সুপার পেট্রো কেমিক্যাল আয়কর ফাঁকির সাথে জড়িত শিল্পপতি সেলিমের বিরুদ্ধে দুদকের : শিগগিরই মামলা

লিখেছেন লিখেছেন লাভ বাংলাদেশ ১৪ জুন, ২০১৩, ০২:৩২:৫৫ দুপুর

gssnews24.com

এলিট গ্র“প অব কোম্পানিজের দু’সহযোগী প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ফাঁদে আটকা পড়েছে। এ দু’টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সুপার পেট্রো কেমিক্যাল ও সুপার রিফাইনারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এলিট পেইন্টের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ। সুপার পেট্রো কেমিক্যালের মাধ্যমে নগরীর দু’টি ব্যাংকে ৪৪ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা পাচার ও আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শিগগিরই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঁচলাইশ ও কোতোয়ালী থানায় পৃথক মামলা দায়ের করবে দুদক। দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধান করার পর দুদক এই মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে। এছাড়া দুদকের প্রধান কার্যালয়েও সুপার রিফাইনারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের প্রেরিত নোটিশে সাড়া দিয়ে তিনি ইতিমধ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজিরাও দিয়েছেন। বর্তমানে সুপার রিফাইনারীর বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদকের উপ পরিচালক মীর্জা জাহিদুল আলম। সুপার রিফাইনারী লিমিটেডের ভ্যাট ও ট্যাক্স বিষয়ের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া সুপার ফিশিং ট্রলারের ভ্যাট ফাঁকি নিয়েও তদন্ত চলছে। তবে এসব মামলা থেকে তাকে বাঁচাতে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৎপর বলে সূত্র জানায়। সিন্ডিকেটটি সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জোর লবিং চালাচ্ছেন। জানা যায়, নগরীর খাতুনগঞ্জের মেসার্স আব্বাস ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আলী আব্বাস প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া জমি ও ভবনের বিপরীতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখা এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখা থেকে ৪৪ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বাবদ এবং নামসর্বস্ব বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে নগদে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দুদকের মামলায় আব্বাস ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী আলী আব্বাসকে গ্রেফতার করে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করলেও আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে। জানা গেছে, ওই টাকা শিল্পপতি সেলিম আহমদের যোগসাজসে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে লেনদেন দেখানো হয়েছে হয়েছে।এ ঘটনায় মানিলন্ডারিং সহ আরো বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা সেলিম আহমদকে এরিই মধ্যে দুদক তলব করেছেন। দুদকের উপ পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে মোহাম্মদ আলী আব্বাসকে মানি লন্ডারিং সহযোগিতার অভিযোগে গত ১৩ মে সকাল সাড়ে দশটায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও দেশের বাইরে থাকায় তিনি ওই সময় উপস্থিত হতে পারেননি। তবে এর কয়েকদিন পরে তিনি হাজিরা দিয়েছেন বলে সূত্র জানায়। দুদকের অপর একটি সূত্র জানায়, সিফস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদ ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আয়কর বিভাগে কোন ব্যক্তিগত রিটার্ন দাখিল না করাসহ তার বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকিরও অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে দুদক তদন্তে মাঠে নেমেছে। এছাড়া গত ১৮ এপ্রিল সিফল বাংলাদেশ নামের একটি কোম্পানির সঠিক রিটার্ন ও হিসাব বিবরণী দাখিল না করে আয় গোপন করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও অভিযুক্ত ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলব করেন দুদকের উপ পরিচালক একেএম জায়েদ হোসেন খান। এ বিষয়ে এলিট গ্র“প অব কোম্পানিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সুপার পেট্রো কেমিক্যাল ও সুপার রিফাইনারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এলিট পেইন্টের চেয়ারম্যান সেলিম আহমদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তার মতামত পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত সহকারী সুব্রত দেব মোবাইলে সেলিম আহমেদ শারীরিক অসুস্থ বলে জানান।

- See more at: http://www.gssnews24.com/?p=1581#sthash.vXikYbSP.dpuf

বিষয়: বিবিধ

১২০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File