(জামত) ও শিবির
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১২ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:৪৮:০১ দুপুর
(জামত) ও শিবির
জামাত নিষিদ্ধ। অনেকের কাছে এটি একটি ভাল সংবাদ। জামাত এই নাম নিয়ে আর রাজনীতি করতে পারবেনা। এটি তাদের কাছে সাময়িক একটি ক্ষতি। ক্ষতিটি এই যে--- জামাত ইসলামি--- নামটা তারা ব্যবহার আর করতে পারবে না। জামাত শিবিরের ছেলেরা তো আর নিষিদ্ধ না বা তাদের পরিচালিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান তো আর নিষিদ্ধ হয় নি। ফলে তাদের কর্মকাণ্ড তো একই ছিল, আছে এবং থাকবে। মাঝখানথেকে শুধু শুধু তাদের লাইমলাইটে টেনে আনা হল। কিছু মানুষের সহানুভূতিও তারা লাভ করল মাঝখান হতে।
এই ফলশ্রুতিতে যেহেতু জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবির নিষিদ্ধ নয়, শিবির নাম নিয়ে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল তা করবে এবং সামনেও করে যাবে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই। সাধারণ পাবলিক যেমন ওদের পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিল তেমনি যাবে এবং তাদের সঙ্গে মিশবে এতেও সন্দেহের কোন অবকাশ নাই।
সাহাবাগের গণজাগরণ মঞ্চের পাঁঠারা জামাত শিবির পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সাধারণ জনগণকে এই সব প্রতিষ্ঠানে না যাবার এবং এদের সঙ্গে লেনদেন না করার জন্য কত আবেদন নিবেদন করেছিল।
মানুষ কি এদের আবেদনে সাড়া দিয়েছিল?
এক কথায় উত্তর না।
এদের রাম পাঁঠা বললাম এই জন্য যে, পাঁঠাদের বুদ্ধি একটু কমই থাকে একটি খাসি হতে। খাসিরা যেমন হয় শান্ত বুদ্ধিমান ও গায়ে গতরে বড় হয় পাঁঠারা এর একটিও গুন পায়না। পায় শুধু একটা বোটকা সেন্ট। আর ব্যা ব্যা করে চিল্লাতেই পারে কোন কাজ আর হয় না। এদের আবেদন নিবেদনেরও তেমনি অবস্থা আজ।
ভাল কথা আমরা জামাত শিবিরের পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানে যাব না। এই জন্য আপনাদের মানুষের কাছে বিকল্প প্রতিষ্ঠানের নাম তো দিতে হবে। তা না দিয়ে ব্যা ব্যা করলে সাধারণ মানুষ কি তা শুনবে । সাধারণ মানুষ এদের ব্যা ব্যা না শুনার কারন গুলি আমি নিচে এক এক করে বর্ণনা করছি।
@@প্রথম চিত্রঃ শিবিরের ছেলে পেলেদের যতই মৌদুদি বাদের দোহায় দিয়ে আর রগ কাটা বলে এদের যতই কালারিং করা হক না কেন। এরা আর ২-৩ টা প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংঘটনের ছেলে পেলের চেয়ে আখলাক গত ভাবে অনেক ভাল। সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি এরা অন্যদের তুলনায় দায়িত্ববান।
>>ফলে এদের প্রতি সমাজের সর্ব স্তরের মানুষের মনের একটা টান থাকে, এদের গ্রহণ যোগ্যতা সমাজে অনেক বেশি। যদিও জামাত ইসলামকে এরা ভাল বাসুক আর না বাসুক।
@@ দ্বিতীয় চিত্রঃ ইসলাম ধর্মে সুদ সম্পূর্ণ হারাম। ৮৫% মুসলিম দেশে সরকারীভাবে নেই একটা ইসলামি ব্যাংক। ফলে ইসলামি ব্যাংক এদেশে এখন এমনই জনপ্রিয় যে এদের মুনাফার রেটিং দেখলেই আপনারা বুজতে পারবেন।
ফলে সেই থানা শহুরের প্রত্যান্ত গ্রামের এক দাড়িওয়ালা ধর্ম-কর্ম পালন করে এবং প্রতি শুক্রবার গ্রামের মসজীদের স্বল্প শিক্ষিত(—আমাদের মত জেনারেল শিক্ষিতদের মতে) ঈমাম খুদবার আগে বিভিন্ন আলোচনার আগে সুদ হারাম এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন কোরআন হাদিস মতে। ঐ দাড়িওয়ালা বা গ্রামের ধর্ম কর্ম করা মানুষ গুলি কি ভুলেও তাদের টাকা কোন সুদী ব্যাংকে রাখবে?
হাতের কাছে থানা শহরে একটু দূরে হলেও তাদের টাকা ইসলামি ব্যাংকে রেখে আসবে জমা।
ঐ গ্রামের লোকদের কথা নাই বাদই দিলাম। আপনার বুকে হাত দিয়ে বলেন তো আপনারা পরকালের ভয়ে কোন ব্যাংকে টাকা রাখবেন?
>> যেই দল করেন না কেন পরকালের ভয় সবার আছে, বুজলেন ভাই।
@@ তৃতীয় চিত্রঃ আমি যেহেতু রাজশাহীতে থেকেছি সেহেতু রাজশাহীর কথায় বলি।
ধরুন গ্রামের কোন মোটা মুটি আধা স্বচ্ছল পরিবারের আপনার গ্রামের এক ছোট ভাই গ্রামের স্কুল হতে SSC এবং HSC তে গোল্ডেন A+ পেয়ে পাশ করেছে। আপনার চাচা ওকে রাজশাহীতে কোচিং করতে পাঠিয়েছে। ওদের ইচ্ছে ওকে ডাক্তারি পড়াবার। তো আপনি এখন কোন কোচিং এ ভর্তি করবেন তাকে , আপনার মতে মেডিকেল ভর্তির সবচেয়ে ভাল কোচিং কোনটি?
নিঃসন্দেহে শিবিরের পরিচালিত রেটিনা কোচিং।
>> নিজের ভালটা না কি পাগলও বুজে।
@@ চতুর্থ চিত্রঃ গ্রামের খুব গরীব এক লোক আপনার কাছে চিকিৎসা করতে এসেছে। অন্য কোথাও বা অন্য কোন ক্লিনিকে ওকে ডাক্তার দেখালেন। ডাক্তার লাগুক আর না লাগুক একগদা টেস্ট দিয়েছে। রুগী কোন মতে ডাক্তারের ফি টা দিতে পেরেছে। এবার ওর টেস্টে করতে হলে আপনার পকেট হতে কিছু টাকা দিতে হবে।
আর আপনি জানেন ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে যে কোন পরীক্ষায় ২৫% ছাড়। ওদের সেবার মানও ভাল।
আপনি টেস্ট গুলি কোথায় করাবেন?
আমি রাজশাহীতে সব সময় তা করাতাম কোথায় জানেন, ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে। কারন প্রতি সপ্তাহে কেও না কেও আসত এলাকা হতে। ওদের কম খরচের দিকে তো আমাকেই তাকাতে হবে না কি?
>>> কম খরচে ভাল সেবা যেখানে পাবেন আপনি আলিগ-বিনপি যাই করেন কোথায় যাবেন ভাই।
@@ পঞ্চম চিত্রঃ রাজশাহীর যে কোন শিবির পরিচালিত কোচিং এ আপনি যে কোন গরিব ছাত্রকে বিনা ফিতে বা অর্ধেক ফিতে কোচিং করাতে পারবেন। শুধু যে কোন শিবির বা জামাত নেতার একটা সুপারিশ আপনার লাগবে বা একটা ফোন।
এই রকম আর কারা করে আমার যানা নেই।
এরকম হাজারো উদাহরণ পাবেন একটু চখু মেলিয়া।
তো কে কি বলেন দেখি। এটি একান্ত আমার মতামত। কেমন করে আমরা তাদের সংস্পর্শে না যেয়ে থাকতে পারিব? কেও কি পথ বাতলে দিবেন?
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন