বিএনপির বিশাল বিজয়

লিখেছেন লিখেছেন নতুন বার্তা ডটকম ১৬ জুন, ২০১৩, ১১:০১:৫৮ সকাল



সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহীতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল-সমর্থিত প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এটিকে বিএনপিরই বিশাল বিজয় হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নতুন বার্তা ডটকমের ব্যুরো-প্রধানদের পাঠানো খবর:

সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ১৮ দল-সমর্থিত আরিফুল হক। সিটির ১২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, আরিফুল হক (টেলিভিশন) পেয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৩৩০ ভোট। অন্যদিকে, ১৪ দল-সমর্থিত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (আনারস) পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৭৩ ভোট। ভোটে ব্যবধান ৩৫ হাজার ১৫৭ ভোটে।

বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ১৮ দল-সমর্থিত আহসান হাবিব কামাল। সিটির ১০০টি কেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, আহসান হাবিব কামাল (আনারস) পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৭৭৮ ভোট। অন্যদিকে, ১৪ দল-সমর্থিত শওকত হোসেন হিরন পেয়েছেন (টেলিভিশন)৬৩ হাজার ৭৪১ ভোট। ভোটের ব্যবধান ২০ হাজার ৩৭। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক খান মামুন দোয়াত-কলম মার্কায় এক হাজার সাত ভোট পেয়েছেন। দুই লাখ ১০০ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন।

খুলনা

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ১৮ দল-সমর্থিত মনিরুজ্জামান মনি। সিটির ২৮৮টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি (আনারস) পেয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ২৮৫ ভোট। অন্যদিকে, ১৪ দল-সমর্থিত তালুকদার আব্দুল খালেক (তালা) এক লাখ ২০ হাজার ৫৮ ভোট। ভোটের ব্যবধান ৬১ হাজার ২২৭। চার লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন তিন লাখ এক হাজার ৩৪৩ ভোটার।

রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ১৮ দল-সমর্থিত মো. মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সিটির ১৩৭টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল(আনারস) পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৬৯ ভোট অন্যদিকে, ১৪ দল-সমর্থিত এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (তালা) ৮৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। ভোটের ব্যবধান ৪৮ হাজার ৩৮০। দুই লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন দুই লাখ ১৫ হাজার ১৮৫।

শনিবার সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট নেয়া হয় এই চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। ভোট চলাকালে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

চার সিটি নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের অনেকটা প্রভাব অনুভব করা গেছে। ভোট নেয়ার সময় ছিল উৎসবের আমেজ।দলীয়ভাবে প্রার্থী না দিলেও প্রধান দলগুলো তাদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সরব ভূমিকা পালন করছে। ভোট প্রদানের হারও ছিল সন্তোষজনক।

এদিকে, নির্বাচনে কারচুপি ও ফলাফল পাল্টে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে অভিযোগ করে প্রধান বিরোধ দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট বিএনপির অভিযোগ নাকচ করে বলেছে, ভোটগ্রহণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে এসব ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ আখ্যায়িত করেছে নির্বাচন কমিশন।

এবার চার সিটিতে ১২ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। চার সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১২ জন মেয়রপ্রার্থী।

গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এ চারটি সিটি করপোরেশনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১২ মে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৫ ও ১৬ মে এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৬ মে।

null

বিষয়: রাজনীতি

১১০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File