জন্মান্তর
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ কবির হোসেন ৩০ জুন, ২০১৩, ০৬:০২:২৩ সন্ধ্যা
আজও এই হৃদয়ের ক্ষত থেকে ফোটা-
ফোটা তোমার বিরহ রক্ত ঝরে
আজও প্রতিটি রক্তের ফোটা তোমার
সৃতির পাতায় প্রাণ হয়ে বেঁচে আছে
আজও প্রতিটি রক্তের কণা তোমাকেই
ভালবাসে
আজ তোমি অনেক দুরে
চোঁখের দৃষ্টির বাইরে,তবু
আজও মনে হয় তোমি খুব কাছে,
যেন,ঠিক চোঁখের পাতার মত কাছে
আসলে আজও তোমি এই হৃদয়ে
প্রথম দেখার মত
কত আমাদের মনে ভালবাসা ছিল
মোরা ছিলাম ভিন দেশের
ভিন ছিল মোদের ভাষা
তবু হৃদয়ের টানে মোরা
পাখির মত হই একে-অপরের
একে-অপরকে একপলক না দেখে
কেউ থাকিতে পারিতাম না
মহা বিপদ-মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও
দেখা হতো মোদের,তাও আবার
দুর থেকে শুধু চোঁখে চোঁখে
কখনো তোমি একা বাহির হতে না
তাকে তোমার সমাজ হত্যা করে বলে
তাই তোমি ঘরের বাহিরে সঙ্গী হইতে মা-
বাবা,কিংবা ভাই-বোন-দাদা-দাদীর সাথে
তখন এমন করে তোমি দেখতে আমায়
যেন,তোমি হাজার বছর নরকে থাকার পর
কোন স্বর্গের মুখ দেখলে,আর আমি যেন,
হাজার বছর পর আমার স্বর্গের হুর দেখলাম
ভয়ে তখন আমার প্রাণটা এমন কাঁপত
যেন,বুকের ভিতর ভূমি কম্পণ হচ্ছে
আমি তখন শোনতাম আমার বুকের
পাজর-হাড় ভাঙ্গার বিকট শব্দ
আর ভয়ে তোমার মুখচ্ছবি তখন বলত আমায়
বিদায় নিবার কথা,এক জ্বলন্ত আগ্নেয় গীরি
বুকে ধরে তোমি বিদায় নিতে চোঁখের ভাষায়
কত কথা হতো মোদের,দিন-রাত ছিল সমান
একদিন ব্যাস্তার ধরুণ দেখা হলো না মোদের
সেদিন তোমি খুব জীদে বাথরুম লক করে কান্নায়
ভেঙ্গে পড়লে,আমার প্রাণ তখন থর-থর কাঁপছিল
এই বুঝি বাথরুমে আসার কেউ জেনে ফেল্ল তোমার-
আমার…অথবা,তোমি বুঝি এই আত্বহত্যা করলে
সেই ভয়ে আমি মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করি
তখন নিজকে আমার খুব অসহায় মনে হচ্ছিল
খুব মা-বাবার ছবি চোঁখের সামনে ভাসছিল
তখন জীবিত থেকেও আমি মৃত ছিলাম
সেদিন আমার মৃত্যু হলে এই দুবাই ভিনদেশে
স্বদেশের কেউ জানত না
আমি মিশে যেতাম ডাস্টবিনের ময়লার সাথে
আজও বেঁচে আছি,তোমার ভালবাসায়
সেদিন আমার কথামতো তোমি তথক্ষণাত
পরিস্কার হয়ে সবার সামনে এসেছিলে
কোথাও যদি যেতে তোমি,আমায় বলে যেতে
আবার সেদিনই কোন ছলে তোমি ফিরে আসতে
বলতে,তোমি ছাড়া আমি সেথা নরক বাসী
আজ তোমি ছাড়া আমি সেই নরক বাসী
আজ তোমি কোথায় আছ,কেমন আছ?
শুধু একমুহুর্ত এই মন তোমায় দেখতে চায়
মৃত্যুর আগে আর একবার তোমায় দেখতে চাই
আমি শান্তিতে মরতে চাই
সব কবি তার কবিতার হৃদয়ে
তার প্রিয়ার ছবি আঁকে
সেই ছবি সেই প্রিয়া দেখে
কবির অশান্ত হৃদয় শান্ত হয়
তবে এই হৃদয় কভু শান্ত হবে না
তোমি ভিনদেশী ইরানী কভু পড়বেনা আমার কবিতা
অথচ,আমি কবি তোমার জন্য।
হয়তো এখন তোমি কারো বাধ্যকতা
এই ভাবনায় আমি আহত হই বার বার
আমার দুচোঁখে কোণে এসে জমা হয় অশ্রু
এই অশ্রু তোমার বিরহের নয়
আমার ভালবাসার
আমি তোমাকে খুব ভালবাসি
অনন্তকাল ভালবাসব
আমি বিশ্বাস করি জন্মান্তর
আমি বিশ্বাস করি পরজনমে,
আমি বিশ্বাস করি পরজনমে
আমরা হব শ্বামী-স্ত্রী।
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন