তুরস্কের ভয়াবহতম সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টাঃ দেশব্যাপি শহীদ ১৬১ (আরও ১০৪ সেনা সদস্য নিহত।)
লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ১৭ জুলাই, ২০১৬, ০২:৪৫:০৬ রাত
তুরস্কের গতকালের সেনা অভ্যুত্থানটা সকল সময়ের অভ্যত্থান থেকে ভিন্ন ছিল।। গতকালের সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার সাথে সাথে ছিল দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলাও, যেটা আগের ৪ বারের অভ্যুত্থানের সময় দেখা যায়নি। ইস্তানবুল- আঙ্কারার আকাশ ছিল এফ-১৬ এর দখলে, এবং জমিনে টহল দিচ্ছিল তুরস্কের বিপথগ্রস্ত সেনাবাহিনীর ভারী ভারী ট্যাংক। একটু পরপর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছিল ঘর-বাড়ি আকাশ বাতাস। তবে তুর্কীর জনগণের বুকে এতটুকু কম্পন সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। এরদোগান ডাকে সাড়া দিয়ে লাখো লাখো মানুষ দলমত নির্বিশেষে রাজপথে নেমে প্রমান করে দিয়েছে তারা আর কোন সেনা ক্যু তারা চায়না।
তাদের প্রধান টার্গেট ছিল তুরস্কের ইতিহাসের সর্বপ্রথম জনগণের ভোটের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এরদোগান এবং সংসদ সদস্যরা। গতকাল রাতে ইস্তানবুলে আসার আগে প্রেসিডেন্ট এরদোগান মারমারিসে ছিলেন। তিনি বলনে, ''আমার হোটেলে বোমা নিক্ষেপ করা হয়, কিন্তু তারা হয়ত জানতনা আমি হোটেল ত্যাগ করেছি। এবং আমাদের বিমানকেও বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা করছিল।''
অন্যদিকে আঙ্কারাস্ত সংসদ ভবনে ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় বোমা হামলায় প্রধানমন্ত্রী অফিসসহ সংসদ ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গুলেনপন্থি সেনাসদস্যদের একটি দল ব্যর্থ এ সেনা অভুত্থানের চেষ্টা চালিয়েছে। তারা হয়ত ধারণা করেছিল জনগণের কিছু অংশ তাদেরকে সাপোর্ট দিতে পারে। কিন্তু তারা হয়ত বুঝেনি যে এটা মিশর না, এটা তুরস্ক!!
কেন এবং কারা জড়িতঃ
<>তুরস্কের আদালত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত এরকম সেনা সদস্যদের লিস্ট করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অপারেশনে যাওয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারটা দোষীরা জানতে পারে এবং তারা মরণ কামড় হিসেবে এ হামলা চালিয়েছে সেটা বুঝা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে তাদের ধ্বংসজজ্ঞ দেখে। এসব পথভ্রষ্ট সেনাদের সহায়তা করেছিল আমেরিকা, ইসরাইল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে তুরস্কের সাহসী দেশপ্রেমিক জনগণ এরদোগানের নেতৃত্বে এ ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছে।।
#জয়_হক_গনতন্ত্রের
#SaveTurkey #LoveTurkey
বিষয়: বিবিধ
১২৫৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন