাড়ছে রাস্তাঘাট। রাস্তাঘাটের বড় অংশই হচ্ছে কৃষিজমিতে।

>বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১২ অনুযায়ী, ২০০১ সালে দেশে জাতীয় মহাসড়কের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৮৬ কিলোমিটার।

> বর্তমানে জাতীয় মহাসড়ক আছে তিন হাজার ৫৪৪ কিলোমিটার।

>আঞ্চলিক মহাসড়ক চার হাজার ২৭৮ ও জেলা সড়ক রয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৯ দশমিক ১৩ কিলোমিটার।

>সব মিলিয়ে সড়ক ও জনপথের রাস্তার পরিমাণ ২১ হাজার ৪৮১ কিলোমিটার। এলজিইডির ৮০ হাজার ১১৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে।

৩।ইট ভাটাঃ

---------------




নগরায়নের কারণে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে ইটেরভাঁটি। পরিবেশ অধিদফতরের হিসেবে দেশে ইটখোলা আছে চার হাজার ৫১০। এগুলোয় প্রতিবছর পোড়ানো হয় অন্তত তিন হাজার ২৪০ কোটি ইট। তবে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হিসেবে দেশে ছোটবড় মিলিয়ে ইটখোলার সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। খোলার প্রতিটিতে তৈরি হয় বছরে ৭৫ লাখ ইট। ইটপ্রতি মাটির পরিমাণ গড়ে তিন কেজি ধরলেও সাড়ে ১৩ কোটি টন মাটি লাগে, যে কারণে বছরে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমি (দুইফুট গভীর পর্যন্ত মাটি কাটা হলেও) ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষিবিদ ও মৃত্তিকা গবেষকরা বলেছেন, ছয় হাজার ইটখোলার দখলে রয়েছে (প্রতিটি গড়ে সোয়া আট একর) প্রায় ৫০ হাজার একর আবাদি জমি।

৪।নদীর ভাঙনে বিলীন জমিঃ

-----------------------------




বুয়েটের ওয়াটার এ্যান্ড ফ্ল্যাড ম্যানেজমেন্টের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, পলি জমায় নদ-নদীর প্রবাহে সমস্যা হচ্ছে। ফলে প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে এক হাজার হেক্টর ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ঘরছাড়া হচ্ছে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। এমনটি চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫৭৫ বর্গকিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হবে, যার অর্ধেকেরও বেশি থাকবে কৃষিজমি।

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের (সিইজিআইএস) হিসাব অনুসারে, ২০১০ সালে ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমি ভাঙনের শিকার হয়। ২০০৯ ও ২০০৭ সালে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ১৭৮ ও ২ হাজার ৭৬৬ হেক্টর।



৫। মাছের খামারঃ

সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় মাছ চাষ একটি বৃহত্তম কৃষিভিত্তিক খামারে পরিণত হয়েছে। মাছের এ খামারগুলো গড়ে উঠেছে কৃষি জমিতে। এ খামার স্থাপনেও পরিকল্পনা না থাকায় কৃষিজমিতে মৎস্য চাষ হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। নিচু ইরি ধান চাষের উপযোগী জমিতে মাটি কেটে মাছের চাষ উপযোগী করা হয়। আর এভাবে গড়ে উঠা মাছের খামারের পানির চাহিদা পূরণ করা হয় স্যালো মেশিনের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করার মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য অনেক পুঁজির প্রয়োজন হয়। তাই দেখা যায়, ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্তরা এ মাছ চাষের খামারগুলোর মালিক, তারা এ পদ্ধতিতে মাছের খামার স্থাপনের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নেয়। ফলে প্রান্তিক ও নিম্নবিত্ত কৃষকরা জমি ভাড়া দিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে আর কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যহত হয়।

৬। অপরিকল্পিত আবাসন শিল্প কারখানাঃ

বৃহত্তর সব জেলা শহরের আশে পাশে যত্রতত্র গড়ে উঠছে আবাসন প্রকল্পসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রকল্প গুলিতে কৃষিজমি গ্রাস করায় এ সব এলাকায় দ্রুত কমছে আবাদযোগ্য জমি। নতুন আবাসন এলাকাগুলো আবাসনের উপযোগী করে তোলার জন্য মাটি ভরাট করতে হয়। পরবর্তীতে এ জমিগুলো আর চাষাবাদের যোগ্য থাকে না। >>উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার আয়তন ১৭১ বর্গমাইল। এ উপজেলার এক-পঞ্চমাংশ জুড়েছিল সরকারী বনভূমি। এ বনভূমির আশপাশে পরিকল্পনাহীনভাবে কয়েক হাজার শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এখানকার সরকারী বনভূমির অনেক অংশ এখন শিল্প-মালিকদের দখলে। শিল্পকারখানার অন্তর্ভুক্ত না হতে পারা অনেক কৃষিজমি অকৃষি ভূমিতে পরিণত হয়েছে।



>>বাস্তব চিত্র হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে কি পরিমাণ কৃষিজমি শিল্পায়নের মধ্য দিয়ে অকৃষিতে পরিণত হয়েছে তা চোখে না দেখলে বোঝার অবকাশ নেই। তা ছাড়া ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী-মুন্সীগঞ্জ-মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোতে দ্রুত কৃষিজমি কমছে। জমির ব্যবহার এসব জেলাসমূহে কী ভাবে হচ্ছে তা খোঁজ করারও কেউ নেই। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, আগামী ৫ বছর পর ঢাকার আশপাশে কৃষিজমি কিংবা কোন জলাশয় থাকবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাজধানীর গ্রাম হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল ডেমরা কোনাপাড়া, পাড়াডগর, সারুলিয়া, শনিরআখড়া, মান্ডা, মুগদা, পূর্বরাজারবাগ, মিরপুরসহ কিছু এলাকা। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এখন এসব এলাকা চেনা দায়। যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে আবাসন প্রকল্পসহ মিল ফ্যাক্টরি।

>>ঢাকার আশপাশের সবগুলো জেলার ভূমির চিত্র ঠিক একই রকমের। যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-আশুলিয়াসহ আশাপাশের এলাকায় রয়েছে বিলাল বিশাল জলাশয়সহ কৃষিজমি। দূর দূরান্ত থেকে মাটি দিয়ে নির্বিচারে ভরাট করা হচ্ছে জলাভূমিসহ জমি। দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে জমির চেহারা। অনেক জমি কেনার পর বাউন্ডারি করে রাখা হয়েছে। যেকোন সময় এসব জমি চলে যাবে অন্য খাতে।

@@জমি কমার বিভাগীয় চিত্রঃ



এসআরডিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগওয়ারি অকৃষি খাতে জমি চলে যাওয়ার প্রবণতা চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিবছর ১৭ হাজার ৯৬৮ হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। অন্য বিভাগের বেলায় দেখা যাচ্ছে রাজশাহী বিভাগে ১৫ হাজার ৯৪৫ হেক্টর, ঢাকায় ১৫ হাজার ১৩১ হেক্টর, খুলনায় ১১ হাজার ৯৬ হেক্টর, রংপুরে ৮ হাজার ৭৮১ হেক্টর, বরিশালে ৬ হাজার ৬৬১ হেক্টর জমি প্রতিবছর অকৃষি জমিতে পরিণত হচ্ছে।

@@ কি বলছে সরকারী বে সরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলিঃ

>>সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়, দেশে মোট জমির পরিমাণ ১৪ দশমিক চার মিলিয়ন হেক্টর। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এ জমি ভাগ করলে জনপ্রতি পাবেন ২৪ শতাংশ, চাষযোগ্য জমি পাওয়া যাবে ১৫ শতক। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো বছরে বাড়ছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। কমছে দুই লাখ একর কৃষিজমি।

>>পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১০ সালে দ্রুত জমি কমে যাওয়া রোধ করতে কঠোর আইন পাস করাসহ ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরে। রিপোর্টে বলা হয়, নির্মাণ কাজের কারণে প্রতিবছর তিন হাজার হেক্টর জমি বিলীন হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ১০ বছরে আবাদি জমি বিলুপ্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

>>বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৮৬ সালে আবাদি যোগ্য জমি ছিল ৮১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর। ২০০০ সালে তা কমে ৭১ লাখ ৯ হাজার হেক্টরে আসে। ২০০৩ সালে ৭০ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে এসে দাঁড়ায়। গড়ে প্রতিবছর ৪০ হাজার একর আবাদি জমি হারাচ্ছে। এ ছাড়া ৮০ শতাংশ সরকারী খাসজমির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।

>> বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের এক গবেষণায় বলা হয়, ১৯৭২-২০০৯ সাল পর্যন্ত ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৬ একর জমি অকৃষি খাতে চলে গেছে। এ খাতে চলে যাওয়া জমির মধ্যে ঘরবাড়ি নির্মাণ হয়েছে ৬৪ হাজার ৪৮৯ একর জমিতে। দোকান নির্মাণ হয়েছে ৬ হাজার ২৬২ একর জমিতে। কলকারখানা নির্মাণ হয়েছে ২২২ একর জমিতে। বিদ্যালয় দুই হাজার ৮২৭ একর, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৪৯৯ একর ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এক হাজার ৯৯৯ একর জমিতে।

>>সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের কৃষিজমি বিলুপ্তির প্রবণতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল পরবর্তী ১২ বছরে দেশে প্রতিবছর ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে।

>>বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায় জিডিপিতে কৃষির অবদান আস্তে আস্তে কমছে। ১৯৯৬-কে ভিত্তিবছর ধরে ২০১১ অর্থবছরে দেশের মোট কৃষি উৎপাদনের মূল্য হিসাব করা হয়েছে ৭৪২ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকা যা মোট জিডিপির ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অথচ ২০১০ সালে এ পরিমাণ ছিল ৭০৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন টাকা যা ছিল মোট জিডিপির ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। জিডিপিতে কৃষিখাতের এ অবদান গত দুই দশক ধরেই কমছে। ২০১১ অর্থবছরে কৃষি উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২০১০ অর্থবছরের চেয়ে দশমিক দুই শতাংশ কম হয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক শূন্য শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যা হয়েছে মূলত ২০১০ সালে কৃষিজমির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ার কারণে। অপর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান ২০ ভাগ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৬ শতাংশে এসে নেমেছে।

>> কৃষিজমির অপব্যবহার রোধে সরকার ‘জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি ২০১০’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন ২০১০’ প্রণয়নের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে দ্রুত কৃষিজমি হারানোর কারণে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি হুমকির সম্মুখীন। সরকারী তথ্যে দেখা যায়, প্রতিবছর দেশে কৃষিজমি কমছে ৮২ হাজার হেক্টর, যা মোট জমির ১ শতাংশ। কৃষিশুমারি ১৯৮৪ ও ২০০৮-এর মধ্যে তুলনা থেকে দেখা যায়, চাষকৃত এলাকার পরিমাণ কমেছে সাত লাখ ৩৩ হাজার একর, অর্থাৎ ২৪ বছরে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

>> বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার এ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) ‘আরবান লেবার মার্কেটস ২০১০’ শীর্ষক গবেষণায় জানা যায়, ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে ২০০৫-০৬ সালে অকৃষি পেশার সংখ্যা প্রায় আট লাখ থেকে বেড়ে প্রায় ১২ লাখ হয়েছে। অর্থাৎ বছরে বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে।

সব গবেষণার ফলাফল প্রায় একই কথা বলছে ,কমছে কৃষি জমি। কিন্তু সে জন্য নেই সরকারের কোন সমন্বিত পদক্ষেপ।নেই আধুনিক বাস্তব সম্মত কোন আইন। পাশের দেশ ভারেতে যখন জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রক্তারক্তি হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে নিরবে চলছে কৃষি জমি নিধন, আবার তা সরকারের জোগসাজোগে।

@@ আসলে কি প্রয়োজন

------------------------------------


বাংলাদেশের কৃষি জমি রক্ষার কথা বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। বস্তুতঃ এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কোন সরকার। বাস্তবিক অর্থে যে জিনিসটা সামনে চলে আসে তা হলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে কৃষি জমি রক্ষা করা কিছুতেই সম্ভব হবে না।

আইন করেও যথেষ্ট সুফল পাওয়া যাবে না। জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ এখন একটা মুখ্য সমস্যা। সরকারের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ তেমনি পারিবারিক শৃঙ্খলার জন্যও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে আরো অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এক বছর আগেও যে গতিশীলতা ছিল বর্তমানে তা অনেকটা তিথিয়ে এসেছে। এর জন্য সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বহীনতা কতকটা দায়ী বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। বলা হয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ কমে গেছে। আগে ঘরে ঘরে গিয়ে যেভাবে নারী পুরুষকে উদীপ্ত করা হতো, কর্মসূচি গ্রহণে আগ্রহ সৃষ্টির প্রচেষ্টা নেয়া হতো তেমন কর্মসূচি এখন নেই বললে চলে। এখন মানুষই যা আগ্রহ দেখায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আবাসন সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি কৃষি জমি যাচ্ছে আবাসন খাতে। বর্ধিত জনসংখ্যার আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে এই জমি ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষি জমি কমে যাওয়া রোধে দ্রুত আইন করতে হবে।আবাসনসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরিতে কৃষি জমির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে কৃষি জমি সুরক্ষার মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণের কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে কঠোর নীতিমালার আলোকে।

প্রস্তাবিত কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন দ্রুত পাশ করে এর দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। জদিও প্রশ্ন চলে আসে এই আইনের বাস্তব প্রয়োগ ও কার্যকারিতা নিয়ে।প্রশ্নটা আসার কারণ হলো সর্বগ্রাসী দুর্নীতি। দুর্নীতি ঢুকে গেছে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কৃষি জমি রক্ষায় আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে। এক্ষেত্রে দুর্নীতিকে আরো সম্প্রসারিত করা হলো কিনা সেটাও খোলা চোখে দেখতে হবে।

>> কারন দেশের অন্যতম প্রধান দুর্নীতির ক্ষেত্র হলো ভূমি অফিসগুলো। তা শহরের জেলা কিংবা উপজেলা পর্যায়ের হোক। ভূমি অফিসের দুর্নীতি রোধ করা না গেলে শুধু আইন দিয়ে কৃষি জমি রক্ষা করা যাবে না।<<

সুত্রঃ পত্রিকা, ব্লগ, সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন সাইট।

বিষয়: বিবিধ

১৭৬৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

258127
২৫ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
আবু সাইফ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ...
খুব ভালো লাগলো, তুলে রাখলাম

মূল বিষয়ে কিছু বললাম না!

২৬ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
202114
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ
258193
২৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫৩
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ব্যাপক তথ্য ও উপাত্ত সমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

নিজেরাই যদি নিজেদের খাবার ব্যবস্থা না করতে পারি, অন্য যত উন্নয়নই হোক না কেন – তাতো হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে সময় লাগবে না! এবং হচ্ছেও তাই! দেশের বাইরে প্রচুর টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, বাইরে থেকে যেগুলো ইনকাম করে আনছে – তাও আমদানীতে চলে যাচ্ছে; সেসব দিয়ে খাওয়ার পর খালি সুন্দর সুন্দর বাড়ীঘর হচ্ছে, জমি কমছে – শেষে হয়ত এমন হবে, কোন জমি নাই খালি বাড়ীঘর থাকবে আর কিছু বিদেশ-নির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকবে; সেসব বাড়ীঘরের মানুষগুলো আমদানী করে খাওয়ার জন্য বিদেশিদের গোলাম হয়ে যাবে পুরোপুরি।
২৬ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
202115
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ
২৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
202151
আহ জীবন লিখেছেন : সহমত।
258208
২৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মহেশখালি এবং সুন্দরবন উভয় জায়গাতেই পরিবেশ বা কৃষির প্রতি বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে এই প্রকল্পগুলি নেয়া হচ্ছে। এত জায়গার ও প্রয়োজন আছে কিনা সন্দেহ। বেশিরভাগ জায়গাই নষ্ট করা হবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বাংলো বা এজাতিয় কাজের জন্য। মুল প্লান্ট বেশি জায়গা নেবেনা। তুরুস্ক গাজার জন্য যে ভাসমান পাওয়ার প্লান্ট পাঠানর পরিকল্পনা নিয়েছে সেই পাওয়ারপ্লান্ট একটি জাহাজের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫০-২০০ মেগাওয়াট। মহেশখালির পাওয়ারপ্লান্ট কক্সবাজার এর আবহাওয়া নষ্ট করে দেবে।
২৬ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
202117
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ
258407
২৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
গোলাম মাওলা লিখেছেন : ধন্যবাদ। সব্বাই কে কষ্ট করে পড়ার জন্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File