তাবলীগ জামাতের কাজ প্রথম যেখানে যে ভাবে শুরু হলো- (পর্বঃ ২)
লিখেছেন লিখেছেন সত্যভাষন ১৭ জুলাই, ২০১৩, ১১:১৭:৩২ সকাল
পরবর্তীতে সুলতান ফিরোজশাহ তুঘলকের আমলে লক্ষণ পাল নামে এক বিখ্যাত খানজাদা ইসলাম গ্রহন করে মেওয়াত ও সংলঘ্ন এলাকা শাসন করত। উনবিংশ শতকের শেষ দিকে সমগ্র মেওয়াতী জনগোষ্ঠী মুসলমান হলেও তা ছিল শুধু নামে মাত্র। হিন্দু জমিদারদের উপাস্য দেবতাই ছিল মেওয়াতীদের পূজ্য দেবতা। জন্মাষ্টমী, দশহরা, দেওয়ালী ইত্যাদি বেশ কিছু হিন্দু পর্ব মেওয়াতীরাও পালন করত। আচারে অভ্যাসে মেওয়াতীরা ছিল আধো হিন্দু। তখন ভারতবর্ষে মেওয়াতীরা ছিল বহু ক্ষেত্রে আরব জাহেলিয়াতের নমুনা।
হযরত ইলিয়াস (র) এ গুলোকেই সংস্কার করে মেওয়াতী মুসলমানদের এ সকল নৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে সচেষ্ট হন।
তাঁর সংস্কারের প্রথম কাজ হিসেবে ইলমে দ্বীনের প্রচার প্রসার ও শরীয়তের প্রয়োজনীয় মাসায়েল শিক্ষাদানের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন। এ উদ্দ্যেশ্যে সেখানকার শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষাদানের জন্য তিনি সেখানে কয়েকটি মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এই মক্তবসমূহ মেওয়াতীদের ধর্মীয় জীবনে খুব একটা কার্যকর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়নি। মক্তব শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সংশোধনের যে ন্যূনতম প্রয়াস চলছিলো সে ব্যাপারে মাওলানা ধীরে ধীরে নিরাশ হয়ে পড়লেন।
প্রথমত দেশের ধর্মহীন পরিবেশ এবং মূর্খতা ও গোমরাহীর সর্বগ্রাসী অন্ধকার মক্তবগুলোকেও প্রভাবিত করেছিল। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো, রোজগারী থেকে সরিয়ে সন্তানদের পড়ায় এনে বসানো। শিথিল ধর্ম বিশ্বাসের মানুষ ছেলেদের তাই মক্তবে পাঠাতে উৎসাহী ছিল না। তা ছাড়া সমাজের সকল লোকদের দ্বীনি শিক্ষা ও ইবাদতের অনুশীলন করাতে কোন ব্যবস্থা না থাকাতেই বৃহত্তর সমাজে এ প্রতিষ্ঠানের কোন প্রভাব পড়েনি। -(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন