আমার দাদী ও তার নষ্ট কাগজের তৈজস পত্র
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৭ জুলাই, ২০১৩, ১১:২৬:১৩ রাত
আমার দাদী ও তার নষ্ট কাগজের তৈজস পত্র
ইতিহাস: আমার দাদার ৩ বিয়ে। প্রথম দাদীর এক মেয়ে। সবার বড় ফুপু। তিনি যখন মারা যান আমার ফুপু ৪ বছরের। এর পর অনেক কাহিনী করে বড় দাদীর ছোট বোনকে তিনি বিয়ে করেন। এই ২য় দাদীর একটায় ছেলে। আর সে আমার বাবা। তো এই ভদ্র লোক ছোট হতে খুব রোগা, মারা যায় যায়, আমার দাদীর আর ছেলে মেয়ে হয় না বা হবে না। তো দাদা জান ভাবলেন এত সম্পদ আমার কে খাবে। তো তিনি দাদীর অনুমতি( নিয়েছিলেন কি না জানি না, ধরে নিলাম নিয়েছেন, আর জানাও সম্ভব নয়। কারণ আমার দাদা ১৯৭২ মারা যান। আর আমার দাদী এক বছর আগে মারা গেছেন। সকলে তাদের জন্য দোয়া করবেন। যেন আল্লাহ তাদের বেহেস্ত নছিব করেন। আমিন।) নিয়ে আমার এই ৩য় নম্বর দাদীকে বিয়ে করে আনেন। এই দাদীর নাম হল তমিজান বেওয়া। এই দাদীর হল ৩ মেয়ে অর্থাৎ আমার তিন ফুপু।
আসল ঘটনা: আমার এই দাদী আমাদের বাড়ির সকল নষ্ট কাগজ না পুড়িয়ে সুন্দর সুন্দর দৈনন্দিন ব্যাবহারিক তৈজসপত্র (হাড়ি, পাতিল, প্লেট, খেলনা, মোড়া, ফুলদানি, কলমদানি, ট্রে ইত্যাদি) তৈরি করতেন।
তৈরির প্রক্রিয়া: প্রথমে নষ্ট কাগজ বা বাতিল খাতা বই ইত্যাদি সংগ্রহ করে কুচি কুচি করা হয়। এই কুচি কুচি কাগজ গুলি ভাতের ফেন বা মাড় সহযোগে আগুনে জ্বাল দেওয়া হয়। তবে এর সঙ্গে একটু আঠা ও ময়দা মিশিয়ে নিলে ভাল হয়, যদিও ফেন আঠার কাজ করে। কাগজ ও ফেন এর মিশ্রণ গুলি ভাল করে সেদ্ধ করে পানি মেরে একেবারে ঠন ঠন করা হয় অর্থাৎ ঘন মণ্ডে বা রুটি তৈরির মত ময়দার যেমন নাশা বা মণ্ড তৈরি করা হয় , তেমনি মণ্ড প্রস্তুত করা হয়।
এই মণ্ড কে ঠাণ্ডা করে প্রয়োজনীয় ছাঁচ( যা তৈরি করতে চান তার ডেমি) এর উপর বা ভিতরে মণ্ড ঢুকিয়ে প্রয়োজন মত রৌদ্রে শুকিয়ে নিলেয় আপনার জিনিস প্রস্তুত ।
এই প্রস্তুত কৃত বিভিন্ন জিনিশ তিনি বাড়ির বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করেন। তার তৈরি বিভিন্ন খেলনা তিনি তার নাতি নাতনীদের দেন।
তো এই হল আসল ব্যাপার। কেও দেখে থাকলে আওয়াজ দিয়েন।
১০.১৭pm ২৭-৭-১৩ https://www.facebook.com/golammaula.akas/posts/555709164497013
বিষয়: বিবিধ
১৫৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন