>>নারীমুক্তি ৫ম পর্ব <<
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৪৬:১৪ রাত
>>নারীমুক্তি ৫ম পর্ব <<
সুতরা পুরুষ প্রমাণ করে যে পুরুষরাই শ্রেয় তর। এটা একটা শোচনীয় যুক্তি আসলে কোন যুক্তিই না। নাকের ডগায় গোলাপি চশমা পুরুষদের মনে করিয়ে দেয় বা তাঁরা অবতারণা করে এরকম পঙ্গু যুক্তির। ( ক্রমশ)
আপনি যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করেন তবে দেখতে পাবেন পুরুষরা কোন অংশেই নারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয় । আপনারা হয়ত আমাকে বাধা দিয়ে বলবেন কেন?
নারীরা পুরুষের চেয়ে আকৃতি গত ভাবে ছোট এবং পেশীশক্তিতে দুর্বল। কিন্তু এটা কোন সভ্য লোকের কথা হল? পেশী শক্তিই যদি শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড হত তবে তো হাতিরা রাজত্ব করত স্থলভাগে আর তিমিরা জলভাগে, ঈগলরা আকাশে। রাস্তার কুকুর গুলির মধ্যে এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত আয়তনে বড় এবং শক্তি শালিটি নেতৃত্ব দিয়ে থাকে দলের । কিন্তু এটা ২০১৪ সাল এবং আমারা মানুষ। এখানে শ্রেষ্ঠত্ব নিরূপিত হয় বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃষ্টিশীল প্রতিভার দ্বারা।
এক্ষেত্রে অপপ্রচার রয়েছে মেয়েদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হয় মেয়েরা রবীন্দ্রনাথ হতে পারেনি এবং কেউই মানচিত্রে কাছে গিয়ে বলতে পারবেনা কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন একজন মেয়ে। আরও এক কাঠি বেড়ে একজন বিসর্প একদা বলেছিলেন অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কেনে নারীর পক্ষে কখনও শেকসপিয়ারের মত নাটক লেখা সম্ভব নয়।
কিন্তু আমরা যখন এসব কথা বলি বা ভাবি তখন আসলে আমরা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক জড়তা এবং দৈন্যটারই প্রকাশ ঘটাই। এটা হয় ঘটনার গভীরতা অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব না করার ফলে যদি সেক্স পীয়ারের প্রতিভাবান কোন বোন থাকত সেকি পারত তার মত লন্ডন গিয়ে থিয়েটারে কাজ করতে । তাছাড়া বৌদ্ধিক মুক্তি অনেকাংশই নির্ভর করে আর্থিক সচ্ছলতার ওপর। কোন নারী কেমন করে স্বাধীন ভাবে ভাবতে কিংবা লিখবে যেখানে সে নিজেই স্বাধীন ছিল না।সুতরাং সপ্তদশ শতকে কোন নারীর পক্ষে শেকসপিয়ারের মত নাটক লেখা অসম্ভবই ছিল। তথাপি সমাজ গবেষক “এডওয়ার্ড ফিড জেরাল্ড” আমাদের ধারনা দেন-
“হয়ত সব লোককথা এবং গ্রামীণ গীতের রচয়িতাই নারীরা। চরকি বুলনের ক্লান্তি অথবা পিঠা বানাতে বানাতে যা তারা গেয়ে শোনাতেন শিশু সন্তানদের”। (ক্রমশ)
বিষয়: বিবিধ
১৩১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন