“তসলিমা নাসরিন তুমি আবার এস, বাংলাদেশে তোমার নিমন্ত্রণ”
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:১৪:১৮ সন্ধ্যা
“তসলিমা নাসরিন তুমি আবার এস, বাংলাদেশে তোমার নিমন্ত্রণ”
@@ তসলিমা হুজুর এর ভণ্ডামি----
>> সুরা নিসায় (আয়াত ৩০) লিখা আছে—পুরুষয় নারীর তত্ত্বাবধায়ক শাসক, কারন আল্লাহ তাদের এককে অপরের ওপর প্রধান্য দান করেছেন।
যেহেতু ধর্ম বলে – নারীর কোন ক্ষমতা নেই পুরুষের উপর কতৃত্ব করার , প্রধান্য বিস্তার করার , যেহেতু ধর্ম বলে নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়, জায়েজ নয়। তাই ধর্ম যাদের একমাত্র হাতিয়ার তারা কোন প্রকার নারিপ্রধান দলের বিরুদ্ধে জেহাদে নামবে, এই তো ছিল স্বাভাবিক ।( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-১১৩)
>> হাদিসে আছে – স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত। ।( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-৮৭)
>> ধর্ম বলে নারীকে পর্দার ভিতরে থাকতে হবে । আপন বাবা, ভাই ,চাচা, মামা, ইত্যাদি হাতে গোনা ক জন আত্মীয় ছাড়া আর কোন পুরুষের সামনে আসা তাদের নিষেধ । মুসলিম নারীকে অবরোধ রাখার জন্য ধর্মর শৃঙ্খল সবচেয়ে বড় শৃঙ্খল । এই শৃঙ্খলের কারণে অধিকাংশ মেয়ে আজ নিরক্ষর, উত্তরাধিকার বঞ্চিত, বাল্যবিবাহ , তালাক ও বৈধ বের নির্যাতনে শিকার।( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-৮৬)
>> কোন ধর্মেয় পুরুষের জন্য কোন সতীত্বের ব্যবস্থা নেই । পুরুষের জন্য একগামিতার প্রয়োজন নেই। তার জন্য ধর্ম ও সমাজ গানিকালয়ের ব্যবস্থা করে রেখেছে। তার জন্য চারটি বিয়ে হালাল করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে দাসীকেও বৈধ করা হয়েছে। ( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-৮৭)
>> ইহুদি , খৃস্টান ও মুসলিম ধর্ম মতে – নারীর জন্ম পুরুষের পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে। মুসলিম মেয়েরা যানে স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত। ।( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-৮৭) । যানে স্বামী কে তুষ্ট রাখতে পারলে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা খুশী হন। তাই বেহেশতের লোভ দেখিয়ে স্বামীর পদসেবায় স্ত্রীদের নিয়জিত রাখার এক ধরনের কৌশল , ধর্মের এবং সমাজের। ( কঃ ২২২)
>> উত্তরাধিকার আইনে মেয়েদের বঞ্চিত করা হয়েছে ইসলামে। পুত্র সন্তানদের জন্য রেখেছে ২ ভাগ, কন্যাদের জন্য ১ ভাগ। এই অসভ্য উত্তরাধিকার আইনটি এই দেশে প্রচলিত। বিবাহ আইনে মেয়েরা দেনমোহরের শর্তে মেয়েরা পুরুষের কাছে একরকম বিক্রি হয়। ( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-৯০)
>> ছেলে জন্মালে বাঙ্গালি মুসলমান জন্মের আনন্দ প্রকাশ করতে আঁতুড়ে ঘরের দাওয়ায় দাড়িয়ে আজান দেয়। মেয়ে জন্মালে আজান দেবার নিয়ম নেই। ছেলে জন্মালে আকিকা নামক অনুষ্ঠানে ১ টি গরু বা ২ টা খাসি কোরবানি করতে হয়। আর মেয়ের বেলায় ১ টি খাসি হলেই চলে। ( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-৮৬)
>> ইসলাম বলে – নারী হচ্ছে তোমাদের শস্যক্ষেত্র , এই শস্যক্ষেত্রে তোমরা যে ভাবে ইচ্ছে গমন কর।
>> দারুল হরব( অমুসলিম রাষ্ট্র) এর ঘর বাড়ি ভেঙ্গে চুরে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলতে হবে। সেগুলি পুড়িয়ে ভস্ম বানাতে হবে। যেভাবে হোক অমুসলিমদের মুসলিম বানাতে হবে। এর যদি না পারা যায় তবে তাদের হত্যা করে দারুল হরব( অমুসলিম রাষ্ট্র) কে দারুল ইসলাম বানাতে হবে।
>> কোরআন বিশ্ব জগতের বাস্তবতা বর্ণনা করতে অক্ষম। বরং এটি প্রাচীনত্ব পূজারি হবারই শিক্ষা দেয়।সুতরাং মুসলিমরা কি ভাবে মডান হতে পারবে। ( দ্বিখণ্ডিত)
>> আমি কোরআন বিশ্বাস করি না। নামাজ পড়িনা । কোরআনে ভুল ত্রুটি রয়েছে। আল্লাহ মিথ্য বলেন। কেননা কোরআনে আছে – সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। ( Savvy Mumbay-1995)
এ রকম হাজারও মিথ্যা কথায় এবং মিথ্যা ভাষণে ভঁরা তসলিমার বই গুলি।
@@ দেওয়ানবাগী হুজুর আখড়ার হুজুর এর ভণ্ডামি---
তার দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বই পড়লে এই ধর্মীয় ভন্ডকে একজন অসুস্থ মানুষ ছাড়া কিছুই মনে হবেনা। এর ভন্ডামীর নমুনা হিসাবে এই ভন্ডের নিজের হাতে লিখিত তার খানকা কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা থেকে কিছু ভন্ডামী এখানে কোড করা হলঃ
১. "'দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। মাথা দক্ষিন দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, ''হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকারী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে।" [ সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত]
২. "একদিন ফজরের পর মোরাকাবারত অবস্থায় আমার তন্দ্রা এসে যায়। আমি তখন নিজেকে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় রওজা শরীফের নিকট দেখতে পাই। দেখি রওজা শরীফের উপর শুকনা পাতা এবং আগাছা জমে প্রায় এক ফুট পুরু হয়ে আছে। আমি আরো লক্ষ্য করলাম, রওজা শরীফে শায়িত মহামানবের মাথা মোবারক পূর্ব দিকে এবং মুখমণ্ডল দণি দিকে ফিরানো। এ অবস্থা দেখে আমি আফসোস করতে লাগলাম। এমন সময় পাতার নীচ থেকে উঠে এসে এ মহামানব বসলেন। তার বুক পর্যন্ত পাতার উপর বের হয়ে পড়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে আমার রওজা পরিষ্কার করে দেবেন না ? আমি বললাম, জী, দেব। তিনি বললেন, তাহলে দিন না। এভাবে বারবার তিনবার বলায় আমি এক একটা করে পাতা পরিষ্কার করে দেই। এরপর আমার তন্দ্রা ভেঙে যায়।" [সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত]
৩. "দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ও তার মুর্শিদ চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয়।
অত:পর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে এক মিছিল বের করে। মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের, যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেন_ ''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো।"
[সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯]
৪. "অন্তর্দৃষ্টি খোলা এক আশেক দেখতে ছিলেন এই অনুষ্ঠান রাহমাতুলি্লল আলামীন তাশরীফ নিয়েছেন। এবং রাব্বুল আলামীন দয়া করে তাশরীফ নিয়েছেন। রাব্বুল আলামীন এসে একটা নির্দেশ করেছেন যে, এ বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে যত আশেকে রাসূল অংশগ্রহণ করেছেন রাব্বুল আলামীন ফেরেস্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত আশেকে রাসূলদের তালিকা তৈরী করতে। এই তালিকা অনুযায়ী তারা বেহেস্তে চলে যাবে। এটা কি আমাদের জন্য বুলন্দ নসীব নয় কি ? যারা গত বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের জন্য কি এটা চরম পাওয়া নয় ?"
[সুত্র: মাসিক আত্মার বাণী, নভেম্বর : ১৯৯৯]
৫. দেওয়ানবাগীর একজন খাদেম (নাম মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী) এক আশেকে রাসুল সম্মেলনে বলেন- "আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মিত মক্কার কাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা) বলছেন ''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) তার সাথে আছি এবং সর্বক্ষণ থাকি। আর কাবা ঘরও তার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্ দেওয়ানবাগী প্রচার করতেছেন।"
এখন আপনারাই বলেন, এই খোদার খাসিকে সুস্থ, নাকি অসুস্থ বলবেন?
@@রাজারবাগ আখড়ার হুজুর এর ভণ্ডামি---
১. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-রাজারবাগের মুর্শিদ ক্বিবলা জান্নাতী, তোমরা অনুসারিরাও জান্নাতী।
২. বরিশালে বিবির পুকুর পাড়ের সেই মাহফিলে যা হয়েছিল। রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর উসীলায় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়নি ॥ হিফাযত হয়েছে শত-সহস্র মানুষ
৩. লাওহে মাহ্ফূযে জ্বলজ্বল করছে মুজাদ্দিদুয্ যামান লক্বব মুবারকটি
৪. খাগড়াছড়ির দূর্গম ও শঙ্কাজনিত যাত্রা পথের পুরোটিতেই মহান আল্লাহ্ পাক-এর তরফ থেকে খাছ গায়েবী মদদ রূপে আলাদাভাবে, খাছ করে সাদা কবুতর ও ডাহুক পাখির ছূরতে ৭০ হাজার ফেরেশতা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীসহ গোটা সফরসঙ্গীগণকে বেষ্টন করে উড়ছিল
৫. হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর তরফ থেকে স্বপ্নযোগে টাকা পেলেন ভোলাহাটের মাওলানা মুহম্মদ মুহসিনুর রহমান
৬. হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর উসীলায় নিষ্প্রভ বাতি জ্বলে উঠে দাউ দাউ করে এবং দীর্ঘ প্রায় তিন ঘন্টা আলোদান করে তেলহীন চেরাগ
৭. চোখে বুছা দেয়া সুন্নত স্বপ্নে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই সত্যায়ন করলেন মুজাদ্দিদে আযমের তাজদীদী ফতওয়া ও আমল মুবারক
৮. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তরফ থেকে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার স্বীকৃতি প্রদান
৯. রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ফুঁক ও তাবীজের দ্বারা আশ্চর্য রকমের ফায়দা হাছিলের অগণিত ঘটনাসমূহের মাঝে কয়েকটির বর্ণনা-
১০. স্বপ্নে দেখে পানিপড়া দেয়ায় আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েল হয়ে গেল আর্সেনিকমুক্ত
১১. স্বপ্নে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন আমি রাজারবাগ শরীফে যাচ্ছি
১২. ইনিইতো বর্তমান যামানার মহামান্য মুজাদ্দিদ ও সম্মানিত আওলাদে রসূল
১৩. হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ শুনে বিদ্রুপ ও বিদ্বেষ বশতঃ মাহফিল ত্যাগ করায় বিরোধীরা একই স্থানে ঘুরপাক খেয়েছে সারারাত
১৪. হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর খিদমতে হাদীয়া দেয়ার উছীলায় ফসলের হিফাযত ও বরকত লাভ এবং সংসারের অভাবিত উন্নতি
১৫. একমাত্র উনার মাধ্যমে যারা আমার কাছে আসবে আল্লাহ পাক তাদেরকেই পূর্ণ নিয়ামত দান করবেন!
১৭. হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর উসীলায় কবরে হলনা সুওয়াল-জাওয়াব॥ সুসংবাদ প্রদান করা হলো কিয়ামত অবধি
১৮. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক খিলাফত প্রাপ্তি।
এই উম্মাদকেই বা কি বলবেন।
@@ চরমোনাই হুজুর এর ভণ্ডামি--
>চরমোনাই পীর সাহেব লিখেছেনঃ “হযরত থানবী লিখিয়াছেন, জনৈক দরবেশসাহেবের মৃত্যুর পর এক কাফন চোর কবর খুড়িয়া (দরবেশের) কাফন খুলিতে লাগিল । দরবেশ সাহেব চোরের হাত ধরিয়া বসিলেন । তা দেখে চোর ভয়ের চোটে চিৎকার মারিয়া বেহুঁশ হইয়া মরিয়া গেল ।দরবেশ স্বপ্নযোগে তার এক খলীফাকে আদেশ করিলেন চোরকে তার পার্শ্বে দাফন করিতে । খলীফা এতে আপত্তি করিলে দরবেশ বলিলেনঃ কাফন চোরের হাত আমার হাতের সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলছেরাত পার হইয়া যাইব?” (ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮ পৃঃ)
>তিনি আরো লিখেছেনঃ কেয়ামতের সেই মহাবিপদের সময় হক্কানী পীর সাহেবগণ আপন মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর কাছে পৌঁছাইয়া দিবেন । এবং হুজুরে আকরাম (সাঃ) তাহাদিগকে হাউজে কাউছারের পানি পান করাইবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৬৬)
>তিনি আরো লিখেছেনঃ “এরূপভাবে পরকালেও তাঁহাদের (ওলীদের) ক্ষমতার সীমা থাকিবে না। হাশরের মাঠে একজন আওলিয়ায়ে কেরামের উছিলায় হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ছাল্লামের হাজার গুনাহগার উম্মতকে আল্লাহ্ পাক মাফ করিয়া দিবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৮১)
>বান্দা অসংখ্য গুণাহ করার ফলে আল্লাহ্ পাক তাহাকে কবুল করিতে চান না । পীর সাহেব আল্লাহ্ পাকের দরবারে অুননয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দুআ করিবেন, যাহাতে তিনি তাহাকে কবুল করিয়া নেন ।” (ভেদে মারেফতঃ ৩৪ পৃঃ)
>চরমোনাই পীরের লেখা ‘ভেদে মারেফত’ বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় মৃতকে জীবিত করার যে গল্পটা আছে তা নিম্নরূপঃ
শামসুদ্দীন তাব্রীজী নামের এক লোক ছিলেন। লোকেরা তাকে পীর সাহেব কেবলা বলত।
একদা হযরত পীর সাহেব কিবলা রোম শহরের দিকে রওয়ানা হইলেন। পথিমধ্যে ঝুপড়ির ভে...তর এক অন্ধ বৃদ্ধকে লাশ সামনে নিয়া কাদঁতে দেখিলেন। হুজুর বৃদ্ধকে প্রশ্ন করিলে বৃদ্ধ উত্তর করিলেন, “হুজুর এই পৃথিবীতে আমার খোঁজ খবর করিবার আর কেউ নাই, একটি পুত্র ছিল সে আমার যথেষ্ট খেদমত করিত, তাহার ইন্তেকালের পর সে একটি নাতি রাখিয়া যায়। সেই ১২ বছরের নাতি একটা গাভী পালিয়া আমাকে দুগ্ধ খাওয়াইত এবং আমার খেদমত করিত, তার লাশ আমার সম্মুখে দেখিতেছেন। এখন উপায় না দেখিয়া কাঁদিতেছি” । হুজুর বলিলেন এ ঘটনা কি সত্য? বৃদ্ধ উত্তর করিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন হুজুর বলিলেন"হে ছেলে আমার হুকুমে দাঁড়াও"। তো ছেলে উঠে দাঁড়াল এবং দাদুকে জড়াইয়া ধরিল, বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করিল “তুমি কিরূপে জিন্দা হইলে”। ছেলে জবাব দিল, “আল্লাহর অলি আমাকে জিন্দা করেছেন”। (নাউজুবিল্ লাহ) তারপর ঐ অঞ্চলের বাদশাহ হুজুরের এই খবর পেয়ে উনাকে তলব করিলেন। উনাকে পরে জিজ্ঞেস করিলেন"আপনি কি বলিয়া ছেলেটিকে জিন্দা করিয়াছেন"। হুজুর বলিলেন আমি বলেছি “হে ছেলে আমার আদেশে জিন্দা হইয়া যাও”। অতঃপর বাদশাহ বলিলেন, “যদি আপনি বলিতেন আল্লাহর আদেশে”। হুজুর বলিলেন"মাবুদ! মাবুদের কাছে আবার কি জিজ্ঞেস করিব। তাহার আন্দাজ নাই (নাউজুবিল্ লাহ)। এই বৃদ্ধের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহাও নিয়াছে, বাকী ছিল এই নাতিটি যে গাভী পালন করিয়া কোনরুপ জিন্দেগী গোজরান করিত, তাহাকেও নিয়া গেল। তাই আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি”। (নাউজুবিল্ লাহ)।
এরপর বাদশাহ বলিলেন আপনি শরীয়াত মানেন কিনা? হুজুর বলিলেন “নিশ্চয়ই! শরীয়াত না মানিলে রাসূল (সাঃ) এর শাফায়াত পাইব না”। বাদশাহ বলিলেন, “আপনি শির্ক করিয়াছেন, সেই অপরাধে আপনার শরীরের সমস্ত চামড়া তুলে নেয়া হবে”। এই কথা শুনিয়া আল্লাহর কুতুব নিজের হাতের অঙ্গুলি দ্বারা নিজের পায়ের তলা থেকে আরম্ভ করে পুরো শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নিলেন, তা বাদশাহর কাছে ফেলিয়া জঙ্গলে চলিয়া গেলেন। পরদিন ভোরবেলা যখন সূর্য উঠিল তার চর্মহীন গায়ে তাপ লাগিল তাই তিনি সূর্যকে লক্ষ করিয়া বলিলেন “হে সূর্য, আমি শরীয়াত মানিয়াছি, আমাকে কষ্ট দিওনা”। তখন ওই দেশের জন্য সূর্য অন্ধকার হইয়া গেল। দেশের মধ্যে শোরগোল পড়িয়া গেল। এই অবস্থা দেখিয়া বাদশাহ হুজুরকে খুঁজিতে লাগিলেন। জঙ্গলে গিয়া হুজুরের কাছে বলিলেনঃ শরীয়াত জারি করিতে গিয়া আমরা কি অন্যায় করিলাম, যাহার জন্য আমাদের উপর এমন মুসিবত আনিয়া দিলেন। তখন হুজুর সূর্য কে লক্ষ করিয়া বলিলেনঃ আমি তোমাকে বলিয়াছি আমাকে কষ্ট দিওনা, কিন্তু দেশবাসীকে কষ্ট দাও কেন? সূর্যকে বশ করা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? ইহা বলা মাত্র সূর্য্য আলোকিত হইয়া গেল। আল্লাহ্ পাক তাহার ওলীর শরীর ভাল করিয়া দিলেন।
@@ মাইজভান্ডারী হুজুর এর ভণ্ডামি--
এই যে আহলে সুন্নাত বা সুন্নি নামে বর্তমানে বেশ ব্যপক প্রচারনা করছে-তারা মূলত মাইজ ভান্ডারী। এদের আকিদা গুলি নিচে দেওয়া হল ।
>মাইজভান্ডার দরবার শরীফের দেয়ালে ওরা লিখা আছে --- আমি স্রষ্টার গুনে গুনাম্বিত, তাই প্রকৃতির মত নিরব( গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী)
>যে কেহ আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করিবে আমি তাকে উন্মুক্ত সাহায্য দান করিব( আহমদুল্লাহ মাইজভান্ডারী)
> ১৯২৬ সালে গাউছুল আজম হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) মাইজ ভান্ডারীর প্রতিষ্ঠা করেছেন, যিনি এর নেতা- ১৯৯১ সনে ১১ এপ্রিল তার প্রকাশিত একটা বই আছে যার নাম ‘বাইয়াতে সামথিং’। সেখানে স্পষ্ট লিখেছেনঃ
“ কেউ যদি জান্নাত পেতে চায় তাকে মুসলমান না হলেও চলবে, তাকে ভাল মানুষ হতে হবে”।
@@ পীরদের ভণ্ডামি ও তসলিমা নাসরিন
>প্রথমেই শুরু করে এভাবে ,"মনের পর্দা বড় পর্দা , সব পর্দা ফালাও রে !!
>পীরদের আয়াত একটাইঃ যার পীর নাই তার পীর শয়তান ।
এই রকম আটরশি , ফরিদপুরের জাকের পার্টি , কুতুববাগি, হেন তেন রা এমন সব বক্তব্য এবং কথা বলেন এবং তাদের মুরিদদের মাঝে প্রচার করেন তা তসলিমার প্রচারিত ও লিখিত মিথ্য কথা হতে কম কি????????????????????????????
>তাহলে তসলিমার ইসলাম সম্পর্কে বক্তব্য তার ইসলাম সম্পর্কে মিথ্য প্রচারনা তার বাংলাদেশ হতে বিতাড়নের মুল কারন কি।
না মুল কারন নয়।
> মুল কারন তার পুরুষ বিরোধিতা বা পুরুষদের লিখনির মাধ্যমে উলঙ্গ করে ছেড়ে দেওয়ায় তার বিরোধিতার মুল কারন। তা না হলে কই এই সব আটরশি , ফরিদপুরের জাকের পার্টি , কুতুববাগি,দেওয়ানবাগী হুজুর, মাইজভান্ডারী হুজুর রাও তো ইসলামের নামে তাদের বই পত্রিকা...... ইত্যাদিতে মিথ্যাচার করেছেন। কই তাদের বিরুদ্ধে তসলিমার মত বড় কোন আন্দোলন বা কেস বা দেশ হতে বিতাড়নের ঘটনা ঘটলনা। কেন শুধু তসলিমার পিছে লাগলাম আমরা।
>> ঐ সব হুজুর এবং তসলিমার মধ্যে তফাতই বা কি? কেনই বা এই দু মুখো নীতি। ???????????? >তসলিমার ধর্ম বিরোধিতা সব ভুয়া, ধর্মের কটূক্তিকে সামনে রেখে বা বলা যায় ধর্মের ঘাড়ে বন্দুক রেখে মূলত পুরুষ সমাজে বসবাসরত এক মেয়ে হয়ে পুরুষের বিরুদ্ধে “হাটে হাড়ি ভাঙ্গবে” একটি পুরুষ শাসিত সমাজ তা মেনে নিবে, বা নিরবে সহ্য করবে তা কি হয়।
>জগত সমাজ নজরুলকে বলে তুমি লিখছ—ওকে লিখ।
সেই জগত সমাজ তসলিমা লিখলে বলে – ইস কি পাকামো তোমাকে কে লিখতে বলেছে।
এগুলি কোন যুক্তি না , না কোন সাম্যের ভাষা...... একই কথা যখন নামধারি পীররা লিখে তখন এক বিচার আর তসলিমা লিখলে আরেক বিচার তবে কেন??
>>তাহলে কি এগুলি সবই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুটচাল নয় কি ????
>দুই চারটা হাদিস আর কোরআনের অপবেখ্যা করে তসলিমা যদি হন মুরতাদ , তা হলে ঐ সব পীররা কি???
>তা হলে এই ভণ্ডরা হাজার হাজার মানুষের মাঝে তাদের ভুল আকিদা প্রকাশ ও প্রচার করছে, আর তসলিমার বই গুটি কতক শিক্ষিত লোক পড়ে। তাহলে কে বা কারা বেশি ইসলামের ক্ষতি করছে????
>অথচ ভয় দেখিয়ে , মামলা করে, হত্যার ভয়ে আজ তসলিমা দেশ ছাড়া। আর বিভিন্ন সরকার তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য ধর্মীয় এই সেন্টিমেন্ট কে কাজে লাগিয়ে তসলিমাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। এমন আজব নিয়ম আর অন্য কোন দেশে আছে কি না আমি জানি না। আমি তসলিমাকে ধোয়া তুলসির পাতা বলছিনা, বলছিনা তার অপবেখ্যা সঠিক। বলছি একই অপরাধ করে একদল কত আরামে দেশে আছে আর তসলিমাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না, তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দেশ হতে। কারও অধিকার নেই তাকে দেশে বসবাস করতে না দেবার। তার একটি কথা খুব মনে পড়ছে---
“ আমার বাবা মৃত্যু শয্যায়, তখন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি ফোন করে তাকে দেশে ঢোকার অনুমতি চাই, কিন্তু তা তিনি দেননি। বাবা তার নিজের মেয়েকে দেখে যেতে পারেনি ।”
>>>এই এগুলি দেখে আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় তসলিমা ধর্ম বিদ্বেষে যত না শিকার তার চেয়ে বেশি শিকার পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার নিয়ম ভাঙ্গার অপরাধে পুরুষদের আক্রমণের শিকার। তা না হলে কই যাদের আমরা বর্তমানে সুশীল সমাজ বলি তারায় বা কেন চুপ।
বিষয়: বিবিধ
২০৯৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ দেশে নাস্তিকদের পাশাপাশি অনেক পির ব্যবসায়ী ইসলামের নামে কুত্সা রটাচ্ছে। ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগলো আপনার লিখা।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন