একটি রায় , অতঃপর আবার সেই পুরানো শাহবাগ।এইবার???
লিখেছেন লিখেছেন দক্ষিনের জলদস্যু ১৫ জুলাই, ২০১৩, ১১:১৮:৫৪ রাত
আবার সেই পুরানো খেলার দ্বিতীয় পর্ব শুরু।এইবার সরকারের প্ল্যান কি তা যদিও রহস্য,কিন্তু তারা যে সমূহ বিপদে তা তারা বুঝতে পারছে।গোলাম আযম জীবিত না মৃত সেটা ফ্যাক্ট না,সাধারন মানুষের অনুভুতি নিয়ে খেলা করার পরিনতি অবশ্যই ভালো হয় না।এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে গোলাম আযম একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী।জনগন তার ফাঁসি চাইবে এটা স্বাভাবিক।
আজ কেন এই রায়?
কেনো মুলা ঝুলায়ে রাখছেন জনগনের সামনে?
তলে তলে রাজাকার আর চেতনা ব্যাবসায়ী সরকারী দল যে একই সরলরেখায়,তা একেবারে স্পষ্ট।
শাহবাগে আজ এই সরকারের দালালদের উদ্দেশ্যটা কি?তারা আবারো একটা হৈ চৈ পাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কেনো?
নির্বাচনের আগে সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে বলেছিলো,তারা কিন্তু বলেনি যে,কার্যকর করবে!হোয়াট এ ফান!জনসমর্থন পাওয়ার জন্য অভিনয়টা যেনো ঠিকই করেছিলো যেমন, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন।এতে করে শাহবাগকে উষ্কে দেয় সরকার কিন্তু নাস্তিক প্রসঙ্গে জনগনের অবস্থানে তা খানিকটা ভাটা পড়ে।এরপর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রোধে তাকে ফাঁসির রায় দেয়া হয় যদিও তার যোগ্য তিনি ছিলেন না।পরবর্তী শাহবাগীয় আন্দোলোন জনসংযোগ থেকে দুর্গন্ধে পরিনত হয় হেফাজতের কঠোর অবস্থানে।শেষবারের মত এমন হাস্যকর রায়ের উদ্দেশ্য যাই হোক,তা যে রাজনৈতিক স্বার্থপ্রনোদিত তা খুবই পরিস্কার।
আপনাদের কাছে একটাই প্রশ্ন,আপনারা তো স্বাধীনতার মত মহান চেতনায় বিস্বাসী।তাহলে সামান্য রাজনৈতিক স্বার্থে এত নিন্মমানের কাজ কিভাবে করলেন।
আজ থেকে চাদরবাবা ইমরানের স্লো মোশান ডায়লগ,মাইক কন্যা লাকীর শ্লোগান,জমির চাচার ভাষন শোনা যাবে।কিন্তু মনে রাইখো শাহবাগ,এইবার তোমাগো সাথে কেউ নাই।
এসকল দালালদের প্রথমে আমরা বুকে জড়িয়েছি,তারপর থুথু দিয়েছি অবশেষে মনে হয় সময় এসেছে তাদের মুখে মুতে দেয়ার।
সবার একটাই উদ্দেশ্য আর তা হলো রাজনৈতিক স্বার্থ আর গাজাবিরিয়ানির টাকা।যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কেউ চায়না।
আর বর্তমান সরকারকে বলি,আপনারা আমাদের কাছ থেকে অনেক আগেই সরে গিয়েছেন।আমরা চেতনালোভী নই।আপনারা আমাদের জন্যে কি করেন সেটাই লক্ষনীয়।
হলমার্ক,পদ্মাসেতু,শেয়ার কেলেংকারি খান আপনারা।আর ভোট নিয়ে গেম থেলেন আমাদের সাথে!
গোলাম আযমের ফাঁসিও তো দিলেন না,আপনাগো আর কোনো যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা লাগবো না।
যান আপনারা শাহবাগী শেয়ালগুলারে কাঁকড়া সাপ্লাই দেন।আর খেয়াল রাইখেন ঐ কাঁকড়া যেনো আপনাদের লজ্জাস্থানে না দংশন করে!
-ভুল মার্জনীয়
বিষয়: রাজনীতি
১৪১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন