এই গরমে তরমুজ
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:২৬:৫৩ বিকাল
এই গরমে তরমুজ
একটি চমৎকার স্বাদের মৌসুমি ফলের নাম তরমুজ। অনেকে আবার তরবুজও বলে থাকেন। পানিতে ভরা থাকে বলেই হয়তো এই ফলটির ইংরেজি নাম (ইংরেজি: Watermelon) (Citrullus lanatus (কার্ল পিটার থুনবার্গ) একটি গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল। ঠান্ডা তরমুজ গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। এই ফল এ ৬% চিনি এবং ৯২% পানি এবং অনন্য জিনিস ২%।এটি ভিটামিন এ জাতীয় ফল। তরমুজ বা তরবুজ কোন দেশের আদি ফল বা এর আদি উত্স নিয়ে অনেক গবেষণা আছে। কোনো কোনো গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজ দক্ষিণ আফ্রিকার ফল। তবে বর্তমানে তরমুজ বাংলাদেশের নিজস্ব মৌসুমি ফলে পরিণত হয়ে গেছে।
তরমুজের ভালো ফলন হয় বা তরমুজ বেশি জন্মে চরাঞ্চল এবং নদী সংলগ্ন চরের বেলে মাটি বা পলি মাটিতে। তরমুজ ভালো উত্পাদনের জন্য শুকনো আবহাওয়া এবং প্রচুর রোদ প্রয়োজন হয়।
চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের সর্বত্রই তরমুজ পাওয়া যায়। তবে তরমুজের বেশি চাষ হয় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও যশোর জেলায়। এক সময় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা তরমুজের জন্য বিখ্যাত ছিল। দেশজুড়ে পতেঙ্গার তরমুজের আলাদা একটা খ্যাতি ছিল।
তরমুজের বিভিন্ন প্রজাতি আছে। তার মধ্যে -----হাল্কা সবুজ, সাদা দাগবিশিষ্ট ও গাঢ় সবুজ রঙের তরমুজ প্রধান এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ায় এই দুই ধরনের তরমুজের চাষাবাদও বেশি হয়।
তরমুজ বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল। ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এই তিন মাসে বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ পাওয়া যায়।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae
(unranked): সপুষ্পক উদ্ভিদ
(unranked): Eudicots
(unranked): Rosids
বর্গ: Cucurbitales
পরিবার: Cucurbitaceae
গণ: Citrullus
প্রজাতি: C. lanatus
দ্বিপদী নামঃ Citrullus lanatus ,
>►তরমুজের গুনাগুণঃ শহরে কিংবা গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। এই গরমে এক ফালি তরমুজ খেয়ে কেউ কেউ শরীরটাকে শীতল করার চেষ্টা করেন। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি মজাদার এই ফলটির ঔষধি গুণ সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি না। তরমুজের বহু ধরনের ঔষধি গুণের মধ্যে কয়েকটি নিম্নে তুলে ধরা হলো :
(ক) তরমুজে প্রচুর পরিমাণ লাইকোপিন পাওয়া যায়। লাইকোপিন হচ্ছে একটি লাল বর্ণ, হরিদ্রাবর্ণ রঞ্জক বিশেষ, যা টমেটো এবং বীজশূন্য ক্ষুদ্র রসালো ফলে এবং অন্যান্য ফলে পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানব শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী লাইকোপিন গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজে টমেটোর চেয়ে চল্লিশ গুণ বেশি।
লাইকোপিনের কাজ কী?
মানুষের শরীরে ফ্রি-র্যাডিকেলস বা এক ধরনের মুক্ত রাসায়নিক কণা উত্পন্ন হয়, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে দেয় এবং শরীরের চামড়ায় ভাঁজ ফেলে দেয়। ফলে অল্প বয়সেই মানুষকে বৃদ্ধ মনে হয়। এই মুক্ত রাসায়নিক কণা মানব শরীরে বিভিন্ন ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ তৈরিতে সাহায্য করে। লাইকোপিন নামক এই রঞ্জক মানব শরীরে নানাভাবে উত্পন্ন ফ্রি-র্যাডিকেলস বা মুক্ত রাসায়নিক কণাগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে নানাবিধ শারীরিক জটিলতা ও রোগ থেকে মানুষ রক্ষা পায়।
লাইকোপিন বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। লাইকোপিন রক্ত থেকে প্রস্টেট স্পেসিফিক এন্টিজেন কমিয়ে দেয়। ফলে প্রস্টেট বৃদ্ধি ও প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে যায়। গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রায় ৬০ শতাংশ প্রস্টেট ক্যান্সার লাইকোপিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ সম্ভব। এছাড়া লাইকোপিন ফুসফুস, পাকস্থলী, বৃহদন্ত্র, মুখগহ্বর, রেক্টাম, শরীরের চামড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিলতার প্রায় ৮০ শতাংশই লাইকোপিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ সম্ভব। ফিনল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, লাইকোপিন হৃিপণ্ডের রক্তবাহী নালীতে চর্বি জমতে দেয় না, এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়। চোখের অন্ধত্ব নিবারণেও লাইকোপিন গুরুত্বপূর্ণ।
মহিলাদের জন্য তরমুজ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মেডিসিন। তরমুজের উপাদান লাইকোপিন মহিলাদের স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা বিশেষ করে খিঁচুনি থেকে রক্ষা করে থাকে। যাদের শরীরের রক্তে লাইকোপিনের পরিমাণ বেশি তারা অন্যদের চেয়ে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য ও নীরোগ জীবন যাপন করে থাকেন।
(খ) লাইকোপিন ছাড়াও তরমুজে প্রচুর পরিমাণ শর্করা, প্রোটিন, কার্বো হাইড্রেড, পানি, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি ইত্যাদি পাওয়া যায়। অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রমের কারণে যারা ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়েন, তাদের জন্য তরমুজের শরবত খুবই উপকারী। তরমুজের শরবত পরিশ্রমজনিত ক্লান্তি ও দুর্বলতা কাটায়।
(গ) ঘন ঘন পিপাসা রোধে তরমুজ অধিক কার্যকরী। যাদের ঘন ঘন পিপাসা পায়, বিশেষ করে হৃদরোগের কারণে ঘন ঘন ও অধিক পিপাসা নিবারণে কিছুদিন তরমুজের শরবত পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
(ঘ) তরমুজের শরবত টাইপয়েড জ্বরের তীব্রতা কমাতে এবং জ্বর পরবর্তী অস্থিরতা ও ক্লান্তি দূর করে।
(ঙ) যারা রোদে কাজ করেন, বিভিন্ন কারণে রোদে সময় কাটাতে হয়, যাদের রৌদ্রের তাপজনিত ডিহাইড্রেশন হয়, তা কাটাতে তরমুজের শরবত বেশ ফলপ্রদ।
(চ) পুরষের বন্ধ্যত্ব ঘোচাতে এবং কামভাব তৈরিতে তরমুজের বীজ বেশ উপকারী। তরমুজের বীজ খোসা ছড়িয়ে বেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে পান করলে শুক্রবৃদ্ধি হয় এবং কামভাব জাগে।
(ছ) স্থূল লোকজনের উচ্চ রক্তের চাপ ও হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে এই মৌসুমি ফলটি তাত্পর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক তাঁদের পরিচালিত গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এমন দাবি করেছেন। আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশনে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
মধ্যবয়সী ১৩ জন স্থূল নারী ও পুরুষের ওপর ১২ সপ্তাহ ধরে স্বল্প পরিসরের এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছিলেন।
গবেষকদের দাবি, তরমুজ স্থূল লোকজনের উচ্চ রক্তের চাপ এবং হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তাত্পর্যপূর্ণভাবে কমায়। এটা শীতকালেও কার্যকর।
►তরমুজ প্রাকৃতিক ভায়াগ্রাঃ কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এই নীল ট্যাবলেটটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভায়াগ্রার সন্ধান দিলেন। এই নিরীহ প্রাকৃতিক জিনিসটি আর কিছু নয়, আমাদের অতি পরিচিত তরমুজ। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ভায়াগ্রার মতোই কার্যকর হচ্ছে তরমুজ।
টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির নতুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা যৌনশক্তির দিক থেকে অক্ষম বা দুর্বল, তাদের সক্ষমতার জন্য তরমুজই প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। অর্থাৎ তাদেরকে এখন থেকে আর ভায়াগ্রার পেছনে টাকা না ফেলে তরমুজ বন্দনায় মেতে উঠলেই চলবে।
একটি তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ এতো বেশি যে, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, সিট্রোলিন সাধারণত ফলের অখাদ্য অংশেই বেশি থাকে। গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “মানবদেহ সিট্রোলিনকে আরজিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে ভিন্ন মাত্রার অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা নাইট্রিক অ্যাসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। আবার নাইট্রিক অ্যাসিড দেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণের কারণেই মানুষের বিশেষ অঙ্গটি সক্রিয় হয়। আর ভায়াগ্রাও দেহের নাইট্রিক অ্যাসিডকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কৃত্রিম পন্থায় দেহে জৈবিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
তবে তার এই গবেষণার ফলকে সবাই এক বাক্যে এখনো মেনে নেননি। ‘দি জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিন’-এর প্রধান সম্পাদক ইরউয়িন গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘‘বিশেষ অঙ্গের উত্তেজনার জন্য অবশ্যই নাইট্রিক অ্যাসিড দরকার। কিন্তু বেশি করে তরমুজ খেলেই তা প্রাকৃতিকভাবেই একই কাজটি করে দেবে, এটা এখনো প্রমাণিত নয়।’’
সতর্কতা
পাকা তরমুজ চিনবেন যে ভাবে—পাকা তরমুজ হাতে তুলে নিলে সাইজের তুলনায় অধিক ভারী অনুভূত হবে এবং নাকের কাছে নিলে এক ধরনের মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যাবে।
তরমুজ যদিওবা রোদে ভালো জন্মে, তবে পাকা তরমুজ সর্বদা ঠাণ্ডা স্থানে রাখা উত্তম। গরমে, তাপে তরমুজের উপাদান আয়রন নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজ কেটে বেশিক্ষণ রাখা ঠিক নয়। তাতে তরমুজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন-সি নষ্ট হয়ে যায়।
এ ছাড়া তরমুজ চাষের শুরু থেকে বাজারজাত করা পর্যত্ম বিষ স্প্রে করার কাহিনী এখন সবারই জানা। অনেক সচেতন ব্যক্তিই এসব কারণে এখন আর আগের মত তরমুজ খান না। তবে দেশি তরমুজের চাষের চেয়েও বিদেশি জাতের তরমুজে আরো বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় এই খবরটি হয়তো এখনো অনেকেই জানে না। ভেতরের অংশ বেশি লাল ও মিষ্টি হওয়ায় বাজারে দেশি জাতের চেয়ে এখন বিদেশি জাতের তরমুজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিল্ডর, সিনজানটা, ভলুম প্লাস, তিতো, এ্যাডমারের মত বেশ কিছু বিষ বীজ বপনের পর থেকেই ব্যবহার করে থাকে কৃষকরা। এছাড়া শহরে বাজারজাতের সময় যেন তরমুজ ভালো দেখায় সেজন্যও কয়েক প্রকারের স্প্রে করা হয়।
এ সব বিষ ও ঔষধ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যত্ম ক্ষতিকর। যেসব কেমিক্যাল বা মেডিসিন ফলের বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয় তা মানুষের কিডনি, লিভারকে নষ্ট করে দিতে পারে। যেহেতু এসব কেমিক্যাল কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের মাঝে প্রবেশ করছে তাই তার প্রতিক্রিয়াটা আস্তে আস্তে হচ্ছে। এরফলে মহিলাদের গর্ভপাত ও সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ফল খেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে ভবিষ্যত প্রজন্মের শিশুরা। যেহেতু তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাই তাদের ওপর এসব বিষের কার্যকারিতা বেশি হয়।
এসব দেখেই মানুষের সচেতন হওয়া উচিত। একইসাথে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে। এ সব ঔষধ আমদানি বন্ধ ও বিষের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব তেমনি কৃষকদের বিষ ব্যবহারের জন্য সতর্কতা অবলম্বনে সচেতনতা বাড়াতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
>তরমুজের শরবত/ জুসঃ এক
উপকরণ : তরমুজের টুকরো ১ কাপ, চিনি পরিমাণমত, বিটলবণ অল্প, বরফ কুচি এক কাপ, লেবুর রস ও পুদিনা পাতা কয়েকটি।
প্রস্তুত প্রণালী : তরমুজের খোসা ছাড়িয়ে বিচিগুলো ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। এখন একটি ব্লেন্ডারে টুকরো করা তরমুজ, চিনি, বিট লবণ, লেবুর রস এবং কয়েকটি পুদিনার পাতা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে তা ছেঁকে বরফ কুচি দিয়ে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন ঠান্ডা তরমুজের জুস। তরমুজ ও আপেলের শরবত
>>তরমুজের শরবত/ জুসঃ দুই
উপকরণ : ৩০০ গ্রাম তরমুজ, বিট লবণ, চিনি, বরফ কুচি।
প্রস্তুত প্রণালি : তরমুজ ভালো মতো পরিষ্কার করে কেটে রস বের করতে বেল্গন্ডারের মধ্যে নিন [এতে যেন কোনো খোসা বা বিচি না থাকে]।
তাতে মিনারেল পানি, পরিমাণ মতো বিট লবণ, চিনি মিশিয়ে ২০ মিনিট ফ্রিজ এ রেখে দিন। ২০ মিনিট পর ফ্রিজ থেকে বের করে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
বিষয়: বিবিধ
২১৯৮ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিল্ডর, সিনজানটা, ভলুম প্লাস, তিতো, এ্যাডমারের মত বেশ কিছু বিষ বীজ বপনের পর থেকেই ব্যবহার করে থাকে কৃষকরা। এছাড়া শহরে বাজারজাতের সময় যেন তরমুজ ভালো দেখায় সেজন্যও কয়েক প্রকারের স্প্রে করা হয়।
এ সব বিষ ও ঔষধ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যত্ম ক্ষতিকর। যেসব কেমিক্যাল বা মেডিসিন ফলের বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয় তা মানুষের কিডনি, লিভারকে নষ্ট করে দিতে পারে।
তরমুজ আমাদের দেশিয় ফল এবং গ্রিষ্ম কালের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারি ফল। বেশি দাম দিয়ে অস্ট্রেলিয় আপেল বা মুসাম্বির থেকে এই দেশিয় ফল আমাদের সাস্থের জন্য অনেক বেশি উপকারি। অথচ আমাদের তথাকথিত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ গন এই দেশিয় ফল গুলির বিরোধিতা করেন।
এখন দাম মনে হয় একটু কমই । গরম একটু বাড়ার সাথে সাথেই দাম হু হু করে বেড়ে যাবে ।
লোভ লাইগা গেলো, মন চায় এখনই খাই। বাসায় ব্লেন্ডার আছে কিন্তু নষ্ট। এখন আমি কি করি??? মাথাটা নষ্ট...
খাইবার চাই।।। তরমুজ কই,কই,কই....???
খাইবার চাই।।। তরমুজ কই,কই,কই....???
মন্তব্য করতে লগইন করুন