সাঁতারু
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৭ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:০৭:৩৬ রাত
সাঁতারু
আজ ১৮ তারিখ, আজ বিশ্ব ক্রীড়াজগতে বাঙালির সাফল্যের স্বীকৃতি উজ্জ্বল একটি দিন। প্রথম বাঙালি এবং দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সর্বপ্রথম ব্যক্তিও তিনি। ‘নদীমাতৃক পূর্ববাংলার( বাংলাদেশের) বীর সন্তান’ হিসেবে সারাদেশ আজও গর্ববোধ করে তার জন্য।নিশ্চয় এতক্ষণ কার কথা বলছি বুঝে গেছেন। আমাদের দেশে প্রচলিত একটা কৌতুক দিয়ে তার পরিচয় শুরু করি। এক শিক্ষক তার ছাত্রকে প্রশ্ন করল,
শিক্ষক: বলত বিখ্যাত সাঁতারু ব্রজেন দাস, ইংলিশ চ্যানেল পার হবার পর সর্বপ্রথম কি করলেন?
ছাত্র: তোয়ালে দিয়ে গা মুছলেন সার।
হা তিনি বিখ্যাত সাঁতারু ব্রজেন দাস।
আসুন একপলকে দেখে নিই লিজেন্ড (বিশ্বরেকর্ডধারী) সাঁতারু ব্রজেন(১৯২৭-১৯৯৮) দাসকেঃ
জন্ম--ডিসেম্বর ৯, ১৯২৭ কুচিয়ামোরা, বিক্রমপুর, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ)
মৃত্যু--জুন ১, ১৯৯৮ (৭০ বছর) কলকাতা, ভারত
জাতীয়তা--বাংলাদেশী
শিক্ষা--বিএ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান--কেএল জুবিলি হাই স্কুল,বিদ্যাসাগর কলেজ।
পেশা--ক্রীড়াবিদ
পুরস্কার--১৯৫৯: প্রাইড অফ পারফরমেন্স, পাকিস্তান সরকার
১৯৭৬: জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, বাংলাদেশ (মরণোত্তর)
১৯৮৬ : "KING OF CHANNEL। Channel Swimming Association of the United Kingdom
১৯৯৯: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, বাংলাদেশ (মরণোত্তর)
আজকের এই দিনে (১৮ই আগস্ট ১৯৫৮ )ব্রজেন দাস পাড়ি দিয়েছিলেন ইংলিশ চ্যানেল। ব্রজেন দাসই প্রথম ব্যক্তি যিনি দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। ১৮ই আগস্ট ১৯৫৮ সালে ব্রজেন দাস এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
জন্ম ও পরিবার:
ব্রজেন দাসের জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক বিক্রমপুর এলাকার কুচিয়ামোড়া গ্রামে ১৯২৭ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হরেন্দ্র কুমার দাস। ব্রজেন দাস এর স্ত্রীর নাম মধু চন্দ্রা। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
শিক্ষাজীবন:
বিক্রমপুর এলাকার কুচিয়ামোড়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে ব্রজেন ঢাকার কেএল জুবিলি হাইস্কুল থেকে ১৯৪৬ সালে ঢাকার কে.এল. জুবিলি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর চলে যান কলকাতায়। পরে তিনি কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন।
সাঁতার ক্যারিয়ার:
বাল্যকাল থেকেই খেলাধুলার দিকে ঝোঁক ছিল। ফুটবল খেলা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন এবং স্কুলজীবনে সর্বদা স্কুল-ক্যাপ্টেন থেকেছেন। এরপর ভালো লাগতো ক্রিকেট। কিন্তু ছোটবেলায় সাঁতার কখনই তার কাছে খেলা মনে হয়নি। সাঁতার ছিল মজার বা আমোদের ব্যাপার। বুড়িগঙ্গা ছিল কাছেই। সাঁতারের আনন্দ ছিল একান্ত স্বাভাবিক। আন্তঃবিদ্যালয় খেলাধুলায় সাঁতার প্রতিযোগিতায় সর্বদাই প্রথম স্থান দখল করতেন। কলকাতায় কলেজ জীবনে সাঁতারের দিকে বিশেষ কারণে আগ্রহ জন্মায়, কারণ তার বাড়ির কাছাকাছি ফুটবল-ক্রিকেটাদি খেলার মাঠ ছিল না, অথচ সুইমিংপুল ছিল। সন্তরণক্রীড়ার বিজ্ঞান অর্থাৎ সাঁতারের বিভিন্ন কায়দা, নিয়মকানুন ইত্যাদি তিনি সেখানেই শেখেন। কলকাতায় ছাত্রাবস্থাতেই তিনি সাঁতারে প্রথম হতেন।
১৯৪৮-৪৯ খ্রিষ্টাব্দে আন্তকলেজ প্রতিযোগিতায় প্রথম বড় ধরনের জয়ের আস্বাদ পান। এরপর ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর ভারত থেকে নিজের দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর উদ্যোগে বাৎসরিক সাঁতার প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১০০, ২০০, ৪০০, ও ১৫০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে তিনি ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল অবধি পর পর ৪ বছর চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান অলিম্পিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় সর্বমোট চারটি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে মেলবার্নের অলিম্পিকে পাকিস্তান দল থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানি সাঁতারুদের নেওয়া হয়েছিল। চরম হাতশা কাটিয়ে এরপর ইনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘপথ সাঁতারের অনুশীলন করা শুরু করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত সাঁতারে যান।
ইংলিশ চ্যানেল ও ব্রজেন দাসঃ
ইংরেজি ভাষায়: English Channel, ফরাসি ভাষায়: La Manche লা মঁশ্ । পশ্চিম ইউরোপের একটি সংকীর্ণ সাগর যা ফ্রান্স এবং গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে পৃথক করেছে এবং উত্তর সাগরকে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ফরাসি ভাষায় এটি লা মঁশ (La Manche অর্থাৎ "কোটের হাতা") নামে পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ অবস্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার (ডোভারের প্রণালীতে) হতে পারে। পূর্বদিকে এর বিস্তার কমে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার হয়ে যায় এবং সেখানে এটি ডোভার প্রণালীর মাধ্যমে উত্তর সাগরের সাথে সংযুক্ত। ইংলিশ চ্যানেলের প্রধান দ্বীপগুলির মধ্যে আছে আইল অভ ওয়াইট এবং চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ। প্রধান বন্দরগুলির মধ্যে আছে ফ্রান্সের শেরবুর্গ ও ল্য আভ্র্, এবং গ্রেট ব্রিটেনের সাদাম্পটন। ছোট বন্দরগুলির মধ্যে আছে গ্রেট ব্রিটেনের ডোভার, প্লিমাথ ও পোর্ট্স্মাথ এবং ফ্রান্সের কালে, দাঁকের্ক, বুলোঞ-সুর-মের ও দিয়েপ। এই সব বন্দরগুলির মধ্যেই নিয়মিত ফেরি সংযোগ আছে। রেল ফেরিগুলি কোন বিরতি ছাড়াই লন্ডন ও প্যারিসের মধ্যে যাত্রী পরিবহন করে। ডোভার ও কালে শহরের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলের উপর দিয়ে আধা ঘণ্টার হোভারক্রাফট পরিবহনের ব্যবস্থা আছে। ১৮০২ সালে ইংলিশ চ্যানেলের তল দিয়ে সুরঙ্গ খুঁড়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের কথা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে এসে এটির খননকাজ শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে কাজটি সমাপ্ত হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে যাত্রী, গাড়ি ও ট্রাক পরিবহন সম্ভব।
ইংলিশ চ্যানেলে মাছ ধরা কমে গেছে। এখন শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের কাছাকাছি মাছ ধরা হয়। এছাড়াও সেখানে রঁস নদীর মোহনায় চ্যানেলের শক্তিশালী জোয়ার কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ইংলিশ চ্যানেলের তীরে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন উভয় দেশেই অনেক সমুদ্রতীরবর্তী অবকাশকেন্দ্র আছে।বিশাল এই ইংলিশ চ্যানেল প্রথম পাড়ি দেন একজন সাহসী বীর, তার নাম ব্রজেন দাস। তিনি একজন বাংলাদেশি সাঁতারু। তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় ব্যক্তি যিনি সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
১৯৫৮ সালের ১৮ আগস্ট তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ব্রজেন দাস সর্বমোট ছ'বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন: ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬১ সালে।
দিনটি ছিল ১৮ই আগস্ট ১৯৫৮। ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমের এই প্রতিযোগিতায় মোট ২৩টি দেশ অংশগ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগিতায় ব্রজেন দাস পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেদিন মধ্যরাতে ফ্রান্সের তীর থেকে প্রতিযোগিতার শুরু হয়। সে সময় পরিবেশ ছিল প্রতিকূলে। এই সময় ইংলিশ প্রণালী ছিল তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ এবং পানির উপরিভাগ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। শত বাধা পেরিয়ে তার পরের দিন বিকেলে প্রথম সাতারু হিসেবে ব্রজেন দাস ইংল্যান্ড তীরে পৌছান। ১৯৬১ সালে ১০ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন। ব্রজেন দাস সর্বমোট ছয় বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। এর মধ্যে একবার তিনি কোনোরকম বিরতি না দিয়েই ইংল্যান্ড-ফ্রান্স-ইংল্যান্ড সাঁতার কেটে পাড়ি দেন।১৯৫২ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ফ্রিস্টাইল সাঁতারে তিনি ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত পর পর ৪ বছর চ্যাম্পিয়ন হন। এছাড়া তিনি ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের জাতীয় প্রতিযোগিতায় ফ্রিস্টাইল সাঁতারের শিরোপা জেতেন। ১৯৫৬ সালে তিনি অলিম্পিক গেমসে পাকিস্তান সাঁতার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ব্রজেন দাস ১৯৫৮ সালের জুলাই মাসে ইতালির কাপ্রি দ্বীপ হতে নাপোলি পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার দূর পাল্লার সাঁতারে ৩য় স্থান অর্জন করেন। একই বছর আগস্ট মাসে তিনি ইংল্যান্ডে বিলি বাটলিনের চ্যানেল ক্রসিং প্রতিযোগিতায় ২৩টি দেশের ৩৯ জন সাঁতারুকে হারিয়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯৫৮ সালের আগস্ট মাসে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। সেপ্টেম্বরে তিনি ইংলিশ চ্যানেলকে ইংল্যান্ড হতে ফ্রান্সে সাঁতার কেটে পার হন। ১৯৬০ ও ১৯৬১ সালের আগস্টে তিনি ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড সাঁতার কাটেন। ১৯৬১ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেল সবচেয়ে কম সময়ে পাড়ি দেন।
চ্যানেল অতিক্রমের পর ১৯৬১ সালে রাণী মাতা রাণী এলিজাবেথের সাথে ব্রজেনদাস।
আন্তর্জাতিক দীর্ঘপথ সাঁতারে অংশগ্রহণ এবং কৃতিত্বের তালিকাঃ
ইতালি
জুলাই ১৯৫৮ কাপ্রি দ্বীপ থেকে নাপোলি পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার দূর পাল্লার সাঁতার। তৃতীয় স্থান
ইংল্যান্ড
আগষ্ট ১৯৫৮ ২৩টি দেশের ৩৯ জন সাঁতারুর মধ্যে প্রথম। ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্স। ইংলিশ প্রণালী।
ইতালি
জুলাই ১৯৫৯ কাপ্রি দ্বীপ থেকে নাপোলি পর্যন্ত (ভূমধ্যসাগরে)
ইংল্যান্ড
আগষ্ট ১৯৫৯ ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড। ইংলিশ প্রণালী।
ইংল্যান্ড
সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্স। ইংলিশ প্রণালী।
ইংল্যান্ড
আগষ্ট ১৯৬০ ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড। ইংলিশ প্রণালী।
ইংল্যান্ড
সেপ্টেম্বর ১৯৬১ ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড। ইংলিশ প্রণালী।
ইংল্যান্ড
সেপ্টেম্বর ১৯৬১ ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড। ইংলিশ প্রণালী। বিশ্বরেকর্ড স্থাপন।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
বিভিন্ন সাতার প্রতিযোগিতার পুরস্কার স্বরূপ অসংখ্য পুরস্কাররের অধিকারী ব্রজেন দাস। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন।
১৯৫৯: প্রাইড অফ পারফরমেন্স, পাকিস্তান সরকার
১৯৭৬: জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, বাংলাদেশ (মরণোত্তর)
১৯৮৬ : "KING OF CHANNEL। Channel Swimming Association of the United Kingdom
১৯৯৯: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, বাংলাদেশ (মরণোত্তর)
জীবনাবসান:
প্রশিক্ষণের পেশা গ্রহণের জন্য বিদেশ থেকে বহু আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি অর্থ কিংবা খ্যাতির মোহে স্বদেশ ছেড়ে যাননি। আজ আমরা ভূলে গেছি ব্রজেন দাসকে। তিনি বাঙালি হিন্দু, বাংলাদেশ তথা এশিয়ার গর্ব ১৯৯৭ সালে ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। এজন্য বেশ কিছুদিন ব্রজেন দাস কলকাতায় চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ১৯৯৮ সালের ১ জুন ৭০ বছর বয়সে ব্রজেন দাস কলকাতায় মারা যান।
তথ্যসূত্র :
* ব্রজেন দাসের উপর নির্মিত ওয়েব সাইট: http://www.brojendas.com
* শিশু বিশ্বকোষ
* বাংলাপিডিয়াতে ব্রজেন দাসের জীবনী।
* ব্লগ
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরেকজন ছিলো না কারার মিজান না কি যেন? বেচারা হারিয়ে গেলো – কোন খোজ নেই তার!
মন্তব্য করতে লগইন করুন