১।সরকার ভয় পেয়েছে ২।বিএনপিকে যা করতে হবে ৩।সিদ্ধান্তের ত্রুটি হলে সব শেষ হয়ে যাবে।
লিখেছেন লিখেছেন বিএনপির পক্ষে ১৯ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:২১:৪১ রাত
আজকে শেখ হাসিনার ভাষণে অবাক করা ব্যাপার গুলো হলো
১।খালেদা জিয়াকে গালি না দেওয়া।
২।জিয়াউর রহমানের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার না করা।
৩।খালেদা জিয়ার রুপকে হিংসা না করা।
৪।বিরোধী দলকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করা।
৫।অনুরোধের ও আহবানের ভাষা নমনীয়।
একটু খেয়াল করলে দেখব শেখ রাসেলের কথা স্মরন করতে করতে তার চেহেরা কাঁদো কাঁদো হয়ে গিয়েছিল আর ঠিক ঐ সময় উনি অনুরোধ এবং আহবান জানালেন।সুক্ষ্ল ভাবে দেখলে বোঝা যাবে এটা বিরোধী দলকে দেওয়া একটা বার্তা যার মানে দাড়ায় "আমার দম্ভের সমাপ্তি ঘটল।"আবার এও হতে পারে ২৫শে অক্টোবরকে ভয় পেয়ে।আমার কাছে ভয় টায় বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে।
গোপন কিছু সূত্রে আমি খোঁজ পেয়েছি ২৪শে অক্টোবরের পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের হাত ছাড়া হয়ে যাবে কারন পরবর্তীতে হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।ফলে তারা রিস্ক নিবে না।নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করবে।গ্রেফতার করার চিন্তা ভাবনা তাদের নেই বললেই চলে।পুলিশ কিছুটা সমস্যা করতে পারে তবে বিজিবি সেনাবাহিনী সরকারের উপর ক্ষিপ্ত ।বিশেষ করে বিজিবিতে বিএনপি জামায়াতের সংখ্যা বেশী।বিজিবি বহু লোককে বিডিয়ার বিদ্রোহের অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির যা করতে হবেঃ
১।ভয়টাকে কাজে লাগানো বাঞ্চনীয়।
২।১৮দলের সাথে আলাপ আলোচনা এবং উপদেষ্টাদের পরমর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩।কোন ভাবেই হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া।
৪।যতটা সম্ভব সরকারকে চাপের মধ্যে রাখা।
৫।দলের ভিত্তি মজবুত রাখা।
৬।তৃনমূলের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা যেন আদেশে দেওয়ার সাথে সাথে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে।
৭।সরকার বিরোধী অন্যান্য দলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করা।
৮।এটা সরকারা ফাঁদও হতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা
এখন সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে বিএনপিকে চরম মূল্য দিতে হবে। বিএনপির দূরদর্শী সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছি।
বিষয়: রাজনীতি
১১২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন