আমাদের পথচলা
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্যালো১ ১০ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৪৬:৩৫ রাত
এবারের ঈদটা কেন যেন ভালো লাগছে না। বেশ কিছু আত্মীয়, বন্ধু ও ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছি বটে কিন্তু মন ভরছেনা। ছয় দিনের ঈদের ছুটির সাথে আরো সাতদিন ছুটি নিয়েছি বাড়ি যাব ভেবে, কিন্তু এখন যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না। দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে থাকলেও সঙ্গী সাথি না থাকায় আপাতত এটাও হচ্ছেনা। কি করব বুঝতে পারছি না। তাই ভাবলাম আমাদের ইভেন্ট নিয়ে কিছু লিখি, অনেকে হয়ত ভাবছে কি হোল না কি হোল।
পথশিশুদের সাথে স্বাধীনতা দিবস পালন করার ইভেন্টটি অনেকটা আতিক্কা হইলেও এবারেরটা অনেক আগে থেকে প্লান করা। শ্রদ্ধেয় রেহনুমা বিনতে আনিস মেম থেকে একটা খুদে বার্তা পাওয়ার পরই মূলত কাজ শুরু করি। অনলাইন এ বার্তাটি শেয়ার করার মাধ্যমে এই অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সফল হই। অনেকের আগ্রহ দেখে একটি ইভেন্ট তৈরি করলাম, যার লক্ষ্য ছিল কিছু সুবিধা বঞ্ছিত ও পথশিশুদের মধ্যে ঈদের পোশাক বিতরনের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা।
বিকাশ, অনলাইন ব্যাংকিং ও সরাসরি আমরা ফান্ড সংগ্রহ শুরু করি। সর্বমোট প্রায় এক লক্ষ টাকা সংগ্রহ হয়। দুই গ্রুপ এ প্রায় ২০০জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখে আমরা হাঁসি ফুটাতে সমর্থ হই। শিশুগুলো বিভিন্ন এতিমখানা, স্কুল, রেল স্টেশন ও পথের ধার থেকে সংগ্রহ করা। চেষ্টা করেছি যাদের বাবা-মা নেই বা যাদের অন্তত বাবা নেই তাদের প্রাইওরিটি দিতে। বিভিন্ন মানের ও দামের পোশাক দিয়েছি। পোশাক কেনার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দেরি করে ফেলি তাই সাইজ মিলাতে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কোয়ালিটির সাথে কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে। সেটার পারসেন্টিজ খুবই কম। আবার কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চাদের সাইজ সংগ্রহ করার পরেও আখাঙ্খিত সাইজের জামা দিতে পারিনি, আমাদের মাপের ও পোশাকের সাইজের ট্যাগ এ মিল না থাকার ফলে।
ফান্ড সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে একটু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। অনেকে আল্লাহ্র সাথে উত্তম সওদা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আরও বড় সমস্যা ছিল ফিল্ড ওয়ার্ক করার জন্য পর্যাপ্ত লোকবলের। লোকবলের জন্য বেশ কয়বার পোস্ট দেয়া লাগছে। সব কিছুকে জয় করে কোন ঝামেলা ছাড়াই আল্লাহ্র রহমতে সুষ্ঠুভাবে সব কাজ সম্পন্ন করেছি।
যারা শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। রায়হান ভাই (যিনি সারা রাত কাপড় কিনতে সাহায্য করেছেন), নাঈম ভাই (লোকবল সংগ্রহে ও সার্ভে করতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে), তিতুমির (নাঈম ভাই এর ছাত্র, ফিল্ড ওয়ার্ক থেকে বিতরণ পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক সাহায্য করেছে), মানযার ভাই (যিনি আকাশের তারার মত দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান যাইহোক, সব সময় আছেন। ফান্ড সংগ্রহে তার ভূমিকা অতুলনীয়।) – এদের সাথে রেহনুমা মেমের প্রতি আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞ। আল্লাহ্ তাদের উত্তম প্রতিদান দিক। এমন কাজ চালিয়ে যেতে চেষ্টা করব, আশা করছি আপনাদের সাথেই পাব। এমন বিচ্ছিন্ন কিছুকাজ হয়ত সূদুরপ্রসারী কোন উপকারে আসবেনা, তবুও কিছু মুখে সাময়িক হাঁসিটাইবা কম কি?
ভাবছি পার্মানেন্ট কিছু করব। একটি চ্যারিটি গ্রুপ করে একজন বা দুজন পথশিশু বা এতিমকে সুবিধা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে দিব। জানি এটা আগের দুটি কাজের মত এত সহজ নয়, আবার আগের দুই অভিজ্ঞতায় মনে হচ্ছে কঠিনও নয়। এই ব্যাপারে সকলের মতামত চাওয়ার মধ্যে দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৪ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সমাজের সকলেরই এধরনের কাজে মনোনিবেশ করা উচিত,ইসলামের শিক্ষাও সেটাই!
(আমি ইদানিং একটু অনিয়মিত, তাই জবাব দিতে দেরি হল।)
(আমি ইদানিং একটু অনিয়মিত, তাই জবাব দিতে দেরি হল।)
(আমি ইদানিং একটু অনিয়মিত, তাই জবাব দিতে দেরি হল।)
নারে ভাই; নেট প্রব্লেম থাকায় হয়ত ৩ বার ক্লিক পরায় ...
(আমি ইদানিং একটু অনিয়মিত, তাই জবাব দিতে দেরি হল।)
আলহামদুলিল্লাহ্ Happy দোয়া করবেন যেন এমন কাজ আরও করতে পারি।
এভাবে আমাদের কাজ গুলো সমাজকে বদলে দিবে, ইন শা আল্লাহ্।
(আমি ইদানিং একটু অনিয়মিত, তাই জবাব দিতে দেরি হল।)
এভাবে আমাদের কাজ গুলো সমাজকে বদলে দিবে, ইন শা আল্লাহ্।
(আমি ইদানিং একটু অনিয়মিত, তাই জবাব দিতে দেরি হল।)
মন্তব্য করতে লগইন করুন