একজন ভোদাইয়ের নির্বাচনী ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন ভোদাই ১৬ জুন, ২০১৩, ০৯:২২:০২ সকাল
চার সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীগণ নির্বাচিত হয়েছেন।বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য নির্বাচন; যে নির্বাচনে সরকার ও বিরোধীদল উভয়ই খুশি।উভয় পক্ষই খুশি হয়েছে, এরকম নির্বাচন এর আগে কখনও হয়েছে কিনা এ ভোদাইয়ের জানা নেই।সরকার খুশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে প্রশমিত করার অলীক তৃপ্তিতে। আর বিরোধীদল খুশিতো হবেই, তারা চার সিটিতে তাদের জনসমর্থন প্রমাণ করতে পেরেছে।
কিন্তু বিরোধীদল তথা বিএনপি এর খুশি হওয়ার আসলেই কি কোন কারণ আছে? এই ভোদাই মনে করে, নেই।এর অনেক গুলো কারণ আছে।চার সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থত প্রার্থী সর্বোমোট ৩৪২১১৯ ভোট পেয়েছে। যে সরকারের আমলে বিডিআর হত্যার মত ঘটনা ঘটে, শেয়ার বাজার ধ্বংস হয়, সীমাহীন দুর্নীতি হয়, দেশের সার্থের চেয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের স্বার্থ গুরুত্ত্ব বেশি পায়, সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়, সে সরকারের সমর্থিত প্রার্থীরা এতোগুলো ভোট পায় কি করে? কি করেনি আওয়ামী লিগ? সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ তুলে দিয়ে নাস্তিকদের তুস্ট করার চেষ্টা করেছে। দিনের পর দিন শাহবাগ বন্ধ রেখে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকারী প্রটোকলে নাস্তিকদের লালন করেছে। অথচ এদেশের ধর্মপ্রান মুসলমানদের একদিনও শাপলা চত্ত্বরে থাকতে দেয়া হয়নি।সর্বাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঘুমন্ত নীরিহ সম্মানিত আলেম ওলামাদের উপর আক্রমন চালিয়ে হাজার হাজার (মতান্তরে শত শত) মুসল্লিকে হত্যা করা হয়েছে।বিরোধী জোটকে স্বাধিনতা বিরোধি বানিয়ে, কি অত্যাচারই না তাদের উপর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সমকামিতার মত জঘন্য নংরা নিকৃষ্ট কার্যকলাপের প্রতি আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমর্থন জানিয়েছে। এর পরেও আওয়ামী লীগ ৩৪২১১৯ গুলো ভোট পায়।এতোগুল ভোটারের মধ্যে একজনও কি রুচিশীল ধর্মপরায়ন বা সভ্য ছিল না? সামান্য বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত না হয়ে, বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে কর্ম্পরিকল্পনা গ্রহণ করলে বিএনপির জন্য কল্যাণ হবে বলে এ ভোদাই মনে করে।
বিএনপির আনন্দে উদ্বেলিত না হওয়ার আরও কারণ আছে। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দলীয়করণ, অত্যাচার, জুলুম, নির্্যাতনের বিরুদ্ধে বিএনপি কি কোন কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পেরেছে? তারা কি আওয়ামী লীগের এই অপশাসন থেকে জনগনকে মুক্ত করার কোন পদক্ষেপ নিতে পেরেছে? অবশ্যই পারেনি।আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপরীতে বিএনপির প্রার্থীদের এমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত ইমেজ কি রয়েছে? অবশ্যই নেই।তারপরেও মানুষ বিএনপি কে কেন ভোট দিয়েছে? মনে রাখতে হবে, বিএনপি কে পছন্দ করে নয়, বরং আওয়ামীলীগের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মানুষ বিএনপিকে ভোট দিয়েছে।এ ভোদাই আবারো বলছে; বিএনপি কে পছন্দ করে নয়, বরং আওয়ামীলীগের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মানুষ বিএনপিকে ভোট দিয়েছে।
এ ভোদাইয়ের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে রাজশাহী সিটিতে।বলতে গেলে রাজশাহী তার প্রানের নগরী। তালাইমারী থেকে কোর্ট পর্যন্ত এমন কোন গলি খুজে পাওয়া হয়ত দুষ্কর হবে, যে গলিতে অন্তত একবার হলেও সে যায়নি।এ ভোদাইয়ের মনে আছে, মিজানুর রহমান মিনুর আমলে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় নগরী হিসেবে রাজশাহী খেতাব পেয়েছিল।সেই নগরীই পরবরতীতে পরিনত হয়েছিল ত্রাসের নগরীতে।খাইরুজ্জামান লিটনের টার্মে রাজশাহীর উন্নয়নের ব্যাপারে ভোদাইটার সন্দেহ থাকলেও একটি ব্যাপারে তার সন্দেহ নেই। আর তা হচ্ছে, আর যা-ই হোক, গত টার্মে রাজশাহীর সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।মৌলিক উন্নয়নের দিকে গুরুত্ত্ব না দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে লিটন সাহেব হয়ত সরকারের দুঃশাসনের বিপরীতে নিজের ইমেজ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা।
পরিশেষে একটি কথা সে বলতে চায়। তার মত লক্ষ কোটি ভোদাই পাবলিকের প্রত্যাশা যে, নব নির্বাচিত নগরপিতাগণ আওয়ামীলীগের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন না। দলমত ও স্বজনপ্রীতি ভুলে দুর্নীতি দুঃশাসনের ঊর্ধে থেকে সব মানুষের জন্য কাজ করবেন।সত্য ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন। মানবিক মুল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলবেন এবং সব ধর্মের মানুষের সৌহার্দ্রপূর্ন সহাবস্থান নিশ্চিত করবেন।শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করবেন।
বিঃদ্রঃ ভোদাই পাবলিকের সব কথায় কান দিতে নেই।
বিষয়: রাজনীতি
১১৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন