মুসা ইব্রাহীমের নামে মামলা আর আমাদের ইবসেন ভাই
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ০২ জুন, ২০১৪, ০৬:৪৫:২৫ সন্ধ্যা
মুসা ইব্রাহীমের নামে মামলা আর আমাদের ইবসেন ভাই
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘হিমালয়ের শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা’ রচনায় (ওয়েবসাইট সংস্করণ ও জুলাই ২০১২ সালের সংস্করণকে ভিত্তি করে) ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগ করে রাজশাহীতে শিক্ষা সচিব ও এভারেস্ট জয় নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়া মুসা ইব্রাহীমের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।
রোববার দুপুরে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আহমদ ইবনুল ওয়াক্ত। https://www.facebook.com/ibnul.ibsen আমাদের রাজশাহীর নবীন আইনজীবি ইবসেন ভাই । বই প্রেমী প্রত্যেকে তাকে চিনে হোমার বুকস এর স্বত্বধারি হিসেবে। যদিও বর্তমানে তার বই এর লাইব্রেরিটা নেই, তবুও তাকে কেও ভুলে গেছে বলে আমার মনে হয় না। সেই ইবসেন ভাই জার সঙ্গে আমার কেটেছে অনেক সময়। তার করা এই জনসচেতন মূলক মামলায় প্রশ্ন বিদ্ধ মুসা ইব্রাহিম এর হিমালয় জয় কে আরও এক ধাপ প্রশ্ন বিদ্ধ করে । অনলাইনে তার হিমালয় জয় কে অনেকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে লিখা লিখি করেছেন এবং তিনি অন্য এর একটা মামলার মুখমুখি এর আগেও হয়েছেন----যেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে মুসা ইব্রাহিম সবোচ্চ উচুতে উঠেন নি। তবে এবার তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে ভুল ভাল তথ্য দেবার জন্য। তাই আসুন দেখে নিই এবার তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ গুলি কি-------
অভিযোগে বাদী ইবনুল বলেন, “হিমালয়ের শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা শিরোনামে ওই রচনাটির প্রথম অনুচ্ছেদের শেষ সারিতে লেখা মুসা ইব্রাহীমের হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহনের সময় উল্লেখ করা হয়েছে ‘সময় ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিট’। এটা সঠিক নয় এই কারণে যে, চূড়া আরোহণের সময় মুসার সনদে লেখা রয়েছে ৬টা ৫০ মিনিট।”
বাদী হিমালয়ান ডাটাবেজের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “সেখানে লেখা রয়েছে ৪টা ৫০ মিনিট। তবে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংস্করণে এই জায়গায় লেখা রয়েছে ভোর ৫টা ১৬ মিনিট।”
মামলার দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, “মুসার ছোটবেলার কথা তুলে ধরতে গিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের একটি স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেখান থেকে হিমালয় দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে ঠাকুরগাঁও থেকে এভারেস্টের কোনো অংশই দেখা যায় না।”
এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেলা বাতায়ন ও বাংলাপিডিয়ার তথ্য উপস্থাপন করেন বাদী।
মামলার আর্জিতে আরো বলা হয়, “‘আমার বই’-এর ১০৭ নম্বর পৃষ্ঠায় ১৫তম লাইনে এভারেস্টের উচ্চতা বলা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৫ মিটার।”
সঠিক উচ্চতা হবে আট হাজার ৮৪৮ মিটার।
অবশ্য ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর সংস্করণে ‘সঠিক’ উচ্চতাই দেয়া রয়েছে।
বাদী ইবনুল ওয়েবসাইটের কথা তুলে বলেন, “ওয়েবসাইট তো এখন তথ্যের উৎস। সেখানে এখনো ভুল রয়েছে।”
এছাড়া ১০৯ নম্বর পৃষ্ঠার অষ্টম লাইনে দেয়া বেস ক্যাম্পের উচ্চতা নিয়েও অভিযোগ আনা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ওয়েবসাইট ও ২০১২ সালের ওই সংস্করণটিতে হিমালয় যেতে ‘বেস ক্যাম্পের’ উচ্চতা দেয়া হয়েছে ছয় হাজার ৪৫০ মিটার।
অথচ প্রকৃত উচ্চতা হবে ছয় হাজার ৪৯০ মিটার। অবশ্য ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর সংস্করণে দেয়া রয়েছে ২১ হাজার ফুট।
মামলা প্রসঙ্গে আহমদ ইবনুল ওয়াক্ত বলেন, “আদালত আগামী ৯ জুন মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে।”
পঞ্চম শ্রেণির ‘আমার বই’-এর ওই রচনাটি মুসা ইব্রাহীমের নিজের লেখা নয়।
কেন মুসাকে মামলার বিবাদী করা হয়েছে এ প্রশ্ন জানতে চাইলে ইবনুল বলেন, “মুসা ইব্রাহীম আমাদের গর্ব। তিনি আমার শত্রু নন। তবে তার সম্বন্ধে বইতে সঠিক তথ্য দেয়া হয়নি। এই বিষয়টি তারও জানা থাকা দরকার। এজন্যই মামলায় তাকে বিবাদী করা হয়েছে।”
মামলায় উল্লেখ করা ‘আমার বই’ সংস্করণটির সময়কালে শিক্ষা সচিবের দায়িত্বে ছিলেন কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোহাম্মদ সাদিক তার স্থলাভিষিক্ত হন।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হুদায় ক্যাঁচাল । কোন লাভ নেই । ধন্যবাদ ।
দু'দিনের পৃথিবী ভন্ড আর ভন্ডামীতে ভরে গেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন