রাশিয়ার সাথে মুসলমানদের জোট গঠনে মহানবীর (সাঃ) ভবিষ্যতবাণী ----(এক) (মূল: আল্লামা ইমরান নূর হোসেন)
লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ১৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:০৪:৩৮ দুপুর
রাশিয়ার সাথে মুসলমানদের জোট গঠনে মহানবীর (সাঃ) ভবিষ্যতবাণী
আখেরী জামানায় রাশিয়ার সাথে মুসলমানদের জোট গঠনে মহানবীর (সাঃ) ভবিষ্যতবাণী
কাজেই আমেরিকার পরিবর্তে ইসরাঈল যখন পরাশক্তি হইবে, তখনও নতুন ধরনের অর্থব্যবস্থা আসিবে, পেট্টোডলারের দাপট থাকিবে না আর সাথে সাথে আসিবে বিরাট বিশাল ভয়ঙ্কর যুদ্ধ (তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ), এই মামুলি বিষয়টি বুঝিবার জন্য আপনার পিএইচডি ডিগ্রীধারী হওয়ার দরকার নাই । কিন্তু কোন শক্তির বিরুদ্ধে এই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ / মালহামা সংঘটিত হইবে ? পৃথিবীতে দুইটি শক্তি আছে যাহারা ইসরাঈলের এই দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়াইবে । এক নাম্বার হইল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর অনুসারীরা, যাহাদের কিবলাহ হইল মক্কা শরীফ । তবে আমাদের মধ্যে অনেক লোক আছে যাহাদের কেবলাহ ওয়াশিংটনে । এমন কথা বলিবার জন্য দয়া করিয়া আমাকে ক্ষমা করবেন । হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে এমন লোক আছে যাহাদের নিকট ইসলামের চাইতে আমেরিকান ভিসা বেশী গুরুত্বপূর্ণ । আমার ইউএস ভিসা আমার কাছে অধিক মূল্যবান, আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) হুকুম মানিয়া চলিবার চাইতে । কাজেই এমন কথা বলিবার জন্য আমাকে ক্ষমা করিবেন, দয়া করিয়া আমার ওপর বিরক্ত হইবেন না, কেননা আমারও কিছু দ্বায়িত্ব আছে । কাজেই আসন্ন মহাযুদ্ধে (মালহামায়) আক্রান্ত হইবে প্রধানত মুসলমানরা, কেননা তাহারাই ইসরাঈলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী রুখিয়া দাঁড়াইবে । অন্য আরেকদল লোকের বিরুদ্ধে এই মহাযুদ্ধ সংঘটিত হইবে যাহারা ইসরাঈলের বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়াইয়াছে । সেই অন্য দলের লোকেরা কাহারা ? ইহার উত্তর পাওয়া যাইবে পবিত্র কোরআনের সুরা মায়েদায়, এই যুগের প্রেক্ষাপটে ইহা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আয়াত । আল্লাহ তায়ালা বলেন, (এমন একটি সময় আসিবে যখন) তোমরা দেখিতে পাইবে মানুষের মধ্যে তোমাদের প্রতি শত্রুতায় সবচাইতে জঘন্য হইবে ইহুদীরা এবং (ইহুদীদের সাথে সাথে) আরেকটি দল হইবে মোশরেকরা (যাহাদের সকল কর্মকান্ডের ভিত্তি হইল শিরক / মূর্তিপূজা) । তারপর আল্লাহ বলিতেছেন, (সেই সময়) তোমাদের প্রতি ভালবাসা এবং মমতায় সর্বাধিক হইবে একদল লোক যাহারা বলে আমরা খ্রিষ্টান ।
একটি উদাহরণ দেই, আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, যখন জুমু’আর নামাযের জন্য আহবান করা হয়, তখন ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করিয়া আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও । কিন্তু তাহারা জুমআর নাম পাল্টাইয়া নতুন নাম দিয়াছে ফ্রাইডে । ফ্রাই কে ? কে কে স্প্যানিস ভাষা জানেন ? ফ্রাই হইল স্ক্যান্ডিন্যাভিয়ান দেবী যাকে তাহারা পূজা করে । ফ্রাইডে হইল দেবী ফ্রাইয়ের পূজার দিন । সুতরাং তোমরা দুই শ্রেণীর লোক দ্বারা প্রবলভাবে আক্রান্ত হইবে, ইহুদী এবং মোশরেক । কাজেই সেই সময় যখন ইহুদীরা হইবে তোমাদের প্রতি সর্বাধিক শত্রুভাবাপন্ন এবং এই শিরক ভিত্তিক সভ্যতা তোমাদের বিরুদ্ধে পৈশাচিক যুদ্ধ ঘোষণা করিবে । একই কথা বারবার পূণরাবৃত্তি করিবার জন্য আমি দুঃখিত। আল্লাহ বলেন, সেই সময় তোমাদের প্রতি ভালবাসা এবং মমতায় সর্বাধিক হইবে একদল লোক যাহারা বলে আমরা খ্রিষ্টান । আল্লাহ এখানেই থামিয়া যান নাই, তিনি আরো বলিতেছেন, ইহার কারণ তাহারা মঠবাসী / আশ্রয়বাসী সাধু দরবেশ এবং তাহারা অহংকারী নয় । আমি যদি একটি হোটেলে গিয়া কারি চিকেনের অর্ডার দেই, তারপর জামার আস্তিন ঘুটাইয়া আল্লাহর দেওয়া কাটা চামচ অর্থাৎ হাত দিয়া খাওয়া শুরু করি, তবে এই লোকেরা বলিবে, এইভাবে খাওয়া সভ্য লোকের কাজ নয় । …হা..হা..হা… আমার উত্তর হইল, তোমার সভ্যতা ভদ্রতা লোহিত সাগরে নিক্ষেপ কর । তোমরা অহংকারী বলিয়াই সারা দুনিয়ার মানুষকে তোমাদের কার্বন কপি বানাইতে চাও । তোমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির আমার নিকট কানাকড়িও মূল্য নাই । তোমরা কিভাবে ভাবিতে পারো যে, একজন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের অধিবাসী হইয়াও আমাকে ভদ্রলোক হওয়ার জন্য, তোমাদের সাথে চলাফেরার যোগ্য হওয়ার জন্য সুটকোট জেকেট এবং টাই পড়িতে হইবে ? ইহা হইল পাগলাগারদ ! সুতরাং একদল লোক আছে যাহারা দাম্ভিক অহংকারী । তাহারা চায় অন্যদেরকে তাদের কার্বন কপিতে পরিণত করিতে । তাহারা চায় তামাম পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করিতে । তাহলে ইহারা কোন খ্রিষ্টান যাহারা মুসলমানদের প্রতি ভালবাসা এবং মমতায় অধিক নিকটবর্তী হইবে ? ইহারা হইল সেই খ্রীষ্টান যাহাদের মধ্যে আছে মঠবাসী / আশ্রমবাসী সাধু-সন্ন্যাসীর দল । তাহারা অহংকারী নয় । তাহারা সারা দুনিয়া শাসন করিতে চায় না ।
তাহারা অন্যদেরকে তাহাদের কার্বন কপি বানাতে চায় না । খ্রীষ্টান জগত প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত । এক ভাগ হইল সেটা যাহারা ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন পালন করে আরেক ভাগ হইল যাহারা ৭ই জানুয়ারী বড়দিন পালন করে । এদের এক ভাগকে বলা হয় পাশ্চাত্য খ্রীষ্টবাদ (ক্যাথলিক) আর অন্য ভাগকে বলা হয় অর্থোডক্স খ্রীষ্টবাদ । রাশিয়া হইল অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের নেতা, সেখানে আছে এই সাধু-দরবেশদের মঠ ব্যবস্থা । পাশ্চাত্যের খ্রীষ্টবাদে একজন ছাড়া অন্য কাহারো দাঁড়ি রাখার অনুমতি নাই । আপনি পুলিশে চাকুরি করিলে দাঁড়ি রাখিতে পারিবেন না । আপনি হোটেলে চাকরি করিলে দাঁড়ি রাখিতে পারিবেন না। সেখানে একজন মাত্র দাঁড়িওয়ালা লোক বছরে একবার ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়া আসেন । কাজেই ইহা হইল শান্তাক্লজ খ্রীষ্টবাদ । কিন্তু অর্থোডক্স খ্রিষ্টান জগতে এসব শান্তাক্লজ কালচার নাই । আমি যখন রাশিয়াতে বেড়াতে যাই, দেখিলাম দাঁড়িওয়ালা লোক প্রচুর । আমাকে মষ্কো ষ্টেট ইউনির্ভাসিটিতে লেকচার দেওয়ার জন্য যিনি দাওয়াত দিয়াছিলেন, অধ্যাপক আলেকজান্ডার ডুগিন, তিনিও একজন দাঁড়িওয়ালা লোক, তাহারও দেখিলাম বড় বড় দাঁড়ি, আমার পাশেই বসিয়াছিলেন । কাজেই দুই ধরনের লোক ইসরাঈলের জন্য হুমকি হইয়া দাঁড়াইবে, তাহারা হইল মুসলমান এবং অর্থোডক্স খ্রিষ্টান । অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের কথা কি কোরআনে আছে ? হ্যাঁ, একটি বড় সুরাই আছে তাদের সম্পর্কে, সুরা রুম, সম্ভবত ৩১ নাম্বার সুরা । দেখুন সুরাটি কিভাবে শুরু হইয়াছে । “রুমানরা পরাজিত হইয়াছে” । সেই সময় যেহেতু ওয়াশিংটন ছিল না, ন্যাটো ছিল না, কাজেই আল্লাহ তায়ালা ইহাদেরকে ইশারা করিবার প্রশ্নই আসে না । দেখুন আল্লাহ তায়ালা ভবিষ্যতবাণী করিতেছেন, “শীঘ্রই তাহারা (রোমানরা) বিজয়ী হইবে যখন মুসলমানরা আনন্দ উদযাপন করিবে”। তাহলে এই রুম (রোমান) কাহারা ? এই রুম হইল অর্থোডক্স খ্রীষ্টানরা , বাইজানটাইন সাম্রাজ্য । কন্সট্যান্টিপুল ছিল তাহাদের রাজধানী । বর্তমানে রাশিয়া হইল রোমানদের নেতা । গ্রীসও রুমের অন্তর্ভূক্ত । আরর্মেনিয়াও রুমের অন্তর্ভূক্ত । বুলগেরিয়াও রুমের অন্তর্ভূক্ত । পারমানবিক মহাযুদ্ধ কেন আসিতেছে ইহার কারণ কি ? ইহার কারণ মুসলিম বিশ্বে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রধারী শক্তি একমাত্র পাকিস্তান । কিন্তু পাকিস্তান কিছুটা ওজনে হালকা । কিন্তু অর্থোডক্স খ্রীষ্টানরাও রাশিয়ার কারণে একটি প্রভাবশালী পারমাণবিক শক্তি ।
মূল - আল্লামা ইমরান নূর হোসেন
অনুবাদ – বশীর মাহমুদ ইলিয়াস
visit here: http://www.istanbultimes24.com
--চলবে
বিষয়: বিবিধ
৬৪৩৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
I am wondering how you came to this conclusion with certainty i.e. 'Totally Wrong guess and explanation' by reading the reasons for Ohiee?
It would be a great help for the Ummah to know some definite 'right guess and explanation'.
So, if you please come forward with a second view by explaining these ayats and lets see the truth - will be indeed a great help.
We are in a state of searching the truth and looking for guidance.
ফ্রাইডেকে আমরা শুক্রবার বলী আর আরবীতে বল জুমুয়া। আরবী জুমুয়া সালাকে(নামাজ) সোজা বাংলা করলে দাড়ায় “শুক্রবারের নামাজ” আর ইংরেজীতে ফ্রাইডে প্রেয়ার” । আবার কুরআন নাজীলের অনেক পূর্ব থেকেই তারা শুক্রবারকে ফ্রাইডে বলে। তাই যদি হয় তবে তার এই ব্যাখ্যা বা অভিযোগ “তাহারা জুমআর নাম পাল্টাইয়া নতুন নাম দিয়াছে ফ্রাইডে” কতটা যুক্তি যুক্ত। একজন আলেম হিসাবে তাকে আমি সস্মান করি, তার মানি এই নয় যে তাকে আমি অন্ধ ভাবে অনুসরণ করব। কেননা দিন শেষে সে একজন মানুষ।
যথার্থ বলেছেন, সহমত
@মুহামমাদ সামি: ধন্যবাদ
জাযাকুমুল্লাহ..
আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সঃ এর ভবিষ্যতবানীসমূহ আমরা যেন পুরো বিশ্বময় অক্ষরে অক্ষরে ফলতে দেখছি।
কিন্তু তারপর ও উম্মাহ হিসাবে আমরা যেন আজ অন্ধ, বধির ও বিবেকবুদ্ধিহীন বিভিন্ন রংয়ের, বিভিন্ন ধ্যান-ধারনার, বিভিন্ন বোধ ও বিশ্বাসের একপাল ভেড়ার ন্যায় জীবন যাপন করছি আর অকাতরে মরছি, মারছি, পুংগু হচ্ছি, রেইফড হচ্ছি। বিশ্বের চোখে পশুপাখির ও অধম হয়ে বেঁচে আছি। অথচ হবার কথা ছিল বিশ্বের বিচারক, ন্যায় ও অন্যায়ের বিভাজনকারী, আইন প্রয়োগকারী।
এমতাবস্থায় ও কোন আলেম যখন সুফি, সালাফি, জামায়াত, তাবলীগ ইত্যাকার ভাগে বিভক্ত দল উপদলের উপরে উঠে কোরান ও হাদীস বিশ্লেষন করে আমরা মহা ক্রিটিক্যাল হয়ে কলমের এক আচঁড়ে তা ডাস্টবিন এ ছুড়ে ফেলি - এ্যাজ ইফ অমন আলেমের গবেষনার কোন মূল্য নেই - অথচ কাউন্টার কোন গ্রহনযোগ্য দলিল দস্তাবেজ পেশ করিনা, করতে চাইনা। এমন কি এ্যাংগেইজ ও হতে চাইনা - এতটাই নাক উচু মুসলিম দলবাজ হয়েছি আমরা।
কিন্তু নিজের গলায় ফাঁসির দড়ি দেখা স্বত্তেও - মহাপ্রতারক আমেরিকা (ডজন ডজন উদাহরন থাকা স্বত্তেও) কে পাবলিকলী ১০০% বিশ্বাস করি, জীবনহানীর শংকা হলে আর এক প্রতারক বৃটেনে আশ্রয় নেই - কিন্তু কোরান ও হাদীস দিয়ে বুঝতে চাইনা কেন আমার গলায় দড়ি পড়ছে কিংবা কেন যে মহিলাকে আমি আমার নেতা হবার সুযোগ করে দিয়েছি - সে কেন আমায় খুন করাচ্ছে?
আমরা নিটিগ্রিটির উছিলায় রাজনীতির নামে আর এক ইসলামী ভাই ও সংগঠনকে এড়িয়ে চলি, কঠোর সমালোচনা করি - কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার কিংবা আমেরিকান ডিপ্লোমেট (পুরোটাই রাজনৈতিক মিশন) এর সাথে রূদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হতে বিন্দু মাত্র দ্বিধাগ্রস্থ হইনা।
এমতাবস্থায় - ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি - উন্মুক্ত মনে ইমরান নজর হোসেন এর বক্তব্য ও বিশ্লেষন পাবলিকলী প্রফাগেট করা উচিত - তাতে উম্মাহ কনসাসনেস বাড়বে। এ্যাজ লং এ্যাজ সেই বক্তব্য কোরান ও হাদীসের সাথে কন্ট্রাডিক্ট না করে।
আপনার উদ্যোগকে স্বাগতম।
আমি জানি ক্যথোলিকরাই রোমান। কারণ তারা এখন রিলিজিয়ান হিসেবে লিখে "রোমান ক্যথোলিক" ইউরোপ, আমেরিকান ও ফিলিপিন ইন্ডিয়ানসহ এশিয়ার প্রায় খৃষ্টানরা ধর্ম হিসেবে (খৃষ্টান) রোমান ক্যথোলিক ব্যবহার করছে।
আরব দেশের খৃষ্টানরা বেশিরভাগই অর্থডক্স, তাদের মাঝে ধর্মীয় কালচার, আমল আখলাক তুলনামূলক বেশি। কিন্তু রাশিয়ার কথা "রোমান + অর্থডক্স" কেমন যেন ধোয়াশা লাগছে।
প্রশাসনিক সুবিধার জন্য পাগান রোমান রাজা ডিয়োক্লেটিয়ান রোমান সাম্রাজ্যকে দুইভাগে ভাগ করে ইতালির মিলান কে ওয়েস্টার্ন ও তার্কিস্থ নিকোমেডিয়াকে ইস্টার্ন রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী করে দুইভাগে বিভক্ত করেন।
এ বিভক্তির সাময়িক সমাপ্তি হয় ৩১২ সালে খৃষ্ট ধর্মে দীক্ষা নেওয়া কন্সটিনটিন যখন ৩২৪ সালে দুই রোমান সাম্রাজ্যের অধিপতি হন। আর পরবর্তীতে রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসাবে ৩৩০ সালে কন্সট্যানটিনোপোল বা নিউ রোম (আজকের ইস্তান্বুল) কে গড়ে তোলেন।
পলিটিক্যাল নিয়ন্ত্রণ, নর্দার্ন সামরিক আগ্রাসন ও অর্থনৈতিক বিন্যাসের বিরোধে ৪০৫ সালে স্থায়ী ভাবে এ সাম্রাজ্য ওয়েস্টার্ন রোম (যা ৪৮০ সালের মধ্যে বিলুপ্ত হয় - রাসুলুল্লাহ্ সঃ এর জন্মের আগে) ও ইস্টার্ন বাইজানটাইন রোম (স্থানীয়ভাষায় উচ্চারিত রূম ১৪৫৩ সালে অফিশিয়ালী বিলুপ্ত হয়) এ দ্বিখন্ডিত হয়।
সুরা রূম যখন নাযিল হয় তখন ইস্টার্ন বাইজানটাইন রূম ই পরাজিত হয়েছিল পারশিয়ানদের কাছে এবং এই রূম কে আল্লাহ ও রাসুল ও সাহাবীরা রূম হিসাবে জানতেন যার মূল ছিল কনস্টিনটিনোপলিস। খৃষ্টান যে পাঁচটি স্বাধীন ডায়োসিস ফরম করা হয় তার মধ্যে কনস্টিনটিনোপলিস ছিল ইক্যুয়াল এর মধ্যে প্রথম তথা হার্ট আর ভ্যাটিকান পিটার ও পল এর মৃত্যুভূমির কারনে সন্মানিত ছিল সব খৃষ্টানের কাছে। রাসুলুল্লাহ সঃ এর মৃত্যুর সাড়ে ৩ শত বছর পর থিওলজক্যাল কারনে স্থায়ীভাবে ভ্যাটিক্যান ও কনস্টানটিনোপোল (হ্যাগা সোফিয়া) আলাদা হয়। পরবর্তিতে অটোম্যান এ্যাম্পায়ার যখন কনস্টানটিনোপোল দখল করে হ্যাগা সোফিয়াকে মসজিদ বানায় - এ সাম্রাজ্য পূর্ব ইউরোপ হয়ে রাশিয়ায় ইনফ্লুয়েন্স বিস্তার করে এবং ভ্যাটিক্যানের রাইভাল হয়ে অদ্যাবধি কাজ করছে। সূরা মায়েদায় বর্নিত যে খৃষ্টান গ্রুপ এর বর্ননা দেওয়া হয়েছে যারা মুসলমানের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে তাদের সাথে রাশিয়ান অর্থোডক্স খৃষ্টানের সামন্জস্যতা আছে অন্যদিকে ভ্যাটিকানের খৃষ্টানের সাথে সুরা মায়েদার ৫১ আয়াতে বর্নিত ইয়াহুদী-খৃষ্টান আওলিয়ার সামন্জস্যতা আছে।
ইমরান নজর হোসেন সে দিকে আলোকপাত করেছেন।
এর বাহিরে যে হাদীস সমূহ কনস্টিনটিনোপলিস বিজয়ের কথা বলেছে - তার সাথে রাশিয়ানদের ডাইরেক্ট ও ভাইটাল রিলেশান আছে কিন্তু ভ্যাটিকানের রোমের কোন রিলেশান নেই। আশা করি আপনার কনফিউশান কিছুটা দুর হয়েছে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন