হালাল এবং হারাম ২
লিখেছেন লিখেছেন গোলাপ ০৩ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৫৬:৩৫ সকাল
হারাম বস্তু খেয়ে দুআ করলে যেমন আল্লাহ কবুল করে না, তেমনি আপনার উপার্জন করা হারাম আয়-রোজগার ভার/ গুনাহ আপনার স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা কেউ নিবে না সেই কঠিন কিয়ামতের দিনে। দুনিইয়াতে সামান্য সুখের জন্য আপনি অবৈধ আর হারাম পথে কাড়ি কাড়ি টাকা আয় করছেন, অবৈধ সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছেন। কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন আপনি মারা যাওয়ার পর কে দিবে আপনার হিসাব? আপনার পাপের জন্য অন্য কেউও দায় ভার নিবে না। আপনার হিসাব আপনাকেই দিতে হবে। আল্লাহ বলেন---
"পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট।" (সুরা বনী ইরাইল ১৪)
তাই আজ কুরাআন আর হাদিসে হালাল-হারামের বিধান গুলো তুলে ধরব।
০১. হে মানব জাতি! তোমরা পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তুসামগ্রী ভক্ষণ কর (সুরা বাকারা-১৬৮)
০২. হে মুমিনগণ আমি তোমাদেরকে যেসব পবিত্র বস্তুসামগ্রী রুযী হিসেবে দান করেছি তা হতে ভক্ষণ কর এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর (সুরা বাকারা- ১৭২)
০৩. তিনি তো তোমাদের জন্য উপর হতে নিক্ষিপ্ত মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে যবেহকৃত প্রাণী হারাম করেছেন। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমা লংঘনকারী না হয়, তার জন্য তা ভক্ষণ করাতে কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা মহান ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু সুরা (বাকারা-১৭৩, সুরা নহল-১১৫)
০৪. হে নবী! আপনি বলে দিনঃ আমার পালনকর্তা কেবলমাত্র অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গোনাহ, অন্যায়-অত্যাচার আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে অংশীদার করা, তিনি যার কোন, সনদ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর প্রতি এমন কথা আরোপ করা, যা তোমরা জান না।(সুরা আরাফ-৩৩)
০৫. হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করছেন আপনি আপনার স্ত্রীদের কে খুশি করার জন্য তা নিজের জন্য হারাম করছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ময় (সুরা আত তাহরীম-১)
০৬. রসুল (সঃ) বলেছেন, মানব জাতির কাছে এমন একটি সময় আসবে যখন মানুষ কামাই-রোজগারের ব্যাপারে হালাল হারামের কোন বাচ-বিচার করবে না (বুখারী)।
০৭.হযরত জারির (রা•) হতে বর্ণিত রসুল (সঃ) বলেছেন, যে শরীরের গোশত হারাম খাদ্যদ্বারা গঠিত হলো, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না (বায়হাকী, আহমদ)
০৮. রসুল (সঃ) বলেছেন, কোন একজন ব্যক্তি দুহাত আকাশের দিকে উত্তোলন করে দোয়া করে বলে, হে আল্লাহ! হে আল্লাহ! অথচ তার খাদ্য, পানীয় ও লেবাস-পোশাক সব কিছুই হারাম উপার্জনের। এমনকি সে এ পর্যন্ত হারাম খাদ্য দ্বারাই জীবন ধারণ করেছে। সুতরাং তার দোয়া কিভাবে কবুল হবে? (মুসলিম)।
০৯. রসুল (সঃ) বলেছেন মানুষের খাদ্যের মধ্যে সেই খাদ্যই সবচেয়ে উত্তম যে খাদ্যের ব্যবস্থা সে নিজ হাতে কামাইর দ্বারা করে। আল্লাহর প্রিয় নবী হযরত দাউদ (আঃ) নিজ হাতের কামাই হতে খাদ্য গ্রহণ করতেন (বুখারী)।
১০. হযরত আব্দুলস্নাহ ইবনে মাসউদ (রা•) হতে বর্ণিত আছে, রসুল (সঃ) বলেছেন, হারাম পথে উপার্জন করে বান্দা যদি তা দান করে দেয় তবে আল্লাহ সে দান কবুল করেন না। প্রয়োজন পূরণের জন্য সে সম্পদ ব্যয় করলে তাতেও বরকত হয় না। সে ব্যক্তি যদি সেই (হারাম) সম্পদ রেখে মারা যায় তাহলে তা তার জাহান্নামে যাওয়ার পাথেয় হবে। আল্লাহ অন্যায় দিয়ে অন্যায়কে মিটান না। বরং তিনি নেক কাজ দিয়ে অন্যায়কে মিটিয়ে থাকেন (মিশকাত)।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন