মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরিষ্কার কর্মীরা: আসুন না এদের একটু সচেতন করি।

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২১ জুন, ২০১৪, ০৬:৫৩:৩২ সন্ধ্যা

মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরিষ্কার কর্মীরা: আসুন না এদের একটু সচেতন করি।

ঢাক সিটিকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর জন্য। আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী খুব গর্ব করে এ কথা বলেছিলেন। টাকা থাকলে ৪ ভাগ করতেন। মনে আছে তো। এই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সুবিধা গুলি কি, বা তারা আমাদের কি সেবা দেয়? এই জন্য দেশের ৭-৮ টি সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে এরা সর্বশ্রেষ্ঠ কেলা( সিনেমায় দেয় না , বাজে অভিনয়,বাজে সিনেমার জন্য পুরস্কার) পুরস্কার পাবে আমি নিশ্চিত।

ওহ না, একটা সেবা খুব চোখে পড়ে , আর তা হল ফুট পাতের ড্রেন গুলির পাইপ বা রিং গুলি মাঝে মাঝে তুলে আবার নতুন বসানো এবং তার উপর বাঁকা ইটের টাইলস বসিয়ে প্লাস্টার করা। এই একটি কাজে এদের জুড়ি মেলা ভার। আর তাই এই কাজে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পাবার যোগ্য।

ঢাকার প্রধান সমস্যা ময়লা বা নোংরা পরিষ্কার করার ব্যাপারে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন গুলির অনীহা দেখি সবচেয়ে বেশি।আজ কাল রাস্তা ধরে হাটাও দুষ্কর হয়ে পড়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা সিটি কর্পোরেশন এর ময়লা পরিবহনের ট্রাকার বা কন্টেইনার গুলির জন্য। এই ময়লা পরিষ্কার করা সিটি কর্পোরেশন এর পবিত্র দায়িত্ব হলেও এরা এ ব্যাপারে এতই উদাসীন যে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠেছে ময়লা পরিষ্কার সংঘ। আর এ সংঘ গুলি এলাকায় গড়ে তুলেছে ময়লা পরিবহনের জমজমাট ব্যবসা।আর এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে এলাকার ক্ষমতাশালী ব্যক্তিগন। এই ব্যবসার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের আড়ালে এরা কামিয়ে নিচ্ছে বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ।

যেমন আমাদের বাসাবো এলাকায় এর নাম “ বাসাবো উন্নয়ন প্রকল্প” স্বদেশ উন্নয়ন প্রকল্প, ২৪০/২ মধ্য বাসাবো, ঢাকা-১২১৪। মোবাইল-০১৮১৮৭৮৮৭৪২ । এই সব সংঘের বেশ কিছু সদস্য রয়েছে, যারা প্রতি দিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি বাড়ি বা ফ্লাট ফ্লাট গিয়ে আগের দিনের ময়লা বা নোংরা নিয়ে আসে। আর এর জন্য মাসে মাসে এরা ৩০-৪০ টাকা রশিদ দিয়ে টাকা বুঝিয়ে নেয় তাদের ফি হিসেবে।

জানিনা তারা মাসে কত টাকা ভাগ পায় বা বেতন হয় ঐ টাকা দিয়ে। এলাকার ক্ষমতাশালী ব্যক্তিগন বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ কামিয়ে নিলেও এর কর্মীরা পায় নাম মাত্র বেতন এবং এদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে এই প্রভাবশালী মহলের নাই কোন মাথাব্যাথা।

তাই তো সবচেয়ে শোচনীয় যে বিষয়টা----- এদের কেও মুখোস বা মাস্ক পরে না ময়লা সংগ্রহ করার সময়। কিংবা হাতে পরে না কোনরকম গ্লাভস এবং পায়ে থাকেনা কোন জুতা।মোট কথা ময়লা সংগ্রহ থেকে ময়লার ট্রাকার বা কন্টেইনার নিয়ে সে সব ময়লা হতে প্লাস্টিক ও কাগজের টুকরা সংগ্রহ করে সে ময়লা ট্রাকার বা কন্টেইনারে উঠানো পর্যন্ত এরা কেও কোনরকম প্রয়োজনীয় গ্লাভস, মাস্ক ও জুতা ব্যবহার করে না। যা আমরা হরহামেশা দেখি উন্নত দেশের পরিষ্কার কর্মীদের ব্যবহার করতে। আমি নিজে একবার ওদের ময়লা সংগ্রহ গাড়ির কাছ দিয়ে যাবার সময় এত দুর্গন্ধ পেয়েছিলাম যে ,পরে ওদের রাস্তায় দেখলে এড়িয়ে চলি। এই সংঘে যেমন আছে যুবক, তেমনি আছে শিশু ও নারী, বৃদ্ধও দেখেছি আমি । এই সদস্যরা মুখোস বা মাস্ক ,গ্লাভসও জুতা না পরার কারণে বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাঝে আছে বা পড়তে পারে বা পড়ছে ঢাকার বিরাট এই পেশায় নিয়োজিত কর্মীরা।

>>>>আমরা আমাদের নোংরা দিয়ে ওদের সচেতন ভাবেই কি বিপদের মাঝে ফেলে দিচ্ছিনা এই বিরাট পেশাজীবীদের????????????????

তাই আমি ঢাকার সচেতন বন্ধুদের কাছে এবং সিটি কর্পোরেশন গুলির নির্দিষ্ট বিভাগের কাছে আবেদন করছি আপনারা এই সংঘ গুলির সদস্যদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করছি।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=729824060418855&id=100001738021664&refid=17

বিষয়: বিবিধ

১১৪৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

237342
২১ জুন ২০১৪ রাত ১১:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সত্যিই সাস্থ সম্পর্কে অতি অসচেতন তারা। যতটুক জানি কিছু গ্লাভস,বুট এবং মাস্ক সহ এই ধরনের কাজের জন্য কভার অল ধরনের পোষাক আছে। কিন্তু সেগুলি পর্যাপ্ত নয় এবং অস্থায়ি কর্মচারিদের জন্য সেগুলিও দেওয়া হয়না। অনেকে আবার সেগুলি পড়তেও চাননা। এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File