হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঢেঁকি
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ০৭ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৪৬:১৬ রাত
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঢেঁকি
>>ঢেঁকি ধান ভানা বা শস্য কোটার জন্য ব্যবহৃত সরল যন্ত্রবিশেষ।কথায় আছে না ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে'--------- বাংলার এ প্রবাদ বাক্যটি বহুকাল ধরে প্রচলিত হলেও ঢেঁকি আর এখন ধান ভানে না। এই সরল যন্ত্র টি এখন আর দেখা যায়না বললেই চলে।
**এক সময় গ্রামবাংলায় ধান ভানার একমাত্র যন্ত্রই ছিল ঢেঁকি। প্রাচীন কাল থেকে ভারত উপমহাদেশে ঢেঁকি ব্যবহার হয়ে আসছে। তখন বাংলার ঘরে ঘরে চিড়া কোটা, চাল ও চালের গুড়া করার জন্য ঢেঁকিই ছিল একমাত্র মাধ্যম। বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যর ধারক ঢেঁকি গৃহস্থের সচ্ছলতা ও সুখ সমৃদ্ধির প্রতিক হিসাবে প্রচলিত ছিল।বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে এখন পুরোপুরি যান্ত্রিক ঢেউ লেগেছে। মাছে ভাতে বাংগালীর ঘরে এক সময় নবান্নের উত্সব হতো ঘটা করে। উত্সবের প্রতিপাদ্যটাই ছিল মাটির গন্ধ মাখা ধান। ঢেকি ছাটা ধানের চালের ভাত আর সুস্বাদু পিঠার আয়োজন। রাতের পর রাত জেগে শরীরটাকে ঘামে ভিজিয়ে ঢেকিতে ধান ভানার পর প্র্রাণখোলা হাসি হাসত বধূরা। সেই ঢেকি, অতীতের বুদ্ধির ঢেকির এখন প্রস্থান ঘটেছে।
@@ সরল যন্ত্রঃ পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় সরল যন্ত্র (simple machine) এমন একটি যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা বলের দিক অথবা পরিমাণ (magnitude) পরিবর্তন করে।সাধারণভাবে বলা যায় সবচেয়ে সরল উপায়ে যান্ত্রিক সুবিধা ব্যবহার করে বলবৃদ্ধি করার ব্যবস্থাকে সরল যন্ত্র বলে।
সরল যন্ত্র একটিমাত্র বলের ক্রিয়ার মাধ্যমে একটি কাজ করে। উক্ত যন্ত্রের উপর বল প্রযুক্ত হলে তা কাজ সম্পাদন করে এবং এর ফলে নির্দিষ্ট দূরত্ব আতিক্রান্ত হয়। সম্পাদিত কাজ অতিক্রান্ত দূরত্ব ও প্রযুক্ত বলের গুণফলের সমান। কোন একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজের পরিমাণ ধ্রুবক। অবশ্য প্রয়োজনীয় বলের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত অধিক দূরত্বের উপর কম বল প্রয়োগ করে কমানো যেতে পারে। দুইটি বলের পরিমাণের অনুপাতকে যান্ত্রিক সুবিধা বলা হয়ে থাকে।
প্রথাগতভাবে সরল যন্ত্র বলতে রেনেসাঁ যুগের বিজ্ঞানীদের সংজ্ঞায়িত নিম্নোক্ত ৬টি যন্ত্রকে বোঝায়ঃ:
১।আনত তল
২।চাকা-অক্ষদন্ড
৩।লিভার
৪।কপিকল
৫।গোঁজ স্ক্রু
আসলে এই ছয় প্রকারের সরল যন্ত্রই হচ্ছে আধুনিককালের সব জটিল যন্ত্রের মূল। এদেরকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে জটিল ও উন্নত যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে।
@@@ঢেঁকি নিয়ে প্রয়াত পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের কবিতার একটু কথা----
>> ও বউ ধান ভানে রে,
ঢেঁকিতে পার দিয়া,
ঢেঁকি নাচে বউ নাচে,
হেলিয়া দুলিয়া—------>।
এমন অনেক কবিতা-গান রয়েছে ঢেঁকিকে নিয়ে লেখা। কিন্তু কালের বিবর্তণে আর যান্ত্রিক সভ্যতার আগ্রাসনে গ্রাম বাংলার ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে।মুলত ৭০ দশকের পর ইঞ্জিন চালিত ধান ভাঙ্গা কল আমদানির পর গ্রাম অঞ্চল থেকে ঢেঁকি বিলীন হওয়া শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে ঐতিহ্য বাহী ঢেঁকি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ফলে গ্রামের মানুষ ভুলে গেছেন ঢেঁকি ছাটা চালের স্বাদ। যান্ত্রিক সভ্যতা গ্রাস করেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠের ঢেঁকি শিল্প কে।ডিজিটাল যুগের আগামী প্রজন্ম ঢেঁকি কি তা চেনে না বললেই চলে ?
এক সময় ধান থেকে চাল তৈরির একমাত্র মাধ্যম ছিল ঢেঁকি। আর ঢেঁকি ছাঁটা চাল ছিল শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গ্রামের মেয়েরা পালাক্রমে ঢেঁকিতে ধান থেকে চাল তৈরির সময় নানা গান-গীত পরিবেশন করত। যা কেবলই স্মৃতি।সব এলাকাতেই বর্তমান আধুনিক যুগে ঢেঁকির পরিবর্তে ধান ছাঁটাইসহ চালের গুঁড়া তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত মেশিনে। বর্তমান চাল ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎচালিত মেশিনে ধান ছাঁটাই করার পর ওই চালে ইউরিয়া সার দিয়ে পালিশ করে তা চকচকে করে বাজারজাত করছে বলে সবার মুখে মুখে প্রচালিত রয়েছে।ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত শুধু লবণ দিয়ে খেতে ভালো লাগত তখন, আর যদি তাতে ভাতের মাড় থাকতো তাহলে কথাই ছিল না। আজকের দিনে ইউরিয়া মেশানো চালের ভাত খেতে খেতে ঢেঁকি ছাঁটাই চালের ভাতের স্বাদ একেবারে ভুলেই গেছি।
>>নবান্ন উৎসবঃ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী, অসাম্প্রদায়িক ও মাটির সঙ্গে চির বন্ধনযুক্ত নবান্ন উৎসবের মাস। গ্রামে এক সময় নতুন ধান ওঠাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উত্সব হত। সেই উত্সবে পরিবারের শিশু-কিশোররা কত না আমোদ-আহলাদে ধেই ধেই করে নাচতো আর গাইতো। উহ্ ! সে কি আনন্দ ! ঢেঁকি চাঁটা চালের আটা হতে তৈরি হত নানা উপাদেয় বাহারী সাজের রকমারি পিঠা। বাড়ি বাড়ি পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যেত। আর ঝি-জামাইদের সে পিঠায় আপ্যায়ন করা হত। প্রবাদে আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। এক সময় ঢেঁকির সুরেলা শব্দ ফুটিয়ে তুলত নবান্ন উৎসব।
@@প্রবাদঃ
বুদ্ধির ঢেঁকি,
আমড়া কাঠের ঢেঁকি,
ঢেঁকির মতো মেয়ে –
এরকম বহু বাগধারা এখন শুধু পুঁথিতেই বন্দী।
@@ গ্রাম বাংলায় ঢেঁকিঃ
ধান উঠার সঙ্গে সঙ্গে নতুন ধানের চাল তৈরির ধুম পড়ে যেত গ্রামবাংলায়। গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহিণী ও বৌ-ঝিরা নিজস্ব ঢেঁকিতে ধান ভাঙিয়ে চাল করত। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পালাক্রমে চলত ধান ভাঙার কাজ। গরিব পরিবারের মহিলারা বড় গৃহস্থের বাড়িতে ঢেঁকিতে ধান ভেঙে চাল করে দিয়ে বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পেত চাল অথবা টাকা। গরিব মহিলারা পাঁচ থেকে ছয়জনের দল তৈরি করে ধান ভাঙত পালাক্রমে। ২-৩ জন ঢেঁকিতে পাড় দিত আর একজন ঘরের মধ্যে ধান চাল ওলট-পালট করে দিত। চলত পান খাওয়ার আড্ডা আর হাসি-আনন্দ। আবার অনেক সময় সুরে সুরে গীত। ঢেঁকি নিয়ে কত গানই না রয়েছে। ও হলুদ কোটেরে ঢেঁকিতে পাড় দিয়া, ঢেঁকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া...। কালের বিবর্তনে এসব গানও যেন ঢেঁকির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে। ঢেঁকিই যখন সেকেলে, তখন সেই শব্দ আসবে কোথা থেকে? এখন নবান্ন আসে নীরবে। কৃষকের বাড়ি ঢেঁকি নেই, বধূর কণ্ঠে নেই ধানভানা গান। তামাম বাংলাদেশ তন্নতন্ন করে খুঁজে এখন ঢেঁকিঘর মেলানো ভার।
ঢেঁকিনির্ভর তত্কালীন জীবন ছিল কত না মধুর ! সেই ঢেঁকি আর ঢেঁকি ছাঁটা চাল আজ আর নেই।প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে এখন আর ঢেঁকির চিহ্ন খুজে পাওয়া যায় না। শোনাযায় না ঢেঁকির ঢেঁকুর ঢেঁকুর শব্দ। অথচ ১৫/২০বছর আগেও গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ঢেঁকি ছিল। ছিল ঢেঁকি ঘর। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। শবেই-বরাত, ঈদ, পূজা পার্বন সহ নতুন ধান ঘরে উঠার আগেই গ্রাম্য বধুরা ঢেঁকি মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পরতেন। ঢেঁকি ঘর লেপে মুছে প্রস্তুত করে রাখতেন তারা। গ্রামের বধুরা ভীর জমাতেন ঢেঁকি ঘরে। এমন এক সময় ছিল যখন ঢেঁকি গৃহস্থলির নিত্য প্রয়োজনীয় সমগ্রীর মধ্যে অন্যতম উপকরন ছিল। এটি ছিল গৃহস্থ বাড়ির একটি গুরুত্ব পূর্ণ উপকরণ। গৃহীনিরা ঢেঁকিতে ধান ভেঙ্গে চাল তৈরী করতেন। ভোর থেকে সারাদিন পর্যন্ত পালাক্রমে চলতো তাদের ধান ভাঙ্গা ও চালের গুড়া করার কাজ। এসব কাজে গৃহীনিদের সহযোগিতা করতেন গ্রামের নারী শ্রমিকরা। বিনিময়ে তারা পেতেন কিছু চাল।গ্রামের অভাবগ্রস্থ মহিলাদের উপার্জনের প্রধান জীবিকার মাধ্যম ছিল এই ঢেঁকি। গ্রামের বিত্তশালীদের বাড়ীতে যখন নতুন ধান উঠতো তখন অভাবগ্রস্থ মহিলারা ঢেঁকিতে ধান ছেঁটে চাউল বানিয়ে দিতো। তা থেকে তারা যা পেতো তা দিয়েই সংসার চলতো তাদের। ঢেঁকিতে ধান ভানতে গিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের হাসি-তামাশার কথা বলতো আর মনের সুখ-দুঃখের গান গাইতো।
ঢেঁকির ঢেঁকুর ঢুঁকুর মিষ্টি মধুর শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের সুখে গুন গুনিয়ে গান গাইতেন ও চলতো পান খাওয়ার আড্ডা। এখন আধুনিকতার যান্ত্রিক যুগে ঢেঁকির সঙ্গেই হারিয়ে গেছে গ্রাম্য বধুদের মনের আনন্দে গান গীত গাওয়া ও পান খাওয়ার আড্ডা।
@@ তৈরির প্রক্রিয়াঃঢেঁকি প্রধানত ধানের তুষ ছাড়িয়ে চাল বানানো কাঠের তৈরি কলবিশেষ। ঢেঁকিতে প্রায় ছয় ফুট লম্বা এবং ছয় ইঞ্চি ব্যসবিশিষ্ট একটি কাঠের ধড় থাকে ।মেঝে থেকে প্রায় ১৮ ইঞ্চি উচ্চতায় ধড়ের একেবারে সামনে ২ ফুট লম্বা একটি গোল কাঠ থাকে। এটিকে মোনা বলা হয়। দুটি খুঁটির ভেতর দিয়ে একটি ছোট হুড়াকা থাকে। এ হুড়াকার ওপরই ছোট খাট একটা তিমির মত, বা সেসনা বিমানের মত একটা কাঠ উঠা নামা করে।যার অগ্রভাগের মাথার কাছাকাছি দেড় ফিট লম্বা মনাই।যার অগ্রভাগের মাথার কাছাকাছি দেড় ফিট লম্বা মনাই।মনাইয়ের মাথায় পরানো থাকে লোহার রিং; যাকে আঞ্চলিকভাবে চুরন/মুষলের বলে। চুরন/মুষলের বার বার আঘাত করে ধানের খোসা ছিলে চাল বের করে।
ঢেঁকির পেছনের লেজ বিশিষ্ট চেপ্টা অংশে এক বা দু'জন পা দিয়ে তালে তালে চাপ। কিছু পরিবার সৌখিনতার বসে অতি যত্নে এখনোও রেখে দিয়েছে ঢেঁকি । মাসে অথবা বছরে পিঠা তৈরির কাজে ব্যবহার করছেন ঢেঁকি।
@@ ধান ভাঙ্গার পদ্ধতিঃ শস্য কোটার জন্য ঢেঁকির গর্তে শস্য ঢেলে দিয়ে এক জন বা দু'জন ঢেঁকির গোড়ায় ক্রমাগত চাপ দেয়। অন্যদিকে মুষলের/চুরন আঘাতের ফাঁকে ফাঁকে আরেক জন গর্তের কাছে বসে শস্যগুলো নাড়াতে থাকে বা ওলট-পালট করে দিতে থাকে।একজন ঢেকির সেই ওঠানামার তালে তালে হস্ত সঞ্চালন করে বিপদজনক অবস্থায় তার ভেতর হাত দিয়ে ধান নেড়ে চাল তৈরিতে সাহায্য করতো। এ কাজে অসতর্কতার জন্য কাউকে কাউকে ব্যাথাও পেতে হতো। এসময় তার চার পাশে হাস মুরগীরা জড়ো হতো খুদ কুড়া খাওয়ার জন্য। এ ছিল এক আনন্দ।
@@ শেষ কথাঃ আজ বর্তমান যুগে রাইচ মিলে চাল ভানার কাজ চলছে। কোনো কোনো স্থানে ডিজেলের মেশিন ছাড়াও ভ্যান গাড়িতে ইঞ্জিন নিয়ে বাড়ী বাড়ী যেয়ে ধান ভানা ও মাড়াই করছে। যার কারনে গ্রামের অসহায় ও অভাবগ্রস্থ মহিলারা যারা ধান ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করতো তারা বিকল পথ বেছে নেওয়া ছাড়া অনেকে ভিক্ষা করে দিন অতিবাহিত করছে। কেউবা কাজ করছে অন্যের বাড়ীর ধান শুকানো । এছাড়া ঢেঁকি আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির এক অপূর্ব নিদর্শন। যখন যন্ত্র চালিত ধান ভানা কল ছিল না তখন ঢেঁকির কদর বেশ ছিল। আর তখনকার সময়ের মানুষের জন্য এই ঢেঁকি আবিষ্কার ছিল যতেষ্ট। এখন এধরনের ঢেঁকি আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে হাস্যকর বা অজানা থেকে যেতে পারে। কারণ বর্তমানে ভিনদেশী চাকচিক্য সংস্কৃতি সমাজে প্রবেশ করে আমাদের পুরোনো নিজস্ব ঐতিহ্যকে পশ্চাতে ফেলে যেন জ্যামিতিক হারে এগিয়ে চলছে। ঠিক আমাদের পুরোনো সংস্কৃতি গাণিতিক হারের মত দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই এই দুর্বলতাকে পাশকাটিয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে আমরাই লালন করতে হবে। তখন ইতিহাসের পাতায় পড়া ছাড়া বাস্তবে খুঁজে পাওয়া দুঃপ্রাপ্য হবে। নতুবা কোনো যাদুঘরের কোণে ঠাঁই করে নিবে নিজের অস্তিত্ব টুকু নিয়ে। তখন হয়ত আমাদের নতুন প্রজন্ম এই ঐতিহ্য থেকে একবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।সরকারী বা বেসরকারীভাবে আমাদের হারানো ঐতিহ্যগুলো নিয়ে বিশেষ মেলার আয়োজন করলে বর্তমান প্রজন্ম এই হারানো ঐতিহ্যগুলো চিনতে পারবে এবং রক্ষায় এগিয়ে আসবে।
বিষয়: বিবিধ
৫১৮৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন