বাবার একটি সপ্নের অপমৃত্যু ও একটি মেয়ের প্রেমের বলি হওয়ার ছোট্ট গল্প কাহিনী..........

লিখেছেন লিখেছেন সত্যকথার গ্রামের মানুষ ১৮ জুন, ২০১৩, ০৪:৫২:৪৩ বিকাল

ছায়া ঢাকা সুন্দর প্রকৃতিতে ঘেরা একটি গ্রাম।নাম রাধাকৃষ্ঞপুর।রাধাকৃষ্ঞের কোন প্রেমের কাহিনী নয়তো রাধাকৃষ্ঞর যে কাহারো একবার হয়তো পা পড়েছিল বলে এলাকার নাম রাধাকৃষ্ঞপুর।যাক গে সে কথা।লিখতে বসেছি একটি প্রেমের কাহিনী তাই লিখি এখন।প্রাইমারী স্কুলের হেড মাস্টার করেন আবার পলিটিক্স।গ্রামে নামডাক রয়েছে।থাকেন আবার শশ্বুর বাড়ীতে।প্রথমটি ছেলে সন্তান ।সংসারে একটু একটু অভাব না পাওয়ার ব্যাথা ইত্যাদি যা সংসারে লেগে থাকে।সবসময় অপরকে ঙ্গান দেয়ায় বেশ পটু গ্রাম্য ভাষায় ছোট খাটো ক্রিমিনাল বটে ।তাই নয় উপকারে আসে মাঝে মাঝে বটে।ঘরে এল একটি মেয়েসন্তান কে যেন বলতে লাগল এবার কপাল খুললো তাই মেয়েটির নাম দিল লাকী।আর কি মেয়ে বড় হবে, বড় কিছু করবে এই আরকি অনেক সপ্ন। আর একটি মেয়েসন্তান আসলো আবার হেড মাস্টারের ঘরে। প্রথম মেয়ে বড় হলো ।বাবার সপ্ন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবে তাকে ।তাইতো এসএস সির পাঠ চুকিয়ে দিলেন তাকে বাড়ী থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে থানা প্রোপারের একটি ভালো কলেজে।ভর্তি হয়ে নিয়মিত ক্লাশ করে সে।বাড়ী থেকেই ক্লাশ করে বাসে চড়ে কিংবা মাঝে মাঝে তার বাবা মোটর সাইকেলে দিয়ে আসতো।যেত খুব সকালে আর আসতো সন্ধ্যায় কিংবা সন্ধ্যার একটু পরে।সকালে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর ক্লাশ,প্রাইভেটে এগুলোতে নিয়মিত অংশ গ্রহন করতো। এর মাঝেই হঠাৎ পরিচয় ঘটে একটি ছেলের সাথে তার নাম রাজা।সে পাশের একটি কলেজে ডিগ্রি ক্লাশে পড়ে।বাড়ী দুজনেরই কাছাকাছি।আগে থেকে একটু একটু জানাজানি থাকলেও এখন জানাজানি দুজনের আরো বেশী।ক্যাম্পাসে ক্লাশ করার পর গাড়ী আসা পর্যন্ত প্রায় ৩--৪ ঘন্টা কেটে যেত দুজনের গল্প কিংবা মাঝে মাঝে ছিনেমা দেখে।বিষয়টি ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে এমন অবস্থায় পরিবারের পক্ষ থেকে শুরু হয় বিশেষ নজরদারি । একদিন সকাল বেলা ক্লাশ শেষে পরিচয় ঘটে এই লেখকের সাথে।তার বাবা রাজনৈতিক কাজে ঢাকায় গেছেন চেক দিয়ে গেছেন মেয়ের কাছে যেন টাকা উঠিয়ে বাড়ী গিয়ে মা কে দেয়।মেয়ে মানুষ টাকা রাখতে সমস্যা তাই লেখককে দিলেন টাকাটা আমানত হিসেবে।লেখকের মামার বাড়ী মেয়েটির বাড়ীর পার্শ্বে।লেখক যাবে মামার বাড়ী তাই টাকাটা বয়ে নিয়ে যেতে হলো লেখককে।টাকা দিয়ে দুজনে কুশল বিনিময় শেষে লেখক গেলেন তার মামার বাড়ী।মামার বাড়ীতে সকলের সঙ্গে গল্প শেষে লেখক ঘুমিয়ে পড়লেন।..............রাত তিনটা হঠাৎ চিৎকার কে কোথায় আছেন বাচান। লেখকের মামা বললেন বাবা তুমি থাক আমি দেখি ।অনেক চিৎকার চারদিক থেকে মানুষ ছুটছে আমজাদ সাহেবের বাড়ী।সবাই বাড়ীর ভিতরে গিয়ে দেখেন বাড়ীর বারান্দার কাঠের সাথে একজন মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে।তড়িঘড়ি করে নামিয়ে তেল মালিশ বুকে চাপাচাপি সহ সবধরনের গ্রাম্য কবিরাজি শেষ। ততক্ষনে মেয়েটি চলে গেছে নাফেরার দেশে।কারন কি ...।মামা এসে আমাকে জিঙ্গেস করলেন তোমরা তো একসাথে কলেজ থেকে এসেছ তুমি কি ওকে রাজার সাথে দেখেছিলে।আমি তখন বললাম হ্যা।তাহলে শোন ঘটনা মামা বলতে লাগলেন.....কলেজ থেকে ফেরার পর সন্ধ্যা হওয়ার কারনে ওর মা ওকে বকাবকি করেছে এবং রাজার ব্যাপারে ওকে জিঙ্গেস করে সাবধান করেছে ।আর ওর মা ওকে বলেছে তোর বাবা না আসা পর্যন্ত কলেজ যাওয়া বন্ধ।এই কথার কারনে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।কথা গুলো শোনার পড়ে হতবাক হয়ে শুধু চিন্তামগ্ন হয়ে ভাবতেছিলাম হায়রে প্রেম,হায়রে ভালোবাসা যে মা গর্ভে ধরল তার এতটুকু কথা আর সহ্য হলো না।

এভাবেই প্রেমের বলি হলো একটি মেয়ে।

বিষয়: সাহিত্য

৩২৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File