ভয়ংকর স্বার্থ পর
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ কবির হোসেন ০২ মার্চ, ২০১৬, ০৭:০০:০৫ সন্ধ্যা
হে পৃথিবী আমাকে তোমি একটু শান্তি দাও
একটা স্বস্হির শ্বাস নিতে দাও,মাত্র একটা
আমি খুব কষ্টে আছি পৃথিবী,সেই কষ্টের
করাঘাতে প্রাণ আমার চলে যেতে চায়
আমার কোন দুঃখ থাকবেনা,কোন রকম দুঃখ
শুধু তোমি আমাকে একটা স্বস্হির শ্বাস নিতে দাও
আমি সেই শ্বাসটি গ্রহনে এই জীবন ধন্য করি
মাত্র একটি বারের জন্য নিজেকে ভাবি আমি সুখী
হে পৃথিবী,
আমিতো বোকার মত তোমার নিকট স্বস্হি কামনা করছি
আমিতো ভুলেই গিয়া ছিলাম তোমার জন্মটায় আগুনের পিন্ড থেকে
আর তাইতো তোমার বুকের সকল প্রাণ আগুনের শ্বাস নিচ্ছে!
আর সকলের নাসিকার ছিদ্র দ্বয় দিয়ে বেরীয়ে আসছে আগুনের হাওয়া!
এখন আমি বলতে পারি তোমার বুকের সকল প্রাণ নরকবাসী!!
হে পৃথিবী,
এখন আমি বলতে পারি তোমি আরও একটি নরক!
তোমার সেই নরক থেকে,আগুনের কুন্ডলী থেকে শুধু
মৃতরায় মুক্তি পেয়েছে,বাকী সবাই জ্বলছে,আর পুড়ছে!
হে পৃথিবী,
আমি ইচ্ছা করিলেই তোমার আগুন থেকে বেরিয়ে আসতে পারি
কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণে আমাকে আরও একটি নরকে নিয়ে যায়বে
জানি আর সব নরকের যন্ত্রণা এক,শুধু তার নাম ভিন্ন,ভিন্ন
হে পৃথিবী,
এখন আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি,সইয়ে গেছে আগুন
এখন আমি তোমার বুকের শ্রেষ্ঠ আগুনের মাঝে বসেও আমি
বাজায় গিটার,সুর তুলি আগুনের,সৃষ্টি করি আগুনের কবিতা
হে পৃথিবী,
এখন আমি ভয় করি না তোমার বুকে বিরাজরত পশু,জন্তু,কোন
হিংস্র স্বভাবের মানুষের আকৃতি মানুষদের,এমন কি কোন
প্রকাশ্য শয়তান,এমন কি কোন কুত্যা স্বভাবের নারী-পুরুষকে
যারা ডাষ্টবিনে ফেলে দেয় মানব সন্তান
কারণ,এখন আমি ওদেরকেও ভালবাসি আমি স্বার্থপর তাই
ওরা যার মনে আগুন জ্বালায়,আমি তার মনে স্বর্গ দেই
ওরা যাকে আধারে ঠেলে দেয়,আমি তাকে আলো দান করি
ওরা যা ভালবাসে,আমি তা ঘৃণা করি
ওরা যার মৃত্যু কামনা করে,আমি তার জীবন কামনা করি
ওরা যাকে প্রভু মানে,আমি তাকে শয়তান মানী
ওরা লজ্জা নিবারণ করে আগুনের পোশাক দ্বারা
(যে নারী শ্বামী ব্যাতি রেখে পর পুরুষের এবং
যে পুরুষ স্ত্রী ব্যাতি রেখে পর নারীর পোশাক পড়ে)
আমি লজ্জা নিবারণ করি সোতার তৈরী পোশাক দ্বারা
ওরা ভয় পায় মানুষ,আমি ভয় পাই মানুষের সৃষ্টি কর্তা
ওরা ভালবাসে দুইপা ধারী কুইত্যা,আমি ভালবাসি আল্লাহ
ওরা শয়তান সিজদা করে ভয়ে বুঝি কেউ দেখল
আমি সিজদা করি আল্লাহকে নতশীরে
আমি জ্ঞ্যান লাভ করি ওদের ও ওদের সহচর থেকে
তাই আমি স্বার্থ পর,ভয়ংকর স্বার্থ পর
ওরা আমাকে নিক্ষেপ করে তিন মিনিটের নরকে
আমি ওদের নিক্ষেপ করি অনন্তকালের নরকে
ওরা পথ চলে রাতের অন্ধ কারে
আমি পথ চলি দিনের আলোই
ওরা জন্ম দেয় জারদ সন্তান-(নষ্ট নারী পুরুষ)আমি জন্ম দেই মানব সন্তান
আমি আমার সন্তানের পিতা-ওরা(নষ্ট নারী পুরুষ) ওদের জারদ সন্তানের পিতা-মাতা
ওরা আমাকে হেয় করে ওদের সঙ্গীর নিকট
আমি ওদের হেয় করি পৃথিবীর সকল প্রাণীর নিকট
কারণ এখন আমি প্রতি দিন ওদের কবর দেয়
পৃথিবীর সকল চতষ্পদ কুকুরের ভেস্তায়
কারণ আমি জেনে গেছি ঐ সকল প্রাণীর চেয়ে কুকুর শ্রেয়
কারণ আমি জেনে গেছি ঐ সকল প্রাণীই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিকৃষ্ট
কারণ আমি জেনে গেছি ডাষ্ট বিন থেকে উদ্ধার করে ওদের
সেই জারদ সন্তান চতুষ্পদ কুকুর
হে পৃথিবী,
এখন আমি ভয় করি না তোমার বুকে বিরাজরত তাদের
যারা আমাকে ভয় দেখায় সম্পর্ক বিচ্ছেদের,মৃত্যুর ভয় দেখায়,
প্রাণের জন্য মৃত্যুর যন্ত্রণা সৃষিটি করে,ছলনার নামে নরক উপহার দেয়
সত্যের নামে মিথ্যা বলে,মিথ্যার নামে সত্য গোপন করে
ভালবাসার নামে নরক সৃষ্টি করে,ঘৃণা করে,করুণার নামে
দান করে,উপহাস করে,ব্যাঙ্গ করে বাক্য দান করে,হেয় করে,
কাঁদায়ে আত্বতৃপ্তি পায়,পাপ করে তৃপ্তি পায়,পাপের গৌরব করে,,
অহংকার করে,এখন আমি ওদের ভয় করি না,এখন আমি ওদের
চোখের আড়ালে অট্টহাসি,কারণ,আমি জেনে গেছি ওরা আমার নয়
ওদের জন্যই মহাকালের নরক সৃষ্টি করছে
কারণ,আমি জেনে গেছি,এখানে আমি একা আসেনি
নিশ্চয় কেউ আমাকে এখানে রেখে গেছেন,আর তিঁনি
এখানে এসে আমাকে নিয়া যাবেন,আর প্রত্যেকে বসাবেন
তার কর্ম ফলের জায়গায়৷আর নিশ্চয় তিঁনি আল্লাহ।
বিষয়: সাহিত্য
১১৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন