মনে করি আল-কায়দায় ঠিক করছে?

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৩১:১৩ দুপুর



মনে করি আল-কায়দায় ঠিক করছে?

কি আশ্চর্যের বিষয় ওরা যুদ্ধের নামে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে মুসলিমদের মারলে তা হয় বৈধ। আর আমরা মুসলিমরা অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে আন্দোলন করলে বা প্রতিশোধ নিতে হামলা করলে হয় সন্ত্রাসী। ওরা সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বা সন্দেহ ভাজন সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ড্রোন হামলার মাধ্যমে বা কথিত সন্ত্রাসী তালিকায় নাম দিয়ে নির্বিচারে মুসলিম নিধন করলে হয় বৈধ।

মিডিয়ার কল্যাণে আর তাদের প্রচারণায় এগুলি সব জায়েজ। তাঁরা তাদের দেশের , তাদের স্বার্থের, তাদের নাগরিকের নিরাপত্তার ধুঁয়া তুলে মানুষ মারলে বৈধ হলে । তা হলে আল-কায়দা তাদের প্রিয় কাওকে হত্যার প্রতিশোধ কেন বৈধ হবে না?

এই ৭-৮-১৩ তারিখে সন্দেহ ভাজন আল-কায়দা হিসেবে ৪ ইয়েমেনিকে ড্রোন হামলায় মারা হয়েছে।বলা হয়েছে ২৫ জন সন্দেহভাজনের তালিকায় একজনের নাম আছে।

খবরটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ...... সন্দেহ ভাজন ১ জন বাকি ৩ জন কি তাহলে নিরপরাধ? আচ্ছা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর তালিকা টা কে করেছে?

ড্রোন হামলায় নিহত এবং তাদের গোপন ঘাটিতে সন্দেহভাজন আল-কায়দা বন্দিদের নির্যাতন যদি জায়েজ হয় তাহলে আমি বলব............>

>>>> আল-কায়দাও সঠিক কাজ করছে<<<<<

মার্কিনীরা যদি আমাদের মুসলিমদের সন্দেহভাজন হিসেবে হত্যা বৈধ করে আমরা তাহলে কেন প্রতিশোধ নিতে হত্যার বদলে হত্যা করবোনা?

তারা মিডিয়ার মাধ্যমে এই হত্যা বৈধ করছে, আর আমরা তা কি সুন্দর ভাবে বিশ্বাস করছি তাদের কথিত সন্দেহভাজন আল-কায়দা সন্ত্রাসী হিসেবে আমাদের মুসলিম ভাইদের তালিকা। কি সুন্দর মিডিয়া দিয়ে আমাদের ব্রেন ও চক্ষু ওয়াশ। কি অবলীলায় তাদের কথিত প্রচারণা আমরা বিশ্বাস করছি।

আল-কায়দা যদি মার্কিনীদের মত মিডিয়া যুদ্ধের সুযোগ থাকত তবে আমার মনে হয় ওদের যুক্তি গুলি আমরা মেনে নিতাম।

এখন যেমন আমাদের দেশে হচ্ছে......... চিহ্নিত রাজাকারদের পক্ষে কিছু মানুষের কথা বলা। যা আমেরিকার কথিত কথিত সন্দেহভাজন আল-কায়দা সন্ত্রাসীর পক্ষে প্রচারণায় কেমন যেন মিল। অসত্যকে সত্য বানানোর কি নিদারুণ প্রয়াস।

যে যত প্রচারণা করবে তার থিওরি তত মানুষের মাঝে, মানুষের মনে প্রভাব ফেলবে। যা আজ আমাদের মুসলিমদের মাঝে প্রভাব ফেলছে। আমরা অবলীলায় মার্কিন মনগড়া অসত্য প্রচারণাকে সত্য মেনে আমাদের ওপর আরোপিত সন্ত্রাসী তকমা মেনে নিয়ে আমাদের মুসলিম ভাইদের হত্যা কে বৈধতা দিয়েছি। আমাদের মুসলিম দেশের সরকারও মার্কিন প্রচারণার ফাঁদে পা দিয়ে সমান তালে চলছে। যা আমাদের বড় ক্ষতি করছে।

আচ্ছা আফগান-স্থান, ইরাক, ইয়েমেন, সোমালিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন সহ বিভিন্ন দেশে যে এত মানুষ মার্কিনীদের মতে সন্ত্রাসী হয়েছে তারা কেন আরামের জিন্দেগী বাদ দিয়ে এই পথে এসেছে বলে মনে হয়?

আর কেও আপনার বাবাকে মা কে বা প্রিয় কাওকে চোখের সামনে গুলি করে বোমা মেরে মেরে ফেলে আপনি কি ওদের মত প্রতিশোধ নিতেন না? না কি চুপ করে হাতে চুরি পরে ঘরে গুমিয়ে থাকতেন।

তাই মনে করি আল-কায়দায় ঠিক কাজ করছে, আমার সুযোগ থাকলে আল-কায়দায় যোগ দিতাম।

এবার ড্রোন হামলার একটা গ্রাফ চিত্র দেখুন:

দেশ সময় হামলা মোট মৃত বেসামরিক

পাকিস্তান: ২০০৪-১৩ ৩৭১, ২৫১৪-৩৫৮৫ ১১১২-১৪৯৩

ইয়েমেন; ২০০১২-১৩ ৪৭-৫৭ ৬৭৬-১১৯৯ ৯৮-১৮৮

সোমালিয়া: ২০০৭-১৩ ৩-৯ ৫৪-১৭০ ৭-৫৭

সূত্র--- যুগান্তর।

মৃতদের এত সংখ্যার বেশিরভাগ সন্দেহভাজন আল-কায়দায় হিসেবে দেখানো হয়েছে । আর বেসামরিক নিষ্পাপ মহিলা , শিশু , যুবক , বৃদ্ধা কেও বাদ পড়েনি এই তালিকা হতে।

এবার কি বলবেন আর কি যুক্তি দিবেন আপনিই ভাল জানেন?

https://www.facebook.com/golammaula.akas/posts/564277120306884

৮.৪৮AM ১৩-৮-১৩

বিষয়: বিবিধ

১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File