কক্সবাজার বিজিবি ক্যাম্প এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী ‘ইয়াবা রেহেনা’ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে
লিখেছেন লিখেছেন ওমরী সাদাত ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:৪৬:৫৩ দুপুর
শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী রেহানা আক্তার (৩০) ওরফে ইয়াবা রেহানা এখনো পুলিশ-প্রশাসনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চার বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যক্তা রেহানা এলাকার ফরেস্ট অফিসের পেছনে পাহাড়ী দু’শতক খাস দখলীয় জমি কিনে স্থায়ী বসবাসের মাধ্যমে মাদকের অবৈধ ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে রেহানার সাথে তার নিয়মিত মাদকের গ্রাহক টেবলেট মাসুদের ঘনিষ্ঠতা হয় এবং তাকে বিয়ে করে। এতে শহরের মাদক জগতের বিরাট একটা অংশ তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। মাসুদসহ তার লালিত ক্যাডার বাহিনীর বেপরোয়া আধিপত্যের কারণে রেহানা রাতারাতি এলাকায় বেশ কয়েকটি জমি ও বিপুল অর্থের মালিক বনে যায়। রেহানা বিগত কয়েক বছর ধরে ইয়াবার ছড়াছড়ি হলে শহরে ইয়াবার একটি গুরুত্বপূর্ন ডিপোতে পরিবনত হয়।
কে এই রেহানা?
শহরের গরু হাল্দা এলাকার আরেক মাদক সম্রাজ্ঞী বলি ফাতের গর্ভজাত সন্তান এই রেহানা ও শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী রায়হান ও নাছিরের আপন বোন। রেহানা জন্মসূত্রেই মাদক পেশায় এসেছে। পাশ্ববর্তী ফরেস্ট অফিসের পরিত্যক্ত ৫/৬ টি ভবন মাদক সেবনের ডেরা ও খানিকটা নির্জন পাহাড়ী এলাকা হওয়াতে রেহানার মাদক ব্যবসার সেই ছোট চারা গাছটি আজ মহিরুহ ধারণ করেছে। এলাকার উঠতি বয়সের ছাত্র-যুব সমাজ (বিজিবি সদস্যদের সন্তানসহ) এই সহজলভ্য মাদক ইয়াবার মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে অপহরণ, দুর্ধ্বর্ষ ছিন্তাই-চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ, জমি দখল ও চাঁদাবাজীসহ হেন কোন অপরাধ নেই যা তাদের দ্বারা সংঘঠিত হচ্ছে না। রেহানার তথাকথিত ‘বড়’ ভাইয়েরা ও লালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ করার সাহস-ই পাচেছ না বলে অনেক ভুক্তভোগী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তারা তাদের সন্তানদের ব্যাপারে যেমনি চিন্তিত তার চেয়েও অধিক আতংকিত থাকছেন রেহানার পালিত গুন্ডাবাহিনী ও এলাকায় বকে যাওয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশ দম্পতি ইয়াবা আসক্ত কণ্যার হাতে নিমর্মভাবে খুন হলে সারা দেশব্যাপি সকল মাদকসহ, ইয়াবা সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে সাড়াসি অভিযান চালালেও কোন এক অদৃশ্য কারণে রেহানা ও টেবলেট মাসুদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে সগৌরবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। রেহানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১০/১১ টি মামলা থাকলেও তার ব্যাপারে রহস্যজনক কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছেন প্রশাসন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের সর্ব স্তরে বিভিন্ন সময় আবেদন করা হলেও রেহানাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যায়নি।তাই রেহেনা,মাসুদদের কারনে দিনে দিনে মরণ নেশা ইয়াবার ছোবলে এলাকাটি শহরের এক ভুতুড়ে রাজ্যে পতিত হয়েছে। এই সমস্ত মাদক ব্যবসায়ী দের স্ব- মূলে ধ্বংস করে কঠিন এই সামাজিক অবক্ষয় রোধে এলাকার জনগণ যথাযথ প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন