>>নারীমুক্তি ৪র্থ পর্ব <<
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২০ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৫১:০২ রাত
>>নারীমুক্তি ৪র্থ পর্ব <<
এভাবে মেয়েদের একটা অদ্ভুত যৌগিক পদার্থে পরিণত করা হয়েছে যুগে যুগে কল্পনায় সে চূড়ান্ত গুরুত্বের যোগ্য কার্যত তার কোন মূল্যই নেই। কবিতায় ছত্রে ছত্রে তারা উল্লেখ যোগ্য কমনীয় নারী, কিন্তু বাস্তব ইতিহাসে সে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।( ক্রমশ)
কথাসাহিত্যে সে রাজা ও বিজেতাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবে সে যেকোনো বালকেরও দাসী। এইভাবে মেয়েরা তৈরি হয়েছে এক আজব চিড়িয়ায়। প্রথমে সাহিত্যে ও পরে বাস্তব ইতিহাস পড়ে এদের সম্পর্কে একটা যৌগিক ধারনা হয়।
আর ফ্রয়েড (অনেক নারীবাদী লেখিকাই যাকে বলত ফ্রড) তো ইনি মনো বিশ্লেষণ কর দেখিয়েছেন-
“মেয়েরা প্রাকৃতিক ভাবে স্বভাবতই দুর্বল মানসিকতার অধিকারী হয়”
তার মতে- “মেয়েদের চরিত্রে প্রভুত্বের চেয়ে অধীনস্থ থাকার প্রবণতা বেশী,পিরীত হবার বাসনা প্রবল”
এক কথায় মেয়েরা হচ্ছে মর্ষ কামী। কথাটার মধ্যে কিছুটা সত্য আছে কনিষ্ঠ পরিমাণে। মেয়েরা বাল্য থেকেই ছেলেদের প্রতি এক প্রকার প্রভুত্বের প্রেষণায় ভোগে এবং শেষ পর্যন্ত পুং লিঙ্গের প্রতি এই ঈর্ষা বোধ থেকে তারা হীনমন্যতায় ভোগে এবং অধীনস্থ থাকায় প্রবণতা তাদের মাঝে দেখা দেয়। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, যেমন আধুনিক নারীবাদী লেখকরা বিশ্বাস করেন যে মেয়েরা আসলে পুরুষাঙ্গকে হর্ষ করেনা করে শুধুমাত্র এই নির্বাধ প্রত্যঙ্গটার জন্য পুরুষের প্রাপ্ত সুবিধা সমূহকে। সুতরাং কম চিন্তা এবং অর্থনৈতিক সাম্য সাধিত হলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
পুরুষ তন্ত্রের পক্ষে আর একটি বড় রক্ষাকবচ হল ডার উইনের বিখ্যাত “ SURVIVAL OF THE FITTEST” মতবাদ।
“যোগ্যতমরাই রাজত্ব করবে পৃথিবীতে।“
সুতরা পুরুষ প্রমাণ করে যে পুরুষরাই শ্রেয় তর। এটা একটা শোচনীয় যুক্তি আসলে কোন যুক্তিই না। নাকের ডগায় গোলাপি চশমা পুরুষদের মনে করিয়ে দেয় বা তাঁরা অবতারণা করে এরকম পঙ্গু যুক্তির। ( ক্রমশ)
বিষয়: বিবিধ
১১৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন