ভাল লাগা কিছু ফেসবুকিয় স্ট্যাটাসের সমাহার
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২২ মে, ২০১৪, ০১:২৩:১৪ রাত
ভাল লাগা কিছু ফেসবুকিয় স্ট্যাটাসের সমাহার
১। পাশ্চাত্যের সমায়নুবর্তীতা,নিষ্ঠা,কর্ম,শিক্ষা-জ্ঞান,দেশপ্রেম কে সামনে না এনে যারা মাদারস ডে,ফাদারস ডে, প্যারেন্টস ডে এইসব "ফালতু দিন"কে ফেসবুকে "গ্লোরিফাই" করছেন, লাইকাচ্ছেন (ভাষারও তেশ মারা) তাদের কে বারন করার অধিকার/ক্ষমতা আমার নেই শুধু এইটুকু বলতে পারি সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য আজ আমাদের রক্ষনশীল বাংগালী সমাজে যে বিষ বাষ্প ছড়াচ্ছেন তার ফল হবে এই, একদিন হয়তো আপনাদেরই বৃদ্ধাশ্রমের ভাঙ্গা বেঞ্চে বসা দেখতে পাবো...এমনদিনে আপনার সন্তানরা আসবে আপনাদের দেখতে...তবে সেদিন আর লাইকাতেও পারবেন না, গ্রেট ফেসবুকার উপাধীও থাকবে না.........
২।যেকোন সরকারী হাসপাতাল হচ্ছে দূর্নীতির প্রতিচ্ছবি। হাসপাতালের জন্য ভেজাল মানের ঔষধ বা রিএজেন্ট সংগ্রহের জন্য রীতিমত কমপিটিশন হয়! স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ অনেক। তারপরও সরকারী হাসপাতাল এত নোংরা যা অনেক সময় ডাস্টবিনকে হার মানাবে! অপরদিকে অল্প খরচে পরিচালিত এনজিও ক্লিনিকগুলো ব্যবস্থাপনা অনেক অনেক গুন ভাল। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অতিরিক্ত টাকার বরাদ্দ দরকার নেই, দরকার শুধু পজিটিভ মানসিকতা। একজন হাসপাতাল প্রধান চাইলে এধরনের ছোট-খাটো বিষয়গুলোকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করতে পারেন। কিন্তু দূর্নীতিপরায়ন বা ডিমোরালাইড অফিস প্রধান/কর্মচারীরা সরকারী হাসপাতাল নামক ডাস্টবিনেই কাজ করতে সম্ভবত বেশ স্বাচ্ছন্দ্য ফিল করেন!
৩। মাইক্রোক্রেডিটের ব্যানারে সুদ/কিস্তিকে সুকৌশলে আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধে প্রবেশ করানো হয়েছে। আগে বিত্তশালীরা সুদের কারবারী ছিল। কিন্তু এখন ফকিররাও ভিক্ষা করে সুদে টাকা খাটায়! এটা সমাজিক প্রথা হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। সমাজের যত অনাচারের মূলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই সুদ প্রথা জড়িত।
4. সোজাসাপ্টা কথা, একমত হোন অথবা না হোন
ইদানিং একটা কালচারে পরিণত হয়েছে, যদি দুপক্ষের মধ্যে যে কোন কারনে ঝগড়া লাগে, আর তার একপক্ষ যদি হিন্দু হয় তাহলে সেটাকে সাম্প্রদায়িকতার ট্যাগ দিয়ে গোটা মুসলমানদের চোদ্দগুষ্টির সমালোচনা করা হয়! এর মুলে কিছু ভারতপন্থী চামচারা থাকে, তাদের ভাবটা এমন যেন মুসলমান একটা কুত্তার জাত!
আরে ব্যাটা ভালো করে দেখ, সাম্প্রদায়িক হামলাটা ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক! ধর্মের কারনে কোনদল হিন্দুদের উপর হামলা করে?
৫।পাকিস্তানের মত ভারতেও সেক্যুলার পার্টি তলিয়ে গেল। কংগ্রেস ও পিপিপি মনে হয় না তাদের আর হারানো গৌরব উদ্ধার করতে পারবে। নৈতিকভাবে অধঃপতন হলে অস্তিত্ব বিলীন হতে বাধ্য।
৬।" যুদ্ধশিশু " ছবিতে পাক কমান্ডার মালিক চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন পবন মালহোত্রা।
সে মৃত্যুর আগে নির্লিপ্ত ভাষায় বলে যায়, হয়তো তোমরা তোমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ পেয়েও যাবে। তারপর ? নিজেরা নিজেদের মাংস খুবলে খাবে। আমরাতো পাকিস্তান চলে যাবো। আমাদের কিচ্ছু করতে পারবেনা। তোমাদের শত্রু হবে তোমাদের নিজ দেশের লোক। আমরা জামাত, আলবদর, আলশামস রেখে যাচ্ছি। এদেরকে তোমাদেরই একটা পক্ষ লালন পালন করবে। তোমাদের বাংলাদেশ তছনছ করে দেবে। তাদের আঁটকাতে পারবেনা।
তার কথাগুলো কী ভয়ঙ্কররকমের সত্য '৭১ এর পর থেকে আজকের দিন পর্যন্ত।
৭।ফেরি ডুবি দুই দেশ প্রধানের দুই রকম কাটল
-----------------------------------------
দুটি দেশই এশিয়ার। দুজনই ক্ষমতায় আসীন। একটি ফেরি দুর্ঘটনায় একজন সংবাদ সম্মেলনে কেঁদে জনগণের কাছে ক্ষমা চান(দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট)। অন্যজন(অনির্বাচিত সংসদ সদস্য নিয়ে গঠিত সরকার) ক্ষমতায় থাকার জন্য পাশের দেশের ভাবি প্রধান মন্ত্রীর পায়ে তেল মারতে ব্যাস্ত। তার সময় নাই দেশের জনগণের দিকে খেয়াল দেবার , নাই কোন দায় দায়িত্ব। তিনি আবার আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখের পুত্রী জন নেত্রী-------------------------- (তার দলের চামচাদের দেওয়া বিশেষণ ) শেখ হাসিনা।
এদের লজ্জা হবে কবে। এরা শিখবে কবে। এরা একটু ভদ্র হবে কবে??????
৮।প্রথম আলো কর্তৃক বাংলাদেশের ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকে কোট আনকোট করে " পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ" বলে মোদীর জীবনী ছাপানোর নিন্দা প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছি, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে যারা প্রথম আলোকেই কেবল দুষছে তারা ভারতকে ছেড়ে দিয়েই কথা বলছে, অথচ প্রথম আলো ভারতের বয়ানই ছাপিয়েছে। তাইলে ভারতকে সেইফ করে শুধু প্রথম আলোকেই দায়ী করার মাঝে কাপুরুষতা যেমন আছে তেমনি আছে ভারতের প্রতি চরম দাসত্ব পোষণের হীন মানসিকতা। ভারতকে এত ভয় হলে আপনার প্রথম আলোরে নিন্দা করার নৈতিক অধিকারও নাই।
৯।বর্তমানে মডার্ন যুগের মুসলিম নারীরা নিজেদের হেফাজত করার জন্য কি বোরকা পড়ে নাকি পরপুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বোরকা পড়ে বুঝতে পারছি না...
বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে বর্তমানে হিজাবের নামে স্কিন টাইট শর্ট বোরকা পরা এবং স্কিন টাইট টাইলস পরা মুসলিম নারীদের আনাগোনা আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এই মডার্ন চেতনাধারি মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব একটা ঠাট্টা-তামাশার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই নারীরা কি নিজেদের হেফাজত করার জন্য বোরকা পড়ে নাকি পরপুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বোরকা পড়ে বুঝতে পারছি না...
১০।বিটিসিএল এ পড়ে থাকা অব্যহৃত ব্যান্ডউথ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে প্রতিদিন হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার কোটির টাকার উপরে। এই অবৈধ চক্রের শিরোমনির কমিশন বাবদ প্রতিদিন যে টাকা দেশ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, সেই কমিশনের ছয় মাসের টাকা একত্র করলে পদ্মা সেতুর অর্ধেক খরচ উঠে আসবে। কি কথাটা বিশ্বাস হচ্ছে না?
যদি বিশ্বাস না হয় তবে একটু খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। তবে সাবধান এই বিষয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরী করতে গিয়ে দু'জন সাংবাদিক খুন হয়ে গেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১২২০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সোজাসাপ্টা কথা, ভাল লেগেসে লেখাটা
মন্তব্য করতে লগইন করুন