১৯৮২ সালের সেনা ক্যু'তে যুক্ত জেনারেলদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল তুরস্কের আদালত
লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ২১ জুন, ২০১৪, ০৩:৪৫:১২ রাত
তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাস বড়ই বন্ধুর। অনেক বাঁধাবিপত্তি মাড়িয়ে ১৯৫০ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রবেশ করে এ দেশে। বহুজাতিক গণতন্ত্রে প্রবেশ পরও এ দেশটি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। চার চারবার সেনা ক্যু’র শিকার হয় এ দেশ। ২৭ মার্চ ১৯৬০ এবং ১২ মার্চ ১৯৭১ সালের সেনা বিপ্লবের পর ১৯৮০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ইতিহাসের জঘন্যতম সেনা বিপ্লব। এ সেনাবিপ্লবের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সোলাইমান দেমিরালকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, তুরস্ক গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বেলি (পার্লামেন্ট) বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ১৯৬১ সালের সংবিধানকে করা হয় বিলুপ্ত। ঐ সেনা বিপ্লবে জড়িত থাকার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কেনান এভরান (৯৭) এবং তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য জেনারেল তাহসিন শাহিনকায়াকে (৮৯) যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ, শতশত মানুষকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা, শিশুসহ শতশত মানুষকে ফাঁসি দেয়াসহ ১২ সেপ্টেম্বরের সেনা ক্যু’তে জড়িত থাকার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সেনা ক্যুর জীবিত মূল হোতাদের মধ্য থেকে ৯৭ বছর বয়সী জেনারেল কেনান এভরেন এবং ৮৯ বছর বয়সী জেনারেল তাহসিন শাহীনকায়াকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এবং ট্রেড ইউনিয়ন এবং ১৯৮২ সালের সেনা ক্যু’তে ক্ষতির শিকার ব্যক্তিরা জীবিত জেনারেলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আঙ্কারাস্থ পাবলিক প্রসিকিউশন ব্রাঞ্চ তদন্ত করে জীবিত তৎকালীন তিন জেনারেলের বিরুদ্ধে এবং নুরেমবার্গ আদালতের সকল শর্ত মেনে নিয়ে এবং আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইনের ৭৬৫ নং ক্রিমিনাল কোড এর ১৪৬, ১৪৭, ১৫৩, ১৭৪, ১৭৯, ১৮০ এবং ১৮২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল তদন্ত শুরু করেন। এবং ৪ এপ্রিল ২০১২ সালে ট্রায়াল শুরু হয়। আঙ্কারায় গতকাল বুধবার মামলার শুনানির সময় কেনান এভরান আঙ্কারাস্থ হাসপাতালে এবং অপর অপরাধী তাহসিন শাহিনকায়া ইস্তানবুলস্থ হাসúাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন। শুনানি শুরু হলে তারা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেন। মামলার রায় ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথে তৎকালীন সেনা প্রধান এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি কেনান এভরান ‘আমি এই রায়কে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি’ এবং অপরদিকে তাহসিন শাহিনকায়া ‘এ রায় আমি মেনে নিলাম’ বলে তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সরকারি হিসেবে জানা যায়, ১৯৮০ সালের ক্যু’র পর ৬৫০০০০ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। ২৩০০০০ লোককে সামরিক আদালতে অভিযুক্ত করা হয়। প্রায় ৩০০ জন লোক জেলখানায় মারা যান তাদের মধ্যে ১৭১ জনকে নির্যাতনের http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=149558
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন