যেখানে নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীন ও আস্তিক Tanvir Ahmad Arjel এক............।।

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৪৪:৫৪ দুপুর

যেখানে নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীন ও আস্তিক Tanvir Ahmad Arjel এক............।।

আমি এই দুই ফেসবুক সেলিব্রেটির ফলোয়ার।এদের কে কি বলছে পড়ি শুধু। কি আশ্চর্য একটি বিষয়ে এদের লিখনিতে উঠে এসেছে একই মতামত। একজন নাস্তিক(আসিফ মহিউদ্দীন) এবং একজন আস্তিক( Tanvir Ahmad Arjel )। একজন তার দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে মানবতাকে বর্ণানা করেছে। অন্য জন তার বিশ্বাস আস্তিকতা( ইসলামি আকিদা) দিয়ে মানবতাকে দিক নির্দেশ করেছেন।

দুজনের কথা কিন্তু এক, প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন। এতে আরজেল বা আসিফ দুজনেই একটি ঘটনাতে মানবতার কথা, ভাতৃত্বের কথা তুলে ধরেছে ভিন্ন ভাবে। কিন্তু কথা ঐ একই।

এদের এই লিখা পড়ে কিছু কথা না বলে থাকতে পারলাম না।

#আসিফ নিজে নিজেকে বলে ও প্রচার করে আমি নাস্তিক। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না। একজনের ধর্ম সম্পর্কে ভিন্ন মতামত থকতেই পারে। সেটি তার আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা। এখনে আমার আপনার বা ইসলামের বলার কিছু নেই।

কিন্তু কথা তখনই আসবে বা ইসলাম তখনই কথা বলবে যখন তুমি ইসলামের নামে কুৎসা রটনা করবে। মুসলিম জনতা (ইসলামের তরবারি) তখনই তোমার মুণ্ডু ছেদ করবে যখন ইসলামের প্রচারক আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) সম্পর্কে বেয়াদবি পূর্ণ কথা বলবে এবং তা প্রচার করবে।

তুমি ইসলাম সম্পর্কে জানলেনা। কোরআনের একটা আয়াত পড়লে না বা তার অর্থ বুজতে চেষ্টা করলে না। ইসলামের ইতিহাস জানলেনা, নবীর জীবনী পড়লে না। পড়লে না সাহাবাদের জীবনী। পড়লে না হাদিসের গ্রন্থ গুলি।

অথচ আমাদের মত নামে মুসলিম কিছু কুলাঙ্গারের চরিত্র ও ওদের কাজকর্ম দেখে তুমি ইসলাম কে গালি দিবে , নবী সম্পর্কে বেয়াদবি পূর্ণ কথা লিখবে, এ কেমন কথা ।আর এ কেমন তোমার আধুনিক শিক্ষা।

একজন মুসলিমের অপরাধের শাস্তি কেন ইসলাম বহন করবে। যেমন তুমি তোমার বাবার ঘুষের, খুনের বা অন্য কোন অপরাধের শাস্তি কি তুমি বহন করবে?

তেমনি মুসলিম হিসেবে আমার অপরাধ শুধু আমার। এজন্য কোন ভাবেই ইসলাম দায়ি নয়। অথচ তোমরা ভাঙ্গা চোরা কিছু মুসলিমের দোষের জন্য ইসলামকে গালি দিচ্ছ। তা তোমরা (যারা নাস্তিক বল নিজেদের কে) দিতে পার না।

তুমি নিজেকে মানবতা বাদি বল এবং তোমার লিখায় মানবতা সম্পর্কে চিল্লা ফাল্লা কর। অথচ সবচেয়ে মানবতা বাদি ও মানবতার রক্ষক ইসলাম ও নবী (স) সম্পর্কে বাজে কথা বল।এ কেমন তোমাদের নীতি, মানবতা বোধ, শিক্ষা ও চরিত্র।

( ইসলামের প্রথম দিকের ইতিহাস গুলি একটু পড়ে দেখার অনুরধ করছি। মুসলিম কোন ইতিহাসবিদের বই না পড়ে অমুসলিম ইতিহাস বিদদের আরবের উপর লিখিত ইতিহাস গুলি পড়ুন, এতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে )

তুমি মানবতা বাদি , প্রচারক, রক্ষক ওকে , তাতে আমাদের বিশ্বাসী মুসলিমদের সাথে তুমি নাস্তিক বলে , আমাদের কোন শত্রুতা নেই। তোমরা আজ ঘোষণা দাও তোমরা যা ইসলাম সম্পর্কে বলছ বা লিখছ এগুলি ভুল। দেখ কাল আমরা তোমাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরব।

অথবা ইসলাম সম্পর্কে তোমরা বাজে কথা বলা ও লিখা বন্ধ কর আমরা তোমাদের কে একটা ফুলের টোকাও দিবনা।

তোমাদের কোন বিষয়ে সন্দেহ থাকতেই পারে, কোন বিষয়ে খটকা লাগতেই পারে......... আমাদের মত কম যানা মুসলিমদের আচার আচরণ ও কাজ হতে। এজন্য তুমি প্রশ্ন করতে পার ভাল একজন ইসলামি স্কলার এর কাছে।

এদের কাজের জন্য তোমরা ইসলামকে দোষ দিতে পার না বা পারনা ইসলামের কুৎসা রটনা করতে , পারনা প্রিয় নবীর সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে। আমরা সাধারণ ১০-২০ জন মুসলিম ইসলাম নই। তাই আমাদের ভুলের জন্য তোমরা ইসলামকে গালি দিবে তা বিশ্বাসী এক মুসলিমও মেনে নেবে না।

আমাদের ভুলের জন্য তোমরা আমাদের সমালোচনা কর, আমাদের কুৎসা রটাও, আমাদের চরিত্র নিয়ে কথা বল। নো প্রব্লেম।

তোমরা মানবতার কথা বলছ, ভাল কথা বলছ সকলে আমরা তোমাদের পাশে আছি। আমরা যে কোন ভাল কাজে তোমাদের সহায়তা করব।যা মানবতার ধারক ও বাহক ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ (স) শিক্ষা। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ইসলাম কে টার্গেট করে কিছু না করবে বা বলবে আমরা তোমাদের স্বাগত জানব।

আমার তো মনে হয় তোমরা ক্ষণিকের পার্থিব লোভে পড়ে প্রচারনার আসায় মিডিয়ার সেলিব্রেটি হবার জন্য সবচেয়ে সহজ পথটাকে বেছে নিয়েছ। কারন বর্তমান সময়ে মিডিয়ায় আলোচিত হতে বা সেলিব্রেটি হতে শুধু দরকার ইসলামের সমালোচনা করা বা ইসলাম সম্পর্কে কটু কথা বলা।

তোমরা ইসলামকে জানলেনা , কোরআন কি বলছে তা বুজলেনা, না বুজে না যেনে লেগেছ ইসলামের বিরুদ্ধে।

তোমরা ইসলাম কে বুঝ , কোরআন পড়, হাদিস পড় এবং প্রচার কর দেখ শুধু আমাদের দেশ না বিশ্ব জোড়া সেলিব্রেটি তে পরিণত হয়েছ তোমরা।

সব শেষ কথাঃ যুগে যুগে বিশ্বের সবদেশে সব আমলেই বাতিল শক্তি ছিল এবং বাতিলের লম্ফঝম্প ও চমকানি সব সময় ভাল হয়। তবে এই চমকানিতে কোন কাজ হবে না। কারণ চৌদ্দশ' বছর ধরে বাতিল শক্তি চেষ্টা করেও ইসলামকে ধ্বংস করতে পারেনি; এখনও পারবে না ইনশাআল্লাহ।#

@@@@@ এবার ওদের লিখা কথা গুলি পড়ুন..................।

https://www.facebook.com/arjeldu?hc_location=stream

Tanvir Ahmad Arjel

about an hour ago near Dhaka

আমরা যখন বলি, আমরা ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী মিলিটারির বর্বরতাকে ঘৃণা করি, তথকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী জালিম শাসকবর্গকে ঘৃণা করি কিন্তু আমরা পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদেরকে পছন্দ করি, তাদেরকে ভালোবাসি কারন তারা আমাদের মুসলিম ভাই-বোন। তখন তথাকথিত চেতনাধারীরা বলে, আমরা নব্য রাজাকার, আমাদের এই দেশে থাকার কোন অধিকার নাই, আমাদের উচিত পাকিস্তানে চলে যাওয়া, হেন তেন, ব্লা ব্লা.........।

আজ খবরে পড়লাম, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের মালালা ইউসুফ জাইকে মায়ের আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেছেন, কপালে এঁকে দিয়েছেন সাহসী চুম্বন। শুধু তাইনা, তিনি মালালাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার কন্ঠে আমার কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তিনি মালালাকে মেয়েদের অধিকার ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বের ‘সাহসী কন্ঠ’ হিসেবে অবিহিত করেন।( নিউজ লিংক কমেন্টে)

আসলে এটা দ্বারা আবারও প্রমাণিত হলো যে, মানুষে মানুষে শত্রুতা বা বন্ধুত্ব কখনো জাতীয়তাবাদ বা মানুষের নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতে হতে পারেনা। মানুষে মানুষে শত্রুতা বা বন্ধুত্ব হতে পারে একমাত্র আদর্শের ভিত্তিতে এবং এটাই হচ্ছে ইসলামের অন্যতম মূলনীতি।

শেখ হাসিনা মালালাকে জড়িয়ে ধরেছেন, কপালে চুমু খেয়েছেন, এর একমাত্র কারন হচ্ছে- তাদের দুই জনের আদর্শই এক, এখানে মালালা পাকিস্তানের নাকি ভারতের এটা তার কাছে কোন বিবেচ্য বিষয় ছিলোনা। ঠিক তেমনি আমিও আমার আমার মুসলিম ভাইয়ের বুকে জড়িয়ে ধরবো, তাদেরকে আপন করে নিবো, তখন সে ভারতের নাকি পাকিস্তানের সেটা আমার কাছে কোন বিবেচ্য বিষয় না। সে একজন মুসলিম, সে আল্লাহ ও তার রাসুলের আদর্শে বিশ্বাস করে এটাই আমার কাছে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে-তারা ঠিকই মালালাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারবো, কপালে চুমু খেতে পারবো, পাকিস্তানীদের সাথে তলে তলে টেম্পু চালাইতে পারবো কিন্তু আমরা কিছু কইলেই কইবো হরতাল!!

https://www.facebook.com/atheist.asif/posts/575854689128630

আসিফ মহিউদ্দীন • 19,468 followers

Yesterday at 9:35am •

দীর্ঘদিন আগে পাকিস্তানি কিশোরী ব্লগার মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানে তালেবানদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হলেন। এই ঘটনা আমাকে মর্মাহত করেছিল, তাই তাকে নিয়ে আমি তিন চারটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, দুটো ব্লগ পোস্ট দিয়েছিলাম, তাকে সর্বোচ্চ সমর্থন জানিয়েছিলাম মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নারীর শিক্ষার অধিকার নিয়ে লড়াই করার জন্য। সেই কথাগুলো এখন রীতিমত ইতিহাস। এই কাজের জন্য ডাক্তার আইজূদ্দিন নামক একটি ভার্চুয়াল উন্মাদ আমার বিরুদ্ধে রীতিমত জিহাদ ঘোষণা করেছিল। সে তার ব্লগে ১৪ বছরের গুলিবিদ্ধ বালিকা মালালা ইউসুফজাইকে পাকিস্তানী হবার অপরাধে, উর্দুতে কথা বলার অপরাধে ধর্ষণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিল। সেই সাথে তার সাঙ্গ পাঙ্গরা দলবেঁধে আমার স্ট্যাটাসে প্রতিদিন এসে গালাগালি করতো, "খাসী-পাকিপ্রেমি-মালালারপ্রেমে অন্ধ"-ইত্যাদি কত খেতাবই না জুটেছিল! আমার নামের সাথে মালালার নাম যুক্ত করে নানা ধরণের কুৎসিত প্রচার চালাতো সে সময় তারা। তাদের যুক্তি ছিল আসিফ মহিউদ্দীন উর্দু ভাষা জানে, মালালাও উর্দু ভাষা জানে! আসিফ মহিউদ্দীন মালালার পক্ষে লিখেছে, অতএব আসিফ মহিউদ্দীন পাকিপ্রেমি! বেশ! কী দুর্দান্ত যুক্তি!

আমার ফ্রেন্ডলিস্টের কয়েকশ বন্ধু আমাকে জানালেন, মালালা ইউসুফজাইয়ের মত পাকিস্তানিকে সমর্থন দেয়াটা ঠিক হচ্ছে না। এমনকি, আমার অনেক ঘনিষ্ঠ ছোটভাই আমাকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে রিমুভ করে দিলেন, কেউ কেউ ফোন করে ঘ্যান ঘ্যান করলেন। আমি সেগুলো পাত্তাই দিলাম না, উলটো বেশ কয়েকজনকে নিজ থেকেই বের করে দিলাম ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে। জেদ চেপে গেল আরো বেশি, কারণ আমি জানিতাম আমি সঠিক অবস্থানে আছি। মালালার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখলাম, এবং কভার ফটোতেও মালালা ইউসুফজাইকে বসালাম। এতে সেই পক্ষটি আরো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো। সেই কভার ফটো নামাবার রীতিমত হুমকি দিলো। না নামালে নাকি আমাকে ফেসবুকে থাকতেই দেয়া হবে না! দেখে নেয়া হবে!

তাদের যুক্তি ছিল মালালা উর্দু ভাষায় কথা বলে, পাক সার জমিন সাদ বাদ গায়, মালালা একজন পাকিস্তানি এবং আমার কভার ফটোতে পাকিস্তানি পতাকা রয়েছে, কিন্তু উর্দু ভাষাতে সমস্যা কোথায় যেখানে তারা এটাই জানে না আওয়ামী শব্দটাই উর্দু ভাষা থেকে নেয়া। মালালা পাকিস্তানি তাতে সমস্যা কোথায় যেখানে একাত্তরের আগে এদেশের সকলেই ছিল পাকিস্তানি, তারা সকলেই পাক সার জমিন সাদ বাদই গেয়েছেন। আর যে যেই দেশের, সেই দেশের জাতীয় সংগীত না গেয়ে কী বাঙলাদেশের জাতীয় সংগীত গাবে নাকি? আর পাকিস্তানি পতাকা কী এই দেশে নিষিদ্ধ? ঢাকার রাস্তায় কী পাকিস্তানী কোন গণ্যমান্য ব্যক্তি আসলে পতাকা পতপত করে উড়ে না? সরকারের গাড়িতে, সরকারী বাসভবনে, সরকারী অফিসে উড়ে না? পাকিস্তানি পতাকা দেখলেই যদি অনুভূতি খান খান হয়ে যায়, কই রাজপথে যখন পাকিস্তানি পতাকা উড়ে তখন কী তারা পেটে বোমা বেধে ঝাঁপিয়ে পরে? এই হিপোক্রেসী সত্যিই তাদের হীনমন্য আত্মপরিচয় সংকটকে আরো স্পষ্ট করে তোলে।

কিন্তু কভার ফটো আমি নামাই নি। ডিলিটও করি নি, সেটা এখনও রয়েছে। কারণ আমি জানতাম আমি সঠিক অবস্থানেই আছি। কোথাকার কোন আউজূদ্দিন আর পর্নব্যবসায়ী ইয়াবাখোরদের সাঙ্গপাঙ্গদের কথায় আমার কেন চলতে হবে? আমার লেখা ভাল না লাগলে সদর দরজা খোলা। কোন ভয়ভীতিতে কোনদিন পিছু হটি নি। মৌলবাদীরা ক্ষুর পর্যন্ত ধরেছিল গলার কাছে, আর এই সব ভার্চুয়াল মেরুদণ্ডহীনের হুমকি তো তুচ্ছ!

আমি কোন ধর্ম বিশ্বাসী নই, আমি কোন জাতীয়তাবাদী নই। কোন ক্ষুদ্র পরিচয়ে আমি নিজেকে আবদ্ধ রাখতে ইচ্ছুক নই, আমি পৃথিবীর মানুষ, সকল নির্যাতিত মানুষ আমার বন্ধু। পৃথিবীর সকল নিপীড়িত মানুষ আমার ততটাই আপন যতটা বাঙলাদেশের নিপীড়িত মানুষ, আবার পৃথিবীর সকল শোষক নির্যাতক আমার কাছে ততটাই ঘৃণ্য যতটা বাঙলাদেশের শোষক এবং নির্যাতক গোষ্ঠী। বাঙালি শাসক শোষক শুধুমাত্র বাঙালি বলেই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, আবার পাকিস্তানি নির্যাতিত মানুষ শুধুমাত্র পাকিস্তানি হবার "অপরাধে"(!) আমার দুরের কেউ নয়।

একাত্তরে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে ছিল, সেটা শুধু আমার নয়, সমস্ত মানুষের বিরুদ্ধেই ছিল তাদের অবস্থান। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, একাত্তরের পাকিস্তান আর্মির কর্মকাণ্ডের জন্য বর্তমান পাকিস্তানের একজন ১৫ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের ইচ্ছা ব্যক্ত করতে হবে। সেটা হলে সেই সব পাকিস্তানি ধর্ষক, যারা আমাদের নারীদের ধর্ষণ করেছিল, তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য কোথায় থাকবে? আর অন্য দেশের নারীদের ধর্ষণ করার ইচ্ছা কোন চেতনা? এটা কী বাঙালির চেতনা নাকি পাকিস্তানি বা রাজাকারী চেতনা? রাজাকাররা যেই প্রজন্ম জন্ম দিয়েছে, ডাক্তার আইজূরা কী সেই চেতনাই মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মবেশ পরিয়ে বহন করছে না? ফ্রেডরিক নিটশের সেই কথাটা স্মরণ করা দরকার, Whoever fights monsters should see to it that in the process he does not become a monster. And when you gaze long into an abyss, the abyss also gazes into you. রাজাকারী চেতনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নেমে তারা কখন যে নিজেরাই এক একজন পাকিস্তানি, এক একজন রাজাকারে পরিণত হয়েছেন তারা সেটা নিজেরাও জানেন না।

আর এই যুদ্ধে যারা নিজ নিজ অবস্থানে, নিজ নিজ দেশে, নিজ নিজ গোষ্ঠীর ভিতরে বসে প্রথা-রাষ্ট্রব্যবস্থা-ধর্মব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তারা আমার সহযোদ্ধা। পাকিস্তানি বলেই মালালাকে গালি দিয়ে দেশপ্রেমিক সাজার চেষ্টা প্রদর্শনমূলক দেশপ্রেম। ওর কোন উপযোগ নেই, শুধুমাত্র লোক দেখানো সস্তা লাইক কামানো ছাড়া। শিক্ষার পক্ষে যুদ্ধ করা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা পাকিস্তানের ধর্মান্ধ মৌলবাদী চেতনার বিরুদ্ধেই অবস্থান নেয়। এই সাধারণ ব্যাপারটা বোঝার জন্য দীর্ঘ সময়ের চিন্তাশীলতার প্রয়োজন। আমি তার পক্ষেই ছিলাম, আমি নারী শিক্ষার পক্ষে প্রতিটি মানুষের পক্ষেই লিখবো, সে যে দেশের মানুষই হোক না কেন। তাতে যদি ফেসবুকের সকল মানুষ আমার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাই সই। সে যাইহোক।

সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালালার বক্তব্যের সাথে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বলেছেন, মালালার কণ্ঠেই ধ্বনিত হলো আমার বক্তব্য। মালালাই আমাদের কণ্ঠস্বর। শিক্ষাহীন নারীর ভোগান্তি আমি জানি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই বক্তব্যের জন্য সাধুবাদ জানাই। এবং দলকানা সেই সব লোকদের জন্য আর কিছু বলার নেই, শুধু হাসি ছাড়া! তাদের যদি এতে লজ্জা না হয়, তারা যদি এই হাসির মানে না বোঝে, তাহলে আর কিছু বলার নেই।

বিষয়: বিবিধ

১৬৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File