দাদাদের দাদা গিরি, হাসিনাদের ভারত প্রীতি

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২০ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৫৮:৩৩ দুপুর

দাদাদের দাদা গিরি দেখে ও তাদের কথা শুনে দিন দিন মাননীয় স্পীকার হয়ে যাচ্ছি আমি। আপনাদেরও মনে হয় সেই অবস্থা। আমাদের মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে পরিচয়দানকারী লীগ সরকারের বিদেশনীতি বিশেষকরে তা ভারতের ক্ষেত্রে একটু লক্ষ করলে একটা পাগল বুজে হাসিনা গং মানে হয় পারলে স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারতের একটা রাজ্যে পরিণত করে।

তাদের ভারত প্রীতি ও ভালবাসা দেখে নিজের প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমের ও ভালবাসার গভীরতার কমতি দেখে নিজে নিজেকে ধিক্কার দিতে মন চাই। হাসিনার প্রেমের সঙ্গে পার না তুমি কেমন প্রেমিক হে। প্রেম কি ভাবে করতে হয় দেখে শেখ, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত প্রেমের নমুনা দেখে।

আসুন দেখি হাসিনার ভারত প্রেমের নমুনা -----

১। ভারতের সীমান্ত হত্যা সমান তালে চলছে তা বন্ধের নেই কোন উচিত জবাব বা কড়া সমালোচনা। হয় বন্ধ হবে তা না হলে আমরাও ওদের লাশ ফেলব সীমান্তে। শুধু আমরাই কি অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হয় না ওরাও অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হয়।

২০১৪ শালে ৫ জণ

২০১৩ সালে ২৯ জন,

২০১২ সালে ৪২ জন

২০১১ সালে ৩৪ জন,

২০১০ সালে ৭৪ জন,

২০০৯ সালে ৯৬ জন,

এত এত বাংলাদেশী বিএসএফের হাঁতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার অথচ ণেওয়া হয়নি কোন কঠোর পদক্ষেপ। নেওয়া হয়নি প্রতিশোধ। শুধু পতাকা বৈঠকের নামে মৃত মানুষগুলির সঙ্গে বৈমানি আর ভারত প্রেমে হাবু ডুবু খাওয়া।

২। অসম চুক্তিতে সুন্দর বনের বুকে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে বাংলাদেশী মানুষের সঙ্গে এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় বেইমানী করেছে হাসিনা।

কাঁচামাল আমাদের, জমি/ভূমি আমাদের, দ্বিগুণ পরিমাণ তেল আমরা সাপ্লাই দিব, আমাদেরই কৃষিজমি-বসত ভিটা-জল-জঙ্গল-জীবন ও অর্থনীতি ধবংস করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে- তারপরও মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করে আর দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে (এই ঋণ আমাদেরই পরিশোধ করতে হবে) অন্যায়ভাবে ৮৫% মালিকানা তুলে দেয়া হল ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির হাতে আর সেই এনটিপিসি নিজের ইচ্ছামত চড়া দামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের কাছেই বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুটবে। এই সব কিছুই ভয়াবহ ভারতীয় লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দিবে যে লুণ্ঠন ঔপনিবেশিক আমলের অবাধ লুণ্ঠনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। খোদ ভারতের মাটিতে বিনিয়োগ করেও এতো মুনাফা লুটতে পারবে না কোন ভারতীয় কোম্পানি। কিন্তু ভারতীয় লুণ্ঠন আর আধিপত্যবাদের কাছে জাতীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দেয়ার এটাই শেষ পদক্ষেপ না, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে পরিমাণ মুনাফা করবে ভারতীয় কোম্পানি তার পুরোটাই যেন ভারতে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য কোম্পানিকে ১০ বছরের কররেয়াত সুবিধা দিয়েছে সরকার

৩। সীমান্ত নদী গুলির বাধে উৎপন্ন বিদ্যুৎ আমাদের বুকের উপর দিয়ে বিদ্যুৎ করিডর দেবার চুক্তি করে আরেক বৈমাণী করেছে হাসিনা।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সর্বনেশে বিদ্যুত করিডর চুক্তিঃ

ক... ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ করিডরের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হয়ে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যাবে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিমালয় থেকে নেমে আসা বিভিন্ন নদীর ওপর ৪২৯টি বাঁধ দিয়ে এ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। কিছু বাঁধ ইতোমধ্যেই নির্মিত হয়েছে।

খ... কিন্তু সব থেকে অবাক করা বিষয় হলো এ করিডর দিয়ে যে বিদ্যুৎ যাবে সেই বিদ্যুৎ তৈরি হবে বাংলাদেশের উজানে হিমালয়ের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশেরই প্রাপ্য পানি প্রত্যাহার করে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে ধ্বংস করার বিদ্যুৎ বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাবে ভারতে।

গ... বাংলাদেশের প্রায় সব নদীর উৎস হিমালয়। ফলে বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশের ওপর এর তীব্র নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

৪। তিস্তায় পানি নেই,প্রমত্ত তিস্তাকে আজ ভারত ২০ ফুটি নালায় পরিণত করেছে উজান থেকে পানি প্রত্যাহার করে। ভারত প্রেমে অন্ধ হাসিনাদের সেই বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই, নেই প্রতিবাদের কঠোর ভাষা। কেমন যেন প্রেমে বিগলিত ভাব।

তিস্তার প্রবাহ পথে বিশাল বালু চর ও উভয় তীরে ভাঙনের তা-বে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে এর প্রস্থ কোন কোন জায়গায় ৫ কিলোমিটারেরও বেশী। আবার কোন জায়গায় মাত্র ২শ’ থেকে ৫শ’ গজে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। বর্ষাকালে এই নদীর গভীরতা ৫ দশমিক ৫০ মিটার হলেও শুকনো মওসুমে তা কোথাও কোথাও মাত্র দেড় মিটার থেকে এক মিটারে এসে দাঁড়ায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তার তলদেশে অজস্র পাথর, নুড়ি, বালি আর পলি পড়ে তিস্তার ১২৫ বর্গকিলোমিটার বুকে এখন বালির উত্তাপ। দেখে বোঝার উপায় নেই-এটি একদা খরস্রোতা নদী ছিলো। পরিবেশবিদরা বলেছেন, তিস্তাসহ এই অঞ্চলের ধরলা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী, আখিরা, দুধকুমার, বুড়ি তিস্তাসহ প্রায় ৩৩টি ছোট-বড় নদ-নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ব্যাপকভাবে নেমে গেছে। পাউবো সূত্রে প্রকাশ, প্রায়ই শুকনো মওসুমের শুরুতেই ভারত গজলডোবার সবক’টি গেট বন্ধ করে দেয়। ফলে তিস্তায় পানির প্রবাহ একেবারে তলায় গিয়ে ঠেকে।

এত প্রেম এত ভালবাসা করেও দাদারা বড় গাদ্দারি করছে আমাদের সঙ্গে। এর পরেও প্রেম চলছে।এ যেন সানি লিওনের দেহের প্রেমরে ভাই। পণ্য স্টার হলেও লুকিয়ে তার এক্স দেখার আনন্দের প্রেম।

আগের দিন এই দাদা বাবু প্রেমের নমুনা হিসেবে বলেছেন--------

উগ্র হিন্দু রাজনৈতিক দল বিজেপি শীর্ষ নেতার যুক্তি হলো,বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে। অন্যথায় এসব মুসলমানের সংস্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড জমি ছাড়তে হবে ঢাকাকে।স্বামীর প্রস্তাব, খুলনা থেকে সিলেট অবধি সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ফেরত দিক বাংলাদেশ।



এই ভাদা দাদা প্রেমের নমুনা হিসেবে চেয়ে বসলেন বাংলাদেশের একটি অংশ। তাহলে আমরাও দাবি করতে পারি পশ্চিম বঙ্গকে আমাদের দিয়ে দিতে হবে।

বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে আছে ১২ লাখ ভারতীয়

পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড জাল করে ১২ লাখেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এ মুহূর্তে বৈধ–অবৈধ মিলিয়ে সার্কভুক্ত ৬ টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি নাগরিক বাংলাদেশে বসবাস করছে।



এমন দাবি আমরাও প্রেমের খাতিরে করতেই পারি তাই না।

বড় পরিতাপের বিষয় দাদাদের দাদাগিরি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। হাসিনাদের ভারত প্রিতি দিন দিন বাড়ছে।

কিন্তু দেশের মানুষের/ তরুণদের ভারত ঘৃণা দিন দিন বাড়ছে।

তরুণদের ভারত বিদ্বেষ মনোভাব তুঙ্গে

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

210657
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : আপনাদের এসব হাপিত্যেশ কি কোনো কাজে আসবে? তারচেয়ে বরং আসুন দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে সহায়তা করি।
210689
২০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে আছে ১২ লাখ ভারতীয়

আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত।
২০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
159144
গোলাম মাওলা লিখেছেন : তাইতো চাই--- পশ্চিম বঙ্গকে আমাদের দিয়ে দিতে হবে।
225426
২৪ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৫
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : কী দুঃখজনক!! নিন্দা ও প্রতিবাদের ভাষা নেই!!
২৫ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩১
172836
গোলাম মাওলা লিখেছেন : স্বাগতম

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File