৭ বছরের জমজ দু’ অন্ধ সহোদয় হাসান-হোসাঈন কোরআনে হাফেজ
লিখেছেন লিখেছেন সাদা আকাশ ২৪ জুন, ২০১৩, ০১:৩২:০৩ রাত
আমার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানায়। চাঁদপুরের ইলশেপাড় পত্রিকায় আজকের সংবাদটি দেখে খুব ভাল লাগল। সংবাদটি করল আমার কাছের এক ছোট ভাই। সংবাদটি হল "৭ বছরের জমজ দু’ অন্ধ সহোদয় হাসান-হোসাঈন কোরআনে হাফেজ"। জমজ দু’ অন্ধ সহোদয় হাসান-হোসাঈন। দক্ষিণ সাহেবগঞ্জ তাদের গ্রাম। বাড়ির নাম ছৈয়াল বাড়ি। বাবা মো. আলমগীর হোসেন।
জন্ম থেকেই পৃথিবীর আলো দেখেনি তারা। ছোট বেলা থেকেই কোরআন শোনার প্রতি আগ্রহ ছিল তাদের দু’জনের। যেখানেই কোরআন তেলাওয়াত হতো সেখানেই ছুটে যেত। চোখে না দেখলেও মন দিয়ে শুনতো কোরআনের সূরাগুলো। আর সেই আগ্রহ থেকেই কোরআনে হাফেজ হল ৭ বছরের দু’সহোদর।
প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার পর যখন তারা সমাজের চোখে অবহেলিত ছিল, তখন তাদের বাবা-মা তাদের কোরআনে হাফেজ করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য করার স্বপ্ন দেখলেন। গত এক মাস আগে হাসান-হোসাঈনের বাবা মো. আলমগীর হোসেন তাদের ফরিদগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলামের কাছে কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি করিয়ে দিয়ে যান। মাত্র এক মাসে আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের নিরলস প্রচেষ্টায় তারা এখন কোরআনে হাফেজ।
গত শনিবার ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের মাহফিলে দু’ভাইয়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুসল্লিরা শুধু মুগ্ধই হননি, পুরস্কৃতও করেন তাদের।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন