>>নারীমুক্তি ৩য় পর্ব <<
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২০ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৪৪:৪৮ রাত
>>নারীমুক্তি ৩য় পর্ব <<
যেখানে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধরাশায়ী করতে হয় এবং মঞ্চে গিয়ে প্রধান অতিথির হাত থেকে মেডেল নিতে হয়। মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক হলে এসব পক্ষ প্রধান অতিথি এবং মেডেল সব অর্থহীন হয়ে যায়।( ক্রমশ)
স্যামন দ্যা বেভোয়ার নারী সম্পর্কে একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন সেটা হল
“ কেউ নারী হয়ে জন্ম নেন না, ক্রমশ হয়ে উঠে নারী “
কথাটা বড়ই সত্য তাই নয় কি। জন্মের পরপরই জ্ঞাত এবং অজ্ঞাতসারে মেয়েদের ওপর শুরু হয় মনস্তাত্ত্বিক নির্যাতন। তুমি এটা পারবেনা সেটা পারবেনা ইত্যাকার বিধিনিষেধের স্তূপ বাধা।আছে মেয়েদেরকে সংরক্ষিত শ্রেণীতে পরিণত করে ফেলার চেষ্টা। প্রাচীন জার্মানরা মেয়েদেরকে আধা-স্বর্গীয় মনে করে দেবীর মত পূজা করত। এ কিন্তু মেয়েদেরকে নারী করে ফেলারই একটা প্রচেষ্টা। যে কোন সচেতন মেয়েই-বুঝতে পারবে নির্বাক দেবী হবার চেয়ে ব্যক্তিত্ব বান মানুষ হওয়া অনেক বাঞ্ছনীয়। আর রয়েছে কবি সাহিত্যিকরা তারা মেয়েদের দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে আমাদের খাওয়ান বিভিন্ন প্রচেষ্টা। কখনও তাদের ফুলের সাথে তুলনা করেন কখনও ফুলই বানিয়ে ফেলেন।
হুমায়ূন আহমেদ এর একটা কথা আমার মনে পড়ছে। তিনি তার প্রত্যেক নায়িকাকে প্রকাশ করতেন
“ অপূর্ব সুন্দরী”।
এটা একটা আশ্চর্যের বিষয় যে, শেকসপিয়ার যখন তার নাটকগুলো লিখেন (১৬০০-১৭০০) তখন ইংল্যান্ডে মেয়েদের অবস্থা ছিল শোচনীয় । ভদ্র কোন মেয়ের পক্ষে রাস্তায় একা একা বের হওয়া ছিল অসম্ভব। অথচ কেওই বলতে পারবেনা সেক্স পিয়ারের নারী চরিত্র গুলোর ব্যক্তিত্বে ঘটতি রয়েছে। কেই বলতে পারবে না ক্লিওপেট্রা, লেডি মেকবেথ, দেসদেমনা খারাপ জীবন যাপন করেছেন।
এভাবে মেয়েদের একটা অদ্ভুত যৌগিক পদার্থে পরিণত করা হয়েছে যুগে যুগে কল্পনায় সে চূড়ান্ত গুরুত্বের যোগ্য কার্যত তার কোন মূল্যই নেই। কবিতায় ছত্রে ছত্রে তারা উল্লেখ যোগ্য কমনীয় নারী, কিন্তু বাস্তব ইতিহাসে সে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।( ক্রমশ)
বিষয়: বিবিধ
১২৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন