আমি খুন করতে যাচ্ছি
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৪ আগস্ট, ২০১৩, ১২:০৩:০৭ রাত
>>> আমি খুন করতে যাচ্ছি<<<(২৪/৫/১৩)
লিখাটা লিখেছিলাম আমাদের হাসিনা সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক রেকর্ড পরিমাণ ফাঁসির আসামির দণ্ডাদেশ শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় মউ-কুপ করা প্রসঙ্গে।২৪/৫/১৩ র প্রথম আলোর প্রথম পাতা। সাজা মৌকুফ সম্পূর্ণ সংবিধান এর ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা।শেষে আবার বলে বসেন না সংবিধান লঙ্ঘন করেছি।
২২-০৮-১৩ র প্রথম আলোর প্রথম পাতাতে আবার একটা উদ্বেগ জনক খবর পড়লাম। আরও ১১৪ হত্যা মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ। শুধু রাজনৈতিক হয়রানি মূলক বিবেচনায়। হাসিনা সরকারের ৪.৫ বছরে ৩০ টি মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে ১১ হাজার ১১৩ টি মামালা আবেদন করা হয় । এর মধ্যে ৭ হাজার ১০১ টি মামলা সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রত্যাহার করা হয়েছে ......... প্রথম আলো- ;২২-০৮-১৩ ।
এ ভাবে চলতে থাকলে মানুষ আরও অপরাধে ঝুঁকে পড়বে। কারণ ভাল রাজনৈতিক খুঁটি বা মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হাতে থাকলে বা ভাল রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে, যে কেও দলীয় বিবেচনায় খুন, সহ যাবতীয় অকাম কুকর্ম করে মাফ পেয়ে যাবে এবং যাচ্ছে। এটি যেমন আমাদের দেশের রাজনীতির জন্য ভাল নয়। তেমনি আমাদের বিচার বিভাগের জন্য বড় হুমকি। মানবতার চরম লঙ্ঘন। বিচারের বানি যেন নিভৃতে কাঁদছে।
সাধারণ মানুষ যে ন্যায় বিচার পাবে না এবং পাচ্ছে না তা এত এত মামলা প্রত্যাহার দেখেই বুঝা যায়। পরবর্তী যে দল সরকার গঠন করবে তাদের যেন এই সকল কিছুই ভাল একটা পথ নির্দেশনা। যেন বলা এই আমাদের দেখে শিখ।
>>>আমি খুন করতে যাচ্ছি<<< ( জাস্ট একটা রম্য)
আমি খুন করতে যাচ্ছি, সত্যি সত্যি এমন একটা পরিকল্পনা করলে কেমন হয়। এ দুই মহিলা দেশ কে খুব জ্বালাচ্ছে , এদের করব? ওহ সরি এদের করলে তো মহা ফ্যাসাদে পড়ব। রাষ্ট্রপতি তো আমার মত চুন পুঠিকে ক্ষমা করবেন না। কারণ তাঁরা যে অসাধারণ , তাঁরা কি আপনার আমার মত ? তো কাকে খুন করা যায় বলেন তো? ওহ পেয়েছি “ইমরান এইচ সরকার”। ঐ দুই মহিলার মত অত হেভিয়ে-ট প্রার্থী নয় এ। কি বলেন?
তো ইমরান সাহেব রেডি হন আপনি , যে কোনদিন জল্লাদের ভূমিকায় দেখতে পাবেন আমাকে।
রেডি ওয়ান, টু, থ্রি..................। ওহ শেষ ইমরান সরকার।
আমার বিরুদ্ধে এলেম টু মার্ডার এর শক্ত কেস। মাস ৬-৭ পর আমার যাবত জীবন কারাদণ্ড। পাক্কা ৩০ বছর জেলের ভাত খেতে হবেরে ভাই। ও শালা ভাবা যায়, সাজা খাটলে বুড় হয়ে যাব তো, এই পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ যে কিছুই নেয়া যাবে না রে ভাই। তাই আমার হেভীয়েট বাবা খুনের পরদিনেই আমাকে লন্ডনে পগার পার করে দিছে। লন্ডন হতে রায় শুনে বেশ হেসেছি আমি । আমার কিচ্ছু হবে না ।
কিছু দিন পর পরিস্থিতি ঠাণ্ডা আমার বাবার দল ক্ষমতায়, সব কিছু আমাদের পক্ষে। বাবা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে মাগার ঐ ৩০ বছর সাজা বহাল আমার। আরেকবার হেসেছি ..............................। তো বাবার রাজনৈতিক মিত্র মন্ত্রী আশ্বাস দিছে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করে সাজা মৌ-কূপ করিয়ে দিবেন। এজন্য বাবা কে বেশ খরচ করতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। কতগুলি লোককে পক্ষে আনার জন্য। তবে এটি বিরাট কিছু নয়। কারণ আমার রাজনীতি বিদ বাবা ঠিক ঐ টাকা আবার জনগণের চামড়া ছিলে তুলে নিবে। তো সাজা মৌকুফের চূড়ান্ত নীল নকশা তৈরি করে বাবার গ্রিন সিগনাল পেয়ে বীরের বেশে আদালতে আত্মসমর্পণ করলাম। শালা এমনই খারাপ কপাল সব কিছু ওলট পালট হয়ে গেল। আজ প্রায় ২ বছর জেলের ভাত খাচ্ছি আর মন্ত্রীর পিণ্ডী চমকাচ্ছি। আর এই ভেবে লজ্জা পাচ্ছি যে , দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডণ্ড প্রাপ্ত আসামি এই আমলে ক্ষমা পেলেও এর মধ্যে আমি নেই। আর ঈশ ঐ রাষ্ট্রপতি হুট করে মারা যাবার জন্য আমি আটকে গেলাম, তা না হলে দেখতে ফেসবুকে আমার স্ট্যাটাস। তবে আমি আশাবাদী কারণ শুক্রবারের প্রথম আলোতে দেখলাম সাজা মৌকুফের জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমার সম্পর্কে ভাল মতামত দিছে।( আসামি দণ্ডাদেশের সংবাদ পেয়ে ইংল্যান্ড হতে দেশে ফিরে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে) দেখছেন কি মিথ্যুক আমাদের আইন মন্ত্রণালয়।
বাবা বলেছেন আমার ক্ষমার আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে , হূত হূ লা লা লা............... যে কোন দিন বাইরে এসে ফেসবুকে জব্বর একটা স্ট্যাটাস দিব , তা হবে এমন:
........................ ব্ল ব্ল ...।। জেলে আঁচিলাম দুই বছর , কিন্তু সত্য কথা কি জানেন অসুস্থতার ভঞ ধরে ১ বছর ২.৫ মাস হাঁসপাতালের বেডে ছিলাম , একে বারে বাড়ির মত, তবে একটাই সমস্যা ফেসবুক চালাতে পারিনি। হা হা...।। ওহ হা আমার মত আরও কিছু বিচ্ছু ক্ষমা পাবে, ডীটেলশ দেখ ২৪/৫/১৩ র প্রথম আলো।
বীঃদ্রঃ এটি একটি কালপনিক লিখা। সাজা মৌকুফ সম্পূর্ণ সংবিধান এর ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা। https://www.facebook.com/golammaula.akas/posts/569472063120723
ক্ষমা করার বিধান এবং এটি যৌতিক তখনই , যখন দেখা যায় ্্ এরা মৃত্যু পথের-যাত্রী ডাক্তার বলে দেয় আর ২-১ মাস বাঁচবে । তখন মানবিক খাতিরে জীবনের শেষ কয়েকদিন পরিবারের সঙ্গে কাটানর সুযোগ দিতে এই ক্ষমা যৌতিক। যেমন USA লিবিয়ার লকারবি বিমান হামলার আসামি কে মুক্তি দিয়েছিল । কিন্তু আমাদের দেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় ............
যাদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে তার এর কোনটিই নয়। তাই বলব এটি শুধু এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার। তাই রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত, অথবা ক্ষমা করার জন্য মানবিক কারন ছাড়া যে কোন রাজনৈতিক কারন কে বিবেচনায় নেওয়া বন্ধ হক। কারণ এই সরকার পথ দেখিয়ে গেছে পরের সরকার এর ১৬ আনা সদ্ব্যবহার করবে। যা দেশের বিচার বিভাগের ও দেশের আইন শাসনের জন্য চরম অবমাননাকর হয়ে দাঁড়াবে। চিন্তা করুন আপনার বোন কে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে কোন নরপশু বা এরকম হাজারো অপরাধ করে বিচারে তার ফাঁসি হয়েছে। ঐ শালা কুত্তার বাচ্চা সরকারি দল বা সামনে যারা সরকার গঠন করবে তাদের নামধারী ক্যাডার অথবা যেমন করেই হোক বড় কোন রাঘব বোয়াল কে ধরে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ৪৯ ধারার ক্ষমতা বলে ক্ষমা পেল এবং সে আপনার সামনে দিয়ে মমতাজ এর গানের সুরে সুরে হেটে যায়.........
(বন্ধু যখন বউ নিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে রঙ্গ করে হেটে যায় বুকটা আমার ফাঁইটা যায়।)
আপনার কি ফাটবেনা ভাই।
বিষয়: বিবিধ
১২১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন